রাইটার#দিলরুবা হাসান পামি
সাইরা, নিলয়ের বিয়েটা ছিল যেমন prince সাথে Princess বিয়ে হয় ঠিক তেমন। কারণ নিলয়ের কাছে সাইরা তো Princess ই ছিল।তাই সে চেয়েছি তাদের এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখবে।কোন কিছুর ঘাটতি রাখে নি সে।সাইরাকে বিদায় দেওয়ার সময় সাইরার মা খুব কাদছিলেন।নিলয় বলেছি,
নিলয়ঃআম্মু আমি তোমার মেয়েকে কখনই কষ্ট পেতে দিব না।সবসময় protect করব।নিজের জীবনে বিনিময়ে হলেও তার কিছু হতে দিব না।
সাইরার আম্মু ঃজানি বাবা তুমি ওকে সারাজীবন protect করবে।তাও মায়ের মন তো।এতবছর ওকে ছাড়া একদিনও থাকি নি। আজ যখন ওকে ছাড়া থাকতে হবে সেই ভেবে বুকের ভিতরটা কেদে উঠছে,নিজেকে তাই control করতে পারছি না।
নিলয় ঃআম্মুনি দেখেন কাজটা কিন্তু ভাল হচ্ছে না।আমাকে আপনি শুধুমাএ মেয়ের স্বামী ভাবলেন?বিয়ের আগে যে আমাকে ছেলে বানিয়েছিলেন মনে আছে তো?
সাইরার আম্মুঃ(চোখ মুছতে মুছতে) হ্যা বাবা। আমার সব মনে আছে।
নিলয়ঃছেলেকে কি আম্মু এভাবে বলে?(তুমি বলল সে)আর শুন তোমাকে এখানে একা থাকতে হবে না আমাদের সাথে থাকবে। মেয়ের স্বামীর বাড়িতে নয় বরং ছেলের বাড়িতে।সাইরা এতক্ষণ চুপ ছিল।সে বলল,
সাইরাঃতার মানে আমি আম্মুর ছেলের বউ।এটাই তো দাঁড়াচ্ছে। নিলয় এটা হবে না।তুমি আমার কাছে থেকে এভাবে আমার আম্মুকে কেড়ে নিতে পার না?
দেখ মেয়ের কান্ড, সাইরার মা বললেন।সাইরার কাছে গিয়ে নিলয় বললে,
নিলয়ঃoh babe,এই প্রথম তুমি আমাকে নিলয় নামে ডাকলে।শুধু তাই না আপনি থেকে তুমি বলা শুরু করেছ । আমি তো এতদিন ধরে এই দিনটির জন্যই অপেক্ষা করেছি।
সাইরাঃ😝😝ও তো আমি ভুলে বলেছি।
নিলয়ঃ(হেসে বলে)এমন ভুল তুমি সারাজীবন কর এটাই pray করি।সাইরাঃআপনি কি আজকাল নাটক বেশী দেখেছেন? নাকি বিজনেস বাদ দিয়ে নাটক করা শুরু করছেন?অভিনেতা হয়ে গেছেন নাকি?
নিলয়ঃoh babe 🙄🙄। আবার আপনি? এটা শুনতে না আমার আস ভাল লাগছে না।একটু আগে আমাকে তুমি বলে ডেকেছ সেটাই ভাল ছিল। তাই বলছি যে babe সেটাই বলবে আজ থেকে।ওকে?
সাইরা মাথা নেড়ে জবাব দেয়।দেখতে দেখতে ১০, দশটি বছর কেটে যায়।সাইরা নিলয়ে ভালবাসার মাঝে ভাঙ্গ বসাতে আরেকজন এসেছে। তার নাম নিসা। তাদের ৩বছরের ছোট মেয়ে।মেয়েটি বাবাকে ভীষণ ভালবাসে।সে যখন কথা বলা শিখছিল তখন সে প্রথম নিলয়কে বাবা বলে ডেকেছিল।তাকে নিলয় মা বলা শিখানোর অনেক চেষ্টা করছে।কিন্তু সে পারি নি মা ডাকতে।সাইরা মন খারাপ থাকত এটার জন্য। নিলয় তা ভালভাবে বুঝতে পারেছিল বলেই সে তার মেয়েকে মা বলা শেখানোর অনেক চেষ্টা করে।নিসার যখন ২বছর বয়স তখন সে সাইরাকে প্রথম মা বলে ডাকে।মেয়েটা মনে ইচ্ছে করে এমন করে এতদিন ধরে।নিলয়কে সাইরা বলে,
সাইরাঃনিসা মনে হয় আগের জন্মে তোমার কিছু ছিল। তাই তোমাকে এভাবে সারাদিন আগলে রাখে।আমার কোলে আসতে চায় না।
নিলয়ঃ🤣🤣babe,jealous feel করছ?
সাইরাঃ হুম তোমরা বাবা, মেয়ে আমার সাথে কি শুরু করেছ বলতো?
সাইরাঃআহারে আমার Princess।
নিসা তখন floor বসে খেলছিল।সে ইঠাত খেলা বন্ধ করে তার বাবা মা দিকে তাকায়।সে দেখে তার বাবা তাকে মা জড়িয়ে ধরেছে।সে দৌড়ে তাদের কাছে এসে বললে,
নিসাঃআরে এসব কি হচ্ছে শুনি?আম্মু সর তো।এটা আমার বাবা, তুমি কেন ধরছ?Princess এবার বুঝতে পেরেছি।এই মেয়েটা আগের জন্মে তোমার সতীন ছিল,আগের জন্মে তো কিছু করতে পেরে নি।তাই এই জন্মে তোমার মেয়ে হয়ে revenge নিচ্ছে।
নিসাঃও বাবা আম্মুকে কেন Princess বলছ? আমি তো তোমার Princess.
নিলয়ঃহ্যা মামুনি তবে তুৃমি হচ্ছ আমাদের little Princess আর তোমার আম্মু হচ্ছে আমার Princess ।
নিলয় সাইরার দিকে তাকিয়ে এসব বলল।সাইরা হাসছে।
নিলয়ঃআহ, আমার কাজ এখন আরোও বেড়ে গেল।আগে একটা বেবি ছিল এখন আরেকটা এসেছে।দুজনকে মানুষ করতে করতে আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। 😉😉সাইরা বুঝতে পারে নিলয় কি বলছে।সময়ের সাথে সাথে নিলয়, সাইরার বন্ধন আরও মজবুত হতে থাকে।কারণ তারা একে অপরকে খুব ভালবাসে।তাদের ভালবাসার ছিল pure.নিলয় সব সময় সাইরাকে respectকরেছে care করছে।সে একজন perfect husband। সাইরার সব ভুগুলো তার কাছে কখনও ভুল মনে হয় নি।কারণ সে মনে করে, যাকে ভালবাসবে তাকে এমনভাবে ভালবাসবে যেন তার দোষগুলোকেও accept করা ক্ষমতা থাকে।কারণ আমরা মানুষ। we are not perfect. এসব সে শিখেছিল তারা বাবা মাকে দেখে।নিলয়ের মা সব সময় বলতেন,
নিলয়ের মাঃনিলয় তুমি জীবনে অনেক বড় মানুষ হবে।কিন্তু যদি মেয়েদের সম্মান করে না পার তবে বড় হয়ে কি লাভ?অর্থবিওে বড় হয়ে কোন লাভ নেই।
সত্যিকারের পুরুষ সেই যে নারীকে সম্মান করতে পারে।মা, বাবা নেই আজ তার সাথে কিন্তু তাদের দেওয়া শিখা নিলয় মাঝে রয়ে গেছে।
গল্পটি এখানেই শেষ।সবাইকে ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। গল্পটি কেমন লাগল জানবেন।ভুলক্রটি ক্ষমা করবেন।
I like love story so much.. I also like your love story.. Thanks for this article