আইয়ুব আমলে ইসলামের নামে ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বাঙালি সংস্কৃতির উপর বিভিন্নভাবে আঘাত হানা হয়। বাংলা বর্ণমালা পরিবর্তন, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধকরণ, মেলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদির মাধ্যমে যখন বাঙালি সংস্কৃতিকে ইসলামীকরণের নামে বাঙালির স্বকীয় সত্তা ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়, তখন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে সাংস্কৃতিক আগ্ৰাসন প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে। বিভিন্ন ধরনের গান, নাটক,মঞ্চনাটক, জীবন্তিকা ইত্যাদির মাধ্যমে বাঙালিকে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলার অব্যাহত প্রচেষ্টা চলতে থাকে। বাঙালি সংস্কৃতির প্রচারণা ও উজ্জীবন বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সামনে নিয়ে আসে। আর রাজনীতি তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ধর্ম নিরপেক্ষ চরিত্র অর্জনের জন্য ইতোমধ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগ তার নাম পরিবর্তন করে রাখে আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি ছয় দফাকে সামনে নিয়ে আসে, যার মধ্যে ছিল অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, দেশরক্ষা অধিকারের রূপরেখা। এর পক্ষে সারাদেশে ব্যাপক প্রচারণা শুরু হয়। ক্রমে এটি বাঙালির প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠেন এদেশের রাজনীতির নায়ক। ফলে তার বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানীদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়। শুরু হয় স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে শেখ মুজিবসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা।
6
40
অসাধারন! থেংক ইউ সো মাচ্।অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক তথ্য জা অবশ্যই আমাদের উপকৃত করবে।তথ্যগুলো কিছুটা আমার জানা ছিলো বাট এতটা ক্লিয়ার ছিলাম না।এখন ক্লিয়ার হয়ে গেছে।আশা করি নেক্সটে আর ও ভালো ভালো তথ্য আমাদের দিবেন।