কিডন্যাপ পার্ট #১০+১১

7 21
Avatar for Pami
Written by
3 years ago

রাইটার #দিলরুবা হাসান পামি

রিয়াঃদেখতে দেখতে তিন তিনটি বছর কেটে গেল আবিদ।এমন কোন দিন ছিল না যে, আমি তোমাকে miss করি নি।এমন কোন সময় নেই যে তোমাকে দেখার জন্য আমার মন কাদে নি।সব সময় ছোটে এসে তোমার এই বাসায়।ভেবেছি হয়তো তুমি এসো।আবার মনে হতো তুমি যদি সত্যি আমাকে ছেড়ে নতুনভাবে জীবন সাজাও।তখন আমার চেয়ে হতো কেউ হ্যাপি হবে না।বিশ্বাস কর আমি মন থেকে চেয়েছি।কারণ আমি তোমাকে কষ্ট, যন্ত্রণা ছাড়া কিছুই তো দিতে পারি নি।

আবিদঃকষ্ট হতো না তোমার,আমি যদি তোমায় ছেড়ে অন্যকে?

রিয়াঃহ্যাঁ আমার খুব কষ্ট হতো যদি তুমি নতুন করে জীবন শুরু করতে(কান্নায় তার কণ্ঠ ভারী হয়ে আসছে) কেননা আমি তোমাকে খুব ভালবেসেছি। বিশ্বাস কর আবিদ আমার ভালবাসা মিথ্যে নয়।আর আমার অন্ধকার জীবনে বেচে থাকার একমাএ আলো হচ্ছো তুমি,হ্যাঁ তুমি আবিদ । এই স্বার্থপর দুনিয়াতে তুমি ছাড়া আর কেউ ভালবাসে নি নিঃস্বার্থভাবে।।

আবিদঃসব বুঝ, তবে কেন এমন করলে আমার সাথে?আমাকে একা করে চলে গেল😠😠কেন বলে এমনটা? কিভাবে বলে পারলে আমায় নতুনভাবে জীবন শুরু করতে?কি করে ভাবলে তোমার আবিদ এমনটা করবে?তুমি বলছিলে না এই জীবনে তোমার সাথে থাকা হল না। পরের জীবনে রিয়া হয়ে নয় মাইশা হয়ে তোমার কাছে ফিরব।যে তোমার soulmate হবে.কোন খুনি নয়।আমি জানি এসব কেন বলেছ?তোমার আসলে পরিচয় কি?সব জানি। আমি promose করছি মাইশা আহমেদ, তোমাকে তোমার আগের জীবন ফিরিয়ে দিব।

আর খরবদার next time যদি আমাকে ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করতো।খুন করে ফেলব বলে দিচ্ছি।

রিয়াঃআমি আর কোথায় যাব, তোমাকে ছেড়ে বল তো?

আবিদঃতুমি একটা drama queen(অভিমানে)

রিয়াকে ছেড়ে দিল সে।

রিয়াঃআবিদ বিশ্বাস কর এছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না।আমি যদি তোমার সাথে থাকতাম আমার ফ্যামিলি তোমাকে বেচতে দিতে না।আমাকে follow করে তোমার কাছে তার পৌছে যেত।তাই এমনটা করেছি।

প্রিয় পাঠক/পাঠিকাদের মনে এখন নানান প্রশ্ন জমেছে তাই তো?আপনারা জানতে চান এমন কি হয়েছিল যে আবিদকে ছেড়ে রিয়া পালিয়েছিল। চলুন অতীতে ফিরে যাই।

১৫বছর বয়সে মাইশাকে কিডন্যাপ করেন তার বাবার business partner তা তো আগেই শোনেছেন আমাইয়ার মুখে।তারপর কি হল সেটা কেউ জানে না।মাইশা নাম পরিবর্তন করে রাখা হল রিয়া।রিয়ার খাবারের সবসময় মেডিসিন মিক্সড করত তারা।যা একধরণের drunks।সবসময় খাবারের সাথে মিক্সড রিয়াকে দেওয়া যাতে রিয়া সবকিছু ভুলে যায়।এভাবে কাটতে থাকে সময়।রিয়া তাদের হাতের পুতুলে পরিণত হয় । তারা তাকে যা বলত করতে তাই করতো সে।একমাএ একজন ছিলেন যিনি তাকে খুব ভালবাসতেন।রিয়ার মা মানে কিডন্যাপের ওয়াইফ।রিয়া এই পরিবারকে নিজের মান তো।কারণ তার অতীতের কোন কথাই মনে নেই।এটা হয়েছে তাকে দেওয়া মেডিসিনের কারণে।

ভদ্রমহিলা সবসময় রিয়াকে বাচানোর চেষ্টা করতেন।কিন্তু সবসময় রিয়াকে চোখে রাখা হতো।তিনি চাইলেও কিছু করতে পারতেন না। কি করবেন, কিভাবে সাহায্য করবেন তিনি বুঝতে পারছিলেন না।তাছাড়া রিয়াও তার কোন কথায় বিশ্বাস করবে না।রিয়া যে তার স্বামীর হাতের খেলনায় পরিণত হয়েছে।তার নিজের চিন্তাশক্তি নেই।তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে করে হোক সত্যিটা রিয়ার সামনে আনবেন, আর সেই সত্যিটা তার স্বামীর মুখ থেকেই বের হবে।ভদ্রমহিলা অনেক বছর হাসপাতালে কাজ করেছেন একজন ডাক্তারেরunder এরas an Assistant হিসেবে।তাই তিনি ভালভাবেই জানেন কোন মেডিসিন কি কাজে আসবে।তিনি যে হাসপাতালে কাজ করছেন তা তার স্বামী জাহেদ সাহেব জানতেন না।এই সুযোগকে তিনি কাছে লাগান।স্বামীর formula ই স্বামী উপর Apply করেন।

তিনি রিয়া আর উনার স্বামীকে ছাড়া বাসার সবার খাবারের সাথে ঘুমের মেডিসিন মিক্সড করেন।আর উনী উনার স্বামীকে এমন একটা injection খুব সর্তকতার সাথে দিলেন যাতে তার স্বামী বাধ্য হন সবসময় সত্যি নিজের মুখে বলতে।

তবে তিনি যা করছেন রিয়ার ভাল জন্য। রিয়াকে এই নরকের কিটদের হাত থেকে বাচানোর জন্য করছেন। রিয়ার সামনে সব সত্যি চলে আসে।।রিয়ার বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিল,সে বলে

রিয়াঃআমি এতদিন যাদের নিজের ভেবেছি তারা আমার আপনজন নয়। আমার মা আমার মা নয়,বাবা আমার নিজে নয়।এটা আমার ফ্যামিলিই নয়।তবে আমি কে?আমার তো কিছুই মনে নেই।কে আমি?

ভদ্রমহিলাঃতুমি মাইশা আহমেদ। তোমার বাবা মা খুব ভাল। তোমার ফ্যামিলি খুব ভালবাসে তোমায়।তোমার একটা ছোট বোন আছে নাম আমাইয়া।

রিয়াঃআমার পরিবার

কোথায় মামুনি?

ভদ্রমহিলাঃমা তুমি সব জানতে পারবে আস্তে আস্তে।এখন তুমি এখান থেকে পালাও।সবাই এখন ঘুমে।তাড়াতাড়ি কর।ওরা জেগে উঠা আগেই তোমাকে পালাতে হবে।

রিয়াঃকিন্তু মামুনি তুমি?

ভদ্রমহিলাঃআমার কথা ভেবে না।আমি যদি মরেও যাই এই শান্তি নিয়ে মরতে পারব আমার মেয়েটা সেখানে আছে ভাল আছে।এই নরকের কীটদের থেকে মুক্ত।যা মা চলে যা অনেকে দূরে। এরা যেন খুজে না পায়।

রিয়া পালিয়ে আসে অচেনা একটি শহরের। সেখানে তাকে কেউ চিনে না।সবকিছু অচেনা।এই শহরেই আবিদ থাকে ।ঘটনাক্রমে আবিদের সাথে দেখ হয় রিয়ার।আবিদ সবসময় রিয়ার পাশে থেকেছে।তার কঠিন সময়ে এই মানুষটিই তাকে হেল্প করেছে।রিয়া কে,কোথায় থেকে এসে কিছু জানতো না সে।কখনও রিয়াকে সে জিজ্ঞাসা করে নি।সময় যত যেতে থাকে তাদের সম্পর্ক আরো বেশি strong হতে থাকে।একদিন আবিদ তাকে বিয়ের জন্য propose করে কিন্তু রিয়া রাজি হয় নি।রিয়া বলে,

রিয়াঃএটা সম্ভব নয়।আমার পরিচয় জানলে আপনি আমাকে ঘৃণা করবেন মিস্টার আদিব।আপনি জানেন আমি কে?কি আমার পরিচয়?

আবিদঃ তুমি কি ভাবছে আমি তোমার সাথে time pass করতে এসব বলছি।তুমি কি ভাবলে যে, আমাদের রিলেশন এতটাই দূর্বল যে তাসের ঘরের মত একটা দুমকা হাওয়া এসে ভেঙ্গে দিয়ে যাবে।তোমার অতীতকে আমার বদলানো ক্ষমতা নেই।কিন্তু বর্তমানকে এমনভাবে সাজাতে চাই যাতে ভবিষ্যটা অনেক সুন্দর হয়।অতীতে ছায়া কখনও পড়বে না।

রিয়াঃমানে,আপনি?

আবিদঃআবিদ আহমেদের কাছে কিছুই গোপন থাকে না রিয়া। আসল নাম মাইয়া আহমেদ।সব জানি আমি।সব জানার পরও তোমার প্রতি আমার ভালবাসা এতটুকুুও কমে নি।বরং বেড়ে গেছে।আমার চোখে তোমার সম্মান আগের থেকে বেড়ে গেছে।তুমি খুব সাহসী একটা মেয়ে। জীবনের খুব কঠিন সময় পার করছ।সব নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছ। কাউকে বুঝতেও দাও না তোমার ভিতরে কি ঝড় চলছে?এমন একটা মানুষটাকে না ভালবাসে থাকা যায় কি?সম্মান ছাড়া এর মানুষটাকে দেওয়া মত কিছু নেই আমার কাছে। আর তাই আমি আমার সারাজীবন তোমার নামে করছি মিস মাইশা আহমেদ।

কিডন্যাপ

পার্ট #১১

মানুষ তার অতীতকে ভুলতে চেষ্টা করলেও তার অতীত তাকে পিছু ছাড়ে না কখনও। আর সেটা যদি হয় খারাপ অতীত তবে তো কথায় নেই।রিয়া মানে মাইয়া ভেবেছিল তার জীবনের সব কালো অন্ধকার সরে গিয়ে আলো এসেছে।জীবনটা এখন সুন্দর হবে।তার অতীতের ছায়া আর কখনও তাকে স্পর্শ করতে পারবে না। খুব হ্যাপ ছিল রিয়া।আদিব সাথে রিয়ার বিয়ে হল।দিনগুলো ভালই যাচ্ছিল তাদের কিন্তু রিয়ার অতীত আবার সামনে এসে দাড়াল।

রিয়ার বাবা,ভাই রিয়াকে খুজে বের করল।তারা এখন ভাল মানুষ হয়ে গেছে।রিয়াকে তার খুব ভালবাসে।তারা তাদের কাজের জন্য আজ অনুতপ্ত। রিয়ার সামনে তারা নাটক করে যাতে রিয়াকে তারা আবার তাদের হাতে আনতে পারে। রিয়া তাদের control চলে যায়।এবার তাদের লক্ষ্য রিয়া নয় আবিদ।আবিদ ছিল অনেক বড়লোক।এই শহরের নামী বিজনেসম্যানদের মধ্যে অন্যতম।তারা চেয়েছিল আবিদের সবকিছু তাদের হাতে নিতে।রিয়াকে দিন পর দিন বোকা বানাছি তারা। আবিদের খাবার সাথে তারা মেডিসিন দিত।এতে আবিদ মরবে না ঠিক কিন্তু তার organ আস্তে আস্তে কাজ করা বন্ধ করবে।বোকা রিয়া বুঝতেও পারছিল না কি হয়েছে এসব।রিয়ার বাসায় কাজ করেন যিনি তিনি রিয়াকে সন্দেহ করতে শুরু করেন।রিয়ার ভাই,বাবা বুঝতে পারেন মহিলাটি যখন রিয়াকে সন্দেহ করছেন,একদিন ঠিকই তার সন্দেহের কাটা ঘুড়ে ফিরে তাদের দিকে আসবে আর তাদের জন্য বিপদজনক। তারা চাইলেন পথের কাটাকে সরিয়ে ফেলতে তাই খুব কৌশলে তাদের এ কাজটা করা হবে। তার সেই plan ই করলেন একদিক তারা রিয়াকে বলেন,

বাবা(kidnaper) :রিয়া মা কিছু না মনে করল এটা কথা বলি?

ভাইয়াঃবাবা আমরা তো খারাপ মানুষ। অনেক অন্যায় করেছি।তবুও রিয়া আমাদের ক্ষমা করছে।আমরা তো এখন ভাল হয়ে গেছি আর আমরা থাকতে ওর কোন ক্ষতি হতে দিব না। কিছুতেই না বাবা। এখন চুপ করে থাকার সময় না।এটা আমার বোনের জীবনের প্রশ্ন, ওর স্বামীর---

বাবাঃচুপ কর তুই এসব কি বলছিস,তুমি রিয়াদ?😉

রিয়াঃবাবা,ভাইয়া কি হয়েছে?কি বলতে চাইছ তোমরা? প্লিজ বল , এভাবে চুপ করে থেকে না।

ওরে আমার বোকা বোনটা সরি নকল বোন আমার 😊এতকিছুর পরও আমাদের বিশ্বাস করছি😁এত বোকা তুই কি করে রে?খুব কষ্ট হয়েছে রে আমার চোখে পানি তো ধরে রাখতে পাচ্ছি না যে।😆😆😆মনে মনে এসব বলছে রিয়ার ভাই রিয়াদ।

বাবাঃমা রে তোকে আর কষ্ট পেতে দিবে না।তোর কোন ক্ষতি আমরা থাকতে হতে দিব না।তুই আজই তোদের বাসায় কাজের মহিলাটাকে বিদায় কর মা আমার। আমার কথা শোন।জানি আমরা অনেকে অন্যায় করেছি।অনেকে পাপ করছি।মানুষ মাএ তো ভুল করে তাই না মা আমার? আমরা ভাল হয়ে গেছি। মা আমাদের কথা বিশ্বাস কর মা এই মহিলাটাই আবিদের অসুস্থতার জন্য দায়ী।

রিয়াঃকি বলছ বাবা তুমি?

রিয়াদঃহ্যা বোন আমার, বাবা ঠিক বলছে।আমি নিজের চোখ দেখেছি।তুই আমাদের কথা বিশ্বাস কর লক্ষী বোন আমার।

রিয়া তার বাবা, ভাইয়ের কথায় বাসার কাজের মহিলাটিকে বাসা থেকে বের করে দেয়।রিয়ার খুব খারাপ লাগছিল তাই সে নিজে উনাকে উনার গ্রামে দিয়ে আসেন।এদিকে রিয়ার বাবা,ভাইয়ের পথে কাটা পরিষ্কার হওয়া আনন্দে দুই বাবা,ছেলে পার্টি করছিল।এমন সময় রিয়া আসে বাসায়।সে আড়াল থেকে সব শুনে ফেলে।তারা বলছিল,

বাবাঃমানুষ এতটা বোকা কিভাবে হয়?যদি রিয়াকে না দেখতাম তবে বিশ্বাসই হতো না যে, আজকের যুগের মানুষ হওয়া সত্বেও এতটা বোকা মানুষ হতে পারে😆😆😆

রিয়াদঃঠিক বলছ বাবা,মেয়েটি এত বোকা যে, আমরা যা বলব তাই বিশ্বাস করবে।একবার ভাবল না যে, এতবছর যারা তার ক্ষতি ছাড়া কিছুই করে নি।তার পরিবার থেকে আলাদা করেছে কে, আমরা তো বাবা?😆😆তা এই বোকা মেয়েটার একবারও তা ভাবল না।সত্যি বাবা আমি যে চোখের পানি ধরে রাখতে পাচ্ছি না।

বাবাঃরিয়াদ তুই পারিস ও😆😆😆😆

আবিদের খাবারে মেডিসিন মিশিয়েছিল কে?তার অসুস্থতার জন্য দায়ী কে?

রিয়াদঃকে আবার আমরা দুজন।বোকা রিয়া বুঝতে পারল না তা।মানুষ কিভাবে এতটা বোকা হয় বাবা?আমরা বলেছি যে, আমরা ভাল হয়ে গেছি তাতেই সে আমাদের বিশ্বাস করল😁😁বোকা বোন আমার সে তো জানেই না কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না।

বাবাঃঠিক তাই আমরা তো আবার বোনের শিকারী কুকুর।শিকার করা আমরা কি করে ভুল যাই?

এসব কি বলছে ওরা?সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। নেশা করেছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। নেশায় এসব আবোল তাবোল বকছে না তো ওরা?না এগুলো আবোল তাবোল নয় বা মিথ্যে নয়।শুনেছি নেশা করলে মানুষের ভিতরে লুকিয়ে থাকা আসলরূপ বের হয়ে আসে।তাহলে কি এটা আমার বাবা,ভাইয়ের আসল রূপ। ওরা আমার সাথে নাটক করেছে।আমার সরলতার সুযোগ নিলে এভাবে? ছি,ছি।আমি আবার এদের জালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছি।ঠিক বলছিস ভাইয়া তুই আমি সত্যিই বোকা, তা না হলে তোদেরকে আমি😭😭😭কান্নার সময় এটা নয় রিয়া, তোকে শক্ত হতে হবে।ওর game খেলেছে এতদিন এখন আমার পালা। যখন মানুষের ভালবাসার উপর কোন বিপদ আসে তখন সেই দূর্বল মানুষটিও যে কি হতে পারে, আর কি করতে পারে এবার তোরা বুঝবি ভাইয়া😡😡আবিদের property এক অংশও তোরা পাবি না।তোদের চোখে সামনে থেকে আবিদ কিভাবে গায়েব হয়ে যাবে তা তোরা বুঝতেও পারবি না।আদিব তোমাকে কথা দিচ্ছি তোমার কোন ক্ষতি হবে না আজকের পর থেকে।

রিয়া বাসা না ঢুকে সোজা চলে যায় আদিবের ফ্যামিলি Lawyer এর কাছে।উনী আদিবের বাবার বন্ধুও ছিলেন।তাই তিনি আবিদের পরিবার সম্পর্কে সব জানতেন তিনি।রিয়াকে তিনি ভালভাবে চিনতেন।রিয়া ওনার সাথে দেখা করে সব কিছু জানল।এই মূহুর্তে কেউ যদি হেল্প করতে পারেন সেটা হলেন উকিল কাকু।আর তিনি খুব বিশ্বস্ত লোক ছিলেন। রিয়ার প্লেনে অনুযায়ী উকিলকাকু পরের দিন বিকালে আদিবের বাসায় যান।তিনি রিয়াকে তার বাবা,ভাইয়ে সামনে আদিবের বাবার বানানো উইল পড়ে শোনান,তাতে লেখাছিল সমস্ত সম্পত্তির একমাত্র মালিক সিহাব আহমেদ। আদিবকে তার বাবা কিছু দেন নি।কারণ আদিব তার নিজের ছেলে নয়।এসব জানার পর রিয়ার বাবা, ভাই ভীষণভাবে রেগে যান।কারণ তাদের এতদিন কষ্ট সব জলে গেল।তারা আবার নতুন প্লেন করলেন।এটা খুব ভয়াবহ ছিল।তারা কি করবে তা রিয়া এবারও আড়াল থেকে শুনে আর সেই অনুযায়ী নিজের প্লেন করে কিভাবে আদিবকে এই বাসা থেকে সরানো যায়।

রিয়া উকিলকাকু ফোন দিয়ে বলে,

রিয়াঃউকিলকাকু আমি রিয়া বলছি।এটা আমার নতুন নাম্বার। আমার অাগের নাম্বার দিয়ে ফোন করছি না কারনটা তো আপনি জানেন।আমার বাবা,ভাইয়া খুব চালকা।শিয়ালের চেয়ে বেশি শয়তানি বুদ্ধি তাদের মাথা।কোন ভাবে যদি জেনে যায় তবে আদিবকে বাঁচতে পারব না।উকিল কাকু এই শেষবার মত হেল্প করেন প্লিজ।

উকিলকাকুঃএটা কি বলছো মা?আদিবের বাবা আমার ছোটবেলার বন্ধ। আদিবের পরিবার আমার জন্য কি না করছে।আজ সময় এসেছে তাদের ঋণ পরিশোধ করা আর আমি বিপদের ভয়ে পিছিয়ে যাব, এতটা অকৃতজ্ঞ তোমাদের উকিলকাকু নয় মা।বল মা, কি করতে হবে?

7
$ 0.00
Avatar for Pami
Written by
3 years ago

Comments

Nice

$ 0.00
3 years ago

Nice...plz back

$ 0.00
3 years ago

আদিবের পরিবার আমার জন্য কি না করছে।আজ সময় এসেছে তাদের ঋণ পরিশোধ করা আর আমি বিপদের ভয়ে পিছিয়ে যাব, এতটা অকৃতজ্ঞ তোমাদের উকিলকাকু নয় মা।

$ 0.00
3 years ago

মজার গল্প

$ 0.00
3 years ago

Nice article

$ 0.00
3 years ago

ধন্যবাদ বন্ধু ভালো একটা ইয়ার লিখেছে না ওটা পড়ে আসলে আমরা আপনার প্রতিটি অধ্যায়ে পশ্চিমে ভালো লাগতেছে

$ 0.00
3 years ago

অনেক মজাদার গল্প। ধন্যবাদ আপনাকে।

$ 0.00
3 years ago