শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণের চুক্তিতে মধ্যাস্থতা করেন তিনি। ঐতিহাসিক এ শান্তি চুক্তির কারণে ২০২১ সালের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করা হয়। এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম ফক্স।
নরওয়ের রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য টাইব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।
নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা ফক্স নিউজকে বলেন, ‘তার (ট্রাম্প) যোগ্যতার জন্য, আমি মনে করি তিনি শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে দেশগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন।’
টাইব্রিং-জেড্ডে নোবেল কমিটির মনোনয়নের চিঠিতে লিখেছেন, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে ট্রাম্প প্রশাসন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। আশা করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। এই চুক্তি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির অঞ্চলে পরিণত করবে।
গত ১১ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরাইলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া।
Very good dear