সেদিন হুট করেই রাস্তার মাঝে মেঘলার বাবার সাথে দেখা। মেঘলার বাবা আমার কাছাকাছি এসে বলল।
-তুমি আজাহার ভাইয়ের ছেলে আকাশ না।
আমি বললাম।
-জী আংকেল আপনি ঠিকই বলেছেন।
আংকেল হুট করেই বললেন।
-আংকেল বলছো কেন? বাবা বলো বাবা আমি তোমার শশুর।
-কি বলছেন আবোল তাবোল। আপনার মাথা ঠিক আছে তো।
-আমার মাথা ঠিক আছে, আবোল তাবোল কথা আমি বলছি না। আবোল তাবোল কাজ তুমি করছো। আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে পটিয়েছ। আর এখন তাকে পালিয়ে নিতে চাও। এটা কিন্তু তুমি ঠিক করো নি। আমাকে বলতে পারতে আমি তোমাদের মেনে নিতাম। আরে তোমার মতো ছেলেকে কেউ হাত ছাড়া করে।
আংকেলের কথা শুনে আমি হতবম্ব। বললাম।
-আংকেল আমি কেন আপনার মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে যাবো। আপনি হয়তো ভুল করছেন।
আংকেল রাগি চোখে বললেন।
-ভুল আমি করছি না ভুল তুমি করছো। এই নাও এটা পড়।
আংকেল আমার হাতে একটা চিঠি ধরিয়ে দিলো। আমি চিঠির ভাজ খুলে পড়তে লাগলাম।
প্রিয় বাবা,
আমি তোমাকে কখনো কোনোদিন কষ্ট দিতে চাই নি। কিন্তু আমি নিরুপায়। আকাশকে অনেক ভালো বাসি আমি। জানি তুমি আমাদের সম্পর্কটা মেনে নেবে না। আকাশের পরিবারও মেনে নেবে না আমাদের সম্পর্ক। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পালিয়ে যাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করে দিও বাবা। আর আমাদের জন্য পাড়লে দোয়া করো।
ইতি,
তোমার আদরের কন্যা মেঘলা।
চিঠিটা পড়া শেষ করতেই আংকেল বললেন।
-তোমরা যেটা করতে যাচ্ছো সেটা মস্ত বড় ভুল। আমি তোমার বাবা সাথে কথা বলে তোমাদের বিয়ের ব্যাবস্থা করবো। তোমার বাবা অবশ্যই আমার কথা রাখবেন।
কথাটা বলেই আংকেল উল্টো পথে হাটা ধরলো। আমি পিছন থেকে আংকেলকে ডাক দিয়ে বললাম।
-আংকেল মেঘলাকে এই বিষয়ে কিছুই জানাবেন না। ওকে একটা ঘরে আটকে রাখবেন। আর পাড়লে আজকেই আমাদের বিয়ের ব্যাবস্থা করেন। আমি মেঘলাকে সারপ্রাইজ দিতে চাই।
আংকেল বললেন।
-ঠিক আছে।
আংকেল চলে গেল। আর আমি পিছন থেকে লুঙি ড্যান্স দিলাম। মেঘলাকে আমি ভালোবাসতাম ঠিকই কিন্তু মেঘলা আমাকে পাত্তা দিতো না। আমাকে দেখলেই জুতা দিয়ে তারা করতো। আমাদের মাঝে কোন প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক নেই। মেঘলা আকাশ নামে একটা ছেলেকে ভালো বাসতো। আর তার সাথে সে পালিয়ে যাওয়ার প্লান করছে। কিন্তু আংকেল ভেবেছে আমি। মেঘলাকে বিয়ে করার এই মুখ্যম সুযোগ কখনোই হাত ছাড়া করা যাবে না। বিয়ের পর যা হয় দেখা যাবে। আপাতত আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন বাসর রাতে বিড়ালটা মারতে পারি
নাম বিভ্রাট
Akash Mahmud