আস্ সালামু আলাইকুম,,,,,,
কেমন আছেন সবাই? সবার দিন কাল কেমন কাটছে? আজও কিছু ইসলামিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে হাজির হলাম আপনাদের সামনে।
প্রশ্ন-১ঃ রাসূল (ছাঃ) কতবার কুরবানী করেছিলেন?
উত্তরঃ নবী করিম (ছাঃ) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং প্রতি বছর কুরবানী করেছেন। সে হিসেবে রাসূল (ছাঃ) দশবার কুরবানী করেছেন। কারণ তিনি সফরে থাকা অবস্থাতেও কুরবানী পরিত্যাগ করেননি। রাসূল (ছাঃ) প্রতি বছর দুইটি করে কুরবানী দিতেন। একটি তাঁর ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে, আরেকটি তাঁর উম্মতের মধ্যে যারা কুরবানী করেনি, তাদের পক্ষ থেকে।
প্রশ্ন-২ঃ কুরবানির সময় পশুর দেহের প্রবাহিত রক্ত কাপড়ে লাগলে সেই কাপড়ে কি ছালাত আদায় করা যাবে?
উত্তরঃ পশুর প্রবাহিত রক্ত অপবিত্র। সুতরাং কারো কাপড়ে কুরবানী করার সময় পশুর প্রবাহিত রক্ত লাগলে তা পরিষ্কার করে সালাত আদায় করতে হবে। কেউ জেনেশুনে উক্ত রক্ত মাখা কাপড়ে সালাত আদায় করলে তাকে পুনরায় সালাত আদায় করতে হবে। তবে যবহের পর গোশতের মধ্যে থাকা সাধারণ রক্ত পোশাকে লেগে থাকলে উক্ত পোশাকে সালাত হয়ে যাবে। কেননা তা প্রবাহিত রক্তের অন্তর্ভুক্ত নয়।
প্রশ্ন-৩ঃ ওমরার সময় তালবিয়া পাঠ কখন শুরু করবে এবং কখন শেষ করবে?
উত্তরঃ ওমরাহ পালনকারী নির্দিষ্ট মীকাতে পৌঁছে পবিত্রাবস্থায় ইহরাম বাঁধবে। অতঃপর তালবিয়া পাঠ শুরু করবে এবং হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ বা ইশারা করা তথা ত্বাওয়াফ শুরু করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ অব্যাহত রাখবে।
প্রশ্ন-৪ঃ আমাদের মসজিদের সামনে একটি কবর রয়েছে। মসজিদের প্রাচীর রয়েছে। তবে কবরের জন্য আলাদা কোন প্রাচীর নেই। এক্ষণে উক্ত মসজিদে সালাত আদায় করা যাবে কি? উল্লেখ্য, এ বিষয় নিয়ে সমাজের লোকেরা দুই ভাগ হয়ে গেছে।
উত্তরঃ উক্ত কবরস্থানের জন্য আলাদা প্রাচীর থাকা আবশ্যক। এছাড়া যদি মসজিদের দেয়াল ও কবরস্থানের মাঝে রাস্তা থাকে, তাহলে সে মসজিদে সালাত আদায় করতে কোন বাধা নেই। রাসুলুল্লাহ (ছাঃ) কবরের দিকে ফিরে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। মসজিদের বাইরে যদি কবরস্থান থেকে পৃথককারী প্রাচীর থাকে, তবে সেখানে সালাত আদায় জায়েজ হবে। যদি তা না থাকে তবে অতিসত্বর মসজিদ ও কবরস্থানকে পৃথককারী আলাদা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে।
প্রশ্ন-৫ঃ কোন ব্যক্তির আমলনামা সমান সমান হয়ে গেলে ঐ ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না জাহান্নামে প্রবেশ করবে?
উত্তরঃ যাদের আমলনামা সমান হবে তাদেরকে কুরআনের ভাষায় বলা হয়েছে আরাফ বাসী। আরাফ জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী একটি উচু স্থানের নাম। যা প্রাচীর স্বরূপ। যাদের নেকী সেই পরিমাণ হবে না যার ফলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং গোনাহও সেই পরিমাণ হবে না যার ফলে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তাদের স্থান হবে এই আরাফে। অর্থাৎ গোনাহ ও নেকী সমান সমান হওয়ার কারণে না জাহান্নামে যাবে, না তারা জান্নাতে যাবে।
ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।।।
You written this article very well. So many many thanks for this.