আস্ সালামু আলাইকুম,,,,,
কেমন আছেন সবাই??
প্রশ্ন-১ঃ কবরস্থানে নিজের কবরের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ক্রয় করা যাবে কি? যেন সে স্থানে অন্য কারো কবর না হয়?
উত্তরঃ নিজের জন্য কবরের স্থান ক্রয় করে রাখা যায় এবং সেখানে দাফন করার অছিয়তও করা যায়। ওছমান, আয়েশা ও ওমর বিন আব্দুল আযীয এ বিষয়ে অছিয়ত করেছিলেন।
প্রশ্ন-২ঃ বর্তমানে নারীদের বোরখা ও হিজাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রং বেরঙের কাপড় ব্যবহার করে আকর্ষণীয় করা হয়। এরূপ আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্যমণ্ডিত বোরখা ও হিজাব পরা জায়েজ হবে কি?
উত্তরঃ বোরখার জন্য নির্ধারিত কোন কোন রঙ নেই। সেটা কালো বা সাদা বা যেকোনো রঙের হতে পারে। তবে শর্ত হল তা যেন সাদাসিধে ও ঢিলেঢালা হয় এবং পরপুরুষের জন্য আকর্ষণ সৃষ্টিকারী না হয়। সুতরাং বোরখা বা হিজাব এমন নকশাদার হবে না বা এতে এমন সাজ-সজ্জা জায়েজ হবে না, যা তাক্বওয়া পরিপন্থী এবং পর্দার উদ্দেশ্য বিরোধী। আল্লাহ বলেন, হে আদিম সন্তান! আমরা তোমাদের উপর পোশাক অবতীর্ণ করেছি,যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবতীর্ণ করেছি বেশভূষার উপকরণ সমূহ। তবে আল্লাহ ভীতির পোশাকই সর্বোত্তম।
প্রশ্ন-৩ঃ সহো সিজদাহ্ দেওয়ার বিধান কি? কেউ যদি তা দিতে ভুলে যায় এবং অনেকদিন পর তা স্মরণ হয় তার জন্য করণীয় কি? সহো সিজদা সালাম ফিরানোর পূর্বে না পরে দেওয়া উত্তম?
উত্তরঃ রাকাআত সংখ্যা কম হলে বা বেশি হলে অথবা কত রাকাআত হয়েছে তা নির্ণয় করতে না পারলে কিংবা তাশাহুদ ছুটে গেলে সহো সিজদা দেয়া ওয়াজিব। শাওকানী বলেন, ওয়াজিব ছাড়া পড়লে সহো সিজদা ওয়াজিব হবে, সুন্নাত ছাড়া পড়লে সহো সিজদা সুন্নাত হবে।যদি সহো সিজদা দিতে ভুলে যায় তবে পরে স্মরণ হলেই সহো সিজদা দিবে। আর সহো সিজদা সালামের পূর্বে ও পরে উভয়ই জায়েজ আছে। তবে পূর্বে দেওয়ায় উত্তম।
প্রশ্ন-৪ঃ সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ ক্লাসের সময় মেয়েদের দ্বারা কুরআন তেলাওয়াত করানো যাবে কি?
উত্তরঃ প্রথমতঃ সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কারণ এইসব প্রতিষ্ঠান এ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীরা তাদের পর্দা রক্ষা করতে পারে না। দ্বিতীয়তঃ কুরআন তেলাওয়াত যেহেতু কোমল কণ্ঠে করতে হয়, ফলে এতে দুর্বল ঈমানের লোকেরা আসক্ত হতে পারে। সুতরাং নারী-পুরুষ মিশ্রিত অনুষ্ঠানে বালেগা নারীর তেলাওয়াত জায়েজ নয়।
প্রশ্ন-৫ঃ মসজিদে জমি দানকারীর নাম লেখা যাবে কি?
উত্তরঃ জমিদাতার নাম মসজিদে না লেখায় উত্তম। কারণ এতে রিয়া বা লোক দেখানো আমল হয়ে থাকে। ফলে দাতা সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। তবে রিয়া অথবা আত্মপ্রচার ব্যতীত কেবল মানুষের অবগতি বা পরিচিতির উদ্দেশ্যে নাম লেখা যেতে পারে। যেমনভাবে মসজিদের পরিচয়সূচক কারো নামে মসজিদের নামকরণ করা যায়। রাসূল (ছাঃ) - এর যুগে বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোত্রের নামে মসজিদের নামকরণ করা হত যেমন মসজিদে ম'আবিয়া মসজিদে বনু যুরায়েক্ব ইত্যাদি।
আল্লাহ হাফেজ।।।
This question and answers are very helpful for all of us. Thanks for sharing.