গল্পঃসিনিয়ার রোমান্টিক চাচাত বোন পর্বঃ১ লেখকঃ এম আই নাহিদ গুমিয়ে আছি মনে হয় কেউ আমাকে জড়িয়ে দরে শুয়ে আছে। আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়ে আমার বোকে মাথা রেখে জড়িয়ে দরে শুয়ে আছে।। আমি সপ্ন ভেবে আবার শুয়ে পড়লাম। এবার আমার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। দম আটকে যাচ্ছে,,আমি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি নাঈমা আপু আমার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট লাগিয়ে শুয়ে আছে।। আমি লাথি দিয়ে আপুকে খাট থেকে ফেলে দিলাম। আপু খাট থেকে পড়ে গিয়ে চেঁচানো শুরু করে দিছে, আপুর চেঁচানোর শব্দ শুনে আম্মু চাচি আম্মা দাদু দৌড়ে আমার রুমে আসলো। রুমে এসে দেখে নাঈমা আপু নিচে পড়ে আছে। আর চিৎকার করছে। আম্মুঃ কি হয়েছে মামনি? নাঈমা আপু কিছু বলছে লাল চোখে রাগি লুকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আপুকে দেখে আমি এমনিতে অনেক ভয় পাই।। আম্মুঃ নাহিদ ও নিচে পড়ে আছে কেন? আমিঃ জানি না। আম্মুঃ সত্যি করে বল বলছি। আমিঃ বলব আপু(আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম) নাঈমাঃ আমিই বলছি, আগে আমাকে উঠাও,। তারপর আম্মু আর চাচি আম্মু মিলে নাঈমাকে উঠিয়ে, খাটে বসিয়ে দিলো,, আমি একবারে খাটের এক কোনায় দাদুর কাছে গিয়ে বসলাম। কারণ বাসার একমাত্র দাদুই আমার সাপর্টে আর সবাই বিপক্ষে। নাঈমা আপু আম্মু কে জড়িয়ে দরে বলতে শুরু করল। নাঈমাঃ ছোট আম্মু তোমার ছেলে অনেক খারাপ, আম্মুঃ কি করছে ওই বাদরটা।। নাঈমাঃ আম্মু বলল যে নাহিদ এখন গুম থেকে উঠে নি, যা ত মা নাহিদকে একটু ডেকে তুলে দে, কলেজে যেতে হবে ত তদের। আম্মুঃ তারপর। নাঈমাঃ আমি এসে দেখি নাহিদ গুমিয়ে আছে। আমার প্রচন্ড গুম পেয়েছিলো, আমি নাহিদের বোকে শুয়ে পড়ি। তাই ও গুম থেকে উঠে আমাকে লাথি মেরে উপড় থেকে নিচে ফেলে দেয়।। আম্মুঃ নাহিদ নাঈমা যা বলছে তা কি সত্যি। আমিঃ আসলে হয়েছে কি। আমিঃ যা বলছি তার উত্তর দে। আমিঃ দাদু দেখো তোমার নাতিকে কেমন করতেছে। দাদুঃ ছোট বউমা তুমি চুপ থাকো। দাদুর কথা শুনে আম্মু চুপ হয়ে গেলো। দাদুকে সবাই ভয় পায় আব্বু বড় আব্বু বাসার সবায় দাদুর কোনো কথা ফেলে না। দাদুঃ কি হয়েছে নাহিদ তুই আমাকে বল। আমিঃ তোমার নাতনি আমাকে কিস করেছে। আম্মুঃ এই বিষয়ের জন্য তুই ওকে খাট থেকে ফেলে দিবে,, ও ত অন্য কাউকে করে নি নিজের জামাইকেই ত করেছে।। আমিঃ ওমা আমাদের বিয়ে হয়েছে জানতাম না ত আম্মুঃ ফাজলামো করবি না। দাদুঃ নাহিদ ত ঠিকি বলেছে বিয়ে ত আর হয়নি। এটা নিয়ে নাহিদ কে আর কেউ কিচ্ছু বলবে না। নাঈমা কে ঔষধ লাগিয়ে দাও তাই হবে। চাচি আম্মুঃ আচ্ছা আম্মু আপনি নিচে জান। দাদুঃ হুম আমি গেলাম আর একটা কথা ও জানি না হয়। তারপর দাদু চলে গেলো। চাচি আম্মু গিয়ে ঔষুদ নিয়ে আসল। নাঈমাঃ যে আমাকে ব্যথা দিছে সেই ঔষধ লাগিয়ে দিবে। আমিঃ হ আমাকে ত কামলা পাইছ তোমার? নাঈমাঃ ছোট আম্মু আমি কিন্তুু ঔষধ লাগাব না। আম্মুঃ মামনি তোমাকে নাহিদ ই ঔষধ লাগিয়ে দিবে। নাহিদ ঔষধ লাগিয়ে দে। আমিঃ পারব না। চাচি আম্মুঃ বাবা বাচ্চাদের মতো জেদ করিস না। একটু লাগিয়ে দে প্লিজ,, যানস ই ত নাঈমা এক বার বলেছে তুই মলম টা না দিয়ে দিলে ও দিবেই না।। আমিঃ ওকে তুমি বললে দেখে শুদু লাগিয়ে দিবো। চাচি আম্মাঃ আমার সোনা ছেলে এই বলে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে আম্মু আর চাচি আম্মা চলে গেলো।।। তারপর নাঈমা আপু আমার কাছে এসে বসল। নাঈমা আপু আমার দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে। নাঈমা আপুর এই লোকটা দেখে আমি পাগল হয়ে যায়,সে কি বুজে না নাকি বুজতে চায় না। আমিঃ আপু কোথায় ব্যথা পেয়েছো।। আপুঃ কোমরে। আমিঃ ছি ছি আপু আমি তোমার কোমরে হাত দিতে পারব না। আপুঃ কেন? আমিঃ আমার লজ্জা করে। আপুঃ আহারে লজ্জাবতী রে, বিয়ের পড়ে ত সব ই দেখবি। আমিঃ প্লিজ এসব কথা বলিও না আমার অনেক লজ্জা করে।।। আপুঃ বলব না তাহলে ঔষদ লাগিয়ে দে।। তারপর আমি পিছন থেকে আপুর জামাটা একটু উপড়ের দিকে তুলে দিলাম।। দেখি কালো জখম হয়ে আছে মনে হয় অনেক ব্যথা পেয়েছে।।। দেখে আমার ই মায়া লাগতে লাগলো। লাথি টা মারা ঠিক হয় নি,, আমিই বা কি করব আমি ত প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেছিলাম।। আপনারাই বলেন গুম থেকে উঠে হঠাৎ করে এ রকম দেখলে যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে।। তারপর আমি আপুর কোমরে হাত রাখলাম আপু কেঁপে উঠলো।। আমি আপু কোমরে ঔষদ লাগিয়ে দিলাম। আমিঃ অনেক ব্যথা পেয়েছ তাই না। নাঈমাঃ তেমন একটা না। আমিঃ স্যরি। গুম থেকে উঠে এমন কিছু দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম।। নাঈমাঃ তর হাতের ছোঁয়া পেয়ে সব ব্যথা ঠিক হয়ে গেছে। আমিঃ আজকে ত তাহলে তুমি কলেজে যাবে না। নাঈমাঃ না। আমিঃ তাহলে আপু তোমার রুমে গিয়ে রেস্ট করো, আমি ফ্রেশ হয়ে কলেজে যায়।। তারপর আপু এমন একটা কথা বললা যা শুনে আমার মাথা গুড়ে গেলো৷ জানি না আজকে কপালে কি আছে। চলবে,,,,,,

1
$
User's avatar
@Rana123 posted 4 years ago

Comments