ন্যয় প্রতারক

0 14
Avatar for Sakib
Written by
3 years ago

...................................................

তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়তাম, Samia571/aisonso দু’টি রবি সার্কেল আইডি।

আইডি দুইটা হলেও মানুষ একটাই ছিলো, প্রথম প্রথম একজন আরেকজনকে কমেন্ট করতাম, (যারা রবি সার্কেল ব্যবহার করেছেন বলতে পারবেন কমেন্টটা কি? )কমেন্ট হতো ঠিকই কিন্তু কোনোদিন হাই কিংবা হ্যালো কোনোটাই হয়নি। এমনিতে একজন আরেকজনকে ভালোবাসার এস এম এস সেন্ড করতাম। তখনকার দিনগুলো এভাবেই যাচ্ছিলো, তারপর আমি নতুন একটি রবি সিম কিনলাম, সেটাতে নতুন একটি আইডি ওপেন করি, এরপরই Adonis234 আমার এই আইডিটা বন্ধ করে দিলাম, বন্ধ করার আগে আমার এই আইডির নাম্বারটাও সাউট দিলাম। বলে দিলাম ‘‘কেউ যদি মিস করে থাকো তো কল দিও’’ আর এই ফাঁকে নতুন নাম্বারের নতুন আইডি থেকে সামিয়াকে মেসেজ দিলাম, নিজেই নিজের বন্ধু সেঁজে, ‘‘আপনাকে আমার বন্ধু খুব কাছের মানুষ ভাবে আর আপনি তাকে পাত্তাই দেন না’’ নতুন আইডিও অফ করে দিলাম। তারপরের দিনই আননোন নাম্বার থেকে কল আসেঃ-

:- হ্যালো (আমি)

:- চিনেছেন? আমি জান্নাত? (সামিয়া)

:- নাহহ্, কোন জান্নাত?(জান্নাত বলায় চিনতে পারিনি)

:- Samia571, এবার চিনেছেন?

:- হুম চিনেছি, তো হঠাৎ কল দিলেন? নাম্বার কোথায় পেলেন?

:- সাইটে নাম্বার দিয়েছিলেন?

:- কবে?

:- সার্কেল অফ করার আগে, মনে নেই।

:- ওহ হ্যা, তো কেমন আছেন?

:- ভালো, আপনি?

:- ভালো, কোনোদিন তো কোনো মেসেজ করেন নাই শুধু কমেন্টই করতেন, আজকে একবারে কল দিলেন?

:- আপনিও তো মেসেজ দিতেন না, শুধু কমেন্ট করতেন।

:- তাও কথা।

তারপর থেকে শুরু হলো মোবাইলে কথা বলা, সামিয়া যখনি সময় পেত তখনি কল দিতো। ওহ হ্যা, শুনেছিলাম তার নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, এস এস সি দিলেই বিয়ে হবে। পরে বললো ছেলেকে নাকি ওর পছন্দ না, জিজ্ঞেস করলাম ‘‘তাহলে বিয়ে কেন করছেন’’ বলেছিলো ‘‘বাবাকে কষ্ট দিতে চাই না তাই’’ তারপর আর কিছু বলার সাহস পেলাম না।

তারপর দু’জনেরর সম্পর্কটা ক্রমান্বয়ে গভীরতার দিকে যাচ্ছিলো, আমারও খুব ভালো লাগতো ওর সাথে কথা বলতে, খুব সুন্দর কন্ঠ ছিলো, ভালো না লাগার তো কথা নেই। তারপর মাঝে মাঝে কিস চাইতাম তাও দিতো।

ভেবেছি ভালোবেসে পেলেছে তাই দিচ্ছে না হয় দিবে কেন? তারপর একদিন মোবাইলেই প্রপোজ করে বসলাম। উত্তরটা হ্যা ভেবেছিলাম কিন্তু না হ্যা আসেনি। বড় করে একটা মেসেজ দিয়েছিমঃ- ‘‘ আমি আর তোমাকে কোনোদিন কল, এস এম এস কোনোটাই দিবো না, তুমি জানো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে, তারপরও তুমি আমাকে প্রপোজ করলে। আমি বাবার পছন্দ করা ছেলেই বিয়ে করবো, আমি শুধু তোমার সাথে বন্ধু ভেবেই কথা বলি, আমার সাথে যদি বন্ধু হিসেবে কথা বলতে পারো তাহলে আমাকে মেসেজ করো’’ কি আর করবো ওর কথাই মেনে নিলাম। বন্ধু হয়েই কথা হতো, তার কিছুদিন পরই দু’জনের ফটো আদান প্রদান হলো। আমার মোবাইল ছিলো Nokia1200 Model, (আমার বলতে আম্মুর) ফটোগুলো নিয়ে ছিলাম চাচাতো বোনের ইমোর সাহায্যে। খুব সুন্দর একটা মেয়ে কিন্তু আমার ভালো লাগতো না কারণ একটু চিকন বেশিই ছিলো তার উপর পিকগুলোতে কোনো হাসি নেই। কিন্তু কথা থামেনি কথা হতো, ভালোবাসি তখনো বলতাম তেমন রাগ দেখাতো না। তার ডিসেম্বর মাসের ১৬তারিখ আমাদের নতুন একটি সম্পর্ক রুপ নিলো যার নাম ‘‘ভালোবাসা’’। তারপর থেকে প্রতিটা দিন প্রতিটা সময় ওর সাথেই কথা হতো। এরপর আমার নতুন মোবাইল হাতে আসে কিন্তু সামনে কোনো ক্যামেরা না থাকায় ইমো ব্যবহার করতে পারতাম না। শুরু করলাম ফেসবুক ব্যবহার, আমি জানি না আমার কি দেখে সে আমাকে ভালোবেসে কারণ আমি দেখতে সুন্দর না। বিয়েটাও ভেঙ্গে পেললো আমার জন্য। তখন কিন্তু আমি মেয়েদের বিশ্বাস করতাম না, ও বিয়েটা ভাঙ্গার কারণে আর কোনো সন্দেহ রইলো না পূর্ণ বিশ্বাস ওর প্রতি জন্মালাম।

ওর সাথে আমার খুব বেশি ঝগড়া হতো কারণ ছেলেদের সাথে মেসেজ করে, যেটা আমার একদমই সহ্য হতো না, পরে আমার কসম ভালোবাসার কসম টসম দিয়ে বন্ধ করালাম, কিন্তু আমার সাথে রাগ হলেই আবার শুরু হতো।

শত ঝগড়ার মাঝেও আমাদের ভালোবাসাটা ছিলো বেশি, আমার যেমন রাগ ছিলো তারও তেমনি রাগ ছিলো, মজার ব্যাপার হলো রাগটা আমার কিন্তু সরিটা আমাকেই বলতে হতো। কারণ আমাকে বলতো ‘‘আমার সাথে কেন কথা বলবে, আমি তো তোমার কেউই না? আমাকে ভালোবাসলে তো কথা বলবে’’ ইত্যাদি কিছু কথা বলতো যার জন্য আমি আগুন হয়ে থাকলেও তখন পানিতে রুপ নিতে হতো আমাকে, তারপর আবার তার রাগ ভাঙ্গিয়ে শুরু হতো ছোট্ট ছোট্ট ভালোবাসার কথা, দু’জনের স্বপ্নগুলো নিয়ে না না কল্পনায় ভাসতাম দু’জন।

তারপর আমার এস এস সি পরিক্ষা শেষ, এস এস সির পরই আমরা দেখা করবো এমনটাই কথা ছিলো, কিন্তু যে সময় ওর দেখা করার কথা ছিলো সেই সময় ও অসুস্থ হয়ে যায়। তারপর আর দেখা হয়নি, আমি চলে যাই তাবলীগে, ৪০দিনের জন্য, আমার ভাগ্যটা মোটামুটি ভালো আমার স্থানটা পড়ে চাঁদপুর কচুয়াতে, সামিয়াদের বাড়ি ছিলো চাঁদপুরে। আমি যেখানে আছি সেখানে আসতে ওর সময় লাগবে ৩ঘন্টা, আসা যাওয়ায় ৬ঘন্টা লাগবে, এত বড় জার্নি তাই আমি নিজেই আসতে নিষেধ করেছি, তার উপর রাস্তাটা ছিলো প্রচন্ড ভাঙ্গাচুরা ওর কষ্ট হবে, অনেক জোর করার পরেও আসতে দেইনি।

তারপর ৩১দিনের মাথায় ওর জন্য আমির সাহেবের সাথে রাগ করে বাড়ি চলে আসা, সেই থেকে শুরু হলো অভিশপ্ত জীবনের। হুজুরের বদদোয়া, একালাকার মানুষের চোখে পড়া, এস এস সি রেজাল্ট খারাপ। এস এস এসির রেজাল্টের দোষটা নিজের গাড়েই নিয়েছে কারণ পরিক্ষা চলাকালীন আমরা সন্ধ্যা থেকে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত মোবাইলে কথা বলতাম, ওর রেজাল্ট ছিলো গোল্ডেন এ+ আর আমার ৪.২৮ পয়েন্ট, আমার থেকে অনেক খারাপ ছাত্ররাও আমার থেকে অনেক ভালো রেজাল্ট করে যার জন্য আমার খুব বেশি খারাপ লাগতেছিলো, আর আমাকে সান্তনা দিতেই দোষটা নিজের গাড়ে নিলো।

কিন্ত আমি ওকে শান্তনা দিলাম ‘‘রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তাতে কি হয়েছে, ফেল তো করিনি’’ তারপর কোনোভাবে সব স্বাভাবিক করলাম।

আমি তাবলীগে থাকা অবস্থায় ও ফেসবুক ব্যবহার করতো কিন্তু আমায় কিছুই জানায়নি। কিন্তু আমার মেসেঞ্জারে আমি ওর নাম্বারটা দেখতে পেতাম। জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতো, তারপর নিজের বুদ্ধিতে মেসেঞ্জারে দেখা নাম্বারটা ই-মেইল, আর সার্কেল নাম্বারটা দিলাম পাসওয়ার্ড, কাজও হয়ে গেলো।

কার সাথে কি মেসেজ করেছে সব মেসেজ দেখেছি, তারপর আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি, বলে দিলাম ব্রেকআপ, সেই সাথে অনেক বাজে কথাও বলেছি। কিন্তু ও এমন স্বভাবের মেয়ে সেই শর্তেও ওর ছাড়তে পারছিলাম না, আবার ব্যাক করতাম। অনেক কান্নাকাটি করে ওরে আবার স্বাভাবিক করলাম, নিজের হাত পর্যন্তও কাটতে হয়েছে, বোকামি জেনেও কতটা ভালোবাসি তা বুঝলাম। রাগটা বেশি হয়েছিলো কিছু ছেলে বোন ডেকে এমন মেসেজ করেছে যেগুলো আমিও ওরে কোনোদিন ডাকিনি (জান, সোনা এমন) যার জন্য কষ্টটা বেশি হয়েছে।

আবার সব ঠিকঠাক রিলেশন চলছে আগের মতোই, কিন্তু আপদ হচ্ছে ওর ফুফাতো ভাই, ওকে অনেক আগে থেকেই লাভ করে, কিন্তু ও তাকে দু’চোখেও সহ্য করতে পারে না। কিন্তু ইদানীং ওর ফুফির আগমন বেশি ওদের বাড়িতে ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু ও অনেক রাগী যার কারণে ওর বাবা ওর সব কথা মেনে নিতো। কিন্তু পরে কি হলো সেও জানে না, বিয়ের কথা ঠিক, ফুফাতো ভাইকে বিয়ে করলে কলেজ ভর্তি করাবে না হয় করাবে না। আমার মাথাও কাজ করছিলো না কি বলবো ওকে। ওর যেদিন বিয়ে হবে তার ঠিক পাঁচমিনিট আগে বুঝতে পারে ওর যে বিয়ে, অতঃপর বিয়েটা হয়ে গেলো। আমার জীবনটা পুরো অন্ধকার হয়ে গেলো যাকে এতো বেশি ভালোবাসি সে আজকে অন্য কারও হয়ে গেলো। তারপরও আমাদের কথা হতো, আমি সারাক্ষণ কাঁদতাম আর ও আমাকে সান্তনা দিতো। ভিডিও কলেও কথা হতো। তারপর আস্তে আস্তে শুরু হলো কথা কমে যাওয়া। এক পর্যায়ে ও আমাকে বলে ভুলে যেতে, আমার সাথে আর কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না কিন্তু আমি যে পারবো না ওকে ভুলে যেতে। আমায় একদিন বলেছিলো ‘‘আমি তোমায় বলেছিলাম তুমি আমাকে বিয়ে করতে পারবে কিনা’’ আমার উত্তর নাকি ছিলো ‘‘আমি এখন মাত্র কলেজে ভর্তি হলাম এখন তোমায় কিভাবে বিয়ে করবো?’’ যার কারণে সে বিয়েটা কর নিলো। এরপর বলে ‘‘তোমাকে তোমার ভালোর জন্য বলছি তুমি আমাকে ভুলে যাও, আমার থেকে অনেক ভালো মেয়ে তুমি পাবে, তোমায় খুব ভালোবাসবে, এতো ভালোবাসবে যে আমাকে ভুলিয়ে দিবে।’’ বিয়ের পর কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে আমি ওকে বলেছিলাম পালিয়ে আসতে আমি ওকে বিয়ে করবো ভাগ্য যা হবার হবে। রাজিও হলো, কিন্তু প্রতিদিন একটা না একটা কারণ দেখা তো সুযোগ হয় না, বের হওয়ার, সবাই চোখে চোখে রাখে, এক রুম থেকে অন্য রুমে যাওয়ার সময়ও জিজ্ঞেস করে কোথায় যাচ্ছে ইত্যাদি।

রাগ হয়ে ওকে খুব বাজে কথা বলতাম, কারণ কখন কি হচ্ছে সবই আমাকে বলতো, কষ্ট হলেও আমি সব শুনতাম। আর এজন্য খুব বেশি রাগে বাজে কথা বলতাম।

একদিন মেসেজ দিলো, ‘‘একটা ছেলে আমাকে নিয়ে খেলেছে আর আমি ছেলেটাকে দেখিয়ে দশটা ছেলেকে নিয়ে খেলেছি সবার শেষে ছিলাম তুমি, আর এজন্য আমাকে যত নিচে নামতে হয়েছে আমি নেমেছি’’ ওর এমন মেসেজ দেখে ওর মাকে কল দিলাম, পরে জানতে পারলাম ও আমাকে যত কাহিনী বলেছে সব মিথ্যে, যার সাথে (ফুফাতো ভাই জ্যাকি) বিয়ে হয়েছে এই নামের কেউই নেই। কিন্তু ওর কাছে জিজ্ঞেস করলে বলতো আছে? আমি পড়ে গেলাম কনফিউশানের মধ্যে কিন্তু ওর মা আমাকে অনেক অাল্লাহ্ খোদা বলে নিজের মেয়ে খারাপ একটা ছেলের সাথে ভেগে গিয়ে বিয়ে করেছিলো, সেখানে তিনমাস ছিলো অনেক মামলা মকর্দমা করে আনে এরপর বিয়ে দিলো কুষ্টিয়াতে। সেখানে তার একটা বাচ্চা হয় যার নাম অর্নব, বাচ্চাটা অনেক কিউট ছিলো, আমি সব সময় ওর সাথেই ভিডিও কলে দেখতে পেতাম বাচ্চাটাকে, কিন্তু ও বাচ্চাটার পরিচয় দিয়েছিলো বাচ্চাটা ওর আপুর, সব মিলিয়ে বিয়ের তিনটা কাহিনী হলো। কিন্তু ভালোবাসি তো খুব ওকে তাই ওর সব কথা মেনে নিলাম। তারপরও কনফিউজড।

প্রায় পাঁচ থেকে সাত মাস কোনো কথা হয়নি ওর সাথে, কল দিলেও ধরতো না, ইমোতে ব্লক, ফেসবুকেও ব্লক। ফেসবুকে অবশ্য আসে না।

এরপর হঠাৎ খুব মনে পড়তেছিলো, কোনো রিপ্লে পাবো না জেনেও অনেকগুলো মেসেজ দিলাম, মূল কথাটা ছিলো ‘‘জ্যাকি বলতে কি কেউ আছে’’ পরেরদিন সকালে রিপ্লে দিলো ‘‘না, জ্যাকি বলতে কেউ নেই। আজকে তোমাকে সব বলব, আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়তাম বাবা আমাকে একটা বড় লোকের ছেলের সাথে বিয়ে দেয়, কিন্তু ছেলেটার গার্লফ্রেন্ড থাকায় আমাকে কোনো পাত্তা দিতো না। তারপরও আমি ওর জন্য পাগল ছিলাম, বিয়ের তিনমাস পর আমার শুশুড় শাশুড়ী আমাকে বললো বেবি নিতে, বেবিও নিলাম, কিন্তু বেবি হওয়ার পর ও আমাকে বলে বাচ্চাটা তোমার ইচ্ছেতে এটা আমার কেউ না। এরপর থেকে আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি, আমি তোমাকে অনেক মিস করি, কিন্তু তোমাকে মেসেজ করার সাহস পাইনা কারণ আমি তোমার সাথে প্রতারণা করেছি, অর্নবকে নিয়েই আজো বেঁচে আছি’’

এটাই ছিলো ওর শেষ মেসেজ, আমাদের সম্পর্কের আগেই ওর বিয়েটা হয় তারপর বাচ্চাটা।

আমার প্রশ্নঃ- ওর বিয়েটা হলো, বাচ্চাও আছে, তাহলে আমার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে আমার জীবনটাকে এভাবে শেষ করে ও পেল টা কি? আমায় যদি ভালোবেসে থাকে তাহলে দূরে কেন সরিয়ে দিলো? সবই যখন কাহিনী ছিলো তাহলে বিয়ে হয়নি এমন একটা কাহিনী কেন বানালো না? আমি তো ওকে আজো চাই, আজও পাগলের মতো ভালোবাসি, তাহলে কেন আমার সাথে কথা বলে না?.

আমার ভালো চায় বলে আমাকে এতো দূরে সরিয়ে দিয়েছে, যদি তাহলে আমি ওকে বলতে চাই, আদৌ কি আমার ভালো হয়েছে? যদি হতো তাহলে আমি এখন প্রতিদিন কলেজে যেতাম, ভাইদের আদরের হতাম, হতাম না ভাইদের কাছে বেয়াদব, এটাই কি আমার ভালো। আজকে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে ভাইদের কাছে আমি বড় আকারের বোঝা।

তারপরও বাবুনি মনে রেখো এই পাগলটা শুধু তোমায় ভালোবাসে। পৃথিবীর কোনো মেয়ে নেই যে আমায় এতো ভালোবাসতে পারবে। যে ভালোবাসা তোমায় ভুলিয়ে দিবে, কখনো হবে না এমন মেয়ে, তুমি আমার সাথে প্রতারণা করলেও, ভালোবাসার অভিনয় করলেও আমি তোমার এই অভিনয়ের ভালোবাসাকে ১০০% সত্যি ভেবে নিয়েছি। আর সারাজীবন এটাই ভাববো, আজও বলি আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি, শুধু তোমায়।

1
$ 0.00
Avatar for Sakib
Written by
3 years ago

Comments