পুরুষোত্তম মাস চলাকালীন স্মার্ত মতে কোন সংস্কারাদি অথবা বিবাহের কোন অনুমোদন নেই । জাগতিক মানুষ ও স্মার্তরা এই মাসকে পছন্দ করে না , কিন্তু এই মাসটি বিশেষ করে পারমার্থিক কার্যাবলির মাধ্যমে অধিক পরমার্থ আয় করা যায় । দুটি বিষয় জানা দরকার : ( ১ ) কর্ম এবং ২ ) সুকৃতি ।
১ ) কর্ম : কর্মের মধ্যে পাপ এবং পুণ্য থাকে । কেউ হয়ত প্রচুর সম্পত্তি দান করতে পারে এবং প্রচুর পুণ্য অর্জন করতে পারে , কিন্তু যেসস্ত পাপ ও অপরাধ তারা করেছে , এই প্রকার পুণ্য অর্জন তাদের প্রাপ্য অর্থ বা অপরাধ নষ্ট করতে পারে না । উপরন্তু তারা হয়ত আরো পাপ কর্মে লিপ্ত হয়ে তাদের পাপের অথবা অপরাধের বোঝা বাড়িয়ে তোলে । লোকজন প্রথমেই তাদের পুণ্যফল ভোগ করে নেয় এবং যখন তা শেষ হয়ে যায় , তারা তাদের কৃত পাপ অথবা অপরাধের ফলাফলের মুখামুখি হয় ।
২ ) সুকৃতি : সুকৃতি হচ্ছে পারমার্থিক আয় এবং এর কোন ক্ষয় নেই । এটি কেবল যোগ হতে থাকে , কিন্তু অপরাধের দ্বারা ক্ষতিপ্রাপ্ত হয় । কেউ যদি বৈষ্ণব অথবা দিব্য ধামের প্রতি অপরাধ করে । পবিত্র মাস অথবা শুদ্ধ ভক্তের প্রতি অপরাধ করে , এ ধরনের অপরাধ কারো সুকৃতি বিনষ্ট করে । অন্যদিক , যদি কেউ অপরাধ করা থেকে বিরত থাকে , তবে সুকৃতি যুক্ত হতে থাকবে , তিনি চিন্ময় ধামে ফিরে যাবেন ।
মাটি , জল, আগুন , বায়ু ও আকাশ দ্বারা গঠিত এই জড় দেহটি আত্মা থেকে ভিন্ন । বস্তুতপক্ষে যে জড় উপাদানগুলি দিয়ে দেহটি গঠিত হয়েছে , তা থেকে আত্মা সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন । কিন্তু দেহের প্রতি আসক্তির ফলে মানুষ কাউকে তার পতি , কাউকে তার পুত্র , ইত্যাদি বলে মনে করে । এই সমস্ত মায়িক সম্পর্কের কারণ হচ্ছে অজ্ঞানতা বা অবিদ্যা ।
“হে ভক্তবৃন্দ , তোমরা ভগবানকে ভজনা কর । তিনি সকলের প্রভু , তিনি সকলের শত্রুদমনকারী এবং তিনি সকলের হৃদয়ে বিরাজমান । পরম পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ বা বাসুদেবই সকলকে সর্বমঙ্গলময় আশীর্বাদ প্রদান করতে পারেন , কারণ তিনিই হচ্ছেন সমগ্র জগতের গুরু । সেই দীনবৎসল ভগবান তোমার অভিলাষ পূর্ণ করবেন । কারণ ভগবদ্ভক্তি অব্যর্থ । ভগবদ্ভক্তি ব্যতীত অন্য সমস্ত পন্থাই নিষ্ফল । সেটিই আমার অভিমত”।
“ হে পরম সৌভাগ্যবতী , তুমি তোমার মনকে শুদ্ধ চেতনায় স্থির করে , এই পুরুষোত্তম ব্রত অনুষ্ঠানের দ্বারা অব্যয় স্বরূপ ভগবান কেশবের ভজনা কর । এই পুরুষোত্তম ব্রতকে সর্ব্যজ্ঞও বলা হয় । অর্থাৎ এই যজ্ঞ অনুষ্ঠানের ফলে আপনা থেকেই অন্য সমস্ত যজ্ঞের অনুষ্ঠান হয়ে যায় । এটি সমস্ত ধর্ম অনুষ্ঠানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ । হে ভদ্রে , এটি সমস্ত তপস্যার সার , এটিই দান এবং এটিই ভগবানের প্রসন্নতা বিধানের উপায় । যার দ্বারা অবাধে ভগবান তুষ্ট হন , তা - ই শ্রেষ্ঠ নিয়ম , শ্রেষ্ঠ তপস্যা , শ্রেষ্ঠ দান , শ্রেষ্ঠ ব্রত ও শ্রেষ্ঠ যজ্ঞ । অতএব , হে কল্যাণী , তুমি এই নিয়ম সহকারে শ্রদ্ধাযুক্ত হয়ে ব্রত আচরণ কর । তার ফলে ভগবান শীঘ্রই তোমার প্রতি প্রসন্ন হয়ে তোমার মনকামনা পূর্ণ করবেন । ”
(সবাই like, share ও comment করুন)
।।জয় সনাতন ধর্ম।।জয় শ্রীকৃষ্ণ।।
🙏🏿sodkirti das🙏🏿
—————————————
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।
ॐ━❀꧁꧂হরে কৃষ্ণ꧁꧂❀━ ॐ