Writer #Delruba Hasan Pami
অন্বেষা আগের দিন অফিস করে তার বসের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী শপিং কর। পরেরদিন সে সকাল সকাল তার বসের বাসায় চলে যায়।অনেকবার কলিংবেল দিয়েও কোন কাজ হল না।নবাবপুএ এখনও নিশ্চয়ই ঘুমে।দাড়াও মজার দেখাছি।এই বলে সে কলিংবেল বাজিয়ে চলে। কলিংবেলের শব্দে অন্বেষার বসের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
প্রিন্স-Who are u?
অন্বেষা-I am ur new Assistant boss
প্রিন্স-Are u crazy?Miss.Assistant.এতসকালে কেন এসেছ?
অন্বেষা -বস আপনার বাসায় কি ঘড়ি নেই?
প্রিন্স-তুমি খুব বাচাল একটা মেয়ে। এত কথা কিভাবে বলতে পার?তুমি কি আমাকে ভয় পায় না Miss Assistant?আর তোমাকে কে বলেছে আমার বাসায় ঘড়ি নেই।
অন্বেষা -ঘড়ি থাকলে আপনার তো দেখা উচিত ছিল কয়টা বাজে।এই যে দেখুন কয়টা বাজে?
বলে সে তার হাতের watch টি তার সামনে ধরে।
প্রিন্স-ওহ মাএ ৯ঃ৩০ বাজছে।আর শোনা এত সকালে কখনও আসবে না।আমার ঘুমের disturb হয়।বুঝলে?
অন্বেষা-নবাবপুএ😈😈।তার ঘুমের সমস্যা হয়।আর কারোও তো ঘুমের দরকার নেই। সে খুব আস্তে এসব কথা বলে।
প্রিন্স-কিছু বলে Miss Assistant?
অন্বেষা ঃআমার নাম অন্বেষা। plz call my name.আর আমি আপনাকে কিছু বলি নি তো?
প্রিন্স-মনে হল তুমি কিছু একটা বলেছ?
অন্বেষা -কোথায়, আমি তো কিছুই বলি নি।
ও তুমি কিছুই বল নি।তা হলে আমি শুনতে ভুল করেছি।যাই হোক এই চাবিটা রাখ।যখন দরকার হবে তখন তুমি গেইট খুলে আসতে পারবে।আমি তো জানি তোমাকে না করার পরও তুমি তা শুনবে না।তার থেকে ভাল এটা রাখ তোমার কাছে।আর হ্যা সামনে গেইট দিয়ে next time আসবে না।পিছনে একটা গেইট আছে সেটা দিয়ে আসবে।বুঝেছ?clear
অন্বেষা -yes boss.
তারপর সে কোথায় কি রাখবে তা প্রিন্সের কাছে থেকে শুনে নিয়ে সেভাবে জিনিসপত্র সেট করে।তার পিছনে পিছনে প্রিন্স ঘুরছে।অন্বেষা তাতে বিরক্ত হয়ে তাকে বলে
অন্বেষা-বস প্লিজ আপনি বসুন।আমি আমার কাজ ভালভাবে করতে জানি।যদি কিছু প্রয়োজন হয় তখন না হয় আপনাকে ডেকে নিব।প্লিজ আপনি বসুন।
প্রিন্স- ওকে মায়াবিনী। ওহ সরি অন্বেষা।
অন্বেষা তার মুখে মায়াবিনী নামটি শুনে চমকে উঠে।কারণ এই নামটি তো কারোও জানার কথা না।একজন ছাড়া কারণ মায়াবিনী নামটা তো তারই দেওয়া।তার ছোটবেলা সেই বন্ধ। যার নাম নীল,তার মা তাকে নিয়ে নীলের নানার বাসায় থাকতেন। কারণ তার বাবা মার ডিভোর্স হয়েছিল।তার কারণ হচ্ছে নীল। কেন বলছি এমন তার জানতে চান তো, তবে শোনেন
নীলের মা দেখতে খুবই সুন্দরী, উচ্চ শিক্ষিত একজন ভদ্র ফ্যামিলির মেয়ে ছিলেন। তিনি ছিলেন ওনার বাবা মার একমাএ সন্তান ।একজনকে ওনী খুব ভালবাসতেন কিন্তু তার পরিবার তার ভালবাসার মানুষটিকে মেনে নেয় নি।কারণ তিনি তাদের থেকে গরিব ছিলেন।উনার পরিবার উনার বিয়ে অন্য জায়গায় ঠিক করেন।নীলের মা বাধ্য হয়ে তিনি এই বিয়েটা করেন।বিয়ের পর অশান্তি শুরু হয়।প্রতিদিন উনার husband নেশা করে এসে ওনাকে মরতেন।অনেক বাজে আচরণ করতেন তার সাথে।এভাবে কেটে যায় একটি বছর।তিনি জানতে পারেন তিনি মা হতে চলেছেন।নামায পড়ে তিনি আল্লাহ কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।তিনি ভেবেছিলেন আল্লাহ উনার দিকে এবার মুখ তোলে তাকিয়েছেন। কিন্তু না তার জন্য যে তিনি আরোও কঠিন পরিক্ষা ঠিক করে রেখেছেন তা তিনি জানতেনই না।তার স্বামী যখন জানতে পারেন তখন তাকে abortion করতে বলেন। যদি তিনি তার কথা না শোনেন তবে সে মানুষকে বলবেন,এটা তার বাচ্চা নয়।কিন্তু তিনি তো মা। একজন মা কি করে পারেন তার বাচ্চাকে নষ্ট করতে।সেদিন তিনি এক কাপড়ে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন।তার কিছুদিন পর তার স্বামী তাকে ডিভোর্স দেন।তারপর নানান প্রতিকুলতার মাঝে তিনি তার সন্তানকে পৃথিবীর মুখ দেখান।সমাজের চোখে তিনি হলেন নষ্ট মেয়ে মানুষ।অনেক পুরুষের সাথে উনার নাকি সম্পর্ক। আহারে আমাদের সমাজ।single mother এর সন্তান বলে তার সাথে কেউ কথা বলতো না।তার কোন বন্ধু ছিল না।সেসময় অন্বেষা তার খালার বাসায় আসে।সে দেখ একটি কিউট একটি ছোট ছেলে দাড়িয়ে আছে আর বাকি বাচ্চারা তাকে ক্ষেপাছে।এই বলে নীলের বাবা নেই ।অন্বেষা তাদেরকে থামিয়ে বলে
অন্বেষা -থাম তোমরা,এসব কি করছ?
বাচ্চারা -জান না নীলের বাবা নেই।আমাদের মা আমাদের বলেছে ওর মা খারাপ তাই ওর সাথে না মিশতে।ও সব সময় আমাদের সাথে খেলতে চায়।
অন্বেষা - খরবদার ওর সাথে এমন ব্যবহার করবে না তোমরা।চল আমার সাথে।তোমার নাম কি?
নীলঃআমার নাম নীল।তুমি নাম?
অন্বেষা ঃআমার নাম অন্বেষা।
নীল-ও খুব কঠিন নাম।আমি তোমাকে মায়াবিনী বলে ডাকব কেমন?তুমি আমার বন্ধু হবে?জান আমার সাথে কেউ কথা বলে না।কেউ আমার সাথে খেলে না।আমার খুব কষ্ট হয়।
অন্বেষা আচ্ছা ঠিক আছে তুমি আমাকে সেই নামেই ডেকে।আজ থেকে আমরা বন্ধু।আমরা সবসময় একসাথে থাকব।কখনও আলাদা হব না।promise
সেদিন নীল খুব হ্যাপি হয়েছিল কারণ তার পাশে কেউ এই প্রথম এভাবে দাড়িয়েছি,সেখান থেকে তাদের friendship শুরু।এভাবে কাটতে থাকে সময়।নীল অন্বেষার থেকে ২বছরের বড় ছিল।নীলের যখন ১৫ বছর তখন তার ইঠাত মা মারা যান। ওনার মৃত্যুর পর নীলের বাবা তাকে নিয়ে যান। যে সন্তানকে একদিন তিনি অস্বীকার করে ছিলেন আজ তারই দরকার হল।সবই আল্লাহ ইচ্ছে। তার 2nd wife তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।তার কারণ হয়েছে নীলের বাবার জন্য তিনি কখনও মা হতে পারবেন না।তিনি একদিন নীলের মাকে তার বাচ্চা নষ্ট করতে বলেছিলেন। তারই শান্তি আল্লাহ নীলের বাবাকে দিয়েছেন। তার বাবা হওয়ার ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে।মানুষের কর্মের ফল যে এইভাবেই আল্লাহ মানুষকে দেন।সত্যি আল্লাহ মহান। নীল, অন্বেষা আলাদা হয়ে যায়।তবুও অন্বেষার মনে নীল ছিল সবসময়।তাকে সে আজও ভুলতে পারে নি। সে আজও নীলের জন্য অপেক্ষা করে। নীল তার জীবনে ফিরে আসবে।
অন্বেষা -নীল কোথায় তুমি?আজ অনেক বছর পর এই নামে আমাকে কেউ ডাকল।খুব মিস করি তোমাকে।আমার কথা কি তোমার মনে নেই?
প্রিন্স- Miss assistant আমি shower নিতে যাচ্ছি। আমার breakfast ready কর।আমি এসে breakfast করব।
অন্বেষা -😈😠কি ভেবেছেন আমাকে? আমি আপনার servant?আপনার খাবার আপনি Ready করেন।আমি যাচ্ছি।
প্রিন্স-মায়াবিনী দাও প্লিজ।এই দেখ আমার হাতের অবস্থা। এই জন্য তোমাকে বলছি।প্লিজ মাইন্ড কর না।
জীবনের খুজে#
৪থ পর্ব (সমাপ্তি)
অন্বেষা নীলের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখছে।না মানুষটি মিথ্যে বলছে না তো। মনে মনে সে বলে।তারপর সে নীলকে বলল,
অন্বেষা - Oh My God boss.আপনার হাতটা তো অনেকটাই কেটেছে। কিভাবে কাটল?
প্রিন্স-ও মানে😌আমি?
অন্বেষা-হয়েছে আর বলতে হবে না।আপনি চুপ করে বসুন এখন। আমি আপনার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি।
বলে সে তার ব্যাগ থেকে স্যাভলন,scissor (কাঁচি), ব্যান্ডেজ বের করে।সে সবসময় তার সাথে এসব carry করে।প্রাথমিক চিকিৎসা যা একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে।তার খালামুনি তাকে এসব শিখিয়ে ছিল।
প্রিন্স- আহ,কি করছ অন্বেষা? আমার লাগছে।
অন্বেষা - বস আমি তো আপনাকে হেল্প করতে চেষ্টা করেছি। সরি বস।আমাকে ক্ষমা করবেন।আমি আপনাকে আঘাত করতে চাই নি।আপনার খুব লেগেছে না বস?
অন্বেষা নীলের ডান হাতে ব্যান্ডেজ করছিল।ইঠাত নীল তার বাম দিয়ে অন্বেষার হাত ধরে।অন্বেষার হাত সে তার বুকে যেখানে heart থাকে সেখানে ধরে বলে,
পিন্স-আমার হাত কেটে গেছে,সেটার যন্ত্রণা তুমি দেখতে পারছ।কিন্তু এখানে যে যন্ত্রণা হচ্ছে তা তুমি কেন দেখতে পারছ না?
অন্বেষা নীলের কাছে থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে তাকে বলল
অন্বেষা -এসব কি বলছেন আপনি বস?আমি আপনাকে হেল্প করতে চেষ্টা করছি। আর আপনি? ছি! বস। আপনি এতটা খারাপ।আপনি কি করে এসব ভাবলেন? ছি!
প্রিন্স- আমি আমার মনে কথাগুলো তোমাকে বলছি। তা বলা কি কোন অপরাধ ? আমি কি তোমার সাথে এমন কিছু করেছি, যার জন্য তুমি আমাকে খারাপ মানুষ ভাবলে।বল, উওর দাও।😠😠
অন্বেষা -দেখুন বস।আপনি ভাল বা খারাপ তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আর আমি একজনের কাছে committed।
প্রিন্স-কে সে? আমি কি জানতে পারি তার নাম?
অন্বেষা চুপ করে দাড়িয়ে আছে।
প্রিন্স-দেখ অন্বেষা , আমি কথা দিচ্ছি তোমাকে। আমি আজকের পর থেকে আর এভাবে কখনও disturb করতে আসব না।কিন্তু আমার তো জানার অধিকার আছে, Who is lucky man?যার জন্য তুমি আমাকে rejected করছ?প্লিজ বল।
অন্বেষা -আমার ছোটবেলা বন্ধ,নীল। যখন আমি ভালবাসা কি,ভালবাসার কি মানে জানতাম না তখন থেকেই তাকে ভালবেসেছি।আজও ভালবাসি।
প্রিন্স- সে কোথায় থাকে?এই শহুরের সে, নাকি বাইরের?
অন্বেষা -সে কোথায় আছে আমি তা জানিনা। সে ফিরবে কি না আমার কাছে তাও জানি না।তবুও আমি তার জন্য অপেক্ষা করি, আর সারাজীবন করব।
প্রিন্স-যদি সে না ফিরে,তবে?
অন্বেষা -যদি সে না ফিরে আমার কাছে তবে জানি না আমি কি করব?মায়াবিনী শুধু এটাই জানে সে তার নীলের ছিল আর সারাজীবন তারই থাকবে।জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে তার নীলের জন্য অপেক্ষা করবে।
নীল-মায়াবিনী তোমার নীল যে তোমার চোখের সামনে আছে। কি করে তাকে তুমি চিনতে পারলে না? আর আমি তো ভেবে ছিলাম তুমি তোমার নীলকে ভুলে গেছ।আমি ভুল ভেবেছি। আমি কি করে ভুলে গিয়েছিলাম? মায়াবিনী তার নীলকে যে কখনও ভুলতে পারে না।তুমি আমার সেই ছোট মায়াবিনীই রয়ে গেছ।কোন change আসে নি তোমার মাঝে।আমিও যে তোমাকে পাগলের মত ভালবেসেছি।বিদেশে থাকাকালীন হাজার লোকের ভিতরেও যখন নিজেকে খুব একা লাগতো।তখন তোমার কথা খুব মনে পড়তো।মনে হতো তোমার কাছে দৌড়ে ছুটে আসি।জান মায়াবিনী দেশে ফিরার পর আমি তোমাকে দেখতে চেয়েছি।তাই তোমার birthday তে তোমাকে দেখতে যাই but তোমার সামনে যাওয়া সাহস হয় নি আমার।আমার মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ ছিল। তুমি যদি আমাকে না চিনতে পার।তোমার লাইফে যদি নতুন কেউ আসে?।কিন্তু কোন অধিকার নিয়ে তোমার সামনে যাব?অচেনা একজন মায়াবিনীকে তার জন্মদিনে সকাল থেকে follow করেছিল সেটা ছিলে নীল।
এসব শোনার পর অন্বেষা নিজেকে আর control করতে না পেয়ে সে কেদে ফেল।
নীল -প্লিজ কেদ না মায়াবিনী।আমি তোমাকে এভাবে কষ্ট দিতে চাইনি plz don't cry.
অন্বেষা -Don't touch me?আপনি আমার নীল নন।আমি নীল হতেই পারেন না? নীল কখনও তার মায়ািনীকে এভাবে কষ্ট দিতে পারে না।আপনি আমার নীল নয়, নন আপনি😭😭আপনি তো এখন প্রিন্স। তাই আপনি আমাকে এভাবে কাদাতে পারলেন।এতদিন চোখের সামনে থাকার পরও আপনি আমার সাথে অচেনা মানুষের মত আচরন করে গেছেন।আপনি আমার নীল নন।আমার নীল তো এমন ছিল না?
প্রিন্স- sorry মায়াবিনী।এই যে দেখ আমি কানে ধরছি।প্লিজ কান্না কর না।
বলে তাকে জড়িয়ে ধরে।অন্বেষা ঃ Ah!করছেন এটা কি?এভাবে পরনারীকে স্পর্শ করতে নেই যে।
নীল-মানে?
অন্বেষা-পর পুরুষের স্ত্রী লিঙ্গ।
প্রিন্স- Oh My God.মায়াবিনী। ঠিক আছে ধরব না এভাবে।Legally তোমাকে আমার করি তারপর না হয়?😉
অন্বেষা- পাঁজি, বদমাইশ ছেলে।যাও তোমার সাথে আমার কোন কথা নেই।প্রিন্সঃOh my goodness। prince এর উপর তো তার princess দেখছি ভীষণ রেগে আছে। তা prince কি করবে?🤔 যাতে Princess এর রাগ গলে পানি হয়ে যাবে?waitআমি আসছি।সে তার রুমে চলে যায় আর যখন ফিরে তখন তার এক হাতে diamond ring আর আরেক হাতে একটি পুতুল ছিল। ডরিমন যা অন্বেষার ভিষণ প্রিয় ছিল। এতটাই প্রিয় ছিল যে তার রুমের bed cover,Pillow cover,dolles সবকিছুতে ডরিমনের ছিল। অন্বেষার যতই রাগ অভিমান করে থাকুক না কেন, এটা পেলে তার রাগ অভিমান গলে পানি হয়ে যায়।প্রিন্স তা ভালভাবে জানে। তবুও তাকে পরীক্ষা করতে তার সামনে diamond ring ধরে। তাকে proposes করল।
নীল-Wiil u marry me?কিন্তু অন্বেষা বলল তাকে
অন্বেষা -তুমি কি ভেবেছ এভেবে তুমি আমার অভিমান ভাঙ্গাবে?এতটা সহজ? বস।Try Again. আমি যাচ্ছি এখন। বাই,বাই।নীলের আরেক হাতে থাকা ডরিমন পুতুল যেটা সে এতক্ষণ লুকিয়ে রেখেছিল।সে ডরিমন পুতুল বের করে অন্বেষা সামনে ধরে বলে
নীল-ছোট মায়াবিনী দেখ এটা কি?
অন্বেষা -Ah,আমার ডরিমন।দাও প্লিজ নীল।প্লিজ দাও।সে বাচ্চাদের মত করছে। তুমি যা বলে করব। একবার নয় হাজার বার তোমাকে বিয়ে করব। প্লিজ দাও না নীল।
প্রিন্স তার হাতের পুতুলটা তার মায়াবিনীকে দিয়ে বলে,
নীল-আমি মনে হয় পৃথিবীর প্রথম ব্যক্তি যে তার ভালবাসার মানুষটিকে ডরিমনের পুতুল দিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করিয়েছে।ইতিহাসের পাতায় আমাদের নামটা তে স্বর্ন অক্ষরে লেখা উচিত।মানুষের gf /wife দামিgift পেতে খুশি হয় আমারটা দেখ কম দামীতেই কতটা খুশি।এই জন্য আমি তোমাকে মায়াবিনী বলে ডেকেছিল।সত্যিতুমি মায়াবিনী তোমার মত কেউ হবে না। যে আমাকে এতটা ভালবাসবে। তারপর তারা কিছুদিন পর বিয়ে করে সবার অনুমতি নিয়ে।অন্বেষার বাবা অন্বেষার ব্যাপারের কিছু শুনতে চান না।যাকে তিনি ঘৃণা করতেন।তার ওয়াইফের মৃত্যুর জন্য অন্বেষাকে দায়ী করতেন।তিনিও তাদের বিয়েতে আসেন।নীল অন্বেষার বাবাকে বুঝিয়েছে তাকে বাধ্য করছে অন্বেষাকে accept করতে।হাজার হলেও তিনি তো বাবা। জন্মদাতা পিতা কি তার সন্তানের উপর রাগ করে থাকতে পারে? পারে না।নীলের জন্য অন্বেষা তার বাবাকে ফিরে পেয়েছে।মায়াবিনী এখন তার নীলের সাথে অনেক সুখে আছে।
Nice