রাইটার#দিলরুবা হাসান পামি
আজ তোমার কথায় খুব মনে পড়ছে, নীল।কোথায় তুমি?
কে এই নীল? নীলের সাথে কি বা সম্পর্ক অন্বেষার? জানতে চান তো।তবে শুনেন, নীলের আম্মু ছিলেন খুবই সুন্দরী।বাহ্যিক সৌন্দর্যের থেকে উনার ভিতরটা ছিল বেশী সুন্দর।তিনি খুব ভাল মনে মানুষ।তিনি একজনকে খুব ভালবাসতেন। উনার পরিবার যখন তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তখন তারা মেনে নেয় নি ।নীলের আম্মুকে পরিবারের জন্য নিজের ভালবাসাকে বিসর্জন দিতে হল।উনার বিয়ে হয় এমন একজনের সাথে যে মানুষরূপে শয়তান।এমন কোনদিন নেই যে,তিনি নেশা করে এসে নীলের আম্মুকে মারের নি।এভাবে কাটতে থাকে সময়। নীল আম্মু একদিন বুঝতে পারেন তিনি conceive করেছেন।তিনি ভেবেছেন উনার husband সন্তানের কথা শুনে বদলে যাবেন।কিন্তু সেটি হল না।উনার husband যখন জানতে পারেন তখন তিনি Abort করতে বললেন নীলের মাকে।যদি তিনি উনার againstএ যান, তবে তিনি নীলের মাকে divorce দিবেন।কিন্তু তিনি তো মা।কি করে নিজের সন্তানকে মারতে পারেন।তাই তিনি এক কাপড়ে সংসার ছেড়ে চলে যান। বাবার বাড়িতে আসার ২দিন পর নীলের বাবা উনাকে ডিভোর্স দেন।সবাই জানতে পারেন এই সন্তান উনার স্বামীর নয় তাই উনী divorce দিতে বাধ্য হয়েছেন।নানান প্রতিকূলতার মাঝে তিনি নীলকে মানুষ করতে থাকেন। এর মাঝে অন্বেষা আসে তার খালার বাসায় থাকার জন্য।অন্বেষার খালার বাসার পাশের বাসাটি নীলের নানুর ।সেখানেই তার মা ও নীল থাকতো।একদিন অন্বেষা জানালায় দাড়িয়ে দেখতে পায় কয়েকজন ছেলে মেয়ে একজন cute,innocent ছেলের সাথে খুব বাজে আচরণ করছে।সে তাদের সাথে খেলতে চায় কিন্তু তারা তাকে খেলতে নিচ্ছে না।তাকে তারা ক্ষেপানোর জন্য বলছে,
তারা:নীলের কোন বাবা নেই,নীলের বাবা নেই।
অন্বেষা বাসা থেকে বের হয়ে আসে। তাদের উদ্দেশ্যে বলে,
অন্বেষা:কি সমস্যা তোমাদের?কেন এমন করছো ওর সাথে?
তারা:আমাদের বাবা মা ওর সাথে মিশতে না করেছে।কেননা আমরা ওদের মত নই।
অন্বেষা:খবরদার,next time এমন আচরণ করেছ তো তোমাদের কপালে অনেক দুঃখ আছে।এসো নীল।তোমাকে ওদের সাথে খেলতে হবে না।আমি আছি তো তোমার বন্ধু।
নীল:বন্ধু?তুমি আমার বন্ধু,সত্যি?
অন্বেষা:হ্যা,আজ থেকে আমরা friends,Okay?
নীল:Okay.তোমার নাম কি?
অন্বেষা:আমার নাম অন্বেষা,নীল।
নীল: অন্বে---ষ।অনেক কঠিক নাম তোমার।আমি বলতে পারছি না তো।আমি তোমায় মায়াবিনী বলে ডাকতে পারি?
অন্বেষা:🤣🤣 ঠিক আছে Friend.তোমার যে নামে ডাকতে ইচ্ছে করবে সেই নামেই ডাকতে পারবে। No problem.
নীল আজ খুব হ্যাপ কেননা,কেউ প্রথম এইভাবে তার পাশে দাঁড়িয়েছ।সে আজ একজনকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছে।অন্বেষা নীলকে promise করেছিল যে, সে সবসময় তার পাশে থাকবে।কখনও তাকে ছেড়ে যাবে না।ভালই কাটছিল তাদের দিনগুলো।কিন্ত suddenly নীলের আম্মু মারা যান।উনার মৃত্যুর পর নীলের বাবা নীলকে নিয়ে যান তার সাথে।কেননা তিনি কখনও বাবা হতে পারবেন না।একদিন যে সন্তানকে তিনি অস্বীকার করেছেন আজ তারই প্রয়োজন হয়েছে উনার।মানুষ সব ভুলে গেলেও সময় কিছুই ভুলতে পারে না।মানুষের কর্মের ফল তাকে ঠিকই দিবে।মহান আল্লাহ উনার বাবা হওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন।সেই কারণে উনার second wife উনাকে divorce দিয়ে চলে যান।নীল এখন উনার একমাএ অবলম্বন । আলাদা হয়ে যায় নীল অন্বেষা।সময় সাথে সাথে কখন যে, বন্ধুত্ব ভালবাসায় পরিণত হয় সেটা বুঝতে পারে নি অন্বেষা।অন্বেষা নীলের জন্য অপেক্ষা করছে।সে একদিন ঠিক আসবে।আবার তার মনে হয় সব শেষ হয়ে গেছে।নীল ভুলে গেছে তার মায়াবিনীকে।
সত্যি কি নীল ভুলে গেছে নীল তার বন্ধুকে?তার মায়াবিনীকে? অন্বেষা কি কখনও জানতে পারবে যে, তার বস প্রিন্সই তার নীল?সেটা না হয় সময়ের উপর ছেড়ে দেই😊😊
Nice story