Resonance

0 5
Avatar for Nipa1234
3 years ago

"টুম্পা। এই টুম্পা। কইরে? আয়তো একটু এদিকে।"

"আসছি মা দাঁড়াও একটু।"

"তাড়াতাড়ি।"

বাইরে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম। অমনিই মার ডাকাডাকি। দুইটা ডাক দিয়ে চুপ করলেই হয়। তা না সে এখোনো তাড়া দিয়েই যাচ্ছে। হিজাবের শেষ পিনটা লাগিয়ে ব্যাগ টা নিয়েই গেলাম মার কাছে। দেখলাম মা রান্নাঘরের তাকের ওপর থেকে ময়দার বয়ম পাড়ার চেষ্টা করছে।

"কি হইছে মা?"

আমার গলা শুনে আমার দিকে ফিরে তাকালো মা। বলল "দেখনা। ময়দার বয়মটা তোর বাবা কই উঠিয়ে রাখছে। তার নাকি রুটি খেতে ভালো লাগেনা। কিন্তু রোজ সকালে রুটি বানাই দেখে বয়মই উঠিয়ে রাখছে। এখন ডাকছি সে আসতেছে না। দেখতো তুই পারতে পারিস কিনা।"

আমি মার থেকে লম্বা হলেও আমার হাত ময়দার বয়ম পর‍্যন্ত পৌছাবেনা দেখে মা কে বললাম "ভাইয়াও তো বাসায় আছে। ভাইয়াকে ডাকো। আমি নাগাল পাবো না।"

"সিফাতকে তো ডাকলাম কতবার। ও তো জবাবও নিলো না। এদিকে চুলায় ভাজি বসিয়েছি। রেখে যেতেও পারতেছিনা।"

"আচ্ছা। আমি গিয়ে ডেকে দিতেছি।"

আমি রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে গেলেও আম্মুর নিরব গজ গজ শুনতে পেলাম "সকাল বেলা রুটি খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাছাড়া আটার দামও চালের থেকে কম। এই অসময়ে একটাকা বাচাতে পারলেও অনেক। আর সে কোথাকার জমিদার। রুটি ভাল্লাগেনা। আমি কি আর সাধে...."

মায়ের হয়েছে এই এক সমস্যা। ইদানিং একটু বেশীই কথা বলে। কাউকে না পেলে আপন মনেই বিড় বিড় করে দুঃখের কথা আওড়াতে থাকে। ভাইয়ার রুমের সামনে গিয়ে দেখলাম দরজা বন্ধ। আমি হাল্কা টোকা দিতেই দরজা খুলে গেলো। বেলা অনেক হলেও ভাইয়ার রুমে গিয়ে তা বোঝার উপায় নেই। দরজা জানালা সব লাগানো তারওপর ভারী পর্দা থাকায় এক ফোটা আলোও ঢুকতে পারছেনা। রুমের লাইট অফ থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে আছে। আমি ডাকলাম "ভাইয়া? এই ভাইয়া? আছিস তুই?"

"হুম? হ্যা বল।"

আমি জানালা থেকে পর্দা সরাতে সরাতে বললাম "রুম অন্ধকার বানিয়ে রাখছিস কেন?"

"জানালা খুলিস না। চোখে আলো লাগে।"

অন্যদিন হলে আমি জোর করেই সব জানালা খুলে দিতাম।কিন্তু ভাইয়ার গলার স্বর কেমন যেন আদ্র শোনালো। আমি ভাইয়ার দিকে ঘুরে দাড়ালাম। নরম কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম "কি হইছেরে তোর? গলা অমন শোনাচ্ছে কেন?"

ভাইয়ার দু বার কেশে গলা পরিষ্কার করে নিয়ে বলল "কই না তো কিছু হয়নি। শুধু মাথাটা ব্যাথা করতেছে।"

রান্না ঘর থেকে মায়ের ডাক ভেসে এলো আবার। আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম। ভাইয়াকে বললাম "মা ডাকে তোকে।"

"কি হইছে?"

"বাবা মার সাথে ঝগড়া করে ময়দার বয়ম উপরের তাকে রাখছে। মা পারতে পারতেছে না।"

"ধুর এই এদের এসব আজাইরা ঝগড়াতে আমি কবে যে পাগল হয়ে যাব।"

"তুই তো পাগলই। নতুন করে আবার পাগল হবি ক্যামনে?"

ভাইয়া উঠে এসে আমার মাথায় এক গাট্টামেরে বসল। বলল "চুপ বেয়াদব। আয় আমার মাথাটা টিপে দে তো একটু।"

"এহহ ঠ্যাকা পরছে না আমার। বিয়ে করে বৌকে দিয়ে মাথা টিপাইস। আমার সময় নাই।"

ভাইয়া আর কিছু বলল না দেখে অবাক হলাম বেশ। এমনিতে ও যেমন ঝগড়াটে তাতে এই কথায় আমার মাথায় আরো দু চারটা গাট্টা বেশি পড়ার কথা ছিলো।

"বয়মটা নামিয়ে দিয়ে আসি। নাহলে মা আবার কুরুক্ষেত্র বাধিয়ে ফেলবে।এমনিতেই সারাদিন বাসায় থাকা লাগে। অশান্তি আর ভাল্লাগেনা।" বলেই ভাইয়া বেড়িয়ে গেলো। আমি ভাইয়ার রুমের জানালাগুলো খুলে বিছানা গুছিয়ে ঝাড়া দিয়ে বেড়িয়ে রান্নাঘরে এলাম। শুনতে পেলাম ভাইয়া বলছে "তোমার মেয়েরা আছে ওদের বললেই পারো। সব কাজ আমাকে দিয়ে করাও কেন?"

মা বলছেন "আরে ফ্যানগুলা কত উচুতে ওরা নাগাল পায় না তো।"

"ফ্যান না হয় ওরা নাগাল পায়না কিন্তু তুমি তো ঘরের সব জিনিসই আমাকে দিয়া মুছাও। সেদিন তো মুরগীটাও আমি কাইটা দিছি।"

"একটু আকটু হেল্প করলে তো আর তোর হাত ক্ষয় যাবেনা।"

"ধুর তোমার সাথে কথায় পারব নাকি আমি।"

বয়ামটা সজোরে নিচে নামিয়ে রেখে ভাইয়া হনহনিয়ে রান্নাঘর থেকে বেড় হয়ে গেলো। আমি দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভাইয়া দরাম করে ওর রুমের দরজা লাগিয়ে দিলো। ভাইয়া চলে যেতেই মা বলল "এই সিফাতটার আবার কি হলো রে? ও তো এমন করেনা।"

আমিও অবাক হয়েছি। ভাইয়াকে এত রেগে যেতে খুব কমই দেখেছি।

"কি জানি । বলল মাথা ব্যাথা করতেছে বলে।"

"ওহহ"

মা চিন্তিত মুখে আবার কাজে মনোযোগ দিলো।

আমি রান্না ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে জুতা পায়ে দিতে দিতে বললাম। "আজ আমার একটু দেরী হবে মা। একটু মার্কেটে যাব।"

"দেখে যাস। দিনকাল ভালো না। তোর আব্বুকে পাঠাইয়া দিব কি আগাইয়া আনতে?"

"না তার দরকার নাই। যাই আমি।"

"যাই না। আসি বলতে হয়।"

"আচ্ছা আসি।"

আজ ভোরে খুব জোর বৃষ্টি হয়ে রাস্তায় কাদা জমে আছে। কিন্তু আকাশের দিকে তাকিয়ে তা বোঝার উপায় নেই। নীল রঙ ঝক ঝক করছে শুধু। কোথাও একটু মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই। বাসা থেকে বের হয়েই আকাশের দিকে তাকিয়ে অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছিলাম। তাই পা যে কাদায় গিয়ে পড়েছে খেয়াল করিনি। পানি জমে বাসার সামনে মিনি পুকুর তৈরী হয়েছে। সেই পুকুরের কাদায়ই আমার পা পড়েছে। পা উঠাতে বেশ শক্তি খাটাতে হলো। জুতোটাও ছিড়ে গেছে। ইশ! আমার ছেড়া জুতো নিয়ে দুঃখ বিলাসের মুহুর্তে কে যেন পানি ঢেলে দিলো। পেছন থেকে পুরুষালি গলার আওয়াজ শুনে পেছনের দিকে তাকালাম।

"এই যে মিস। নিজের সাথে সাথে অন্যদেরও কি কাদায় গোসল করাতে চান?"

লম্বা চওড়া দৈহিক গড়নের লোকটির কালো প্যান্ট আর সাদা সার্টের বেশ খানিকটা কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে। চোখে মুখে লেপ্টে আছে বিরক্তি। শার্টের কিছু অংশ দুই হাতের বৃদ্ধা আর তর্জনি দিয়ে এমনভাবে উচু করে ধরা যেন গায়ে কাদা নয় গু লেগে আছে। ঘেন্নায় নাক কুচকে ফেলছে বার বার।আমাকে তাকাতে দেখে আবার বললেন "চোখ নাই আপনার সাথে? চোখের সামনে এত বড় গর্তটা রয়েছে তাও দেখেননি? দিলেনতো আমার যাত্রা নস্ট করে। আজ নতুন অফিসে প্রথম দিন আমার। ধুর কি অবস্থা হলো।"

আমি সরি বলতেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু উনার ব্যাবহারে অতিমুগ্ধ হয়ে সে চিন্তা বাদ দিয়ে কিছুটা ঝাঝের সাথেই বললাম "তা আপনার তো চারচোখ লাগানো। আপনি দেখলেন না কেন?উনি রাগে কটমট করে উঠলেন।"আমার.. আমার..ধুর!" মানুষের যখন খুব বেশী রাগ হয় তখন অনেকে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। ইনিও বোধয় নিজের কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। রাগের চোটে নাকের পাটা ফুলে ফুলে উঠছে তার। দেখতে বেশ লাগছে। মনে মনে নিজের পিঠ চাপড়ে দিলাম। বাহবা দিয়ে বললাম, সাবাস! আজ এক অভদ্র আত্মার মুখ বন্ধ করতে পেরেছি।

কিন্তু না উনি ঠিকই পেটের ভেতর থেকে কথা টেনে বের করে আনলেন। বললেন "চোরের মায়ের বড় গলা।অভদ্র বেয়াদব মেয়ে।"

এই নিয়ে আধঘন্টার ভেতর দু দুবার বেয়াদবের তকমা পেলাম। মন্দ নয় বটে। এইটাও একধরনের প্রাপ্তি। কথাটা বলতে বলতেই উনি উল্টোদিকে ঘুরে হনহনিয়ে বাসার ভেতর ঢুকে গেলেন। আরো একটি অর্জন। প্রতিপক্ষ যুদ্ধে পরাস্থ হয়ে পিঠ দেখিয়ে পালিয়েছে।

তবে আমাকেও ছেড়া জুতো হাতে আবার বাসায় যেতে হলো। এটা পড়ে তো আর বাইরে যেতে পারিনা।

অবশ্য আজ একজোড়া জুতোও কিনতে হবে। বাইরে পড়ার মতো এই এক জোড়াই ছিলো। আমি ফিরে গিয়ে মার জুতোজোড়া পায়ে দিয়ে এলাম। মার জেরার মুখ থেকে বাচতে চুপি চুপি বেড়িয়ে আসতে চাইলাম। কিন্তু পারলাম কই। কই থেকে আমার মাতাজি বেড়িয়ে এসে বললেন "এমা। জুতা ছিড়লো কি করে।"

আমি হাদার মতো হাসার চেষ্টা করলাম। বললাম "কাদায় পা পড়েছিলো।"

উদ্বিগ্ন গলায় মা আবার বলল " সে কি? ব্যাথা ট্যথা পাসনি তো? দেখে চলতে পারিসনা।"

"না মা ব্যাথা পাইনি। তবে ট্যাথা পেয়েছি কিনা বলতে পারছিনা।"

"মুখে মুখে তর্ক করবিনা। বাধা পড়েছিস। আয় ভেতরে বসে পানি খেয়ে যা।"

বাসার মেইনডোর বন্ধ করার সময় দেখতে পেলাম সেই অভদ্রলোকটাই সিড়ি বেয়ে নেমে যাচ্ছে। কাপড় পালটে কালো প্যান্ট আর হালকা নীল শার্ট পড়েছে। আমাকে দেখতে পেয়ে এমনভাবে চোখ কুচকে অন্য দিকে তাকালেন যেন আমি অচ্ছুত। না শব্দটা ঠিক হলোনা। অচ্ছুত তো ছোয়া সংশ্লিষ্ট। কিন্তু এরকম দেখা সংশ্লিষ্ট শব্দটা কি? অদৃশ্য? না অদৃশ্য মানে তো যা দেখা যায়না। তাহলে কোন শব্দটা হবে! অদর্শনীয়? আশ্চর্য! মন মতো একটা শব্দও পাচ্ছিনা কেন? আজই বাংলা অভিধান নিয়ে বসব। রোজ পাচটা করে বাংলা শব্দ শিখতে হবে। কথা বলার সময় শব্দ খুজে না পাওয়ার মত কষ্ট আছে! লোকটার পিছু পিছু সিড়ি দিয়ে ধীর পায়ে নেমে এলাম। মিস্টার অভদ্র লোক বার কয়েক পিছনে ফিরতে চেয়েও নিজেকে সামলে নিলো। আমি মনে মনে ভেংচি কেটে ভাবলাম, এহহ ঢং দেখ!

আমি এবার সাবধানে মিনি পুকুরটা পার হলাম। এবার আর জুতো ছিড়লে রক্ষা নেই। খালি পায়ে হাটতে হবে। শহরের পিচঢালা রাস্তায় খালি পায়ে হাটার কথা ভাবতেই আমার পা ব্যাথা করতে লাগলো। রোদের তাপে পীচ গলে এতো গরম হয়ে থাকে।আর ছোটো ছোটো কংকর গুলো পায়ে হুল ফোটায় রিতীমত। হিমু কিভাবে খালি পায়ে হাটে কে জানে? ওর পায়ে কাটা ফুটে যায়না?

লোকটা একটা রিকশায় চেপে বসলো। ভাবখানা এমন যেন কোনো রাজা মহারাজা তাদের পারসোনাল ঘোরার গাড়িতে বসেছে। আজাইরা। আমি রিকশা নিলাম না। যদিও স্টুডেন্টের বাসা এখান থেকে ভালোই দূরে কিন্তু আমাকে হেটেই যেতে হবে। কি দরকার শুধু শুধু ত্রিশ টাকা রিকশা ভাড়া দেওয়ার। হেটে গেলে শরীর ভালো থাকে। কোন বইয়ে যেন পড়েছিলাম, হাটা উৎকৃষ্ট ব্যায়াম।

আদিবাদের বাসার কাছাকাছি আসতেই দেখলাম ফুটপাতে বিভিন্ন দোকান সাজিয়ে বসেছে। "দুইজোড়া দেড়শ। দুইজোড়া দেড়শ।" শুনে জুতার দোকানের দিকে এগিয়ে গেলাম। যদিও আগে কখোনো ফুটপাত থেকে জুতা কিনি নি। কেমন হবে তাও জানিনা। তবে নতুন জিনিস ট্রাই করতে তো আর ক্ষতি নাই। এমনিতেও লকডাউনের জাঁতাকলে পড়ে খানদানী ভাবসাব বাদ দিয়ে দিয়েছি। বাবা একটা বেসরকারি স্কুলের হেড টিচার। প্রায় পাচ মাসের মত বাড়িতে বসা। অন্য কোনো কাজও নাই। দিন যে কিভাবে বদলে গেছে ভাবনার বাইরে।"মামা এই কালো জোড়া দেখি।"

"দেখেন আপা। দুইজোড়া দেড়শ"

ভাবলাম কিনে সেলাই করে নিলে অনেকদিন যেতে পারে। তবে জুতার ডিজাইন খুব বেশী ভালোনা। আরে জুতা থাকবে পায়ের নিচে এত ডিজাইন দিয়ে কি হবে ভেবে দুইজোড়া কিনেই নিলাম।

জুতার দাম দিতে যাব তখন কানের কাছে ফিসফিসানি আওয়াজ শুনতে পেলাম "সেই মা*" লোকটা প্রায় আমার ওপর হুমরি খেয়ে পড়ছে। সেই সাথে পেছনের দিকে হাতও বুলালো যেন। আমি ঝট করে পেছন দিকে তাকিয়ে দেখলাম প্রায় মধ্যবয়সী এক লোক। আমার তাকানো দেখে বলল "জুতাজোড়া ভালো আপা।" বলেই দাত কেলিয়ে বিশ্রিভাবে হেসে দ্রুতপায়ে চলে গেলো। লোকটার কথার ধরন আর হাসি দেখে গা গুলিয়ে উঠলো আমার। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই। মনটা নিমেষেই তেতো হয়ে গেলো। আমি জুতোগুলো ব্যাগে ভরে রওনা দিলাম আদিবাদের বাসার উদ্দ্যেশ্যে। তবে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় ভয় ভয় করছে খুব। নিজের অজান্তেই বার বার কেপে উঠতে লাগলাম। কেবলই মনে হতে লাগলো, কেউ ফলো করছে না তো? আমি পা চালালাম দ্রুত। ব্যাগের বাইরের পকেটে মরিচের স্প্রে আছে। হিজাবের সাথে এক্সট্রা দুইটা সুচালো সেইফটিপিন। ব্যাগের ভেতর ছোটো একটা পকেট নাইফ। আশে পাশে কেউ বাজে উদ্দ্যেশ্যে উল্টা পালটা কিছু করার চেষ্টা করলেই ঘ্যাচাং করে এক পোচ বসিয়ে দেব। তারপর যা হবার হবে। লোকজন ডাকব না। চিল্লাপাল্লা করব না। তামাশা করার ইচ্ছা নেই আমার। আমি ব্যাগের চেইন খুলে হাত দিয়ে ছুড়িটা দেখে নিলাম। এখনো কেমন ভয় ভয় লাগছে। আগামী কয়দিন একটু ভয় করবেই। মনে মনে দোয়া ইউনুস আর আয়াতুল কুরসি আওড়াতে লাগলাম।

কিন্তু আল্লাহর রহমতে সহীহ সালামত ভাবেই আদিবাদের বাসায় এসে পোছুলাম। দরজা খুলে দিলো আদিবার বাবা। ভদ্রলোকের শান্ত হাসিখুশি মুখ টা দেখে আমার ভয় দ্রবীভূত হয়ে এলো। ভেতরে ঢুকেই দেখলাম আদিবার আম্মু আদিবার ছোটোবোন ঝুমুর কে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি ভেতরে গিয়ে আদিবাকে পড়ানো শুরু করলাম।

.

.

(চলবে...)

1
$ 0.01
$ 0.01 from @TheRandomRewarder
Avatar for Nipa1234
3 years ago

Comments