রোজ রাতে আমার কাছে শয়তান আসে। ঘুমের মাঝেই প্রচন্ড ভয়ে আমি ছটফট করে উঠি অনেকক্ষণ হাস ফাস করে হয়তো আমার ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু তারপরও বহুক্ষণ তার উপস্থিতি আমি টের পাই আমার আশেপাশে। সে আসে...কোন ভয়ংকর রূপ ধরে নয়...খুব মিষ্টি নিষ্পাপ চেহারার একটা বাচ্চা মেয়ে হয়ে। বছর পাঁচ কি ছয় বয়স বেশ ফর্সা গোলগাল মুখ মাথাভর্তি ঝাকড়া চুল বড় বড় চোখ ঠোঁট টেপা একটা হাসি...এইসবের মধ্যে সবচেয়ে বেমানান হল মেয়েটার ডান গালে বেশ বড় একটা ক্ষত গোলাপী মাংস বের হয়ে আছে। সাদা একটা ফ্রক পরনে আর হাতে বাদামী রঙের একটা উলের পুতুল। মেয়েটা আসে একেক রাতে তার সাথে আমার একেক জায়গায় দেখা হয়। আর সে দূর থেকে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে শুধু তাকিয়ে থাকে। তার চোখ তার হাসি কিছুই বদলায় না। কিন্তু তারপরও আমি প্রচন্ড ভয়ে অস্থির হয়ে যাই। আমার হাত-পা জমে যায়।
এমনকি নড়াচড়ার শক্তিটুকুও আমি হারিয়ে ফেলি। ভয়ে আতংকে কাঠ হয়ে যায় আমার শরীর আমি নড়তে পারি না তার চোখ থেকে চোখ সরাতে পারি না ঘুম ভেঙে জেগে উঠতে পারি না। বহুক্ষণ...জানি না কত...কতক্ষণ পরে আমার ঘুম ভাঙে। এবং তখনো আমি আমার আশেপাশে ঘরের বাতাসে তার অস্তিত্ব টের পাই। দেখতে পাই চেয়ারে বসে কি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সে আমাকে দেখছে। আমি টের পাই খুব বেকায়দা ভঙ্গিতে তেড়া বাঁকা হয়ে আমার দেহটা বিছানায় পড়ে আছে হয়তো ঘাড়টা বাঁকা হয়ে এলিয়ে আছে বালিশ ছেড়ে হয়তো হাতগুলো উঠে আছে মাথার ওপর পা দুটো ছড়িয়ে আছে দুদিকে বা মুড়ে আছে হাঁটু যা স্বাভাবিক অবস্থায় কখনোই হওয়া সম্ভব না। আর বহুক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ মেয়েটাকে আমি টের পাই আমি এমনকি নড়তেও পারি না একচুল। ওইভাবেই পড়ে থাকি দুমড়ে মুচড়ে কাঠ হয়ে। তারপর একসময় নিজেকে ওই রাতের মত যথেষ্ট বিনোদিত মনে হলে মেয়েটি চলে যায়। আর তখনই কেবল আমি নিজের মধ্যে ফিরে আসি। শ্বাস নিই স্বাভাবিক ভঙ্গিতে শক্তি ফিরে পাই শরীরে নড়ে চড়ে স্বাভাবিকভাবে পাশ ফিরে শুই এবং আশ্চর্যের ব্যাপার...একসময় আমি ঘুমিয়েও পড়ি। কেন সে আসে আমার কাছে? আমার রাতের ঘুম বহুকষ্টে ভান করে হলেও পাওয়া মনের শান্তি কেড়ে নিতে? কার কি ক্ষতি করেছি আমি? যতদূর জানি আমি তো কারো কোন ক্ষতি করি নি। বরং বারবার সরল মনে একের পর এক মানুষকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করেছি। আর তারপরে আমার সে বিশ্বাস কাঁচের মত ভেঙে গুড়ো গুড়ো হয়ে গেছে। আমার ভেতরের গভীর আবেগ উঁচু প্রাচীরে ধাক্কা খেয়ে মুখ থুবড়ে
Ncjdjdi