প্রাচীন গ্রিসে বিরাগীরা বিশ্বাস করতেন বাহ্যিক সুযোগ সুবিধা যেমন বস্তুগত বিলাসদ্রব্য, রাজনৈতিক ক্ষমতা সত্যিকারের সুখ দিতে পারেনা।
বিরাগীদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ছিলেন ডায়োজেনিস। তিনি একটি পিপার মধ্যে থাকতেন এবং তার কেবল একটি আলখাল্লা, একটি লাঠি আর রুটি রাখার একটি থলে ছিল। একবার তিনি যখন তার পিপার পশে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছিলেন তখন আলেকজান্ডার দি গ্রেট তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন।
সম্রাট তার সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন এমন কিছু কি আছে যা তিনি চান? ডায়োজেনিস বললেন হাঁ চাই। আপনি পারলে একপাশে সরে দাঁড়ান। কারণ আপনি শীতের মিষ্টি রোদ আটকে দাঁড়িয়ে আছেন । এই মুহূর্তে এই মিষ্টি রোদের চেয়ে বড় কোনো সুখ আমার কাছে নেই।
এভাবে ডায়োজেনিস বুঝিয়ে দিলেন যে তিনি প্রতাপশালী সম্রাটের চেয়ে কম সুখী বা সম্পদশালী নন। তিনি যা চান তার সবই তাঁর আছে।
সুখ আসলেই এক জটিল ধাঁধা।
কেউ খেয়ে সুখ পায়, কেউ না খেয়ে সুখ পায়।
কেউ ব্রান্ডের জিনিস পরে সুখ পায়, কেউ কোনোমতে কিছু একটা পরে সুখ পায়।
কেউ ক্ষমতা চর্চা করে সুখ পায়, কেউ আবার ক্ষমতা থেকে দূরে থেকে সাধারণ জীবন যাপনে সুখ পায়।
কেউ জ্ঞান অর্জন করে সুখ পায়, কেউ জ্ঞান অর্জন না করে চাপাবাজি করে সুখ পায়।
কেউ পরিবারে সুখ পায়, কেউ আবার একাকী জীবনে সুখ খুঁজে পায়।
কেউ বিলিয়ে দিয়ে সুখ পায়, কেউ বা আবার নিজের কাছে রেখে সুখ পায়।
কেউ ভ্রমণে সুখ পায়, কেউ ভ্রমণের টাকা জমিয়ে সুখ পায়।
তাই সুখের বিন্যাস এত জটিল বলেই সুখ খুঁজে পাওয়া বোধহয় সবচেয়ে কঠিন বিষয়!
Good article dear.