Sold (part-17)

0 0
Avatar for Nipa1234
3 years ago

আজকে বিয়ে। ইয়েস। অনেক পথ ঘুরে, অবশেষে আজকে শুভ ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছে। বসুন্ধরার ফুড কোর্টে শুরু হওয়া গল্পটা যে সত্যি হবে, ভাবিনি। গল্পটা যেভাবে পদে পদে বাঁক নিচ্ছিল, তাতে এমন সুন্দর একটা সমাপ্তি হবে, আশা করিনি। তারপরও, সেটাই হতে যাচ্ছে আজকে।

শুধু তা ই না, ব্যাপারটা শুরুতে কেমন কেনা বেচা টাইপ ব্যাপার ছিল, হঠাৎ করে গতকাল রাতে, সেটা একটা টিপিক্যাল বিয়ের শেপ নিয়ে নেয়। রীতা আপা খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে পুরো ব্যাপারটা থেকে বিক্রি অংশটা সরিয়ে দেন।

রীতা আপার মাথায় আসলে ঠিক কখন কি খেলে বোঝা যায় না। শুরুতে আমারও মনে হয়েছিল, টাকা ছিটিয়ে বিয়েটা দিচ্ছেন। আমিও ব্যাপারটায় সায় দিচ্ছিলাম, কারণ ওখানে আমি নিজের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছিলাম। যে ব্যাপারটা ভাবিনি, তা হচ্ছে, পারস্পরিক সম্মান। এই বিয়েতে সেটা একেবারেই ছিল না।

আমি না ভাবলেও, রীতা আপা ব্যাপারটা ঠিকই খেয়াল করেছিলেন। গতকাল রাতের কথা। আটটা সাড়ে আটটা হবে। রুমে চুপচাপ বসে আছি এমন সময় রীতা আপা এসে হাজির। ভাবলাম জাস্ট খবর নিতে এসেছেন। বললেন

— কি করছিস?

— এমনি। বসে আছি।

আমার চেহারায় বোধহয় ব্যাপারটা লেখা ছিল। জিজ্ঞেস করলেন

— টেনশান লাগছে?

স্বীকার করলাম। বললাম

— হ্যাঁ। মাথায় কেন যেন বারবার একটাই চিন্তা আসছে।

— কি?

— সব ঠিকঠাক মত হবে তো?

উত্তরে প্রথমে মিষ্টি করে হাসলেন। এরপরে বললেন

— বিয়ের সব অ্যারেঞ্জমেন্ট ঠিকঠাকই আছে। শুধু একটা ব্যাপার একটু ফাইন টিউন করতে হবে।কথাটার মানে বুঝলাম না। চোখে প্রশ্ন নিয়ে রীতা আপার দিকে তাকিয়ে আছি তখন রীতা আপা আমার সামনে মোবাইলটা রেখে পলাশকে ফোন দিলেন। রিং যখন বাজছে তখন ফোনটা স্পিকারে দিয়ে আমার সামনে রাখলেন। কি ফাইন টিউন করবেন? কথাটা আর জিজ্ঞেস করার সুযোগ পেলাম না, ওদিকে পলাশ ফোনটা রিসিভ করে ফেলেছে। কেমন আছিস টাইপ কিছু কথাবার্তা শেষে খুব মোলায়েম স্বরেই বললেন,

— আসলে তোকে একটা কথা বলার জন্য ফোন করলাম

— বল

— ভেবে দেখলাম, এভাবে হওয়া বিয়েতে, তুই বা ইরা কেউই সুখী হবি না।

কি বলছে এসব রীতা আপা? জিজ্ঞেস করার উপায় নেই। কথা চলছে। ওদিকে থেকে আমার প্রশ্নটাই করল পলাশ। উত্তরে রীতা আপা শান্ত স্বরে ব্যাখ্যাটা দিলেন

— সম্পর্কটা কেমন যেন একটা চাকর মুনিব টাইপ রিলেশানশীপ হয়ে থাকবে সারা জীবন।

কথাটা শুনে আমি নিজেও হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। এসব কথা বলার মানে কি? এখন বিয়ে ভেঙ্গে ফেলবে? এতোদুর এসে? ওদিক থেকে কোন উত্তর আসছিল না। পলাশ সম্ভবতঃ ভাবছে। রীতা আপা আসলে কি বলতে চাইছে, আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। পলাশ কি বুঝল জানি না। শুধু বলল

— ডিল কি ক্যানসেল করতে চাস?

রীতা আপা এক ঝলক আমার দিকে তাকালেন। ওনার মুখ থমথম করছে। বুকটা ধক করে উঠেছিল। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এমন সময় উনি উত্তরটা দিলেন

— না।

— তাহলে?

— মানে হচ্ছে, এটা এখন আর ডিল না। তোর উপর যে শর্ত ছিল, একবার 'হ্যাঁ' বললে আর ‘না' বলতে পারবি না, সেটা উইথড্র করছি।

— আই সি।

— ইরার সাথে বিয়ের ফর্মাল প্রস্তাবটা নতুন করে দিচ্ছি। ইচ্ছে করলে 'হ্যাঁ' বলতে পারিস, ইচ্ছ করলে ‘না'।

— মানে বিয়ের অফারটা থাকছে, শর্তটা থাকছে না। এই তো?

— অনেকটা। ইরাকে বিয়ে করলে যা যা দেব বলেছিলাম, সেসব দেয়া হবে, নট অ্যাজ অ্যা ডিল, বাট অ্যাজ অ্যা গিফট। অ্যান্ড মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, চাইলে পুরো ব্যাপারটায় তুই 'না' বলতে পারিস। কোন প্রেসার নেই। শুধু রিকোয়েস্ট, ‘না' বললে সেটা এখন বললে আমার জন্য উপকার হয়। তাহলে ডিসাইড করতে পারি কালকের অনুষ্ঠানটা কিভাবে অ্যারেঞ্জ করব।

কথাটা শেষ হওয়ার বেশ কিছুটা সময় পরে পলাশ শান্ত ভাবেই উত্তরটা দিল

— আই অ্যান্ডারস্ট্যান্ড।

— তো? কি সিদ্ধান্ত তোর?

— ওকে। আই অ্যাক্সেপ্ট ইট।

— আমার তরফ থেকে কোন প্রেসার নেই কিন্তু।

— আই নো।

এরপরে কিছু আবোল তাবোল কথাবার্তা। গ্রামে কবে নাগাদ যেতে চায়, বাবা-মাকে হ্যান্ডেল করতে পারবে কি না, এসব। ফোনটা শেষ করে রীতা আমার দিকে তাকাল। মুখে একটা প্রশান্তির হাসি। কেন যেন মনে হল, পলাশের এই উত্তরটা রীতা আপা জানত। ইচ্ছে করেই কথাগুলো এই শেষ মুহূর্তে জানাল।

যাইহোক, আর নতুন কোন ঝামেলা ছাড়াই রাতটা পার হল। আজ বাইশ তারিখ। এখন বিয়েটা ভালোয় ভালোয় হয়ে গেলেই হয়। সেই ঘটনার জন্যই অপেক্ষা করছি। পার্লার থেকে একজন এসেছিল। সাজিয়ে দিয়ে গেছে। দোতলার একটা রুমে অপেক্ষা করছি। যেকোন সময়ে চলে আসবে পলাশ। ঘড়ির দিকে একবার তাকালাম। বারোটা বাজতে এখনও মিনিট দশেক বাকী। রীতা আপা গাড়ি পাঠাতে চেয়েছিলেন পলাশকে আনতে। পলাশ রাজী হয়নি। বলেছে চলে আসবে। রীতা আপার প্ল্যান, বিয়ের পরে এখান থেকে আমরা আমাদের ফ্ল্যাটে উঠব।

প্রথমে খুবই সাদামাটাভাবে সারবার কথা ছিল। কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানো আর একটু ভাল খাওয়া দাওয়া করে বিদায়। এরপরে প্ল্যানে কিছু চেঞ্জ করতে হয়। স্পেশালি সেদিনের কফি হাউজের ঘটনার পরে। পুরো অফিসই জেনে যায়। সবাইকে ইনভাইট করা সম্ভব না। ব্যাপারটা বিচ্ছিরী দেখালেও, উপায় ছিল না। আমিও চাইছিলাম, যত কম লোক জানে, ততোই ভাল। ঘটনাটার নাম 'বিয়ে' হলেও, এটা তো ঠিক ‘বিয়ে' না।

যাইহোক, সেই ফোন কলের পরে, পুরো ব্যাপারটায় একটা বিয়ে বিয়ে ভাব চলে আসে। প্রথমে তো শুধু শোয়েব ভাই আর আরেফিনকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। এরপরে রীতা আপার পারমিশান নিয়ে আজ সকালে আরও কয়েকজনকে ইনভাইট করি। যেহেতু অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়ে আছে, তাই খুব বেশি গেস্ট বাড়ানো যাবে না। আর তাছাড়া আমি ভেবেছিলাম, খুব আহামরি কোন অ্যারেঞ্জমেন্ট হবে না। ভুল ভেবেছিলাম। আসলে রীতা আপাকে আমি এখনও কিছুই চিনিনি। দেখা গেল বেশ ভালোই ব্যবস্থা করেছেন রীতা আপা। রীতিমত একটা ক্যাটারিং ফার্মকে অর্ডার দেয়া হয়েছে। খাবারের ব্যাপারটা ওরাই হ্যান্ডেল করবে। অনেকেই জানে রীতা আপার কাজিনের বিয়ে হচ্ছে। সো শিহাব ভাই রীতা আপা দুজনেরই ক্লোজ বন্ধুবান্ধবরাও আসছে।

সব মিলিয়ে, সুন্দর একটা আয়োজন। ঘড়ির দিকে আরেকবার তাকালাম। বারোটা বেজে দশ। যেকোন সময়ে চলে আসবে পলাশ। কিংবা হয়তো চলেই এসেছে। খবরটা আমাকে কেউ জানাবার সুযোগ পাচ্ছে না, এই যা। দরজার দিকে তাকালাম। কেউ নেই।

যত সময় এগোচ্ছে, ততই টেনশান বাড়ছে। মনের ভেতর শুধুই দুশ্চিন্তা কাজ করছে। সবকিছু ঠিকঠাক মত হবে তো? কোন অঘটন ঘটবে না তো? শেষ মুহূর্তে পলাশ সিদ্ধান্ত চেঞ্জ করবে না তো? হাজার হলেও, আমার একটা বিচ্ছিরী অতীত আছে। কেমন মিক্সড একটা অনুভূতি। কিছুটা হয়তো বিয়ের উত্তেজনা, কিছুটা ভয় আর অনেকখানি দুশ্চিন্তা।

টেনশানটা কেন করছি? সত্যি কথা বলতে, কারণটা আমি নিজেই জানি না। হয়তো নিজের ভাগ্যকে বিশ্বাস হচ্ছে না। স্পেশালি যে জীবন কাটিয়ে এসেছি, তারপরে। হয়তো আদিল ভাইয়ের সেই ধোঁকা এখনও মনে গেঁথে আছে। সব পুরুষকেই তাই…। কিংবা... হয়তো জাস্ট গাট ফিলিংস। কিছু একটা অঘটন ঘটবে, কেন যেন এমন একটা অনুভূতি কাজ করছে।

বারবার যুক্তি দিয়ে ভাবার চেষ্টা করছি। পলাশ তো এবার মন থেকেই রাজী হয়েছে। তাই বিয়ের ব্যাপারটাতে আর কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। তারপরও কেন যেন বুক ঢিপঢিপ করছে। বারবার সেদিনের কথা মনে আসছে।

পলাশ যেভাবে সেদিন সবার সামনে বিয়ের ব্যাপারটা অ্যানাউন্স করল, তাতে প্রথমে আমার মনে হয়েছিল, কাজটা রাগের মাথায় করছে। সীমাকে যখন ডাকল, তখন মনে হচ্ছিল, কিছু একটা কেলেঙ্কারি হতে যাচ্ছে। দারুণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মাথা কাজ করছিল না। একটাই প্রশ্ন মাথায় ঘুরছিল, কেন ডাকছে?

শুধু এটা বুঝতে পারছিলাম, কাজটা ঝোঁকের মাথায় করছে। হয়তো কিছুটা রাগও কাজ করছে। সেটা শোয়েবের সাথে আমাকে দেখে? না সীমার সাথে দেখা করাটা আমার প্রেজেন্সে হচ্ছে, সেকারণে? সীমার হেঁটে হেঁটে আমাদের টেবিল পর্যন্ত আসবার পুরো সময়টা মাথা নিচু করে ছিলাম। কি হচ্ছে, কি করব, কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। উঠে যেতে মন চাইছিল না। ভয় পেলেও কেমন একটা ডেস্পারেট ভাব কাজ করছিল নিজের ভেতরে। যা ঘটার ঘটুক। ফেস করব।

এরপরে পলাশ কথাটা বলল। কফি হাউজে বোমা পড়লেও এতোটা অবাক হতাম না। আমরা তিনজনই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বাকিদেরটা জানি না, আমার অনুভূতিটা প্রথমদিকে ছিল, ভয়, এরপরে হতভম্ব এরপরে আনন্দ। দারুণ লেগেছিল সেদিন।

সীমার মুখটা দেখার মত হয়েছিল। ভূত দেখে চমকে ওঠা বলতে যা বোঝায়, সেটা। শোয়েব ভাইয়ের চেহারাও দেখার মত হয়েছিল। অবাক চোখে একবার আমাকে আর একবার পলাশকে দেখছিল। আর সবশেষে তাকাল সীমার দিকে।

সীমা কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হলেও কিছুক্ষণ পরেই কথাটা বলল

— কবে ঠিক হল সব?

এরপরে আরও কিছুক্ষণ কথা হয়। শোয়েব ভাই কংগ্র্যাচুলেট করে আমদের। এরপরে কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব করে সীমাকে নিয়ে পেছনের একটা টেবিলে গিয়ে বসে। কি গল্প হল জানিনা, কিন্তু বেশিক্ষণ চলেনি সেই আলাপ। সীমা যখন ওখান থেকে চলে যাচ্ছিল, তখন কেমন যেন খুশি খুশি লেগেছিল। সীমাকে হারাতে পারার খুশি। সীমার মত সুন্দরীকে ছেড়ে আমাকে বেছে নিচ্ছে পলাশ? একটা অদ্ভুত অনুভূতি, বোঝাতে পারব না।

এটাও ঠিক, আমাদের বিয়ের কথাটা শুনে অন্যরকম একটা আনন্দও হয়েছিল। পলাশকে নিয়ে যে ভয়টা কাজ করত, ও সিদ্ধান্ত নিতে হেজিটেট করছে কি না, সেটা দূর হয়ে গেল। সীমা আর আমার মধ্যে কাকে বেছে নেবে, সেই সিদ্ধান্তটা পলাশ নিয়ে ফেলেছে। শুধু তা ই না, বিয়ের ব্যাপারটা সবার সামনে বলায় আরও একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয়ে যায়, সিদ্ধান্তটা সে আর লুকিয়ে রাখতে চায় না। তার মানে কথাটা জানবার পরে সীমা কি ভাববে, কিভাবে রিয়াক্ট করবে, সম্পর্ক আর রাখবে কি না, এসবের পরোয়াও এখন আর সে করছে না।

সেদিন সীমার রিয়াকশান দেখে আরও একটা ব্যাপার নিশ্চিত হয়েছিলাম, আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা, কিংবা আমার সম্পর্কে এতোদিন সীমাকে কিছু বলেনি পলাশ। 'কেন বলেনি?'র, অনেকগুলো উত্তরই হতে পারে। কিন্তু আমার মতে আসল উত্তর একটাই, সীমাকে হাতছাড়া করতে চায়নি। সিদ্ধান্ত নিতে পারছিল না। সীমাকে হারাতে মন চাইছিল না, আবার এই বিয়েতে পুরোপুরি সায় পাচ্ছিল না। সেই হেজিটেশানটা আর ওর ভেতরে এখন কাজ করছে না।

সীমা সেদিন যেভাবে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল তাতে একটা ব্যাপার আমি সিওর, ও পলাশের প্রেমে পড়ে গেছে। ব্যাপারটা বলেনি, কিংবা অপেক্ষা করছিল, পলাশ কবে ওকে প্রপোজ করে। আর তাই, ওর মাথা গরম করাটা নিয়ে এখন যখন ভাবছি, কেন যেন মনে হচ্ছে, যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। এভাবে না বললে, ও কখনই সীমার কাছে পুরো ব্যাপারটা বলতে পারত না। ইভেন বিয়ের পরেও হয়তো ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখত। একটা অস্বস্তি সারাজীবন কাজ করত। সীমার মনে এখন আর কোন সন্দেহ থাকবে না। ও বুঝে গেল, দ্যা স্টোরি ইজ ওভার।

ঘড়ির দিকে তাকালাম। বারোটার দিকে পলাশের আসবার কথা। আমি দোতলায়। বিয়েটা এখানেই হবে। গেস্টরা হয়তো আসতে শুরু করবে দুপুর দুটোর দিকে। বিয়েটা তার আগেই সেরে ফেলার প্ল্যান। সেই অনুযায়ী কাজী সাহেবকেও ডাকা আছে। উনি এসেছেন কি না জানি না। বিয়ের পোশাকে আছি তাই উঠে দেখতে যেতেও পারছি না। রীতা আপাও বিজি। কি করব ভাবছি, এমন সময় মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। আননোন নাম্বার। আমার এই মোবাইল নাম্বার কারো কাছে থাকার কথা না। আই মিন, আমি দিয়ে না থাকলে। শিহাব ভাই, রীতা আপা আর পলাশ ছাড়া অফিসের দুএকজনই জানে এই নাম্বার। যাদেরকে আমি দিয়েছি, তাঁদের নাম্বার সেভ করা আছে। ফলে যিনি করেছেন, তিনি আসলেই আননোন।

একবার ভাবলাম। ফোনটা ধরব কি না। রিং বাজছে। একসময় থেমে গেল। টের পেলাম বুকটা ধড়ফড় করছে। ফোনটা কি ধরা উচিৎ ছিল? পরিচিত কেউ কোনভাবে আমার নম্বর যোগাড় করে ফোনটা করেছে? আর কি কি হতে পারে? ফোনটার দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

মাথায় চিন্তার ঝড় চলছে। কিভাবে আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসতে পারে? রং নাম্বার হতে পারে? অপারেটার ভুল করেছে, কিংবা নম্বর টিপতে ভুল? আচ্ছা, এতো ভয় পাচ্ছিই বা কেন? সাহস ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা করলাম। ফোনটা হাতে তুলে নিলাম। বড় করে একটা নিঃশ্বাস টানলাম। আবার কি ফোন করবে? না রিং ব্যাক করব?

এমন সময় ম্যাসেজটা আসল। চৌকোনা বক্সটার লেখাগুলো পড়লাম। মনে হল পুরো ঘরটা ঘুরছে।

চলবে

আগের প

1
$ 0.05
$ 0.05 from @TheRandomRewarder
Avatar for Nipa1234
3 years ago

Comments