"সুখ" শুধু এক পক্ষের নয়,অনেক মানুষই জীবনে কোনো কষ্ট পেলে মনে করে,বিধাতা শুধু তাকেই কষ্ট দিচ্ছে,কষ্ট শুধু তার জন্যেই নির্ধারিত।আসলে এটা ভুল ধারণা।মানুষের জীবনে যেমন কষ্ট আছে,ঠিক তেমনি আছে হাসি,কান্না- দুঃখ-কষ্ট!সব কিছুই থাকে একজন মানুষের জীবনে।জীবনে সুখ চিরস্থায়ী ভাবে আনার জন্যে কিছু নিয়ম রয়েছে,যা পালন করলে জীবনে সুখে থাকা যায়!
"সুখ" কথাটির প্রতি মানুষের দূর্বলতা অপরিসীম।মানুষ সুখের খোজে মানুষ থেকে পশুতেও পরিণত হতে পিছপা হয় না।সেই মানুষ গুলা সাময়িক ভাবে সুখি হলেও,তার জীবনে দুঃখের অধ্যায় স্থায়ী ভাবে থেকে যায়।সুখ কখনো একা একা ভোগ করা যায় না।
একজন মানুষ তখনই প্রকৃত সুখের দেখা পায়,যখন সেই মানুষটি শুধু নিজের সুখের কথা না ভেবে,আশে পাশের সব মানুষের ভালো থাকার কথা চিন্তা করে।কী করলে কাছের এবং দূরের মানুষ গুলাকে আনন্দ দেওয়া যায় সেই চিন্তা করে।ঠিক তখনই প্রকৃত ভাবে সুখী হওয়া যায়,যখন কোনো গরিব মানুষের মুখের হাসির কারণ হওয়া যায়!
সুখ কখনো কিনতে পাওয়া যায় না।ভালো এবং মহৎ কাজের মাধ্যমে সুখী হওয়া যায়।তাই সুখী হতে হলে শুধু নিজের সুখ না অন্যের সুখের কথাও ভাবতে হবে।
রাস্তার পাশে ক্ষুধার্ত কাউকে,পেট পুরে খাইয়ে তার মুখের হাসিটা নিজের সুখের কারণ হিসেবে খুজে নেন,দেখবেন আপনার মতো সুখী মানুষ পৃথিবীতে বিরল।
নিজ স্বার্থসিদ্ধি করে কখনো সুখী হওয়া যায় না।সুখ বড়ই সাধণার বিষয় যা কেবল ভালো কাজের মাধ্যমে অর্জন করা যায়।কনকনে শীতের রাতে একজন ফুটপাতে পড়ে থাকা মানুষকে কম্বল দিয়ে দেখেন,সেই মানুষটি তখন নিজেকে অনেক সুখী মনে করবে,তার সুখের কারণ আপনি হতে পেরে নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে করবেন।হ্যাঁ। আপনিই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
তাই অযথা সুখের পিছনে না ঘুরে,সবার সুখের কারণ হওয়ার পিছনে ঘুরেন, দেখবেন শুধু সুখ না পরম শান্তি অনুভব করছেন!
সুখ বন্টন করার মাধ্যমেই প্রকৃত সুখ।সুখী হতে হলে আগে অন্যদের ভালো রাখতে হবে,,,সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।গরিব দুঃখীদের ভালবাসতে হবে,সাহায্য করতে হবে।পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটাতে হবে।
সুখী মানুষ হওয়া অনেক বেশি গর্বের।আর সুখী মানুষের সুখী হওয়ার কারণ হওয়া অনেক বেশি সম্মানের।তাই ভালো থাকতে হলে আশে পাশের সবাইকে ভালো রাখতে হবে।সবাই মিলে মিলেমিশে সুখ দুঃখ বন্টন করতে হবে তবেই প্রকৃত সুখী মানুষ হওয়া যাবে!