ফরিদপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওয়ার্ড থেকে বাইরে আনার পর এক রোগীকে অক্সিজেন দিতে গিয়ে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন। শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ওই হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে শট সার্কিট থেকে লাগা আগুনে ওই ওয়ার্ডের হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানেল অক্সিজেন মেশিন পুড়ে গেছে।
আইসিইউ ওয়ার্ডে কর্মরত সেবিকা ও ওয়ার্ড বয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ওয়ার্ডে ওই সময় মোট নয়জন রোগী ছিলেন। দুপুরে চিকিৎসাধীন রোগী ইউসুফ আলীর শয্যার পাশের হাইফ্লো নিজাল কেনেল অক্সিজেন মেশিনে আগুন ধরে যায়। ওই সময় কর্মরত সেবিকা জুথি রায় দ্রুত বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। কর্মরত ওযার্ড বয় মো. মোহসীন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাঘটার সাথে সাথে ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসারত নয় রোগীকে দ্রুত ওই ওয়ার্ড থেকে বের করে বারান্দায় এনে রাখা হয়। তিনি বলেন, ওই সময় আগুন নিভে গেলেও ওই ওয়ার্ডটি ধোয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে ধোঁয়া বের করে দেন।
তিনি বলেন, আইসিইউ ওয়ার্ডে মোট নয়টি হাইফ্লো নিজাল কেনেল অক্সিজেন মেশিন ছিল। আগুনে তার একটি পুড়ে গেছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট তেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। তিনি বলেন, দ্রুতই এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের আগে আইসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শামীমা খাতুন (৪৫) নামে এক রুগী মারা যায়। তিনি মধুখালী পৌরসভার মেছরদিয়া মহল্লার জাকির হোসেনের স্ত্রী। তিনি গত ২৬ আগস্ট এ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন।
অপরদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে মারা যান সাধন চন্দ্র অধিকারী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। তিনি রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার মৃত গোবিন্দ অধিকারীর ছেলে। তিনিও গত ২৬ আগস্ট এ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন।
ওই ওয়ার্ডে আগুন লাগার পর তাকেও অন্যান্য রোগীদের মত দ্রুত ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে এনে রাখা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
সাধন চন্দ্র অধিকারীর মৃত্যু অগ্নিকাণ্ড কিংবা ধোঁয়াজনিত নয়’-দাবি করে আইসিইউ ওয়ার্ডের ইনচার্জ রাজিয়া সুলতানা বলেন, সাধনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। তাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করা হলে দেখা যায় তিনি মারা গেছেন।
oh my GOD, that's bad news😥😥