Pain

0 6
Avatar for Nipa1234
4 years ago

বিয়ের সাত বছরের মাথায় অনেক কষ্টে সন্তান ধারণ করার তিন মাস পর যে মায়ের অকাল গর্ভপাত হয়ে গেছে, আবার চেষ্টা করছেন কিন্তু গর্ভধারণ করতে পারছেন না, সেই মায়ের কাছে বাকি সাত মাসের সেই অন্তহীন অপেক্ষার যন্ত্রণা কেউ কোনোদিন বুঝবেনা এবং এমন কোনো শব্দমালা সৃষ্টি হয়নি যে সেই অব্যক্ত কষ্টটাকে প্রকাশ করার সাধ্য আছে।

#যে মেয়েটি ছিল বাবা অন্তঃপ্রাণ, কোনো এক ভোরে উঠে দ্যাখে তাঁর বাবা চলে গেছেন না ফেরার দেশে। বাবার এই অকাল প্রয়াণের পর বাবার সাথে গড়ে ওঠা সখ্যতা, অভ্যেসগুলো মেয়েটিকে নিত্য মনে করিয়ে দিতে থাকে তার বাবার কথা। প্রতিটি কাজের মাঝেই ভেসে আসে বাবার সেই সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখায়ব, সেই মেয়েটির বাবা হারানোর যন্ত্রণা বোঝার ক্ষমতা এই পৃথিবীতে কারো নেই।

অনার্স পড়া অবস্থায় বন্ধুর প্রেমে পড়ে বাড়ির মতামত অগ্রাহ্য করে যে মেয়েটি নিজের মতে বিয়ে করে ভাবছে সুখে আছে সে আসলে তাঁর বাবা-মায়ের মেয়ে হারানোর ব্যাথা অনুভব করতে পারবেনা। যে বাবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেয়ের বাঁধিয়ে রাখা হাসিমাখা মুখখানি দেখে ঘুমোতে যেতেন, সেই বাবা আজ মেয়েটির ছবি নামিয়ে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। বাইরে স্ত্রীর সাথে ভাব দেখান যে মেয়ে চলে গেছে তাঁর কিছু যায় আসে না। কিন্তু প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেয়েটি ছবি খুঁজতে থাকেন, মেয়েটির সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোর স্মৃতিরা এসে ভিড় করে বুকের মাঝে যে অব্যক্ত যন্ত্রণার ছাপ রেখে যায় এটা কি প্রকাশ করা সম্ভব!

যে নারী অকালে বিধবা হয়ে তিনটে ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে চারিদিকের পাহাড় সমান চাপ সামলে স্বামী হারানোর বেদনা বুকের মাঝে চেপে রেখে ঐ তিনটে কচি মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতি রাতে বিছানায় ঘুমাতে যান। আর ভোররাতে ঘুম ভেঙে গেলে দুহাত বাড়িয়ে তাঁর অকাল প্রয়াত সঙ্গীকে খুঁজে না পেয়ে নীরবে চোখের নোনা জলে প্রতিরাতে বালিশটাকে ভিজিয়ে ফেলেন। আবার খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে শোক ভুলে হাসিমুখে নতুন দিনের লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিতে থাকেন, এই নারীর গল্প লিখে প্রকাশ করার ক্ষমতা কি কারো আছে।

আমাদের চারপাশে এরকম হাজারো মানুষের গল্প আছে যে গল্পগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে তা প্রকাশ করার মতো ক্ষমতা আমাদের মাঝে গড়ে ওঠেনি, উঠবে বলে মনেও হয়না।Collected :Subrata Mallick sir.

#জীবনের গতিপথ বড় অদ্ভুত,এলোমেলো, বেরসিক!

রহস্যময়তায় ঘেরা এ জীবন!

1
$ 0.00
Avatar for Nipa1234
4 years ago

Comments