💗💗💗অবহেলা💗💗💗
পার্ট২
আমার এখন কি বলা বা কি করা উচিত সেটা আমি বুঝতে পারছি না।
আমার মাথা টা কাজ করছে না।
যাকে আমি এতটা ভালোবাসলাম এতটা বিশ্বাস করলাম।
তাকে এভাবে দেখবো কখনো আশা করিনি।
মেয়ে মানুষ কতটা রুপ ধারি হতে পারে তা আজকে বুঝতে পারলাম।
মীমকে এখন কি বলা উচিত।
তবুও আমি স্বাভাবিক হয়ে মীমকে জিঙ্গাসা করলাম।
কে এই ছেলেটা???
আর এসময় কি করছে বাসায়???
মিম আর ছেলেটা খুবই ভীত হয়ে আছে।
তাদের মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
আমি বিষয় টা বুঝতে পারলেও মীমের মুখ থেকে কথাটা শুনতে চাচ্ছিলাম।
মিম ভয়ে ভয়ে কথা বলতে লাগলো।
ওর নাম রাহাত।
আমরা একই কলেজে পড়াশুনা করেছি।
ও।
তা ও কি তোমার বন্ধু???
হ্যা।
তা বন্ধু যখন এসময় কেন???
আমি বা বাবা মা থাকতে আসতে বলনি কেন???
মিমের মুখে কোন কথা নেই।
তা তোমার বন্ধুকে খাওয়া দাওয়া করিয়েছ???
হুম।
ও।
আর কোন কথা আছে তোমাদের মাঝে???
থাকলে আমি রুমে যাচ্ছি তোমরা কথা শেষ করো।
না সে রকম আর কোন কথা নেই।
আচ্ছা আমি রুমে যাচ্ছি তোমাদের কথা শেষ হলো তোমার বন্ধুকে বিদায় করে রুমে আসো।
আচ্ছা। (মিম)
আমি রুমে গিয়ে বিছানাতে বসে পড়লাম।
আমার শরীরে কোন জোর পাচ্ছি না।
আমি বুঝতে পারলাম মিম কে আমি হারিয়ে ফেললাম।
যাকে এতটা ভালোবাসলাম সে আমার ভালোবাসাটা বুঝলো না।
এ কারনেই আমাকে দুরে রাখতো।
আমি কতই না পাগল ছিলাম।
মনটা উজাড় করে ওকে ভালোবেসেছিলাম।
এতদিন শুধু মরিচিকার পিছনেই ছুটলাম তাইতো আজ আমি শূন্য হাতে পড়ে রইলাম।
আমি হয়তো আমার ভালোবাসা পেলাম না কিন্তু আমার ভালোবাসার মানুষটাকে তার ভালোবাসা হারাতে দিবো না।
ভালোবাসার মানুষকে না পেলে যে কি কষ্ট তাকে বুঝতে দিবো না।
একটু পরে মিম ঘরে আসলো।
আসলে আপনি যে রকম ভাবছেন সে রকম কিছুই না।
আমরা খারাপ কিছু করিনি।(মিম)
আমি কি সে রকম কিছু বলছি।
আচ্ছা তুমি কি ঐ ছেলেটাকে ভালোবাসো???
মিম কোন কথা বলছে না।
আমি ঠিকই বুঝেছি কিন্তু তাও ওর মুখ থেকে শুনতে চাচ্ছিলাম।
কি হলো বল??
হুম।(মিম)
তা এ বিষয় তোমার বাবা মাকে কেন বলনি???
বাবা মা কে বলেছিলাম।
কিন্তু রাহাত কোন চাকরি করে না তাই তারা রাজি হয় নি।
আপনার সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়।
আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম।
কিন্তু আমি তোমাকে বিয়ের আগে বলেছিলাম তুমি কি এই বিয়েতে রাজি আছো???
তখন তুমি রাজি নেই বলনি কেন???
বাবা মা আমাকে জোর করেছিলো তাই।
ও আচ্ছা।
তারমানে তোমার এ বিয়েতে কোন মত ছিলো না।
আর তুমি আমাকে কখনো স্বামি হিসেবে মেনে নিতে পারবে না।
মিম কোন কথা বলে না।
আচ্ছা তুমি এ কয়দিন আমাকে একটুও ভালোবাসতে পারনি???
ভালোবেসেছি কি না জানি না তবে??
তবে কি???
আমি আপনাকে অনেক সম্মান করি।
আপনি অনেক ভালো একটা মানুষ।
হা হা ভালো মানুষ খুব হাসি পাইলো।
যাক সে সব কথা।
রাহাত কি তোমাকে বিয়ে করতে চায়????
হ্যা তাই বললো তো।
আর তুমি???
এখনও চুপ।
আমি শুনেছিলাম মেয়েরা চুপ থাকলে না কি সম্মতির লক্ষন।
তাই আর বুঝতে বাকি রইলো না।
আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা যাতে বিয়ে করতে পারো আমি সেই ব্যবস্থা করবো।
আমি কালকেই উকিলের সাথে দেখা করবো।
যাতে ডির্ভোস তাড়াতাড়িয়ে হয়ে যায়।
এই বলে আমি ছাদে যেতে লাগলাম।
কোথায় যাচ্ছেন???
ছাদে যাবো।
খাবেন না???
না খেয়ে এসেছি।
আমি চলে আসলাম।
আমি মিথ্যা বলে আসলাম।
আমি মিমের সাথে রান্না করে এক সাথে খাবো বলে ছুটি নিয়ে এসেছিলাম।
কিন্তু সেটা আমার কপালে আর হল না।
মিমের সাথে কথা বলতে আর ভালো লাগছে না।
ছাদের এক কোনায় বসে পড়লাম।
কেন জানি না আজকে নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে।
একটা মেয়ের ভালোবাসা কেড়ে নেবার অপরাধে।
আসলে আমার কপাল টাই খারাপ জীবনে প্রেম করিনি।
ভেবেছিলাম বিয়ের পর বউ এর সাথে প্রেম করবো।
কিন্তু কপালটা এতটাই খারাপ বউ টা আমাকে ভালোই বাসতে পারলো না।
আজকে সারা রাত চাঁদের সাথে গল্প করবো।
এটাই এখন আমার কাছে সব চেয়ে আপন।
ঐ চাঁদটাই এখন আমার মনের কথা শুনবে।
আচ্ছা চাঁদ মিম আমাকে ছেড়ে যখন চলে যাবে তখন আমি থাকতে পারবো তো।
না কি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো।
আচ্ছা ওকি রাহাতের সাথে সুখে থাকবে???
থাকবে না কেন???
ভালোবাসার মানুষের সাথে কে না সুখে থাকে।
যখন জানবো মিম রাহাতে সাথে সুখে আছে তখনি আমিও অনেক খুশি হবো এটা ভেবে যে আমার ভালোবাসার মানুষ অন্যের কাছে হলেও সুখে আছে।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে আমার দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে আমি জানি না।
আস্তে আস্তে কখন ঘুমিয়ে গেছি তাও জানি না।
রাতে খুব শীত শীত লাগছিলো।
ঘুমাতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো।
সকাল বেলা আযানের সুরে ঘুম ভাংলো।
তখন দেখলাম আমার গায়ে একটা চাদর।
কে দিলো এটা???
চলবে???
5
11
কিছু কিছু অবহেলা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। আবার কিছু কিছু অবহেলা মানুষকে সামনের দিকে এগুতে সাহায্য করে। সবমিলিয়ে গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এমন গল্প আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য। আশা করি এরকম গল্প আরো আমরা পাব।।