উপকরণ:
খাসির গোশত ২ কেজি,
বাশমতি চাউল বা কালোজিরা চাউল ১ কেজি,
পেঁয়াজ মিহি কুঁচি ১৬ টি,
গোলমরিচ ১২ টি,
এলাচ ৮ টি,
জায়ফল,
জয়ত্রী বাটা আধা চা- চামচ,
তেল বা ঘি ২ কাপ,
টক দই ১ কাপ,
কাঁচা মরিচ স্বাদমত,
ঘন দুধ ২ কাপ,
চিনি ২ টেবিল চামচ ,
পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল চামচ ,
কিসমিস বাটা ২ টেবিল - চামচ ,
পেসতবাদাম কুঁচি ১ টেবিল চামচ ,
লবন ৪ চা- চামচ ,
চিনি ২ টেবিল - চামচ ,
গোলাপজল ১ টেবিল চামচ ,
কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ ,
জাফরান আধা চা- চামচ ,
মাওয়া সিকি কাপ।
প্রনালী:
গোশত ছোট করে কেটে পানি দিয়ে পরিস্কার করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। দারুচিনি এলাচি ও গোলমরিচ গুড়া করে নিন। বাটিতে অর্ধেক গুড়া মশল্লা, আদা, রসুন বাটা, কয়েকটা কাঁচামরিচ, টকদই, ২ চা- চামচ লবণ দিয়ে গোশত মেখে রেখে দিন ২/৩ ঘন্টা । গোলাপজল ও কেওড়াতেজাফরান ভিজিয়ে রাখুন।
চাউল ধুয়ে পানি ঝড়াতে দিন। হাঁড়িতে তেল বা ঘি গরম করে পেঁয়াজ কুঁচিসোনালী করে ভেজে অর্ধেক বেরেসতা তুলে রেখে দিন। বাকি বেরেসতায় মেখে রাখা গোশত ঢেলে বাদামিকরে ভেজে নিন।
তারপর মাঝারি আঁচে ঢেকে দিন। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর পানি শুকিয়ে এলে জায়ফল, জয়ত্রীবাটা ও কেওড়ায় মেশানো জাফরান দিয়ে ভালো করে কসিয়ে নিন। আঁচ কমিয়ে বাকিমশলা দিয়ে ঢেকে দিন। গোশত সেদ্ধ হয়ে এলে অর্ধেক মাওয়া দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে রাখুন।
ঝোল ছেঁকে গোশত একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখুন ।একই হাঁড়িতে ৬ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে ফুটিয়ে নিন। এতে চাল, দুধ, ২ চা- চামচ লবণ ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নিন । দুই তিনবার ফুটে উঠলে বাকি কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে ১৮ থেকে ২০ মিনিট রান্না করুন। চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে আরও ৫ মিনিট চুলায় রাখুন। নামিয়ে ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে বাকি গোলাপজল কেওড়া দিয়ে তার ওপর রান্না করা গোশত বিছিয়ে দিয়ে পুনরায় হাঁড়ি ঢেকে দিন। পরিবেশন এর আগে গোশত ওচাউল একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। বাদাম কুঁচি, পেস্তাকুঁচি ও বেরেসতা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। ৪ টা ডিম সেদ্ধ করে চারপাশে দিয়ে দিতে পারেন ।
ধন্যবাদ সবাইকে পড়ার জন্য।
বিরিয়ানি আমার খুবই পছন্দ।বিরিয়ানির ঘ্রাণ শুনলেই পেট ভরে যায়।অসাধারণ এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের শেখানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ