#সালফার_৫৯ ( দ্বিতীয় পর্ব)

0 0
Avatar for Nipa1234
3 years ago

“আপনি বলতে চাচ্ছেন ক্রমশই আপনার হাইট কমে যাচ্ছে? ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছেন আপনি?” টেলিফোনের ওপাশ থেকে বলে উঠল তরুণ সাইক্রিয়াটিস্ট তুহিন আহমেদ।

সিফাত আমতা আমতা করে বলল, “জ্বি স্যার।” সিফাত ভেবেছিলো সাইক্রিয়াটিস্ট সাহেব এবারে হয়তো হেসে ফেলবেন। এমনটা হলো না। সে গুরুত্ব দিয়ে তার কথা শুনলো এবং খুব আন্তরিক ভঙ্গিতে জানতে চাইলো,

“আপনি কখন থেকে ছোট হওয়া শুরু করলেন?”

“আজ ভোরে ঘুম ভেঙেই দেখি এই অবস্থা। প্রথমে এক ফুটের মতো উচ্চতা হারাই আমি। কিন্তু তার পর থেকে ক্রমাগতই হাইট কমে যাচ্ছে।”

“এখন আপনার হাইট কতটুকু আছে?”

“সাড়ে তিন ফুট সম্ভবত।”

“আগে আপনার হাইট কত ছিল?”

“পাঁচ ফুট চার ইঞ্চির মতো। সামান্য কম বেশি হতে পারে।”

বেশ কিছুক্ষণ ওপাশ থেকে কোন জবাব এলো না। সিফাত বলল, “স্যার, আমি সত্যি সত্যিই ছোট হয়ে যাচ্ছি। আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করছেন না?”

তুহিন বলল, “আমি আপনার কথা বিশ্বাস করছি কি-না সেটা এখন বলবো না। তার আগে আপনি আমাকে এটা বলুন তো- আপনি ছোট হয়ে যাচ্ছেন, এটা আপনি আমাকে কেন জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন? শুধুমাত্র মানসিক সমস্যা হলেই মানুষ সাইক্রিয়াটিস্টের শরণাপন্ন হয়। কিংবা অতিপ্রাকৃতিক কোন ঘটনার রহস্য উদঘাটন করার জন্য সাইক্রিয়াটিস্টের প্রয়োজন পড়ে। আপনার হাইট কমে যাওয়ার সাথে সাইকোলজির কী সম্পর্ক?”

সিফাত বলল, “স্যার, আপনাকে ফোন করেছি কারণ আমি বাসা থেকে বের হতে পারছি না। বাসা থেকে বের হলেই সবাই আমাকে দেখে ফেলবে। তবে হ্যাঁ , আপনাকে ফোন না দিয়ে আমি আমার কাছের বন্ধু-বান্ধবকে জানাতে পারতাম। আপনাকে ফোন দেয়ার বিশেষ কারণ হচ্ছে- আমি মনে প্রাণে এটাই চাচ্ছি যে- সবকিছুই যেন আমার কল্পনা হয়। আপনি প্লিজ এটা প্রমাণ করে দিন এটা আমার হ্যালোসিনেশন। অথবা এটা কঠিন কোন স্বপ্ন। প্লিজ স্যার।” শেষের কথাগুলো বলার সময় সিফাতের গলা ধরে এলো। তুহিন বুঝতে পারল অনেক কষ্টে ছেলেটা কান্না আটকে রেখেছে।

তুহিন স্বাভাবিক গলায় বলল, “দেখুন আপনি নিজেই কিন্তু বুঝতে পারছেন এটা আপনার বিশেষ ধরনের হ্যালোসিনেশন। কাজেই এর থেকে আপনাকে বের করা খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। আমি কিছু প্রশ্ন করছি আপনি সত্য জবাব দেবেন। হয়তো কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে ইচ্ছে করবে না আপনার। সেগুলোর জবাব দেবেন না। কিন্তু মিথ্যা বলবেন না।”

“ওকে স্যার।”

তুহিন বলল, “আপনি বাসায় একা থাকেন?”

“জ্বি স্যার।”

“বাবা-মা ভাইবোন কোথায় থাকে?”

“মা নেই। বাবা আর ছোট বোন গ্রামে থাকে।”

“আপনার বোন কোন ক্লাসে পড়ে?”

“ক্লাস নাইনে পড়ে। সরি, ভুল বললাম। এবার টেনে উঠেছে ও।”

“আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে?”

“জ্বি স্যার।”

“তার হাইট কি আপনার চেয়ে বেশি?”

“জ্বি না। ও আমার চেয়ে ইঞ্চি দুয়েক খাটো হবে।”

“বিয়ে করছেন না কেন আপনারা?”

“ওর বাবা-মা আমাকে পছন্দ করে না।”

“আপনি তো ভালো জব করেন। তবু পছন্দ করে না কেন?”

কিছুক্ষণ চুপ থেকে সিফাত বলল, “এটা বলতে চাচ্ছি না স্যার।”

“ওকে। আপনি যেহেতু একা থাকেন। আপনার বাসায় কোন কাজের লোক নিশ্চিয়ই আছে?”

“জ্বি স্যার। তোরো-চৌদ্দ বছরের একটা ছেলে আছে।”

“আপনার ফেভারিট হলিউড হিরো কে?”

“জন করবেট।”

“ফেবারিট বলিউড তারকা?”

“কুনাল কাপুর।”

সিফাত মনে মনে বিরক্ত হলো। এমন জটিল একটা সমস্যার ভেতর বলিউড, হলিউড টেনে আনার অর্থটা সে বুঝতে পারল না।

তুহিন বলল, “আমার প্রশ্ন করা শেষ। এখন আমি যেই কথাগুলো বলবো, আপনাকে মন দিয়ে শুনতে হবে। এতেই আপনার ঘোরলাগা ভাবটা কেটে যাবে।”

সিফাত কানের সাথে টেলিফোনটা আরও জোরে চেপে ধরল। সে সবটুকু মনোযোগ দিয়ে এখনকার কথাগুলো শুনতে চায়।

তুহিন বলল, “আমার ধারণা আপনার বন্ধু বান্ধবের সংখ্যা খুব একটা নেই। আপনি আত্মকেন্দ্রিক একজন মানুষ। কারো সাথে তেমন একটা মেশেন না। অফিস শেষ করে নিরবে বাসায় ফেরেন। আমার ধারণাগুলো কি ঠিক আছে?”

“জ্বি স্যার।”

“প্রতিটি আত্মকেন্দ্রিক মানুষই কোন না কোন মেন্টাল ডিসঅর্ডারে ভোগে। তাদের নিজস্ব কিছু ধ্যান-ধারণা থাকে। তারা মনে করে তাদের ধারণাই ঠিক। যেটার শেষ পরিণতি গিয়ে ঠেকে কোন একটা মানসিক সমস্যায়। হতে পারে সেটা ছোট থেকে ছোট কোন সমস্যা। আপনার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হলো। আপনার মধ্যেও একটা মানসিক সমস্যা দেখা দিল। আর আপনার মানসিক সমস্যাটা হচ্ছে- আপনি সবসময় হীনমন্যতায় ভোগেন। আর সেটির কারণ হচ্ছে- আপনার হাইট তুলনামূলক কম। এই সমস্যাটা প্রথমে খুবই ছোট থাকলেও এখন তা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আপনি নিজেই তা বুঝতে পারছেন।”

“আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে স্যার। আমার হাইট অল্প বলে আমার হয়তো কিছুটা খারাপ লাগে। তাই বলে এটা মানসিক সমস্যা পর্যন্ত চলে যাবে এটা ভাবার কোন যৌক্তিকতা নেই।”

“যৌক্তিকতা আছে। আমি বুঝিয়ে বলছি। আপনি বললেন আপনার গার্লফ্রেন্ডের হাইট আপনার চেয়ে সামান্য কম। কিন্তু আমার ধারণা সেটি ঠিক না। সে হয় আপনার সমান অথবা সে আপনার চেয়ে সামান্য লম্বা। তার হাইট পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। অথচ আপনি কিন্তু আপনার এক্সজেক্ট হাইটটা জানেন না। সম্ভবত আপনি ইচ্ছা করেই আপনার হাইট কখনো মাপেন না, কারণ আপনি নিজেও জানেন মাপলে হয়তো দেখা যাবে আপনার হাইট আপনার গার্লফ্রেন্ডের সমান বা তার চেয়ে কম। আমি যখন আপনাকে জিজ্ঞেস করলাম মেয়েটার বাবা-মা আপনাকে মেনে নিচ্ছে না কেন, আপনি কিন্তু এই প্রশ্নটার জবাব দেননি। কারণ আপনার গার্লফ্রেন্ডের বাবা-মা আপনাকে মেনে নিচ্ছে না তার কারণও ঐ একটাই। আপনার হাইট অল্প। তাছাড়া আপনি ভালো জব করেন। ফ্যামিলি ছোট। আপনাকে মেনে না নেয়ার কোন কারণ ছিলো না।”

এতটুকু বলে তুহিন থামল। সিফাত কোন কথা বলল না। তার নীরবতাই প্রমাণ করলো সাইক্রিয়াটিস্টের প্রতিটি কথাই সত্যি।

তুহিন আবার বলতে শুরু করল, “দেখুন হীনমন্যতায় ভোগা ব্যাপারটা খুবই সাধারণ। আমরা সবাই কোন না কোন বিষয়ে হীনমন্যতায় ভুগি। তবে আপনার ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেল। আপনার কাছের মানুষ; যাদের হাইট আপনার চেয়ে বেশি, আপনি তাদেরকে অপছন্দ করা শুরু করলেন। যখন জিজ্ঞেস করলাম আপনার ছোট বোন কোন ক্লাসে পড়ে, আপনি প্রথমবার ভুল বললেন। অথচ নিজের আপন বোন কোন ক্লাসে পড়ে তা ভুল হওয়ার কোন কারণ নেই। আপনি ভুল করলেন কারণ আপনি তাকে খুব একটা পছন্দ করেন না। আমার ধারণা আমার ছোট বোনের উচ্চতাও আপনার চেয়ে বেশি। আপনি বাসায় একা থাকেন, আপনার উচিত ছিলো ভালো কাজকর্ম জানে এমন একজন বুয়া রাখা। অথচ আপনি বাসায় রেখেছেন একটা বাচ্চা ছেলে। এমনটা করার কারণ আপনার চেয়ে লম্বা কেউ আপনার পাশে ঘুরঘুর করছে- এটা আপনি মানতে পারেন না।”

এবারেও সিফাত কিছু বলতে পারল না। তুহিন বলল, “আপনি সম্ভবত ছোট থেকেই চাইতেন বড় হয়ে আপনি দীর্ঘকায়, সুঠাম দেহের একজন মানুষ হবেন। ডিফেন্সে জব করার ইচ্ছাও ছিলো আপনার। হলিউডের ফেভারিট হিরোর কথা জানতে চাওয়া হলে সবাই নির্দ্বিধায় টম ক্রুজ, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও কিংবা জনি দীপের কথা বলে। অথচ আপনি নিলেন জন করবেটের নাম। তদ্রুপ আপনি শাহরুখ খান, আমির খানের মতো অভিনেতা বাদ দিয়ে কুনাল কাপুরের কথা বললেন। তারা কেউই কিন্তু সুপারস্টার না। জন করবেট এবং কুনাল কাপুরকে আপনার ভালো লাগে কারণ তাদের হাইট অন্য সব নায়কের চেয়ে অনেক বেশি। আপনার ভেতরে লম্বা হওয়ার গুপ্ত বাসনাই আপনাকে হীনমন্যতার চাদরে ঢেকে ফেলে। আজ আপনার যে হ্যালোসিনেশন হচ্ছে তা নিশ্চয়ই একদিনের ফল না। এটা দীর্ঘদিনের একটা… ”

এবারে মুখ খুলল সিফাত।

স্বাভাবিক স্বরে বলল, “আপনার কথা অনুযায়ী আমি আগের হাইটেই আছি? আমি ছোট হয়ে যাইনি।”

“অবশ্যই না। এক রাতের ভেতর এটা অসম্ভব।” সাইক্রিয়াটিস্টের গলায় আত্মবিশ্বাসের কোন কমতি নেই।

সিফাত বলল, “আচ্ছা ঠিক আছে। আমি এড্রেস দিচ্ছি। আপনি আমার বাসায় চলে আসুন।”

তুহিন টেলিফোন নামিয়ে রাখল। সে ফোন করল থানায়। এমন অদ্ভুত রোগীর বাসায় সে একা যাবে না।

মানিক বাবু রাতে বাসায় ফেরেননি। দাওয়াই খানার নিজের রুমটাতেই রাত কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি। সকাল হতেই কর্মচারীরা তাকে আঁড়চোখে দেখতে লাগলো। তারা মোটামুটি নিশ্চিত আজ রাতে অনৈতিক কিছু ঘটেছে দাওয়াই খানায়। একজন সেলসম্যান তো বলেই বসল, সে না-কি ভোর রাতের দিকে একটা মেয়েকে পেছনের সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে দেখেছে। তার কথা সবাই বিশ্বাস না করলেও কেউ কেউ বিশ্বাস করল। কারণ মানিক বাবু বিয়ে করেননি। কাজেই পঞ্চাশোর্ধ এমন একজন মানুষকে খুব সহজেই সন্দেহ করা যায়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সেই সন্দেহ বাড়তে লাগলো। এক পর্যায়ে সেই ফিসফিসানি মানিক বাবুর কান পর্যন্ত চলে এলো। তিনি বিচলিত হলেন না। মানুষ বড় কোন সমস্যার ভেতর দিয়ে যেতে থাকলে ছোট সমস্যাগুলো তখন গায়ে লাগে না। সাপের ছোবল খাওয়ার পর, মশার কামড়ে কাউকে উদ্বীগ্ন হতে দেখা যায়নি। মানিকবাবু বড় সমস্যায় পড়েছেন।

দোতলা থেকে নিচে নেমে মানিক বাবু পুনরাই একই প্রশ্ন করলেন। সেই প্রশ্নগুলো তিনি গতকাল রাতেও করেছিলেন। উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইলেন, “কোন কুষ্ঠরোগী এসেছিলো আজ? কিংবা গরিলার মতো বিশালদেহী কোন মানুষ?” কর্মচারীরা নিশ্চুপ ডানে বায়ে মাথা নাড়ল। তারা এমন কাউকে দেখেনি। মানিক বাবু আর কোন প্রশ্ন করলেন না। তিনি নাস্তা না করেই বেরিয়ে গেলেন। বেরুবার আগে কাউকে কিছুই বলে গেলেন না। সবাই বিস্ময় নিয়ে দেখতে পেল ঝাকড়া চুলের ডাক্তার হন্তদন্ত ছুটে চলেছে মেইন রাস্তার দিকে।

মানিক বাবু সোজা চলে এলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা.আফজাল হোসেন তার বাল্যবন্ধু। অনেকদিন পর কাছের বন্ধুকে দেখে আফজাল হোসেন আপ্লুত হলেন। বন্ধুর আতিথিয়েতায় ব্যস্ত হতে চাইলেন তিনি। কিন্তু মানিক বাবু তাকে সেই সুযোগ দিলেন না।

সরাসরি বললেন, “তোমাদের এখানে সালফার-৫৯ আছে?”

“সালফার-৫৯!” চোখ কপালে তুললেন আফজাল হোসেন। তিনি এমন নাম আগে শোনেননি।

“তোমার কথা বুঝতে পারছি না। আমার জানামতে সালফার-৫৯ বলতে কোন মেডিসিন নেই। এটা কি নতুন কোন ফর্মুলা?”

মানিক বাবু নিজের উপর বিরক্ত হলেন। সালফার-৫৯ এর কথা আফজাল জানবে কী করে! এই মেডিসিন চিকিৎসা বিজ্ঞানে এখনো অজানা। কারণ এই ফর্মুলা তার নিজের তৈরি।

প্রসঙ্গ বদলানোর জন্য মানিক বাবু বললেন, “নাহ এখনো এমন ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি। কিছু গবেষক চেষ্টা করে যাচ্ছে।”

“ওহ আচ্ছা। তাই বলো।” হাসিমুখে জবাব দিলেন আফজাল হোসেন। তার মনে ক্ষীণ সন্দেহ দেখা দিল- তার এই পুরোনো বন্ধু হয়তো কিছু একটা লুকাচ্ছে।

মানিক বাবু বললেন, “তোমাদের কাছে পুরোনো সালফিউরিক এসিড হবে?”

“কত পুরোনো?”

“দুশো বছরের পুরোনো হলেই হবে। আড়াইশো বছর হলে আরও ভালো হয়।”

এবারেও অবাক হলো ডা. আফজাল।

তিনি বললেন, “এত আগে সালফিউরিক এসিড পাওয়া যেতো শুধুমাত্র জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে। আমাদের মেডিকেল প্রতিষ্ঠিত হলো উন্নিশো ছেচল্লিশ সালে। আমরা পাবো কোথায় এত পুরোনো এসিড?”

মানিক বাবু বললেন, “আশির দশকে বেশ কিছু ফর্মুলা বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হয়। আমার ধারণা পুরোনো সালফিউরিক এসিডও এর মধ্যে আছে। তুমি একটু খোঁজ নাও বন্ধু। আমার বিশেষ দরকার। এজন্যই তোমার কাছে আসা। আর হ্যাঁ, কিছু পুরোনো সল্টপিটারও লাগবে আমার।”

ডা. আফজাল যথেষ্ট বিরক্ত হলেন। তিনি দীর্ঘসময় মানিক বাবুর দিকে শীতল চোখে তাকিয়ে রইলেন। তারপর একজন আয়াকে ডেকে নিয়ে বললেন, “পুরাতন ল্যাবের চাবিটা কার কাছে?” মানিক বাবু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।

দুপুরের ঠিক পর পর সাইক্রিয়াটিস্ট তুহিন এলো সিফাতের ফ্ল্যাটে। বাসার নিচে পুলিশ ভ্যান রেখে সে একাই উপরে উঠে এলো। দীর্ঘ সময় দরজা নাড়ার পরও কেউ দরজা খুলে দিল না। তুহিনও ফিরে গেল না। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর দরজা খোলা হলো। তুহিন তার জীবনের সবটুকু বিস্ময় নিয়ে দেখলো, তার সামনে দুই ফুট উচ্চতার একজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তার প্রবল আত্মবিশ্বাস মুহুর্তেই ভেঙে গুড়িয়ে গেল। মানুষটা তাহলে সত্যিই সত্যিই ছোট হয়ে যাচ্ছে। ( চলবে)

#সালফার_৫৯ ( দ্বিতীয় পর্ব)

~ Maruf Al-amin

আগের পর্ব

https://www.facebook.com/groups/bdofficials/permalink/852476052224559/

1
$ 0.00
Avatar for Nipa1234
3 years ago

Comments