পাবনার জন্মবার্ষিকী

1 9
Avatar for Nly09
Written by
4 years ago

শুভ জন্মদিন পাবনা 💜

আজ পাবনার ১৯২ তম জন্মবার্ষিকী।

→সংক্ষেপে তুলে ধরছি পাবনা জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য :

১৮২৮ সালের ১৬ অক্টোবর পাবনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর চার বছর পর ১৮৩২ সালে জয়েন্ট ম্যাজিষ্ট্রেটের পরিবর্তে ডেপুটি কালেক্টর নিয়োগের মাধ্যমে পাবনা পায় পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা।

কেউ কেউ বলেন, পুন্ড্রবর্ধনের বংশধর রাজা জয়বর্ধনের আমলে পাবনা শহরের পাঁচ মাথা দুর্গামন্দির (বর্তমানে সোনাপট্রি) স্থানে পান্ডবভূমির একটি সাব-কাচারী বাড়ি ছিল। পান্ডব প্রশাসনের বৈঠকখানা কেন্দ্রীক একটি জনপদ গড়ে উঠলে স্থানটির নামকরণ হয় পান্ডবখানা। উচ্চারণের সুবিধার্থে কালক্রমে পান্ডবখানা শব্দ থেকে ‘ন্ড’ এবং ‘খা’ বর্ণগুলো লোপ পেয়ে কালের বিবর্তনে ‘পাবনা’য় রূপান্তর হয়।

সামন্তরাজ্য ‘পদুবম্বা’ থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি ঘটেছে এ মতও অনেকে পোষণ করে থাকেন। পাবনা জেলা রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ সৃষ্টি করেছে। এটি ২৩°৪৮′ হতে ২৪°৪৭′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০২′ হতে ৮৯°৫০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। এর উত্তর দিক ঘিরে আছে সিরাজগঞ্জ জেলা আর দক্ষিণে পদ্মা নদী একে রাজবাড়ী ও কুষ্টিয়া জেলা হতে পৃথক করেছে। এর পূর্ব প্রান্তদিয়ে যমুনা নদী বয়ে গেছে এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা। পাবনার আমিনপুর থানার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে এসে পদ্মা ও যমুনা নদী পরস্পর মিলিত হয়েছে।

→আয়তন: ২,৩৭১.৫০ বর্গকিমি; ৯১৫.৬৪ বর্গমাইল

জনসংখ্যা (২০১১): ২৮,৬০,৫৪০

জনঘনত্ব: ১,২০০/বর্গকিমি (৩,১০০/বর্গমাইল)

সাক্ষরতার হার: মোট ৯৮.৪৭%

উপজেলার সংখ্যা: ৯টি

থানার সংখ্যা: ১১টি

পৌরসভার সংখ্যা: ১০টি

গ্রামের সংখ্যা: ১,৫৪৯টি

ইউনিয়নের সংখ্যা: ৭৪টি

→দর্শনীয় স্থান সমূহ:

গাজনার বিল (সুজানগর),

লালন শাহ্ সেতু (ঈশ্বরদী),

হার্ডিঞ্জ ব্রীজ (ঈশ্বরদী),

পাবনা মানসিক হাসপাতাল,

জোড় বাংলা মন্দির,

তাড়াশ ভবন,

ক্ষেতুপাড়া জমিদার বাড়ি,

শিতলাই জমিদার বাড়ি,

তের জমিদার বাড়ি (বেড়া),

শাহী মসজিদ (চাটমোহর),

জোড় বাংলা মাজার (ভাঙ্গুড়া),

সমাজ শাহী মসজিদ,

আজিম চৌধুরীর জমিদার বাড়ি (দুলাই),

তাঁতীবন্দ জমিদার বাড়ি,

শাহী মসজিদ (ভাড়ারা),

শ্রী শ্রী অনুকৃল চন্দ্র ঠাকুরের আশ্রম (হেমায়েতপুর),

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস (পাকশী, ঈশ্বরদী),

বাংলাদেশ ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (ঈশ্বরদী),

বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র (ঈশ্বরদী),

পাবনা সুগার মিল্স (ঈশ্বরদী),

সাঁড়া ঘাট (ঈশ্বরদী),

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর,

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,

পাকশী রিসোর্ট,

ইপিজেড (ঈশ্বরদী),

নগরবাড়ী ঘাট (আমিনপুর),

নৌঘাট কাজিরহাট ও পদ্মা যমুনার মিলনস্থল,

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল (বিসিক শিল্প নগরী),

কাঞ্চন পার্ক (সুজানগর),

খয়রান ব্রীজ (সুজানগর),

প্রশান্তি ভুবন বিনোদন পার্ক (জালালপুর),

দুবলিয়া মেলা (দুর্গা পুজার সময়),

বড়াল ব্রীজ,

দীঘিরপিঠা (ফরিদপুর),

রাজা রায় বাহাদুরের বাড়ি (ফরিদপুর),

বেরুয়ান জামে মসজিদ (আটঘরিয়া),

বেড়া পাম্প স্টেশন (বেড়া),

বেড়া পোর্ট (বর্ষার সময়),

কাশেম মোড় (রাখালগাছী),

চন্দ্রনাথ সেনের জমিদার বাড়ি,

সুলতানগেট পার্ক (সাগরকান্দি),

→কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব:

★আবদুল করিম খন্দকার (এ.কে খন্দকার) - বীর উত্তম এয়ার ভাইস মার্শাল অব ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।

★সুচিত্রা সেন - বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী।

★সাইফুল আজম - অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা । (পৃথিবীর ২২ জন লিভিং ঈগলের একজন )

★ছেফাত উল্লাহ বিশ্বাস ও ময়েন উদ্দিন বিশ্বাস - (পাবনা জেলার সর্ব শেষ জমিদার ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী )

★বাপ্পা মজুমদার - জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী।

★বন্দে আলী মিয়া - একজন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।

★মোহিতমোহন মৈত্র (? - ২৮ মে ১৯৩৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

★রাজেন্দ্র লাহিড়ী - ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করার জন্য হিন্দুস্তান রিপাবলিকান এসোসিয়েশনের নানা বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

★স্যামসন এইচ চৌধুরী - ব্যবসায়ী

★চঞ্চল চৌধুরী - অভিনেতা

★বৃন্দাবন দাস - বাংলাদেশের জনপ্রিয় নাট্যকার,অভিনেতা,ও লেখক

★আজিজুল হাকিম - অভিনেতা

(আমার নাম যুক্ত হবে ক'দিন পর :))

→স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (পাবনা):

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,

পাবনা মেডিকেল কলেজ,

পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট,

পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট,

সরকারি এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,

পাবনা জিলা স্কুল,

পাবনা ক্যাডেট কলেজ,

→জেলার ঐতিহ্য

পাবনা জেলার লোক সংঙ্গীত , লোকগাঁথা, লোকনৃত্য, কৌতুক, নকশা, পালাগান, ইত্যাদি লোকসংস্কৃতিতে অত্যমত্ম ঐতিহ্য মন্ডিত। অতি পুরাতনকাল হতেই এ জেলার বস্ত্র শিল্প প্রসিদ্ধ , গ্রামে গ্রামে বস্ত্র বয়নকারী হিন্দু মুসলমান উভয় জাতি সম্প্রদায় মিলে মিশে কাজ করে। হান্ডিয়ালের বিবরন প্রসংগে অবগত হওয়া যায় একমাত্র এখানেই কোম্পানি আমলের সমস্ত ভারতবর্ষের চার পঞ্চমাংশ রেশম আমদানি হত। পাবনার সাদুলনাপুর, সুজানগর, দোগাছি, শিবপুর, সিলিমপুরের সহ অনেক এলাকায় রয়েছে তাঁতী সম্প্রদায়। দোগাছির শাড়ী ও লুঙ্গী দেশ খ্যাত। পাবনা ব্যতীত অন্য কোথাও কাপড় প্রস্তত উপযোগী সূতা রংকারক দেখা যায় না। একটি সরকারী বিবরণী থেকে জানা যায় জেলার সাঁড়া , সাঁথিয়া , সুজানগর সহ অনেক এলাকায় ইক্ষু নির্ভর শিল্প রয়েছে। জেলায় প্রচুর পরিমানে সরিষা উৎপাদিত হয় , আর এর ফলে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক তেল কল। পূর্বে খুলু সম্প্রদায় এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত ছিল, যন্ত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় তারা আজ বিলুপ্ত পায়। তাঁত শিল্পে পাবনা জেলা সমৃদ্ধশালী। এখানকার শাড়ী, লুংগী ও গামছা বিদেশে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। এছাড়া পাবনার মিষ্টান্ন বিশেষ করে সন্দেশ পুরো দেশে বিখ্যাত। পাবনার ঘি এবং ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীর বেনারসি তার ঐতিহ্য ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেছে। ঈশ্বরদীর পেঁপে বাদশাহর নাম আমরা কমবেশি সকলেই জানি। বর্তমানে ঈশ্বরদীর লিচু সারাদেশে সরবরাহ করা হয় ।

1
$ 0.14
$ 0.14 from @TheRandomRewarder
Avatar for Nly09
Written by
4 years ago

Comments

Nice article.i love Bangladesh i love pabna.

$ 0.00
4 years ago