পেইন্টিং
লেখকঃ আবু তালহা মো. ওয়াসি
পর্বঃ০২
সিয়াম সাহেব তার অফিসের কলিগ তালেব চৌধুরীকে ফোন করলো। তালেব চৌধুরী সিয়ামের চেয়ে দুই বছরের সিনিয়র হলেও অফিসের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক তার সাথে সিয়ামের। তালেব চৌধুরী একজন সখের গোয়েন্দা। তার বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতার জুড়ি নেই। এইতো সেইদিন সিয়ামদের অফিসের স্টক থেকে প্রোডাক্ট গায়েব হওয়ার সমস্যাকে কী চমৎকার ভাবেই না তিনি সমাধান করলেন। নানা গবেষণা ও ধারণাকে কাজে লাগিয়ে শেষমেশ অপরাধীকে ধরে ফেললেন।
"ক্রিংক্রিং"
" হ্যালো"
"হ্যালো তালেব ভাই আমি সিয়াম। আপনার সাথে একটু কথা ছিল।
" হুমম বলো।"
সিয়াম সাহেব এখন পর্যন্ত ঘটা সব ঘটনা তাকে খুলে বললো।
"আচ্ছা ওই পেইন্টিংটা নিয়ে আমার বাসায় আসো।এরপর দেখি কী করা যায়।
" আচ্ছা তালেব ভাই আমি আজ বিকালেই আসছি।"
"আচ্ছা।"
"আআআআআ--"
বাথরুম থেকে ডলি চিৎকার দিয়ে উঠলো।সিয়াম দৌড়ে বাথরুমের কাছে গেল।
"কী হয়েছে ডলি।"
সিয়াম জোরে দরজা ধাক্কানো শুরু করলো।
"ডলি দরজা খুললো।"
সিয়াম জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো। অনেকক্ষণ পর ডলি দরজা খুললো।
"ডলি কী হয়েছিলো। চিৎকার দিয়ে উঠলে যে।আর দরজা কেন খুলছিলে না।"
"কই না তো।আমি আবার কখন চিৎকার করলাম।"
"আমি আর তন্ময় শুনলাম।তাই না তন্ময় বাবা?"
"হুমম আম্মু আমিও শুনেছি।" ৪ বছরের ছেলে তন্ময় বলে উঠলো।
"তোমার ঘাড়ের পাশে লাল কী ওটা। ওমা এতো রক্ত! তুমি ব্যাথা পেলে কখন?"
" কই। ওও। কী জানি? জানি না কখন এমন হয়েছে।আচ্ছা আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি তোমরা ফ্রেশ হয়ে আসো কেমন।"এই বলে ডলি চলে গেল। সিয়াম হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। কী যে হচ্ছে তার সাথে কে জানে?
সিয়াম ফ্রেশ হয়ে তন্ময়কে কোলে নিয়ে ডাইনিং রুমে আসলো। হঠাৎ সিয়াম দেখতে পেল ডলি সোফায় বসে পেইন্টিংটা হাতে নিয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলছে।
"ডলি এই ডলি।"সিয়াম ডেকে উঠলো।
" হ্যা হ্যা বলো।"
"কী দেখছিলে পেইন্টিংটাতে।আর বিড়বিড় করে কী বলছিলে।"
"কই কিছু নাতো। আমি কী কথা বলবো। এই পেইন্টিংটা কেন জানি দেখলে মনে হয় শুধু দেখতেই থাকি তাইনা।
ডলি আবার বিড়বিড় করে কী জানি বলছে।
" এই ডলি এই। কী হয়েছে তোমার?"
"হুমম। কিছু না। আমি খাবার বাড়ছি। তোমরা বসো?"
সিয়াম খাচ্ছে। হঠাৎ ডলির দিকে তাকিয়ে দেখে সে পেইন্টিংটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তন্ময় বেচারা কতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে খাইয়ে দেওয়ার জন্য ডলি সেদিকে খেয়ালই নেই।
"ডলি এই ডলি।"
"হুমম "
"কী হয়েছে তোমার?"
"সে হারিয়ে গেছে। তাকে আর কখনো পাওয়া যাবে না।" ডলি বলে উঠলো।
" কে হারিয়ে গেছে?"
"কে-কেউ না।"এই বলে সে চুপচাপ তন্ময়কে খাওয়ানো শুরু করলো।
লাঞ্চ শেষে ডলি ও তন্ময় ঘুমিয়ে গেলে সিয়াম পেইন্টিংটা নিয়ে তালেব চৌধুরীর বাসায় গেলেন।
" টিংটিং"
"কে?"
"তালেব ভাই আমি সিয়াম।"
তালেব চৌধুরী দরজা খুললো।
"এসেছো তাহলে। অনেকক্ষণ ধরে তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।"
"সরি তালেব ভাই। একটু দেরী হয়ে গেল।"
"আসো বসো।"
সিয়াম ও তালেব সাহেব সোফায় বসলেন।
"তোমার ঘটনা শুনে আমি বিভিন্ন দিক দিয়ে স্টাডি করলাম। এরকম অদ্ভূত কেইসের বিষয়ে অনেক বই পড়েছি। বিভিন্ন রাইটার বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে প্যারানর্মাল কনসেপ্ট টাকে বর্ণনা করেছেন। তুমি যা বলেছ তাকে এখনো প্যারানর্মাল ইভেন্ট বলা যায় না। উই নিড সাম মোর এভিডেন্স। ছবিটা দেখাও তো।"
"এই নিন তালেব ভাই।"
"হুমম বেশ ইন্টারেস্টিং তো ছবিটা। কী সুন্দর কারুকার্য। মেয়েটার জামায় এই লাল রঙটাতো ছবিটাকে আরো সুন্দর করে দিয়েছে।"
"লাল রঙ!"
"হুমম এই যে। " তালেব সাহেব পেইন্টিংটাতে সেই জায়গাটি দেখালো।"
"তালেব ভাই এটাতো আগে ছিলো না।"
"কী বলছো কী। দেখে তো মনে হশ এটাও আর্টের একটা পার্ট।
"এটা সত্যিই ছিল না।"
"আচ্ছা আমরা এককাজ করতে পারি। তুমি যা বলছো তা যদি সত্যিই কোন প্যারানর্মাল ইভেন্ট হয়ে থাকে তাহলে আজ রাত আমাকে এই ছবিটা দিয়ে যাও। আমি এই ছবিটাকে পাহাড়া দিব। দেখি আদৌও কোন অদ্ভূত ঘটনা ঘটে নাকি আমার সাথে।"
"না তালেব ভাই এতে ক্ষতি হতে পারে। রনি অলরেডি খুন হয়েছে। এখন এই ছবির সাথে একা থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না।"
"আরে কিচ্ছু হবে না।সমস্যা নেই।"
সিয়াম কিছু বলতে যাবে তখন তার ফোন বেজে উঠলো।
"ক্রিংক্রিং"
"হ্যালো।"
"হ্যালো সিয়াম সাহেব। আমি ইন্সপেক্টর ফরহাদ বলছি। আপনার বন্ধু রনির লাশটা পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ করে তার লাশটা নিখোঁজ হয়ে গেল।"
"মানে?"
"আপনি এক্ষুনি থানায় আসতে পারবেন ওখানেই আপনাকে সব খুলে বলবো?"
"আচ্ছা আমি আসছি।"
ফোন রাখতেই তালেব চৌধুরী জিজ্ঞেস করলো
" কী হয়েছে?"
"ইন্সপেক্টর সাহেব ফোন দিয়েছিলো। রনির লাশ নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।আমাকে ডেকেছে।আমার এক্ষুনি যেতে হবে তালেব ভাই।"
"আচ্ছা আমিও আসছি তোমার সাথে।"
"চলেন ভাই।"
"আরে সিয়াম তুমি।কখন এলে?"
তালেব সাহেবের স্ত্রী আফরোজা বেগম জিজ্ঞেস করলেন।
"এইতো আপা একটু আগে। তালেব ভাইয়ের কাছে একটা কাজে এসেছি।"
"কী কাজ?"
"ওতোসতো তোমার জানা লাগবে না। আমরা দুজন একটু বাইরে যাচ্ছি। তুমি ছেলেদের দেখে রেখ।" তালেব সাহেব বিরক্তির সাথে বললেন।
"আচ্ছা আচ্ছা।"
সিয়াম ও তালেব চৌধুরী দুজনই দ্রুত পুলিশ স্টেশনে গেল।
"আসসালামু আলাইকুম ইন্সপেক্টর সাহেব।"
"ওয়ালাইকুম আসসালাম সিয়াম সাহেব। উনি কে?"
"উনি তালেব চৌধুরী। আমার অফিসের বড় ভাই।"
"আচ্ছা আচ্ছা। আপনারা বসুন।"
"ইন্সপেক্টর সাহেব রনির লাশ নিখোঁজ হলো কীভাবে?"
" ওর লাশটা আমাদের মর্গ রুমে ছিলো।পোস্ট মর্টেম করার পর সেখানেই ছিল। হঠাৎ আজকে সকালে মর্গের ইনচার্জ দেলোয়ার মিয়া এসে বললেন মর্গের একটা লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বললাম পাওয়া যাচ্ছে না মানে। মৃত লাশ কীভাবে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। সে তখন উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করে।সে নাকি রাতে মর্গ রুমে কার গানের আওয়াজ ও হাটার আওয়াজ শুনেছে।আর সেসব শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে গেছে।তার কথা শুনে আমি চেক করতে যাই।সত্যি সত্যিই রনির লাশ আর পাওয়া যাচ্ছে না।আমরা লাশটা খোজার চেষ্টা করছি।"
সিয়াম ও তালেব সাহেব দুজনই হা করে তাকিয়ে রইলেন।
"আচ্ছা দেলোয়ার মিয়াকে একটু ডাকা যাবে? তাকে কিছু জিজ্ঞেস করার ছিলো?"
"জ্বী আচ্ছা।" ইন্সপেক্টর সাহেব টেলিফোনে ফোন করে দেলেয়ার মিয়াকে আসতে বললেন।
কিছুক্ষণ পর দেলোয়ার মিয়া আসলেন।
"আসসালামু আলাইকুম স্যার।"
"ওয়ালাইকুম আসসালাম। আপনাকে একটা জরুরী কাজে ডেকেছি। ওনারা আপনার থেকে কিছু কথা জানতে এসেছে।"
" জ্বী স্যার বলুন।"
"দেলোয়ার মিয়া আপনি কোথায় বসে মর্গ রুমটাকে পাহাড়া দেন?
" রুমের গ্লাসের গেটের বাইরে বসে স্যার।"
"আপনি কালকে রাতে থেকে যা যা দেখেছেন সব বলুন।"
"আমি কালকে রাতে মর্গের সব লাশ চেক করার পর গেটের বাহিরে এসে বসি। অন্যান্য দিন আমার ক্লান্তি না লাগলেও কালকে কেন জানি আমার অনেক ক্লান্তি লাগছিলো। আমার মনে হচ্ছিলো মর্গ রুমের ভেতরে কে জানি গান গাচ্ছিলো আর হাটছিলো। আমি ভেতরে চেক করে দেখি কেউ নাই। বাহিরে এসে আবার সেই গান আর হাটার আওয়াজ।এভাবে চলতে চলতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম বুঝতে পারি নি। সকালে উঠে মর্গ রুমে যেয়ে দেখি একটা বেডের চাদর নিচে পড়া আর লাশ নাই। অথচ আগের রাতে মর্গের সব বেডে লাশ ছিল।"
"আপনি রাতে গাজা বা মদ খেয়েছিলেন নাকি দেলোয়ার মিয়া?" ইন্সপেক্টর ফরহাদ জিজ্ঞেস করলেন।
"না স্যার বিশ্বাস করুন আমি এসব খাই না।"
"আচ্ছা আপনি এখন আসতে পারেন।"
"জ্বী স্যার আসসালামু আলাইকুম। "
"সবই তো শুনলেন আপনারা। সে কাল রাতে গভীর ঘুমে ঘুমাচ্ছিলো তখন কেউ লাশটা চুরি করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো রনির লাশ কে চুরি করলো?"
"আমরা জানি না স্যার।" সিয়াম বললো
"আচ্ছা আমরা দেখছি ব্যাপারটা।আপনারা কিছু জানলে অবশ্যই জানাবেন।আপনারা আসতে পারেন।"
"আচ্ছা স্যার আসসালামু আলাইকুম। "
"ওয়ালাইকুম আসলাম। "
সিয়াম ও তালেব সাহেব যে যার বাসায় চলে গেল। সিয়াম দ্বিধায় পড়ে গেল তালেব চৌধুরীর কাছে পেইন্টিংটা দিয়ে তিনি ঠিক করলেন কিনা।বাসায় যেতেই ডলি জিজ্ঞেস করলো
"তুমি পেইন্টিংটা কোথায় নিয়ে গিয়েছো?"
ডলির এরকম আকস্মিক প্রশ্ন করায় সিয়াম হকচকিয়ে উঠলো।
"আমি আবার পেইন্টিংটা কোথায় নিয়ে যাব?"
"তুমি মিথ্যা বলছো। তুমিই নিয়ে গিয়েছো!"
ডলিকে এতো ক্ষিপ্ত হতে আগে কখনো দেখেনি সিয়াম।
"শান্ত হও ডলি। আমি পেইন্টং কোথাও নেই নি। আমি তো তালেব ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।উনি অফিসের একটা কাজ নিয়ে আলোচনা করতে আমাকে ডেকেছিলেন।"
"ওওও আচ্ছা।" ডলি হতাশ হয়ে বললো
" সমস্যা নেই। পেইন্টিংটা খুজে দেখ ভালো করে।না পেলে আমার কাছে পেইন্টিংটার ফটো আছে। অন্য কোন আর্টিস্ট দিয়ে বানিয়ে নিব।"
ডলি সিয়ামের কথায় সন্তুষ্ট হয়ে অন্য রুমে চলে গেল।
রাত ১০ টার সময় সিয়াম তালেব সাহেবকে ফোন করলেন।
"হ্যালো তালেব ভাই।"
"হ্যা সিয়াম বলো।"
" আপনি জোরাজোরি করায় পেইন্টিংটা আপনার বাড়িতে রেখে আসলাম। রাত হয়ে গেছে। কিছু খেয়াল করলেন কী?"
"না এখনও সেরকম কিছু পাইনি। তুমি টেনশন করো না। আমি আজ রাত পেইন্টিংটা পাহাড়া দিব। কালকে তোমাকে জানাবো।"
"আচ্ছা তালেব ভাই। বি কেয়ারফুল।"
"ডোন্ট ওয়ারি। এভরিথিং উইল বি অলরাইট।গুড নাইট।"
"গুড নাইট তালেব ভাই।"
সিয়াম ফোন রেখে দিলেন।
তালেব সাহেব সারারাত জাগার জন্য দু কাপ কফি খেয়ে নিলেন। পেইন্টিংটাকে তার বিছানার পাশে রেখে টিভি দেখতে লাগলেন। তার স্ত্রী আফরোজা আর দুই ছেলে রাফসান ও রাকিব অন্য একটি রুমে ঘুমাচ্ছে। তালেব চৌধুরী টিভির ফাঁকেফাঁকে পেইন্টিংটার ওপর নজর রাখছে।টিভি দেখতে দেখতে অনেক রাত হয়ে গেল। তালেব সাহেব ঘড়িতে দেখলেন রাত ২ টা বাজে। তিনি টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ তার গায়ে কে যেন জোরে ধাক্কা দিয়ে উঠলো। তালেব সাহেব ধড়ফড় করে ঘুম থেকে উঠে বসলেন। তিনি তার বিছানায় রনির লাশটিকে দেখতে পেলেন।
"এ কী করে সম্ভব। রনির লাশ আমার বেডে আসলো কী করে? ওর লাশ তো নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল।"
হঠাৎ তালেব সাহেব কার জানি গানের আওয়াজ ও পায়ে হেটে আসার আওয়াজ শুনতে পেলেন।
"কে? কে গান গায়?"
তালেব সাহেব ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন।কে যেন মেয়েলি কন্ঠে বলে উঠলো "আমি।"
গানের আওয়াজ ও হাটার আওয়াজ ক্রমশ বেড়েই চলছে। হঠাৎ করে গানের আওয়াজ ও হাটার আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। তালেব চৌধুরী দেখলেন তার বেডে রনির লাশটি নেই। তাহলে কী তার এতক্ষণ হ্যালোসিনেশন হচ্ছিলো। তালেন সাহেব কিছুই বুঝতে পারলেন না।
"তালেব তালেব।" কে যেন তালেব সাহেবকে ডেকে উঠলো।
"কে?"
"আমি। এসো আমার কাছে।"
তালেব চৌধুরী লক্ষ করলেন আওয়াজটা বাথরুম থেকে আসছে। সে ভয়ে ভয়ে বাথরুমের দিকে এগিয়ে গেলেন।বাথরুমের দরজা খুলে সে কাউকে দেখতে পেলেন না। হঠাৎ বাথরুমে দরজা বাইরে থেকে লক হয়ে গেল আর বাথরুমের লাইট অফ হয়ে গেল।
"ক্রিংক্রিং"
সকাল ৮ টায় সিয়ামের ফোন বেজে উঠলেন।
"হ্যালো।"
"হ্যালো সিয়াম। আমি আফরোজা। তালেবকে খুন করা হয়েছে।তালেব আর নেই।"
এই বলে আফরোজা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
"বলেন কী আপা।তালেব ভাইকে খুন করা হয়েছে!"
"হুমম। ও কালকে অন্যরুমে ঘুমিয়েছিলো।বললো কী না কী জরুরী কাজ।সকালে উঠে দেখি ওর রুমের বাইরে রক্ত।তারপর ওর রুমে যেয়ে দেখি--"
আফরোজা বেগম কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
"আচ্ছা আপা। আমি আসছি। আমি পুলিশকে ফোন করে দিচ্ছি। তারা আসবে।"
"আচ্ছা আসো।"
আফরোজা বেগম কাঁদতে কাঁদতে ফোন কেটে দিলেন। ডলি জিজ্ঞেস করলো
"কী হয়েছে?"
" তালেব ভাইকে কে যেন খুন করেছে। আফরোজা ভাই ফোন দিয়ে বললো।আমি এক্ষুনি তালেব ভাইয়ের বাসায় যাব।"
"সো স্ট্রেঞ্জ। প্রথমে রনি ভাই এখন আবার তালেব ভাই। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।"
"আমারো একই কথা। এত তাড়াতাড়ি অদ্ভূতভাবে দুটো খুন হয়ে গেল আর আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।যাইহোক আমি তালেব ভাইয়ের বাসায় যাব।তুমি তন্ময়কে নিয়ে সাবধানে থেকো।"
"আচ্ছা।"
সিয়াম পুলিশকে ইনফর্ম করে তালেব সাহেবের বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন।
--(চলবে)--
গল্পের প্রথম পর্বের লিংকঃ
https://www.facebook.com/groups/bdofficials/permalink/844821749656656/