নূপুর

0 9
Avatar for Nipa1234
4 years ago

01

আজকে নয়নপুরের রাজ কুমারী মিমির বিয়ে।নয়নপুর রাজ্যেয় রাজকুমারী মিমির বিয়ের আমেজে মেতে উঠেছে প্রজাগণ।সবাই হৈ -হুল্লোড় করছে।অচিন পুরে রাজ কুমার পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে আসছে।সবাই চারদিকে ঘিরে রেখে, সেই রাজকুমারকে দেখছে?ঘোড়া থেকে নেমেই রাজকুমার প্রাসাদে প্রবেশ করল।রাজকুমার আর রাজকুমারীকে সামনাসামনি বসানো হয়।রাজকুমারী লজ্জায় তাকাতেই পাচ্ছে না।এখন পর্যন্ত রাজকুমারকে দেখেনি সে।রাজ কুমারকে দেখার জন্য আড়চোখে তাকায় মিমি।তখনই রাজকুমারী ' না ' বলে চিৎকার দিই।

এক লাফে উঠে বসে মিমি।এতক্ষণ সে স্বপ্ন দেখছিল। কী সুন্দর স্বপ্ন ছিল? তার একটা রাজ্য ছিল।সেই রাজ্যর রাজকুমারী ছিল সে।ভাবতেই মিমির মন খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠল।তখনই রাজকুমারে কথা মনে পড়ে। যখনই সে রাজকুমারকে আড়চোখে দেখে।সে অবাক হয়! সেই রাজ কুমার আর কেউ নয়,সে হলো কাব্য।তখনই মিমি চিৎকার দিই। আর কেউ হতে পারল না তার রাজকুমার।রাজকুমারের জায়গায় কেন কাব্যকে দেখল ?কাব্য তাঁর বেস্টফ্রেন্ড।কাব্যকে কেন তার স্বপ্নের রাজকুমার হতে গেল?উফ! কাব্যকে নিয়ে কেন সে স্বপ্ন দেখল?আজ যদি কাব্যকে সেই স্বপ্নের রাজ কুমারের জায়গায় না দেখত।তাহলে কী সুন্দর রাজকুমারে সাথে তার বিয়ে হতো।শুধু মাত্র কাব্যের জন্য তার স্বপ্নটা অসম্পূর্ণ থেকে গেলো।খুব বিরক্ত লাগছে।সারাদিন কাব্য কাব্য করে বলেই শেষ পর্যন্ত স্বপ্নেও এসে পড়েছে।আর সবচেয়ে বড় কথা সে প্রতিরাত ৩-৪ টা স্বপ্ন দেখে।কখনো তো কাব্যকে স্বপ্নেই দেখেনি।আজকে হঠাৎ করে এমন স্বপ্ন কেন দেখল? যে-ই স্বপ্নে রাজকুমারী সাথে রাজকুমারের বিয়ে।তার মানে কী কাব্য সাথে তার বিয়ে হবে?

না,না, এসব কী ভাবছে সে? মিমি মাথা থেকে এসব ঝেঁড়ে ফেলল।কী সব উল্টা পাল্টা ভাবছে?কাব্যের সাথে তার বিয়ে হতে যাবে কেন? কাব্য তার বন্ধু।শুধু মাত্র বন্ধু।এর বেশি কিছু নয়।

সানা ওজু করে আসে নামায পড়ার জন্য। চেয়ার থেকে জায়নামায নিয়ে বলল," এতক্ষণ ধরে নামাযে জন্য ডাকলাম।উঠার কোনো নাম-ই নেই।এখন হঠাৎ করে ' না' বলে চিৎকার দিলি কেন? "

সানা হলো মিমি ছোট বোন।সে এবার ক্লাস এইটে পড়ে।দেখতে নজর কাড়া!রুপবতী বলা যায় তাঁর-ই।

মিমি ঘাড় কাত করে সানাকে দেখে।মিমি টেনে টেনে সানার নাম উচ্চারণ করে বলল," সানা!"

সানার ভ্রু কুঁচকায়।সে বলল," এত খুশি! কারণ কী?"

বিছানা থেকে নেমে বলল," উফ! আজকে জম্পশ একটা স্বপ্ন দেখেছি,সানা।"

সানা বিরক্ত নিয়ে বলল, " আপু তোর কী কোনো কাজ নেই?দিন-রাত চব্বিশ ঘন্টা তুই স্বপ্নই দেখছ।"

মিমি সানা কোনো কথা কানে তুলল না।সে আবার বলল," পক্ষিরাজ ঘোড়ায় চড়ে রাজকুমার এসেছিল আমায় বিয়ে করার জন্য।ইস্! ভাবতেই পাগল পাগল লাগছে।"

সানা হেসে বলল," তোর মত একটা কাইলা মেয়েকে রাজকুমার এসে বিয়ে করবে।জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছিস।"

সানার কথায় কিঞ্চিৎ মন খারাপ হয় মিমির।সে উঠে দাঁড়ায়।জানালার কাছে এসে জানালা খুলে দেই।এখনও ঘুটঘুটে কালো অন্ধকারে চেয়ে আছে বাইরে।মাত্রই ফজরে আযান দিয়েছে।মিমি তার দাদুর কাছে শুনেছে ভোরে স্বপ্ন না-কি সত্যি হয়।তাহলে কী সত্যি রাজকুমার তার জীবনে আসবে?সত্যি কী তার কপালে জুটবে রাজকুমারে মত বর? তার মা সব সময় বলে কালো মেয়েদেরর কপালে রাজ কুমারে কত বর জুটে।সে তো কালো।তাহলে সত্যি তারও একটা রাজকুমারের মত বর হবে।কিন্তু রাজকুমারের মত বরের জায়গায় সে কাব্য কে দেখেছে?কাব্য মোটেই রাজ কুমারে মত দেখতে নয়।দূর সে কী ভাবছে!কাব্য রাজকুমার হলেও কী, না হলে কী।কাব্যকে তো সে বিয়ে করবে না।

ঘুরে ফিরে কাব্য কথাই তা মাথা ফিরে আসে।মিমি ঝাঁমটা মেরে মাথা থেকে কাব্যের ভুত ঝেঁড়ে ফেলে নামায পড়তে যায়।

সকালে নাস্তা করে স্কুলের উদ্দেশ্যই বেরিয়ে যায়।মিমি এবার এস. এস. সি পরিক্ষার্থী। দুইবোন এক-ভাই। গ্রামের তাদের অবস্থা অনেক ভালো। মিমিকে তাদের গ্রামের সবাই খুব ভালোবাসে। মিমি সব সময় সত্যকথা বলে, সবার সাথে ভদ্র ভাবে কথা বলে।

মিমি কালো বলে তার সাথে কোনো সুন্দর ছেলে বন্ধুত্ব দূরে কথা কোনো সুন্দর মেয়েরাও তার সাথে কথা বলে না।মিমি বেশিভাগ সময় চুপচাপ থাকে। শুধু সে যাদের কে চিনে। বার বার যাদের সাথে কথা হয়েছে। শুধু তারাই জানে মিমি কতটা বেশি কথা বলতে পারে আর কত শয়তানি বুদ্ধি আছে।

সুন্দর মানুষ সাথে কথা বলতে মিমি কিছুটা ইতস্তত বোধ করে।নিজেকে ছোট মনে হয়। তাদের বাড়ি কারো সাথে কোথাও বেড়াতে যায় না। সবাই সুন্দর বলে আর সে কালো বলে। সবার সাথে মানানসই না তা-ই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ মিমিকে বলে, "কালো বলে সে এতো দেমাগ দেখায়, সুন্দর হলে তো কথাই ছিলো না।" কিন্তু মিমি নিজেই জানে সে কেন কোথাও যেতে চায়?কারন সবাই সুন্দর! আর সুন্দর কারো সাথে কোথাও গেলে? নিজেকে তার অন্য গ্রহের প্রাণী মনে হয়। কেউ তার সাথে মিশতে চায় না বেশিভাগ সময় একা একা থাকে।তার স্কুল জীবন ১০ বছর।তার একটার বেশি বেস্টফ্রেন্ড নেই।সোনিয়া তার বেস্টফ্রেন্ড। তার গায়ের রং শ্যাম বর্ণ। । তার সাথে সব সময় স্কুলে যায়। আর বাড়ি ছেলে মেয়েদের সাথে বাড়িতে থাকলে একটু আধটু আড্ডা।এটা নিয়ে চলছে মিমির জীবন।

নাস্তা করে মিমি স্কুলের জন্য তৈরি হয়।কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে রিজভি সাহেবের কাছে যায়।সে বাবাকে বলল," বাবা আমার বাড়তি কিছু টাকা লাগবে।"

রিজভী সাহেবে কাজে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে।তিনি মিমিকে বললেন,

" টাকা দিয়ে কী করবি তুই?"

মিমি আমতা আমতা করে বলল, " আসলে বাবা আজকে সবাইকে আমি ফুসকা খাওয়াব। তাই কিছু টাকা লাগবে।"

রিজভী সাহেব মেয়ের দিকে তাকিয়ে রেগে বললেন," বেয়াদব মেয়ে!বাপে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা রোজগার করে। সেই কষ্টের টাকা উড়াতে আসছিস তুই।তোর কত বড় সাহস!বাজে কাজে টাকা নষ্ট করার জন্য।আমার কাছে টাকা চাইতে আসছিস।"

মিমি বাবাকে রেগে যেতে দেখে ভয় পেয়ে যায়। চোখের পানি টলমল করতে থাকে।রিজভী সাহেব বেড়িয়ে যাওয়ার সময় মিমির হাতে দশ টাকার একটা নোট ধরিয়ে দিল।

কত আশা করে বাবা কাছে এসেছে। টাকা নিয়ে বন্ধুদের কে ফুসকা খাওয়াবে।কিন্তু তার বাবা এত গুলো কথা শুনিয়ে হাতে ১০টাকা ধরিয়ে চলে গেছে। বাবার এরকম কথা শুনে তার মনটা খারাপ হয়।মেজাজটা গরম হয়ে যায়। তারপর হনহন করে হেঁটে চলে যায় স্কুলের উদ্দেশ্য ।

তিনরাস্তার মোড়ে সোনিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মিমির মেজাজ চরম আকারে খারাপ হয়।

কিছুক্ষণ পর সোনিয়া এসে বলে,"চল!"

মিমি ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে দেখে সোনিয়া আবার বলে," কিরে চল।দাঁড়িয়ে আছিস ক্যান?স্কুলে যাবি না!"

মিমির মেজাজ গরম করে সোনিয়াকে বলল,"এতক্ষণে তোর আসার সময় হলো। কতক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি। পা ব্যথা হয়ে গেছে। আর ১ মিনিট লেট করতি, সত্যি চলে যেতাম আমি।"

সোনিয়া হেসে দিয়ে বলল, "কী ব্যাপার? তোর মেজাজ এত গরম কেন?"

দুজনেই হাঁটতে থাকল।মিমি বলল,"মেজাজ গরম হবে না তো কী হবে?তুই বল, আমায় বাড়তি টাকা দিলে কী আমার বাপের টাকা কমে যেত?বাড়তি টাকা চাইছিলাম বলে।আমার আব্বাজান কী বলেছে জানিস! "

" কী বলেছে?"

বিজ্ঞদের মত অভিনয় করে মিমি বলল," মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোজগার করি। "

এইটুকু বলে মন খারাপ হয়ে যায়।সে ফানসে গলায় বলল," তাই বাজে কাজে টাকা দিতে পারবে না। ফুসকা খাওয়া আব্বার কাজে বাজে কাজ মনে হইছে।কিন্তু ফুসকা হলো এই পৃথিবীর সুস্বাদু খাবার।"

"ওহ্,এই ব্যাপার। বাপের রাগ, আমার উপরে ঝাড়ছিস। চাচা কথায় মন খারাপ করিস না।উনি কষ্ট করে টাকা রোজগার করে । উনার এই কষ্টের টাকা তোরা কেউ বাজে কাজে নষ্ট করবি এটা চাচা মানতেই পারে না।এই জন্য একটু বকা দিয়েছে তোকে।"

" আচ্ছা, তুই বল! আমার কী কোনো শখ আহ্লাদ নেই? শুধু তো ফুসকা খাবো বলেছি।তাই জন্য এতগুলো কথা শুনাবে। তুই দেখ, সবাই স্কুলে ২০ টাকা করে নেয়। কোনোদিন আমার বাপের হাতে ১০টাকার বেশি উঠে-ই না আমার জন্য ।"

মিমি মন খারাপ করে বলতে থাকে। তারপর নানা রকম কথা বলতে বলতে দুজনে স্কুলে পৌঁছে যায়।

কিছুক্ষণ পর ক্লাস টিচার শফিকউদ্দিন ক্লাসে আসেন।ক্লাসে রোল নং ডাকা পর ব্লাক বোর্ডে অংক করাচ্ছেন তিনি।কিন্তু মিমির মন আজকে হঠাৎ উদাসীন হয়ে যায়। বাইরে দিকে তাকিয়ে নানা কল্পনা জল্পনা করতে থাকে।হঠাৎ শফিকউদ্দিন খেয়াল করেন মিমির দিকে। তিনি দেখেন, মিমি তার ক্লাসে মনোযোগ না দিয়ে বাহিরে দিকে তাকিয়ে আছে। তখনই তিনি জোরে চেঁচিয়ে অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দেখিয়ে ব্যঙ্গ করে বললেন,"দেখ কাইল্লা মেয়ে বাহিরের দিকে চলে যাচ্ছে।"

স্যারের কথা শুনে পুরো ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা অট্রহাসিতে ফেটে পড়ে। সবার হাসির শব্দ শুনে মিমির হুস ফিরে।সে বুঝতে পারে তাকে নিয়েই সবাই হাসাহাসি করছে।খুব লজ্জা পায় মিমি।

তারপর স্যার আবার বললেন," কাইল্লা মেয়ে মনোযোগ কোথায় তোর ?আমি ক্লাস করা-ই এখানে, বাহিরে কী?পুরো ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকবি তুই।"

শফিকউদ্দীনের ক্লাসে মিমি দাঁড়িয়ে থাকে।স্যার চলে যাওয়ার পর সোনিয়া এসে বলে,"তোর মনোযোগ কোথায় ছিলো?জানিস না, শফিক স্যার ক্লাসে পোলাপাইনদের যা হেনোস্তা করে। অল্প একটু কারণ খুঁজে পাইলেই অপমান করতে ছাড়ে না। এই বদমাইশ স্যারটার স্বভাবেই এই রকম।"

মিমি উদাসিনী হয়ে উত্তর দিল,"হুম!"

মিমি মনে মনে বলল,"হ্যাঁ, আমি মানছি। ক্লাসে আমি অমনোযোগী ছিলাম।তাই বলে স্যার এই ভাবে আমাকে 'কাইল্লা' বলে ডাক দিবে।আমি কী নিজের গায়ের রঙ কালো বানিয়েছি? আল্লাহ তো আমার গায়ের রং কালো দিছে।তাই বলে সবাই সামনে এভাবে কাইল্লা বলে ডাক দিবে।"

বিকালে স্কুল ছুটি হয়ে যায়।মিমি আর সোনিয়া দুজনেই অনেক কথা বলতে বলতে বাড়ি পথ দিয়ে যাচ্ছে।হঠাৎ সোনিয়া বলে উঠে," ওই দেখ, কাব্য!"

মিমি তাকিয়ে দেখল।কালো টি-শার্ট উপরে সাদা শার্ট ছেড়ে পরেছে। পরেনে জিন্স।মুখোবর্তী চাপ দাড়ি, সিল্কি চুল গুলো বাতাসে উড়ছে।কাব্যের চুল গুলো মিমির খুব প্রিয়।এত সুন্দর চুল।সে কোনো ছেলের মাথায় দেখেনি।

সোনিয়া বলল," আমার মনে হয়,কাব্য তোকে ভালোবাসে।"

মিমি দাঁড়িয়ে যায়।সোনিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, "কী বলছি এসব? "

"এই মাত্র দেখলাম! কাব্য দোকানের ভিতর থেকে তোকে উঁকি মেরে দেখছে। "

" তোর কোথাও ভুল হচ্ছে? কাব্য আমার ভালো একজন ফ্রেন্ড । ও আমায় ভালোবাসতে যাবে কেন?"

" তুই ওকে ভালোবন্ধু ভাবিস,হয়তো কাব্য তোকে ভালোবাসে।"

মিমি অন্যমনস্ক হয়ে যায়।সোনিয়া আবার বলল," একটা ছেলে আর একটা মেয়ে যদি বেষ্টফ্রেন্ড হয়।তাদের মধ্যে ভালোবাসা জন্ম নিতে দেরী হয় না।ছেলেটা নয়তো মেয়েটার প্রেমে পড়বে,নয়তো মেয়েটা।"

মিমি বিড়বিড় করে বলল," সত্যি কী তাই হয়?" তারপর সোনিয়াকে বলে,"আমাদের গ্রামের অনেকেই ভাবে আমি প্রেম করি কাব্যের সাথে।সেইদিন লিপি আমাকে কী বলেছিল জানিস?ও না-কি স্বপ্ন-ই দেখছে আমার আর কাব্যের বিয়ে। সেইদিন আমার অনেক রাগ উঠছে। আমি জানি লিপি কোনো স্বপ্ন টপ্ন কিছুই দেখে নেই।সব ভুয়া। ডাইরেক্টলি বলতে পারেনি বলে স্বপ্নর নাম করে বলছে।"

কিছুক্ষণ থেমে মিমি আবার বলে উঠল," আমি আর কাব্য বেষ্টফ্রেন্ড । আমাদের মেলামেশা দেখে সবাই বলে আমরা না-কি প্রেম করি। এই সমাজে মানুষ মন এতটাই নোংরা।কী আর বলবো?একটা ছেলে আর একটা মেয়ে বেশি মেলামেশা করলে মনে করে প্রেম করে।পুরো গ্রামে মিথ্যে বদনাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে ।কী এক অবস্থা?"

মিমি কথায় একমত পোষণ করে সোনিয়া বলল," ঠিক বলছিস। আমার বাড়ির রাস্তা চলে এসেছে। আমি আসছি। কালকে তো স্কুল বন্ধ। পরশু স্কুলে আসবি তো।"

"হুম আসবো।"

মিমি মনে মনে ভাবতে থাকে," সত্যি কী আমি কাব্যকে ভালোবাসবো?আর যদি ও আমি কাব্যের প্রেমে পড়ি। বাবা যদি একবার জানতে পারে তাহলে আমায় বটি দিয়ে কুটি কুটি করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে। আমাদের বংশে এখনও প্রকাশ্যে কোনো মেয়ে প্রেম করেনি।সবাই বাবা- মায়ের পছন্দের ছেলেকে-ই বিয়ে করেছে।"

নিজের ভাবনাকে ঝাঁমটা মেরে বলল," ধুর!সবার কথা ধরে কী সব ভাবচ্ছি আমি? কাব্য তো আমার একজন ভালো ফ্রেন্ড। আমার মনে তো কাব্যের প্রতি অনুভূতি থাকতে হবে।তাহলে তো ভালোবাসাটা হবে।কিন্তু কোনো অনুভূতি নেই।তাহলে শুধু শুধু এসব ভাবছি কেন? "

চলবে

1
$ 0.15
$ 0.15 from @TheRandomRewarder
Avatar for Nipa1234
4 years ago

Comments