তোমাকে নব্বই দশকে ফিরে যেতে হবে না বর্তমানেই থাকো। একবিংশ শতাব্দীর তরুণী হয়ে না হয়ে নিজের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে রাখ। সুগন্ধি তেল এ অস্বস্তি লাগে? শ্যাম্পু করে রাখ। শুধু ওই বিচ্ছিরি মেকাপের পিছনে না ছুটে উপরওয়ালা যেটা দিয়েছেন সেটা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকো। বেশি হলে না হয় একটু কাজল দিও চোখের নিচে। আর কপালে টিপ। মোবাইল ফোনের যুগে ল্যান্ডফোনে ফিরে যেতে হবে না। শুধু মোবাইলটা হাতে একটু কম রেখো। সেলফি টা একটু কম তুলে আয়নার সামনে না হয় কয়েক মিনিট বসে থেক। বিশেষ দিনের শাড়ি এখনো পরো। সেই দিনগুলো নাহয় একটু বাড়িয়ে নাও। শাড়িতে যদি পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে সালোয়ার-কামিজ পড়ো। তবুও ওই পশ্চিমা পোশাকের মধ্যে কম ঢোকো। বন্ধুবান্ধব যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে শুধু রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে কম যেও। ক্যাম্পাসে কোন গাছ তলায় বসে আড্ডা হতেই পারে সিঙ্গারা খাওয়া যেতেই পারে। আড্ডাটা না হয় বন্ধ দরজার বাইরে খোলা বাতাস এই হতে পারে। খালি গলায় গানও ধরা যেতে পারে। প্রেমিক এখনো আছে শুধু সঠিক মানুষটাকে খুঁজে নিও। না পেলে অপেক্ষা করো। ভিডিও কলে কথাটা না হয় একটু কম বল । রুম ডেট এর মত বিদেশি শব্দ না হয় ভুলে যাও। সারারাত কথা না বলে সকালে ক্লাস এর আগে না হয় কল বা মেসেজ দিয়ে বলো অনেক ঘুম হয়েছে এবার উঠে ক্লাসে যান।
অবসরের চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সুনীল কিংবা শীর্ষেন্দুর বই যদি নাও পড় অন্তত হুমায়ূন আহমেদ এর বই পড়। মন চাইলে একটা কবিতাও লিখতে পারো করোর জন্য। অথবা ইউটিউব দেখে রান্না টাও শিখতে পারো কারোর জন্য।
বিশ্বাস করো বিকেলে সাদা নীল আকাশ এখনও দেখা যায় সময় নিয়ে মাঝে মাঝে একটু তাকাও। তোমার ঘরের চার দেয়ালের বাইরে আকাশটা কিন্তু এখনো বিশালি আছে। তুমি একবিংশ শতাব্দীর তরুণীই হয়ে থাক।
রাত্রিতে মাঝেমাঝে বাতি নিভিয়ে বারান্দায় হেলান দিয়ে ব্যস্ত নগরীর গাড়িগুলোর আনাগোনা দেখ। পূর্ণিমাতে চাঁদের খোঁজ রাখো। দেয়ালের আড়ালে জোসনা দেখ। রাত্রিবেলায় ঘুমুতে না পেরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কিংবা রবীন্দ্র সংগীত শুনে ঘুমিয়ে পড়তে পারো।
শুধু নিজেকে একাকিত্বের অতল গহবরে হারিয়ে ফেলো না, এই নীল সাদা দুনিয়ায়। বর্তমানে থাকো, তোমাতে থাকো, তোমার অস্তিত্বে থাকো, তুমি বর্তমানে থাকো।
Edited by Farhan Ahmed Belal.
Written by me (Abdur Rafi)
@Rafi2002