রাইটার#দিলরুবা হাসান পামি
নিলয় তার বাসার সব staffs কে আগে থেকেই বলে রেখেছিল।
নিলয়ঃ সবাই ভালভাবে শোনে রাখ আমি যা বলছি,এমন কিছু বলবে না বা করবে না যাতে সাইরা hurt হয়।ও আমার Fiancee মানে তোমাদের ম্যাডাম।আমাকে যেভাবে তোমরা সম্মান কর ওকেও করবে। ও কিছু করতে বললে তোমরা তার ওর্ডার মেনে চলবে।মনে থাকে যেন।ওর অসম্মান আমি কিন্তু সহ্য করব না। Clear?
Staffs:Yes Sir.আমরা বুঝেছি।আপনি নিশ্চিত থাকুন।আমরা ম্যাডামের কোন অযত্ন করব না।উনী যা বলবেন তা আমরা মেনে চলব।
নিলয়ে কথা মত সবাই সাইরাকে খুব respect দিচ্ছে। সাইরাকে নিয়ে নিলয় খেতে বসেছে।সাইরা হাতে আঘাত পেয়েছে তাই খেতে পাচ্ছে না।বার বার তার হাত থেকে চামচ পড়ে যাচ্ছে। নিলয় দেখে সাইরা হাত কেটে গেছ।
silly girl, সারারাত এভাবেই থেকেছে।আমাকে কিছুই বলে নি। কেন সাইরা,এমন কেন তুমি?(মনে মনে নিলয় বলছে )।
নিলয়ঃPrincess ও কিছু না সামান্য একটু আঘাত।নিলয় ভিতরে ভিতরে খুব রেগে আছে তবুও সে সাইরার সামনে নরমাল থাকার চেষ্টা করছে।ও কিছু না 😤😤।wait Princess আজ তো আমি তোমাকে খাওয়ানোর একটা সুযোগ পেয়ে গেছি তা হাত ছাড়া করব কিভাবে😉। এমনি তো তুমি আমাকে ধরতে দেওয়া না।
সব তোদের জন্য হয়েছে।আমাকে ধরতে তোরা আমার princessকে আঘাত করলি না😡😡bloody bitch, তোদেরকে এর জন্য উপযুক্ত শান্তি পেতেই হবে।সাইরা আমি আজ promise করছি তোমাকে কখনও কষ্ট পেতে দিব না।আমি থাকতে কেউ তোমাকে কখনও আঘাত করতে পারবে না।এক চুলও না। আমি তোমাকে সবসময় protect করব।Promise করছি।(নিলয় মনে মনে এসব বলছে)।তারপর সে সাইরাকে খাইয়ে দেয়। সাইরা খেতে চাচ্ছে না নিলয়ের হাতে।
নিলয়ঃoh baby.
সাইরা 😲😲বড় বড় চোখ করে তাকায় নিলয় দিকে।
নিলয়ঃ sorry my Princess open your mouth, plz.
নিলয় সাইরাকে বাচ্চার মত treat করছে।নিলয়ের house staffs লুকিয়ে লুকিয়ে এসব দেখছে।তারা আস্তে আস্তে একে অপরকে বলছে,
staffs: কখনও এ বাসায় কোন মেয়ে আসে নি।স্যারের এত personal Assistant ছিল।তারা উনার থেকেও smart,beautiful ছিলেন।কোথায় তারা তো কখনও এভাবে স্যারের মনে জায়গা করতে পারে নি।এই নিশ্চয়ই স্যারের জন্য Special।চল এখান থেকে।স্যার যদি দেখেন আমরা এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের দেখছি তবে আমাদের আজ রক্ষা নেই।
তারপর তারা যে যার মত কাজে চলে যান।
সাইরাকে খাইয়ে দিচ্ছি নিলয়।সাইরা নিলয়ের দিক তাকিয়ে আছে। তার চোখ যেন নিলয় থেকে ফিরাতে ইচ্ছে করছে না।
নিলয় বুঝতে পাচ্ছে যে, সাইরা তার দিকে তাকিয়ে আছে । নিলয় মুচকি একটু হেসে সাইরাকে বলল,
নিলয়ঃকি হল খাও?আমাকে তুমি সারাজীবন দেখতে পাবে, যদি তুমি চাও?
সাইরাঃমানে?
নিলয়ঃমানে বুঝতে হবে না princess. এখন খাও তো তুমি।
সাইরা একটা জিনিস লক্ষ্য করে নিলয়ের চোখ বাকিদের থেকে আলাদা । আলাদা বলতে ইংরেজদের চোখের মত নীল চোখ নিলয়ের।
সাইরাঃএকটা কথা বলব?
যদি মনে কিছু না করেন।
নিলয়ঃ Of course Princess, বল।
সাইরাঃআপনার চোখ বাঙ্গালিদের মত নয়।তবে আপনি?
নিলয়ঃহ্যা আমি সম্পূর্ণ বাঙ্গালী নই।
সাইরাঃমানে?
নিলয়ঃআমার মা এদেশের আর বাবা আমেরিকান। তাই আমি এমন।
সাইরাঃওহ। তবে এখানে কেন?কিভাবে?
নিলয় তাকে সব details এ বল।
নিলয়ঃ আজ থেকে ৩০বছর আগের কথা। আম্মুর ইচ্ছে ছিল higher studies এর।আমার grandfather আম্মুকে খুব ভালবাসতেন তাই তিনি আম্মুর ইচ্ছে পূর্ণ করতে আম্মুকে অামেরিকা পাঠান।আর সেখানেই বাবার সাথে পরিচয় তার পরিচয় । বাবা ছিলেন আম্মুর University এ Professor । বাবা খ্রিস্টান আর আম্মু মুসলিম ছিলেন। পরবর্তিতে অবশ্য বাবা তার ধম পরিবর্তন করে আম্মুর ধম গ্রহন করে।যা জন্য বাবার পরিবার বাবাকে ত্যাজ্য করে। তারা তাকে চাপ দিচ্ছেন বাবা যেন ইসলাম ত্যাগ করতেন আম্মুকে ত্যাগ করতেন।কিন্তু তিনি তার dicision থেকে একচুলও নড়েন নি।Professor Marks হলেন নীল।আম্মুর নামের সাথে মিল রেখে তিনি তার নাম রাখলে।নীলমার নীল 😊😊ইসলাম গ্রহণ করায় উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার সও্বেও তাকে তার জব থেকে Resignকরতে বাধ্য করে Universityএর Authority. তাকে আবার নতুন করে সব শুরু করতে হয়েছে।লাইফে অনেক ঝড় ঝাপ্টা সহ্য করেছেন শুধুমাএ প্রিয় মানুষটির সাথে থাকবেন বলে।নানুর অনুমতি নিয়ে তারা বিয়ে করে ছিলেন।নানুর একমাত্র মেয়ের জামাই হওয়ায় তিনি চাইলেন বাবাকে হেল্প করতে। কিন্তু বাবা তার self-respect কে বিসর্জন দিতে পারেন নি।তিনি নানুর হেল্প নিতে অস্বীকার করেন।তিনি বললেন,
বাবাঃমানুষ যদি সততার সাথে কাজ করে।সে যদি hard working করে তবে যতই তার খারাপ দিন আসুক না কেন সে overcomeকরতে সক্ষম। And I believe myself, আমার সেই ability আছে।
সত্যি তিনি তা করে দেখাতে পেরেছিলেন বলেই আজ আমি এই আবস্হায় দাড়িয়ে আছি। আর আমার চোখে কথা যদি বলি, তার কারণ হচ্ছে আমার বাবা।কারণ তার চোখ নিল ছিল আর আমিও সেটাই পেয়েছি।আমার আম্মু আমার নাম রাখে নিলয়। ১বছর আগে তারা এক accident এ মারা যান।🤧🤧সাইরা নিলয়ের কথা শুনে emotional হয়ে পড়ে।আমার বাঘিনীর আজ এইরূপ দেখে আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি। (নিলয় মনে মনে বলে)তারপর সে সাইরাকে বলে,
নিলয়ঃও সাইরা,my baby, Princess, don't cry. আরে কাদলে তো তোমার makeup নষ্ট হবে।এত কষ্ট করে makeupকরেছ, সব এভাবে নষ্ট করলে চলবে?makeup ছাড়া ছাড়া যে, তোমাকে পত্নী দেখাবে।তখন তো মানুষ কেন পেত্নীও নিজে তার বংশধরকে দেখে ভয় পাবে।
সাইরাঃআমি মোটেও makeup করি নি।আর আমার চেহেরা খারাপ মানছি তবে এতটাও না যে, পেত্নীর বংশধর হতে হবে।
নিলয় তার চোখ tissue paper দিয়ে মুছে দিয়ে বলল
নিলয়ঃআচ্ছা বাবা বুঝেছি।
সাইরাঃআপনাকে কতবার বলেছি, do not torture me.
নিলয়ঃokay, okay.আর কখনও কর না।তোমার অনুমতি ছাড়া তোমাকে ধরব না promise.
সাইরা চেয়ার থেকে উঠে একটু বাকা হয়ে দাড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে বলে,
সাইরাঃবস অফিসে যেতে হবে না?কয়টা বাজে খেয়াল আছে আপনার?কত কাজ বাকি উফ!আপনারতো ব্রেকফাস্টও করা হয় নি।বকবক না করে খেয়ে অফিসে চলুন।আমি ওয়াসরুম থেকে আসছি।
🤣🤣🤣নিলয় হাসছে।এই প্রথম কোন মেয়ে তাকে এভাবে শাসন করেছ।
নিলয়ঃSo cute.My princess.Really(মনে মনে).তোমার মত আরেকটা হবে কিনা সন্দেহ 🤔🤔শো পিস একটা🤔🤔🤔
God হয়তো চান নি আরেকটা সৃষ্টি করে মানুষকে এভাবে জ্বালাতে ।আহ,মানুষ তো বেচে গেল বাট নিলয় বেচেরা ফেসে গেল।
সাইরা যাতে শুনতে পায় তার জন্যই জোরে করে এসব কথা বলছে নিলয়।
নিলয় সাইরা পায়ের শব্দ পেয়ে বুঝছিল যে, সাইরা আসছে। তাই সে জোরে এসব কথা বলে যাতে সাইরা শুনতে পায়।
সাইরাঃকি? আমি show pisce?আপনার মাথা ঠিক আছে তো বস?কি যা তা বলছেন?চলুন এবার অফিসে।অনেক বেলা হয়েছে।অফিস যেতে হবে।
আপনার হিসাব পড়ে করব।আমি show pisce? 😈😡সাইরা মনে মনে বলে।
নিলয় বুঝতে পারে যে, বাঘিনীটাকে ক্ষেপিয়ে সে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে ।সে তো এত সহজে ছাড়বে না তাকে।নিশ্চয়ই কিছু না কিছু প্লেন করছে সে।আমার আজ আর রক্ষা নেই(মনে মনে সে বলছে)।
এখন নভেম্বর মাস চলছে।মানেই শীতকাল। এই seasonটাকে সাইরাভীষণ like করে।কিন্তু সে ঠান্ডা একেবারেই সহ্য করে পারে না। অফিসের কাজের চাপও এখন অনেক বেশী। বেচারী আজ কাজের টেনশনে তার সাথে গরম কাপড় আনতে ভুলে গেছে। তার খুব ঠান্ডা লাগছে।সে কাপছে।যা নিলয়ের চোখকে এড়িয়ে যায় নি।নিলয়ের চোখে ঠিকই ধরা পড়ে।নিলয় সাইরাকে ফোন করে তার কেবিনে যেতে বলে।সাইরা তার কেবিনের প্রবেশ করা পর নিলয় সাইরাকে বলে ,
নিলয়ঃmy dear Princess দেখ না আমার shirt এর সাথে এই ব্লেজারের কালারটা ঠিক মানাছে না।কি করা যায়?ওহ,আমি তো দেখছি তোমার ড্রেসের সাথে আমার ব্লেজারের কালারটা ভাল মানবে।এই বলে সে তার ব্লেজারটা খুলে সাইরাকে পড়িয়ে দেয়।
নিলয় স্যার আপনি আসলে কি সেটা আমি এখন ভালভাবে বুঝছে গেছি।এই রাগি চেহেরার পিছনে যে, একটা ভাল মানুষ লুকিয়ে আছে তা আমি এখন ভালভাবে বুঝে গেছি।আমি এখন ভালভাবে বুঝে গেছি যে, সব Devil man যে খারাপ হয় না।( মনে মনে সে বলছে)।সাইরার নিলয়ের মাঝে তার soulmate কে খুজে পায়। নিয়তি কখন কিভাবে কাউকে কার জীবনে আনবে, সেটা নিয়তিই ভাল জানে।
নিলয়ঃওহ মিস, এভাবে কি দেখছেন?আপনি কি তবে সত্যি সত্যি আমার প্রেমের পড়ে গেছেন নাকি?😄😄
নিলয়ের কথায় সাইরা ভাবনার জগতে থেকে বের হয়ে আসে।
সাইরাঃবস আপনি অনুমতি দিলে আমি আমার কেবিনে যেতে পারি।অনেক কাজ pendingআছে তো তাই বলছি বস।প্লিজ আপনি রাগ করবেন না।
নিলয় সাইরার কপালে হাতে দিয়ে check করছে সাইরার জ্বর আসছে কি না।কারণ সাইরাকে তার আজকে অন্যরকম লাগছে।এ যেন সাইরা নয় অন্য কেউ।
সাইরাঃএসব কি করছেন আপনি ?বস আমি কিন্তু আপনাকে বলেছি এভাবে আমাকে touch করবেন না।তবে কেন করছেন আপনি?ওহ আমি কেন ভুলে যাই যে, আপনি একটা Devil।
নিলয় মুচকি হেসে বলে,
নিলয়ঃহুম।তুমি এখন ঠিক আছো।আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম এটা ভেবে যে,তোমার মধ্যে অন্য কারোও আত্মা আসে নি তো?যাক বাবা সেই রকম কিছুুই হয় নি। 😅😅
সাইরা নিলয়ের অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করে কেবিন থেকে বের হয়ে যায় সে।আর এদিকে নিলয় হাসছে।
Wow.... How romantic love story...I like it very much 💗