জীবনে প্রথমবার হয়তো গল্প লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি, ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অবহেলার একটা লিমিট থাকা দরকার। কেউ
একজন তোমাকে দিনের পর দিন কেয়ার করে
যাচ্ছে, আর তুমি সেগুলো মুচকি হেসে এড়িয়ে গিয়ে ভাবছো এসব তোমারই প্রাপ্য। এরকম তো কতো জনই আছে কেয়ার করার।এমনটি যদি ভেবে থাকো তাহলে তুমি ভুল ভাবছো। হাজার মানুষের কেয়ারের ভিরে তুমি আসল মানুষের আলাদা কেয়ারটুকু টের পাচ্ছোনা। একদম না। কেউ একজন তোমার ছোট্র একটি "টেক্সের"
আশায় ঘন্টার পর ঘন্টা ডাটা অন রেখে কি
পরিমান ছটফট করতে পারে তুমি সেটা দেখনা বলে এমনটা ভাবছো।
মেসেজবক্সে হাজার হাজার শব্দ মিলিয়ে দু-ঘন্টা ধরে সাজানো কষ্টের ভাষা গুলো লিখে সেন্ড
করার ঠিক আগ মূহুর্তে ডিলিট বাটনে চাপ দিয়ে রাখাটা যেকতটা যন্ত্রনার তুমি সেটা বুঝোনা বলে এমনটি করো।
তোমার একটি মাত্র ফোন কলের আশায় বিছানার এপাশ-ওপাশ করে। কতো যে নির্ঘুম কেটে গেছে মানুষটির তুমি সেটা কখনই জানতে পারোনা বলে
মানুষটিকে সস্তাভাবো। বিশ্বাস করো তোমার থেকে
অবহেলা পাওয়া এই মানুষটা মোটেই সস্তা কোনো মানুষ নয়।অদ্ভুদ রকমের একটা ধর্য্য-শক্তি আছে তার মাঝে। তুমি ধারনাও করতে পারবেনা তার সিম্পল একটি মেসেজের জন্য কতো মানুষ যে পাগল হয়ে আছে। অথচ সে
তোমার জন্য পাগল। স্রেভ তোমার জন্য তার হৃদয়ের
জায়গাটুকু বরাদ্দ।মনে রাখবে "ধাক্কা দিয়ে ফেলে
দেওয়া মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে। কিন্তু
পড়ে যাওয়া মানুষটিকে হাত ধরে টেনে তোলার
মানুষের বড়ই অভাব।
তোমার এত অবহেলা পাওয়ার পরও কিন্তু সেই ছেলেটি তোমাকে কোনো ভাবেই ছাড়লো না।
তোমাকে ভালোবাসার কারণে সেই ছেলেটি তোমার সকল অন্যায় পাপ কাজ মুখ বুঝে ক্ষমা করে নিলো,শুধুমাত্র তোমার প্রতিশ্রুতি দেয়ার কারণে, যে তাকে ছাড়া কোন কিছুই ভাবতে পারবে না। যা করবে তার পরামর্শ অনুযায়ী। এখন থেকে ছেলেটি তার জীবনের সব। সে ছাড়া অন্য কোন ছেলের সাথে কোন ভাবে জড়িত থাকবে না।
বরং এখান থেকে শুরু হল তোমার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া। এভাবে মেয়েটি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আর ছেলেটি ভুলের ক্ষমা করতে করে কাটিয়ে দিলেো কয়েকটা মাস।
কখনো কি ভেবে দেখেছো, যে তাকে আমি এত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি পরবর্তীতে সে যখন আমার সম্পর্কের সকল কিছু জানতে পারবে তার অবস্থাটা কতটুকু ভয়াবহ খারাব হবে।
শেষ মুহূর্তে যখন ছেলেটি ভাবলো মেয়েটির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিন দিন বেড়েই চলেছে, তার সাথে এভাবে থাকা সম্ভব না। এভাবে যদি আর কিছুদিন ছেলেটি পার করে তাহলে তার জীবনের শেষ মুহূর্ত চলে আসবে। তাই সে এই অনিশ্চিত জীবন থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চাইল। মেয়েটির বিভিন্ন ভুলের কারণে প্রায় একমাস তারা সম্পর্ক বিচ্ছেদ ছিল।
কিন্তু ছেলেটি সেটা আর পারল না। মিয়েটা খুব আকুতি-মিনতি শুরু করল তার জীবনে থাকার জন্য। শেষবারের মতো মেয়েটি তার কাছে প্রতিশ্রুতির আবদ্ধ হল। সব পরিস্থিতিতে সে ছেলেটির পাশে থাকবে হাত ধরে।অন্য কোন ছেলের সাথে কোন ভাবে জড়িত থাকবে না। পরিবারকে ছেড়ে হলেও সে ছেলেটির কাছে চলে আসবে, সারা জীবন একসাথে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য।
ছেলেটি তাকে শেষবারের মত বিশ্বাস করে তার প্রতিশ্রুতিতে রাজি হয়ে গেল।
কিন্তু মেয়েটি কি সত্যিই তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়াটা রাখতে পারবে। ছেলেটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নিলো যে মেয়েটি আর হয়তো কোন ভুল করবেনা।
কিন্তু কি হলো শেষ পরিণতিটা,
মেয়েটি আবারও অন্য ছেলের সাথে বিভিন্ন ভাবে জড়িত হয়ে গেল প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কিছুদিনের মাঝেই। তখন আর ছেলেটির এই সম্পর্কটা ঠিক রাখা সম্ভব হলো না। ছেলেটি তাকে সকল স্মৃতিময় জিনিসগুলো ফেরত দিয়ে দিলো এবং সাথে ভালোবাসার হিসেবে নতুন কিছু দিয়ে আসলো।
এভাবেই শেষ হয়ে গেল একটা ছেলের সারা জীবন মেয়েটির হাত ধরে বেঁচে থাকার বাস্তব গল্প।
গল্পে বাস্তব জীবনের এক-তৃতীয়াংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা।
লেখক,
তূর্য রহমান শুভ।