বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারটা আমাদের অধিকাংশ মানুষের কাছেই হাস্যকর একটা বিষয় মনে হয়।ধরুন আপনার কোন বন্ধু বা বান্ধবী যদি আপনাকে বলে যে তার ভালো লাগছেনা।শুধু একদিন শুনলে হয়ত তার কাছে জিজ্ঞেস করবেন কেন ভালো লাগছেনা।কিন্তু যদি দিনের পর দিন আপনাকে বলেই যায় যে তার ভালো লাগছেনা আপনি ব্যাপারটাকে একেবারে গুরুত্বহীন মনে করে এড়িয়ে যান।ভাবেন,ও তো এমনই,শুধু ভালো লাগেনা,ভালো লাগেনা করে।যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুঃখজনক পোস্ট দেয় আমরা ভাবি ঢং করার আর জায়গা পাচ্ছেনা তাই ফেসবুকে এসে ঢং করছে।আমরা তাকে এড়িয়ে যাই।কোনদিনও তার কাছে জিজ্ঞাসাও করিনা তার কেন এমন লাগছে।এরকমই কিন্তু আমরা সবসময় করি।
আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় আমরা পরস্পর থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছি।এমনকি পরিবারের সাথেও দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে।এজন্য পরস্পরের কাছে থাকার বিপরীতে আমরা আরো তাকে ইগ্নোর করে তার মানসিক স্বাস্থ্য আরো হুমকির মধ্য ফেলে দিচ্ছি।যার পরিণতিতে মানুষ আগের চেয়ে এখন বেশি আত্মহত্যার দিকে ঝুকে পড়েছে।একটা মানুষ কখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়,জানেন?যখন তার দুঃখগুলো ভাগ করার মানুষ পায়না,তার কষ্টের কথাগুলো শোনার মত কাউকে পায়না।সেই সময়টা জীবনটাকে অর্থহীন মনে হয়।আর মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হলেই মানুষ এইসব ঘৃণিত উপায় বেছে নেয়।
তাই আসুন আমাদের পাশের মানুষটার কথা শুনি।সে কি বলতে চায়, শুনি।সমাধান করতে পারি আর না পারি অন্তত সমস্যাটা শুনি,পাশে থাকি।পাশে থাকতে না পারলেও অন্তত তাকে মেন্টালি সাপোর্ট দিই।এটুকু পেলেই মানুষগুলো সুস্থ হয়ে যাবে।হ্যা,মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে যাবে।দেহের স্বাস্থ্যের চেয়ে মনের সুস্থতা বেশি জরুরি।
চলুন কথা বলি.........