#কিসমত
#পর্ব-১৬
.
.
.
.
-নিরু তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিলো(লিমা)
.
-হুম বল(নিরু ফোন টিপতে টিপতে)
.
- আজ কাল নেহালের সাথে তোকে বেশি দেখ যাচ্ছে
.
-হুম তো?(লিমার দিকে তাকিয়ে)
.
-নাহ কিছু নাহ
.
-ও আচ্ছা.. (আবার ফোনের দিকে তাকিয়ে)
.
-৫ মিনিট পরে আবার
.
-নিরু..
.
-হুম বাবা বল
.
-তুই কি নেহালের প্রেমে পরেছিস?
.
-হোয়াট দ্যা ( নিজেকে কিছুটা সামলিয়ে নিয়ে) নেহাল আমার জাস্ট ফেন্ড।ওকে.
.
-হুম ওকে.
.
.
.
-মনি নিজের হাতে ফোন নিবে। তখন নিশির ফোনে ফোন আসে 📞📞📞
.
-এক সেকেন্ড মনি(নিশি)
.
-হুম(মনি মুচকি হেসে)
.
-আসসালামু আলাইকুম খালা বলেন.(নিশি)
.
-(......)
.
-কখন (দাঁড়িয়ে)
.
-(......)
.
-আমি এখনি আসছি.
.
-মনি খালামনির হঠাৎ পেশার লো হয়ে গেছে আমার এখনি যেতে হবে..
.
-ও আচ্ছা। যাও তাহলে।
.
-তুমি তো আছো কিছু দিন নাকি?
.
-নাহ আপু কাল চলে যেতে হবে
.
-তাহলে তো আর দেখা হলো নাহ আমি আসি।ফোনে কথা হবে..
.
.
.
-নিশান তাহলে আসি মনিটা একা. (শুভ্র )
.
-হুম যা আমিও যাই(নিশান)
.
.
.
-কিরে মনি তোর আপু কই(শুভ্র মনির পিছনে দাঁড়িয়ে)
.
-ইশ্ ভাইয়া আর এক মিনিট আগে আসলে দেখতে পেতে।মাত্র গেলো।একটু প্রবলেম ছিলো(মনি)
.
-ওকে।নেক্সট টাইম
.
-হুম চলো এখন
.
.
.
-নিশান নিশি গাড়িতে দু'জনের মাঝেই অস্থিরতা কাজ করছে তাদের খালামনির কাছে কখন যাবে তা নিয়ে..বাসার সামনে আসতেই নিশি নিশান দ্রুত ভিতরে ঢুকে..
.
-খালামনি তোমার শরীর ভালো এখন (নিশান পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে)
.
-কিছু হয়নি আমি ঠিক আছি বারবার নাহ করলাম ফোন দিতে দিয়েই দিলো(রহিমা বেগম)
.
-বেশ করেছে (নিশি পাশে বসে কান্না কন্ঠে )
.
-পাগল মেয়ে কিছু হয়নি তো আমার(রহিমা বেগম বসে)
.
-হুম (নিশি)
.
-দেখা হয়েছে
.
-হুম।আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। (দাঁড়িয়ে নিশি)
.
-খালামনি জানো আজ নাহ শুভ্রর সাথে দেখা হয়ে গেল হঠাৎ (নিশান)
.
-শুভ্র নাম শুনতেই দরজা দাঁড়িয়ে পরে নিশি।দুচোখ জলে ভরে আসে।আসিয়া খালাকে আসতে দেখে নিজের রুমে চলে যায় নিশি. চোখের জল গাল বেয়ে নিচে পরছে নিজের পেটে হাত রেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে নিশি...
.
.
.
-আপা আমি বুঝতে পারছি নাহ কি করবো আমি(রহেলা বেগম কান্না কন্ঠে )
.
-দেখ কি বলবো তুই তো বুঝতে পারছিস।(আছিয়া বেগম)
.
-নিজের স্বামীর জন্য নিজের মেয়ে এত সর্বনাশ করবো।দিশা ছোট একটা মেয়ে। কি বুঝে বলো।
.
-এমন তো হতে পারে দিশাকে ভালো লাগতে পারে সারাজীবন রেখে দিতে পারে
.
-হসপিটাল থেকে এসে আড়াল থেকে সবটা শুনে নিশি রুমে আসে..
.
-কি করতে চাচ্ছো তোমরা দিশার সাথে? (নিশি)
.
-তুই শুনে কি করবি(আছিয়া বেগম)
.
-মা বলো কি করতে চাচ্ছো (নিশি রাহেলা বেগমকে উদ্দেশ্য করে)
.
-নিশ্চুপ (কান্না করছে)
.
-কি হলো মা বলো।কান্না করছো কেনো?(নিশি)
-তোর বোনকে ১মাসের বিয়ে দিবে ছেলে টাকা দিবে তোর বাপের চিকিৎসা করার জন্য দেশের বাহিরে নিয়ে যাবে(আছিয়া বেগম)
.
-খালা(চেঁচিয়ে নিশি)
.
-চেঁচাছিস কেনো।
.
- দিশা তোমার বোন ঝি এমন বলতে পারলে
.
-তোর তো বোন তুই নিজে ১ মাসের জন্য যা নাহ। বোন টাকে বাঁচা।
.
-আপা নিশি কেনো যাবে দিশাই যাবে।নিজের বাপের জন্য এইটুকু করতে পারবে( রাহেলা বেগম কান্না করতে করতে নিজের রুমে চলে যায় দরজা লাগিয়ে দেয় )
.
-মা শুনো আমার টাকা জোগাড় করে ফেলবো।(নিশি)
.
-এতো টাকা কই পাবি।কালকের বিকালের মাঝে সব টাকা দিতে হবে। আর ছেলেকেও বলে দিতে হবে বিকালের মাঝে। (আছিয়া বেগম রুম থেকে বের হয়ে যায়)
.
-রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে নিশি।কি করবে কিছু বুঝতে পারছে নাহ। এতো টাকা কি করে ব্যবস্থা করবে।বিকাল থেকে সব কাছের মানুষের কাছে টাকা ধার চাচ্ছে কেউ দিতে রাজি নাহ আর মাত্র একরাতের মাঝে সব পাল্টে যাবে। কিছুই করার থাকবে নাহ। সব চিন্তা করতে করতে রাস্তার মধ্যে বসে পরে নিশি।দুচোখ জোরে অন্ধকার। দিশার এতো বড় সর্বনাশ কখনোই হতে দিতে পারে নাহ।চায় নিজের খারাপ হোক।দু'হাতে নিজের চোখ মুছে দাঁড়ায় নিশি।বাসায় উদ্দেশ্য রওনা..
.
-রাতে ব্যাগ থেকে কলম বের করার সময় শুভ্র দেওয়া কার্ডটা বের হয়ে আসে..
.
-
-সকালে থেকে বের হয়ে বিকেলে বাসায় ঢুকে নিশি একজন মধ্য বয়স্ক লোক আর দুজন মহিলাকে দেখতে পায় নিশি।
.
-দেখুন আমার আপনার মেয়ে কে পছন্দ এক মাসের জন্য নিতে চাই। আর এই একমাস আমি যা বললো তাই করতে হবে । পছন্দ হলে রাখবো নয় দিয়ে যাবো।বুঝতেই তো পারছেন ।(মধ্য বয়স্ক লোক বিশ্রী হাসি দিয়ে )
.
-আমরা রাজি নাহ আপনি আসতে পারেন (নিশি)
.
-সবাই নিশির কথায় কিছুটা অবাক হয়ে যায়..
.
-দেখুন আপনারা ভেবে চিন্তে বলছেন কি(মধ্য বয়স্ক লোক)
.
-হুম (নিশি)
.
-আমি কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো
.
-আপনি বের হোন।নাহ বের হলে লোক ডেকে অপমান করতে বাধ্য হবো.
.
-ওকে যাচ্ছি
.
-ঠাসস্ নিশি কি করছিস এখন টাকা কই পাবো (রাহেলা বেগম)
.
-মা(নিশি গালে হাত দিয়ে )
.
-বোনের সুখ ভালো লাগে নি?(চোখে জল)
.
-নিশি নিজের ব্যাগ থেকে কয়েকটা টাকার বান্ডিল রাহেলা বেগম এর হাতে দেয়..আরো লাগলে আরো পাবা তবু দিশার গায়ে কোনো আঁচ আসবে নাহ।
.
-এতো টাকা কোথায় পেলি(আছিয়া বেগম)
.
-তোমার জানতে হবে নাহ। বোনকে বাঁচাতে সব করতে পারি। টাকা জমা দিয়ে বাহিরে যাবার ব্যবস্থা করো তোমাদের তিন জনের( টাকা দিয়ে নিশি নিজের রুমে দিকে এগিয়ে যায়)
.
-আর তুই ?(রাহেলা বেগম)
.
- যাবো নাহ(দাঁড়িয়ে)
.
-একা থাকতে পারবি নাহ তুইও যাবি
.
- তোমার চিন্তা করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে মা (তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে)
.
-নিজের রুমে অঝোরে কাঁদতে থাকে নিশি।তোমার বোন দিশাকে বিয়ে দিতে নাহ রক্ষিতা করতে চেয়ে ছিলো মা। খোঁজ নিয়েছি আমি কিন্তু তোমায় বললে তো বিশ্বাস করবে নাহ। কেউ আপন নাহ সবাই পর।হঠাৎ নিশির ফোন বেজে ওঠে। .দু'হাতে চোখ মুছে নিশি।ফোনের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য একটা হাসি দেয় নিশি..
.
.
চলবে....
0
10