🌼10th October !
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের এবারের মোটো “স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বাড়ানো "!
মানসিক সাস্থ্য সুরক্ষা বা যত্ন বরাবরই আমাদের কাছে অবহেলিত হয়ে আসছে...যদিও ব্যাক্তির সর্বোচ্চ সুসাস্থের জন্য শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়টিই সমান গুরুত্ববাহি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য আরও অধিকতর মনোযোগ দাবি করে...সারাবিশ্ব যখন ২০২০ এ এসে Covid19 এর ভয়াল ছায়ায় আচ্ছাদিত তখন ব্যাক্তি পর্যায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাপক নাজুক হয়ে পড়ছে এবং পড়বে আগামী দিনগুলোতে এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যবিদরা।।
দীর্ঘ লকডাউন, করোনার ভয়, ভবিষৎ নিয়ে উৎকণ্ঠা, পরিবার বা পাড়াপড়শির আক্রান্ত হওয়া, সামাজিক দূরত্ব, চার দেওয়ালের মধ্যে মূলত নিজেকে বন্দি রাখার প্রভাব এখন পড়ছে সাধারণ মানুষের মনের ওপর।তার উপরে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, আয় এর উৎস হ্রাস এবং বেতন কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে।তাঁরা অবসাদগ্রস্ত হচ্ছেন।দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ সহ মানসিক নানা ধরনের সমস্যা। আর আমাদের এ বিষয়ে উদাসীনতা জন্য হোক বা অস্বস্তি বোধ করার কারণে হোক, লোকে এই মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন না। নিজের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
⚠️এমন পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যক্তিগত,, সামাজিক এবং রাষ্ট্রিও পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি বা উদ্যোগ কেমন সেটি এখন ভাবার বিষয়।
🔴ব্যক্তিগত পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে --
*মানসিক অসুস্থতা নিয়ে কথা বলুন,, পরিবার বন্ধু -বান্ধব,, কাছের মানুষের সাথে।
*মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ব্যক্তিকে বোঝার চেষ্টা করুন,,হেয় না করে,,বিরক্তবোধ না করে।
*সর্বোপরি মানসিক স্বাস্থ্য কে অবহেলা না করে সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে কনসাল্ট করুন।
⛔️এছাড়াও সামাজিক সংগঠন গুলো টেলিমেডিসিন বা কনফারেন্স এর মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কাউন্সেলিং বাড়াতে পারে....
এ বিষয়ে রাষ্ট্রেরও সর্বোচ্চ মনোযোগ কাম্য একটি সুস্থ সমাজ গড়ার লক্ষ্যে।