অন্বেষা:ঠিক আছে,খালামুনি।আমি তাহলে বের হচ্ছি।মনে করে ডাক্তার চাচুকে কল দিও কিন্তু।আমি আসছি।
অন্বেষা বাসা থেকে বের হয়ে যায়।সে রাস্তায় হাটছে এখন।হাটতে হাটতে কিছু দূর যেতেই অন্বেষার চোখ যায় এক মা ও তার সাথে থাকা সন্তানের দিকে।বাচ্চাটি খাবারের জন্য খুব কাঁদছে। অসহায় মা তার সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে পাচ্ছেন না।তার চোখের পানি বাধ মানছে না।তিনি তার চোখের পানি শাড়ী দিয়ে মুছে যাচ্ছেন।অন্বেষা আসার সময় তার খালামুনি তাকে খাবার প্যাক করে দিয়েছিলেন।অন্বেষার সেটার কথা মনে পড়ে।সে তার ব্যাগ থেকে খাবার বের করে বাচ্চাটিকে দিয়ে বলল,
অন্বেষা:এটা নাও।আশা করছি তোমার ভাল লাগবে।আর আপনি এই টাকাগুলো রাখুন।আপনাদের জন্য কাপড় কিনে নিবেন।পড়নের কাপড়গুলো তো ছিঁড়ে গেছে।
বাচ্চাটির মা:আপনি অনেক ভালা আপা।আজকাল মানুষ তো আমাদের দেখেও নাও দেখার মত করে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।আর আপনি আমাদের দিকে আপনার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আপা।আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
অন্বেষা:দোয়া করবেন আমার জন্য।আজ তবে আসছি।আবার আসব, কেমন।
অন্বেষা অনেক কষ্টে বাস ধরল।সে Interview শেষ করে এখন বাসায় ফিরছে।হাটার সময় তার বার বার মনে হচ্ছিল তাকে কেউ follow করছে।তাই সে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে চারপাশটা।
অন্বেষা: এমন কাউকে তো আমার চোখে পড়ছে না যাকে দেখে মনে হবে যে,সে আমায় follow করছে।সবাই তো নিজেদের কাজের ব্যস্ত।May be আমার মনের ভুল এটা।
অন্বেষা তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করে।বাসায় প্রবেশ করার পর অনেকটাই চমকে যায় সে।সে এখন বুঝতে পারছে যে, তাকে surprise দিতেই সবাই সকাল থেকে তার সাথে নাটক করছিল।অন্বেষার বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন সবাই আসছে তার birthday party তে।অন্বেষার চোখে যে শুধু তার বাবাকেই খুঁজে যাচ্ছে।কিন্তু সে দেখতে পাচ্ছে না তাকে। সে তার খালামুনিকে বলল,
অন্বেষা:খালামুনি, বাবা কোথায়?এখনও আসে নি?কখন আসবে আমার বাবা?
খালামুনি:না মামুনি।তোমার বাবা আসতে পারেন নি।তুমি তো জান উনী কতটা ব্যস্ত।উনী free হলেই দেখা করতে আসবেন তোমার সাথে। তুমি মন খারাপ কর না মামুনি।
অন্বেষা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে। সে ভাবে নিশ্চয়ই আসবে তাকে দেখতে।কিন্তু না তার বাবা আসেন , না উনী অন্বেষার জন্য কোন গিফট পাঠিয়েছেন।অন্বেষা যাতে কষ্ট না পায়,তার জন্য তার খালা খালু গিফট কিনে তার বাবা পাঠিয়েছেন বলে মিথ্যে সান্ত্বণা দেন।আজ সেটা অন্বেষা ভালভাবেই বুঝতে পারে। কিন্তু সেটা তাদের মন রক্ষার্থে কিছু বলে না সে ।
চমৎকার গল্প এমন গল্প আরো পেতে চাই।