মুক্তির ওপারে
পর্ব-৩
ইশিতা আদনিন
ইরা সকাল সকাল উঠে নাস্তা বানাতে চলে গেল। রাতে ঔষধ খাবার পর জ্বর কিছুটা কমে এসেছে। তাই ওভাবে শুয়ে থাকার মানে হয়না। এরা তার মা বাবা নয় যে আহ্লাদ করবে। তখনই ড্রয়িংরুম থেকে রিতার মায়ের গলার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। উনারা ইরাদের পাশের ফ্লাটের। খালার সাথে যোগ হয়ে উনিও ইরাকে দু চারটে কথা শোনাতে ছাড়ে না। মহিলার নিজের মেয়েটা বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। ছেলে আছে একটা ছোট। কাজ কর্ম সেরেই নামে খবর জোগাড় করতে।
-শুনছেন ভাবি, কাল নাকি বাড়িওয়ালার ছেলে এসেছে বাসায় লন্ডন থেকে।
-ও তাই নাকি! কখন এলো?
-কাল সকালেই নাকি এসেছে। এই নাকি পাঁচ বছর পর দেশে ফিরলো।
- ওহ ভালো। শুনেছি, ছেলে নাকি দেখতে ভালোই।
হঠাৎ মিসেস চৌধূরীর গতকাল সকালের কথা মনে হলো। " তাহলে ওটা বাড়িওয়ালার ছেলে! " বিড় বিড় করে বললো। হিংসায় গা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে তার। রিতার মা যাওয়ার পরই আবার ইরাকে বকাবকি শুরু করলো।
- "তোরে যা বদ মনে করেছিলাম, তুই তো তার থেকেও বেশি বদ মেয়ে। যেই দেখলি বাড়িওয়ালার ছেলে আসছে, তখনই তুই পড়ে যাওয়ার অভিনয় করলি? আসার সাথে সাথেই কোলে উঠে নিলি? হায় রে কপাল আমার!!!"
কথা গুলো শুনে ইরার বুক কেঁপে উঠলো। কান্নায় দু চোখ ভেঙ্গে পানি চলে আসছে ওর। ও তো ইচ্ছা করে কিছু করে নি। এমনকি দেখেও নি, আশে পাশে দেখার মতো অবস্থাতেই ছিলো না। ইরা ভাবতে লাগলো,
"তাহলে কাল আমাকে যে ছেলেটা কোলে করে নিয়ে এসেছে, সেই ই নিশাতের ভাই! ছি! কি লজ্জা!! এত কিছু থাকতে ঐ লোকের সামনেই কেনো পরতে হলো আমাকে! ওহ খোদা! সব বাজে ঘটনা আমার জীবনেই কেনো ঘটে!"-
...........
দু দিন পর মাশফিক বিকাল বেলা ছাদে গেলো ঘুরতে। আসার পর থেকে বের হওয়া হয় নি। মনের ভিতর অদ্ভুত এক যন্ত্রনা বিরাজ করছে তার। দু চোখ শুধু ইরাবতীকে খুঁজছে। ছাদে গিয়ে দেখলো একটা মেয়ে ফুল গাছে পানি দিচ্ছে, তার ঘন কালো চুলগুলো পিঠজুড়ে মেলে আছে। বাতাসে হালকা উড়ছে।
মাশফিক এগিয়ে গেলো সেদিকে। ভালো করে দেখতেই বুঝে গেলো ওটা ইরা। হঠাৎ মনে হলো, কোথা থেকে এক দমকা শীতল বাতাস এসে তাকে ছুঁইয়ে দিয়ে চলে গেছে। অশান্ত মন শান্ত হয়ে গেছে মুহুর্তেই। মুচকি হাসি দিয়ে অন্যদিকে ফিরে বলতে লাগল,
- আগে শুধু রূপকথার গল্পেই শুনেছি, পরীরা নাকি ফুল বাগানে থেকে ফুলের পরিচর্যা করে। তা যে সত্যি চোখের সামনে দেখবো, তাতো ভাবি নি।
কথাটা শুনেই ইরা সেদিকে তাকালো, দেখলো সেই লোক দাড়িয়ে, মানে নিশাতের ভাই। ইরা ওর খালার কথা মনে হতেই ভয়ে কেঁপে উঠলো।বললো,
- কিছু বলেছেন আমাকে?
- নাহ। কিছু বলিনি তো। ইরাবতী!!!
ইরা অবাক চোখে তাকালো, এই নামে নাকি ওর বাবা ডাকতো।এরপর আর কেউ ডাকেনি এত মিষ্টি করে। কেমন যেনো কান্নায় চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে এলো ইরার।
- আপনার শরীর কেমন এখন? সেদিন তো খুব জ্বর ছিলো দেখলাম।
- জী। ভালো
- কাল ডাক্তার দেখিয়েছেন?
- জী। টাইফয়েড হয়েছে বললো।
- কি বলেন! তাহলে এই শরীর নিয়ে ছাদে এসেছেন কেনো?( মনে মনে বললো, ভালোই হয়েছে এসেছো। তোমাকে দেখার জন্য বুক ফাটা তেষ্টা পেয়েছিলো ইরাবতী)
- গাছগুলো পানি দেয়া হয়নি তিন দিন ধরে। ওদের ও তো জীবন আছে। আচ্ছা আমি যাই।
- হুম তা ঠিক। আমারো বেশ তৃষ্ণা পাচ্ছিলো । সেটাও মিটছে।
- কিছু বললেন?
- নাতো। কিছু বলিনি। পরীদের তো বলতে হয়না। তারা এমনিই বুঝে।
- আসছি।
বলেই ইরা দ্রুত সিড়ি বেয়ে নামতে লাগলো। লোকটার কথা শুনে ওর কান গরম হয়ে গেছে, আর কিছুক্ষন থাকলে জ্বলেই যাবে, তাছাড়া কখন কে দেখে ফেলে, আবার ওকে বাজে কথা শুনতে হবে।
মাশফিক ইরাকে যত দেখছে ততই মুগ্ধ হচ্ছে। সেদিন শুধু ইরাকে দেখতে পেয়েছে কিন্তু কথা শুনতে পায়নি। আজ ইরার কথা শুনে মাশফিকের হৃদয় বরফ শীতল হয়ে গেলো। এই মেয়েটা যেমনি দেখতে অপূর্ব, তেমনি তার কন্ঠস্বর হৃদয় জুড়ানো। এত সুন্দর সৃষ্টিকে সব দিয়ে ও আল্লাহ তাকে এতিম কেন করে রাখলো।
মাশফিকের খুব কষ্ট হচ্ছে। ইরাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। শুধু ভাবছে ইরাকে কবে সে নিজের করে পাবে। তার মনে যে এত প্রেম জমেছিলো, সে নিজেই কোনদিন টের পায়নি! এই মায়াবতীকে দেখে সব যেনো উপচে পড়ছে মাশফিকের। মনে মনে ভাবলো, " এর জন্য যে বহুদিন তাকে অপেক্ষা করতেই হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। এই মেয়ে যা লাজুক, তার উপর কত যে ঝামেলা ওর ফ্যামিলিতে। ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।"
হুমায়ুন আহমেদ স্যার বলেছিলেন, "অপেক্ষা হচ্ছে শুদ্ধতম ভালোবাসার চিহ্ন। " মাশফিক বিড় বিড় করে বললো,
" আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করবো ইরাবতী, আমি তোমাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসাই দিবো, তুমি আমারই হবে, আমার ইরাবতী হবে তুমি"।
..................
পরেরদিন দুপুরের পর নিশাত ইরাদের বাসায় যায়। ঐ সময়ে ইরার খালা নীরাকে নিয়ে কোচিং এ চলে যায়।নিশাত এ সময়টাই বেছে নেয়। কারন ওর ও নাফিসা চৌধুরীকে পছন্দ নয়। নিশাত ইরার ভালো সম্পর্ক। ইরা একটু চাপা স্বভাবের হলেও নিশাত সব খু্ঁচিয়ে কথা আদায় করে নেয়। বয়সে ছোট হলেও মনের খুব মিল দুজনের। ইরা নিশাতকে পড়ার ব্যাপারে ও সাহায্য করে। কিছু না বুঝলে বুঝাই দেয়। ইরা মাঝে মাঝে ওদের বাসায় যায়, নিশাতের মা এর সাথে ও সম্পর্ক ভালো। সে ইরাকে খুব স্নেহ করে। এভাবেই চলছিলো ওদের সম্পর্ক। এসে দেখে রান্না ঘরে সব গুছাচ্ছে।
- এই ইরাপি কি করছো?
- এই তো একটু কাজ করছি। শরীর ভালো নেই। টাইফয়েড হয়েছে।
- বলো কি! তা নিয়ে কাজ করছো কেন!
- তেমন কিছু করছি না। গুছাইতেছি সব কিছু।
- ইরাপি জানো! গত পরশু আমার ভাইয়া এসেছে। তোমাকে বলছিলাম না ভাইয়ার কথা?
নিশাতে ভাইয়ের কথা শুনেই ইরার বুকের মধ্যে তবলা বাজানো শুরু হয়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো সেদিন সকালের কথা, লজ্জায় ভিতরে ভিতরে মরে যাচ্ছিলো সে। ভাগ্যিস নিশু কিছু জানে না। ইরাও নিশাতকে সে ব্যাপারে আর বলে নি। ও স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
- হুম।
- হুম কি? জানো আমার ভাইয়া দেখতে কত হ্যান্ডসাম? তুমি দেখলে টাস্কি খাবে বুঝলে!!! (চোখ মেরে বললো)
- কি আবোলতাবোল বকছিস নিশু?
- হুম ঠিক ই বলেছি। এই তুমি যাবে আমাদের বাসায়? ভাইয়ার সাথে ও দেখা হবে।
দেখা করার কথা শুনে ইরা কিছুটা ভড়কে গেলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো,
"ঐ লোকের কথা মনে হলেই কেমন বুক ধড়পড় করে, আর সামনে গিয়ে! এই তো সেদিন ছাদের উপরে যখন আস্তে আস্তে ঐ কথা গুলো বলছিলো, তারপর উনার দিকে তাকাতেই তো বুক কেঁপে উঠে, তবে সেটা যে ভয়ে নয়, তা বেশ বুঝতে পারছি। সেটা অন্য কোন অনুভূতি। এরপর আর মানুষটার সামনে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব, অসম্ভব, অসম্ভব!!!"
- এই ইরাপি, কি ভাবছো? চলো না আমাদের বাসায়, এখন তো তোমার মামনিও নেই।
- নারে নিশু। আমাকে ক্ষমা কর। আজ নয়, অন্যদিন। আজ শরীর ভালো নেই। দেখছিস ই তো।
- ওকে তোমাকে আজ ক্ষমা করলাম। কিন্তু অন্যদিন যেতেই হবে। _ এরপর নিশাত বাসায় চলে গেলো।
ইরা যেনো হাঁফ ছেড়ে বাচলো । মনে মনে বললো,
" আল্লাহ তুমি এইটুকু সহায় হও। ঐ লোকের সামনে যেনো আর না পড়ি আমি"
............
ইরার বাবা মা মারা যাওয়ার পর মাঝেমাঝে দাদা দাদীর কাছে থাকতো এক দু দিনের জন্য। কিন্তু ইরা বড় হওয়ার সাথে সাথে ইরার খালা তাদের সাথে দেখা করা সীমিত করে দিলো। যতটুকু সময়ই থাকতো, সে ইরাকে চোখে চোখে রাখতো, না জানি ইরাকে আদর করে তাদের কাছে রেখে দেয়। আবার এদিকে ছোট থেকে নাফিসা চৌধুরী ইরাকে ভুল বুঝাতে শুরু করে। বলতো,
" ইরা, তোর দাদা দাদীর সাথে বেশি মিশবি না, ওরা তোর মাকে কখনো ভালোবাসে নি। তোর মায়ের সাথে খারাপ আচারন করেছে। তুই ওদের সাথে মিশলে তোর মায়ের আত্মা কষ্ট পাবে।" -ইরাও সারাজীবন সেই ভুল ধারনা নিয়েই আছে সে কারনে ইরাও তার সাথে মিশে না, কাছে ঘেষে না। শত কষ্ট হলেও খালার কাছেই পড়ে রয়েছে। আর মিসেস চৌধুরী এটাই চেয়েছিলেন। ইরার বাবার অনেক সম্পত্তি ছিলো, দাদার অনেক সম্পত্তি। যেহেতু ওনাদের আর কেউ নেই, সব কিছুর উত্তরাধীকারি ইরা। এই সম্পত্তি দখল করার জন্যই তার এত কিছু করা।
তার হিংসার পিছনে আর একটা বড় কারন ও আছে। মিসেস চৌধুরী আর ইরার মা আসলে সৎ বোন ছিলো যা ইরার নানা নানু আর মা ছাড়া কেউ জানে না। কোনদিন জানতে পারে নি। নাফিসা চৌধুরীর মা মারা যাওয়ার পর ই ইরার নানীকে বিয়ে করে ইরার নানা। সেই থেকেই সে ইরার মা নাজিফা আহসানকে ভালো চোখে দেখতো না। ইরার মায়ের সাথে সবকিছু নিয়েই হিংসা করতো সে। কিন্তু ইরার মা তাকে আপন বোনের মতোই ভালোবাসতো।
ইরার দাদা মারা গেছে এক বছর হলো, দাদী একজন নার্স নিয়ে একা ফ্লাটে থাকে। ইরা মাসে একবার গিয়ে দেখে আসে, ওর যেতে মন চাইলেও খালার কারনে পারে না। ওদিকে ইরার দাদী সব কিছুই বুঝতে পারে, ইরাকে দূরে সরিয়ে রাখার কারন, সব কিছু । কিন্তু তার ও কিছু করার নেই, ইরাকে এসব বললে উল্টো ভুল বুঝতে পারে। শেষে যদি বাসায় যাওয়াই বন্ধ করে দেয়। সে তার নাতনিকে অসম্ভব ভালোবাসে। এই ভয়ে আজ ও ইরাকে কিছু জানাতে পারে নি।
এসব বসে বসে ভাবছে নাফিসা চৌধুরী, আর মনে মনে শয়তানি হাসি দিয়ে বলছে
- " একবার শুধু তোর সম্পত্তিগুলো পাই, তারপর তোর যা হওয়ার হবে, তাতে আমার কিছুই এসে যায় না। তোর মা সারাজীবন ই সবকিছু বেশী পেয়েছে অথচ আমি কি পেলাম! এখন যে সুযোগ পেয়েছি, সেটা কিছুতেই হাতছাড়া করবো না"
...............
মাশফিক বাড়িতে এসে এক সপ্তাহ অলসভাবে কাটিয়ে দিলো। মাঝে মাঝে নিশাতের থেকে ইরার খোঁজ নেয়। এতেই যেনো তার শান্তি। দেখতে মন চাইলেও উপায় নেই। সেদিনের পর ইরা বিকালে যায় না ছাদে। দু তিন দিন পর রাতে গিয়ে পানি দিয়ে আসে যেটা মাশফিক বুঝতে পেরেছে গাছ গুলো দেখেই। তার এখন চাকরিতে যোগদান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য সকাল সকাল বেড়িয়েছে সে। নিজের গাড়ি নিয়েই বের হয়েছে, কিন্তু ড্রাইভারকে সাথে নেয় নি। সেখানে গিয়ে স্যারদের সাথে দেখা করে, কিছু কাজ সেড়ে বাসার দিকে রওয়ানা হলো। গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ চোখ গেলো রাস্তার সাইডে। ইরা হেটে যাচ্ছে। কলেজ ড্রেস পরা, মাথায় হিজাব, পিছনে স্কুল ব্যাগ, ঘর্মাক্ত ক্লান্ত মুখ। ওকে দেখলেই মাশফিকের মন অদ্ভুতভাবে শান্ত হয়ে যায়। ইরাকে দেখেই ওর থেকে কিছুটা সামনে গিয়ে একটা চা এর দোকানের পাশে গাড়ি পার্ক করলো। তারপর হাতে এক কাপ চা নিয়ে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে রইলো, যেনো ইরাকে আগে দেখেই নি। যখনই ইরা সামনে দিয়ে যেতে শুরু করেছে, মাশফিক কথা বলে উঠলো,
- আরে, ইরাবতী! কোথায় যাচ্ছেন?
ইরা হালকা কেঁপে উঠলো। পাশে তাকিয়ে দেখলো মাশফিক গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে হাসছে।।। মাশফিকের পড়নে কালো শার্ট, ব্লু জিন্স, হাতা কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করা, চুল গুলো ব্যাক ব্রাশ করা, এ যেন যেকোন রমনীর কাঙ্খিত পুরুষ । মিনিট দুয়েক দেখেই ইরার হার্টবিট মিস হওয়ার জোগাড়।
ইরা চোখ বন্ধ করে দৌড়ে চলে গেল, পিছনে ফিরেও তাকালো না। পিছনে ফিরলে দেখতে পেত, একটা মানুষ তার ভীতু, লাল, ঘর্মাক্ত মুখটা দেখে ভিতরে ভিতরে আরেকবার খুন হয়ে আছে। মাশফিক গাড়িটা নিয়ে দ্রুত চলে এসে বাসার ভিতরে পার্ক করে রাস্তার সাইডে গিয়ে দাড়িয়ে আছে, আরেকবার যদি প্রিন্সেস এর দেখা পাওয়া যায়।
ইরা বাসার সামনে এসে দেখলো গাড়িটা ভিতরেই আছে। আশে পাশে চেয়ে বুকে থুথু ছিটেয়ে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগল, মনে মনে আওড়াতে লাগলো,
"হে, আল্লাহ! ঐ লোকটাকে দেখে আমার এ অবস্থা হয় কেনো? আর কেন এই লোকটাকেই আমার সামনে নিয়ে আসো? এবার অন্তত রেহাই দাও মাবুদ! "
কিন্তু ইরা জানলোই না ওপাশে কেউ একজন ওর কর্মকান্ড দেখে হাসতে হাসতে ওকে অনুসরন করছে।
ইরার খালা ব্যপারটা লক্ষ করলো। বললো,
- কিরে ইরা! আজ ওভাবে দৌড়ে তাড়াহুড়া করে আসলি কেনো?
- না, মামনি, তেমন কিছু নয়। রাস্তার মাঝেই হঠাৎ করে পেটে মোচড় দিয়ে উঠলো। তাই দৌড়ে চলে এলাম।
- ওহ। আচ্ছা যা। (মনে সন্দেহ নিয়ে)
......
চলবে........
পূর্ববর্তী পর্বের লিংক: https://www.facebook.com/groups/bdofficials/permalink/864709721001192/?app=fbl