রাইটার#দিলরুবা হাসান পামি
সিহাব, আমাইয়া শপিংমলে আসছে ৩ঘন্টা হয়েছে।শপিংমলের সব shopes ঘুরে দেখার পরও সিহাব কিছুই পছন্দ হচ্ছে না।আমাইয়ার যা পছন্দ হচ্ছে তাতেও সিহাবের objection. আমাইয়া বেশ বুঝতে পাচ্ছে সিহাবের কিছু একটা হয়েছে।
সিহাব স্যারের কি হয়েছে?উনাকে খুব চিন্তিত লাগছে।আমি কি উনাকে ask করব?যদি রাগ করেন?করলে করবে,ওহ আমি handle করতে পারব।আর ওনাকে এভাবে দেখতে যে পাচ্ছি না আমি।উনা রাগ করুন বা না করুন আমাকে জানতেই হবে ওনার কি হচ্ছে।আমার ধারণা আমরা যখন বের হচ্ছিল তখন একটা কল আসে আর তারপর থেকেই স্যারকে এমন দেখাছে।এত কিছু না ভেবে ওনাকে ask করি।হ্যা সেটাই ভাল। (মনে মনে আমাইয়া ভাবছে)
আমাইয়াঃস্যার আপনি ঠিক আছেন? এমন কিছু হয়েছে স্যার যা আমাকে বলা যাচ্ছে না?😣😣
সিহাবঃমিস আমাইয়া তুমি অযথাই টেনশন করছ।এমন কিছুই হয় নি, বুঝলে?আমি তো ভেবে পাচ্ছি না আমার ছোট, মিষ্টি আমাইয়ার জন্য কোন পোশাকটা ভাল হবে?আর আমি তো সিহাব আহমেদ যে সে জিনিস কিনতে পারি না।এটা আমার স্টাইল নয়।
আমাইয়াঃDevil একটা(আস্তে আস্তে বলছে সে)।
সিহাবঃ Oh hello miss,কি--কি বলছ তুমি?
আমাইয়াঃনা কিছু না।
সিহাবঃআমি শুনতে পারি নি ঠিকই বাট তোমার ঠোট নড়ছিল আর তাতে যা বুঝেছি তা হচ্ছে তুমি আমাকে devil বলছ,right?
আমাইয়াঃএ মা না, না এমনটা তো বলি নি।😣😣
কি করে বুঝে যায় সবসময়? আমি তো খুব আস্তে বলেছি কথাটা তবুও বুঝতে পাচ্ছেন, how?
সিহাবঃএখন ভাবছ তো আমি কিভাবে তা বুঝতে পাচ্ছি?😅😅এসব হচ্ছে feeling করার বিষয়। তুমি তো little girl😉তাই এখন বুঝবে না।বড় হও আগে।আমি তো আছি সেটার জন্যই।
চল এবার শপিং শেষ করি।
আবার শপিং?আরও দেরী হবে।এদিকে ক্ষুধা লেগেছে খুব।উফফ!মাখায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে।এটা আমার ছোটবেলা অভ্যাস যা change হল না।
আমাইয়া মাথায় হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে আর সিহাব কেনাকাটায় ব্যস্ত।ইঠাত সিহাবের চোখ আমাইয়া দিকে পরতেই সে আমাকে ask করে,
সিহাবঃকি হয়েছে তোমার?
আমাইয়াঃও আমার,ও আমি?
সিহাবঃম্যাডামের ক্ষুধা লেগেছি আপনার,তাই তো?এতে এত লজ্জা পাওয়া কি আছে?এটা আমারও হয়, বুঝলেন ম্যাডাম।(মুচকি হেসে বল সে)
আমাইয়াঃএই মানুষটা আসলে কে?কিভাবে আমার মনের কথা বুঝতে পাচ্ছেন? X man no,no,super man আরে না।Devil man হ্যা এটা হতেই পারে।হি,হি।
সিহাবঃএই, এসব ভেবে হাসলে চলবে না ম্যাডাম ।চলেন হোস্টেল ফিরা যাক।আর শুনেন X man,SUPER man বা devil man কোনটাই নই কিন্তু আমি।তবে এটা ঠিক যে, তোমার মনের কথা বুঝতে পারি।এটাকে বলে soulmate। একজন আরেজনকে বুঝে, তাদের মধ্যে
understanding এটাই থাকে যে একজনের না বলা কথাগুলোও আরেকজন ঠিকই বুঝতে পারে।
আমাইয়াঃSoulmate? আমি আপনার?
সিহাবঃMy little Amaiya এত ভাবতে হবে না তোমায়।এসব আমার উপর ছেড়ে দাও।এই তোমার না ক্ষুধা লেগেছে না?
আমাইয়াঃহুম(অন্যমনস্ক হয়ে উওর দেয় সে)।
কিডন্যাপ
পার্ট #৯
আমাইয়া এখন লক্ষ্য করছে সিহাব হাসছে।কখন এই মিস্টারের মনে বা চেহেরা যাই হোক 😁😁মেঘ জমে আবার কখনও রোদ মুচকি হাসছে , wow,আমাইয়া দারুণ বলছিস তো।তোকে তো নোবেল দেওয়া দরকার ছিল।এই মা আমি এসব কি ভাবছি।যাক সিহাব স্যার হাসছেন এখন আর এটাই বড় কথা।আর উনাকে আরোও বেশি cute লাগে।এই হাসিমুখটা দেখে যে কেউ এই মানুষটার প্রেমে পড়ে যাবে।
সিহাবঃএই জন্মে কারোও change নেইBetter luck next time😉ওহ সরি পরের জন্ম হবে কথাটা,আর আমাইয়া আছে যখন কার ক্ষমতা আমাকে দেখার😉
আমাইয়াঃআবার আপনি?কিভাবে?
সিহাবঃওহ মিস আমাইয়া,মুখ বন্ধ কর।মাছি প্রবেশ করবে তো।
আমাইয়াঃআপনি খুব খারাপ,খুব বাজে।সব সময় আমার leg pull করছে।Devil man আপনি।যান আপনার সাথে কথা নেই আমার।
সিহাব লক্ষ্য করছে একটা মেয়ে ওর দিকে অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে আছে।সিহাব এবার সত্যিকারের Devil হল।সে আমাইয়া বলল,
সিহাবঃঠি আছে আমি যাচ্ছি। এই দেখ কত কিউট,স্মার্ট একটা মেয়ে।তোমার থেকে অনেক ভাল।তুমি তো আমার দিকে তাকাও না ঠিক মত।মেয়েটা দেখ আমার দিকে কিভাবে তাকিয়ে রয়েছে।যাই ওর কাছে।বাই,বাই।
আমাইয়া রেগে সিহাবে শার্টের কলার টেনে ধরে।
সিহাবকে বলে সে,
আমাইয়াঃকোথায় আসছেন আপনি?
সিহাবঃআরে কি করছ তুমি?সবাই দেখছে তো আমাইয়া।
আমাইয়াঃদেখছে সবাই,দেখুক না।so what?কিন্তু আপনি কোথায় যাচ্ছন সেটা বলেন?
সিহাবঃআমি তো এই মেয়েটার কাছে যাচ্ছি। ও আমাকে পছন্দ করে।তুমি তো তা কর না।তাই আমি ওর কাছেই যাচ্ছি।
আমাইয়াঃআপনি আমার সাথে এমনটা কেন করছেন সবসময়।আমার কষ্ট হয় না বুঝি?আমাকে কষ্ট দিয়ে আপনার খুব ভাল লাগে তাই না?আপনি সব বুঝেন শুরু এটাই বুঝেন না আমি আপনাকে ভাল---
আমাইয়া সিহাবের কলার ছেড়ে দিয়ে বলে,
আমাইয়াঃযান,আপনি যেখানে যাচ্ছিলেন সেখানেই যান।আমি আপনাকে আটকাবো না আর।আপনি কে আপনার,সে আপনাকে আটকাব। যান,যান।
আমাইয়া সিহাবের থেকে মুখ ঘুড়িয়ে নিল।
সিহাবঃআমাইয়া আমার দিকে তাকাও প্লিজ। আমি বলছি কিন্তু তাকাতে।আমাইয়া? (রেগে গিয়ে বলল সে)
আমাইয়াঃআপনি আমার কে, যে আপনার ওর্ডার follow করতে যাব?
সিহাব আমাইয়া সামনে গিয়ে কান ধরে বলে,
সিহাবঃএই দেখে আমি কান ধরেছে।এখন তো আমাকে ক্ষমা কর, প্লিজ।তুমি রাগ করে থাকলে আমার কষ্ট হয় যে আমাইয়া।
আমাইয়াঃএই যে মিস্টার,এখন বুঝছি মানুষ দেখছে না?
সিহাবঃহুম, আমার মিসেস আমার উপর রাগ করেছেন,এটাই সবাই বুঝবে😃😃
আমাইয়াঃআমি তো?
সিহাবঃআরে বাবা,এসব তোমাকে ভাবতে হবে না।এসব আমার উপর ছেড়ে দাও।
চল এবার হোটেলে ফিরা যাক।ওহ ম্যাডাম আপনার তো ক্ষুধা লেগেছে তা কি ভুলে গেছেন।(হেসে সে বলে)।
আদিবঃআমি জানতাম তুমি এখানে আসবে।
কে? আদিব?সেটা কি করে হয়, সে তো? (মনে মনে রিয়া বলছে)
আদিব একটু কেশে বলে,
আদিবঃতুমি আমাকে চিনতে পারছো না রিয়া। তুমি কি আমার সেই রিয়াই তো সে নিজের জীবনকে বাজি রেখেছিল তার ভালবাসার মানুষটাকে বাচবে বলে।(অভিমানে স্বরে)
রিয়াঃআদিব তুমি?তুমি এসেছো?তুমি আমার কল্পনা তাই না?জান তোমাকে দেখার জন্য কতটা ঝটফট করছি আমি।তুমি যে, আমার অস্তিত্ব জুড়ে রয়েছ।তুমি আমার জীবন।একটা মুহূর্তের জন্যও তোমাকে ভুলতে পারি নি। কিন্তু তোমার সাথে আমার থাকা হল না।My bad,আমি খুব খারাপ।চলে যাও তুমি।কল্পনাতে আর এসো না।চলে যাও।
আদিবঃএই পাগলি মেয়ে। দেখ আমি বাস্তব,তোমার কল্পনা নই।
রিয়াঃআমার কল্পনা নও?
আদিবঃনা মিসেস আদিব আহমেদ।আমি আপনার সামনে সত্যিই দাড়িয়ে রয়েছি।
রিয়াঃআমি ছুয়ে দিলে আবার চলে যাবে না তো তুমি?
আদিবঃএই দেখ আমি সত্যি তোমার সামনে রয়েছি।দেখ তুমি
আদিব রিয়া হাত ধরে তার (আদিবের)মুখের torch করে।
এখন রিয়া বুঝতে পাচ্ছে এটা তার কল্পনা না।তার সাথে সত্যিই ঘটেছে।তার ভালবাসা তার চোখে সামনে।রিয়া আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না।সে আদিবকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চাদের মত কাদতে শুরু করল।
আদিবঃএই রিয়া এসব কি হচ্ছে। তুমি তো এমন নও।আমার strong রিয়া যে, এতটা emotional তা তো আমার জানছিল না?
রিয়াঃI missed u so much। আমি কখনও ভাবি আবার দেখা হবে আমাদের।
আদিবঃকেন মনে হয়েছে তোমার, সেটা আমি জানি।তুমি আমাকে বলছি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর নতুনভাবে আবার আমার জীবন সাজাতে।কি করে পারলে তুমি এমনটা বলতে।সে সময় আমার খুব রাগ হয়েছি।মনে হয়েছি কষে তোমার গলে চড় দেই।কিন্তু আমার physical condition ভাল ছিল না।সব দেখতে শুনতে পারতাম মাএ।
রিয়াঃসব হয়েছে আমার জন্য। আমার জন্য তোমাকে কত কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।আবার কেন এসেছো আমার জীবনে।আমি যে তোমাকে পেইন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারব না।তুমি শেষে যাবে। চলে যাও আদিব।
রিয়া আদিবকে ছেড়ে দিল।
আদিবঃহুম বলেই হল?তোমার কথা মত সব হবে?অনেকে হয়েছে।এতদিন তুমি নিজেকে আমার থেকে আলাদা রেখেছ,ভেবেছ তো আমি ভাল থাকব, তাই না?কিন্তু বিশ্বাস কর আমি ভালছিলাম না।আমার সবসময় তোমার কথা মনে পড়তো। তোমার কাছে দৌড়ে চলে আসি এমন মনে হতো।কিন্তু আমার অবস্থার জন্য আস্তে পারি নি।তিনটা বছর লেগেছে ঠিক হতে রিয়া।যখন ঠিক হয়েছি তখন তোমার কাছে পৌছে এসেছি। প্লিজ রিয়া আমাকে দূরে সরিয়ে দিও না।প্লিজ আমার কাছে এসো।
আদিব তার দুইহাত বাড়িয়ে দিল। রিয়া পৌছি গিয়ে আদিবে বুকে লুটিয়ে পড়ে।
আদিবঃmy dear wife,অনেক কষ্ট দিয়েছ নিজেকে। আর পেতে দিব না।অনেক হয়েছে। এবার আমি তৈরি দেখব কে আমাদের ক্ষতি করবে?😠😠
Nice...plz back