দীর্ঘদিন তামিল সিনেমা দেখতে দেখতে আমার রক্তে হরমোন দৌড়াদৌড়ি করতে লাগলো। মনের মধ্যে সবসময়ই কাউকে না কাউকে মারতে ইচ্ছা করে। সেদিন রাতে এক ধুমধাম একশন তামিল মুভি দেখে আর থাকা গেল না। আমি পাশের ফ্ল্যাটে বেল বাজালাম। এই ফ্ল্যাটে রাফান বলে এক জন থাকে। ওই এখন পারবে আমাকে বাঁচাতে।
রাফান দরজা খুলে দিতেই আমি ওর নাক বরাবর ঘুষি মারলাম। রাফান সেটা সামলে ওঠার আগেই পেটে ঝেড়ে একটা লাথি দিলাম। তারপর থাপ্পড় মারলাম মুখে। তারপর তামিল সিনেমার মতো পা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মারলাম। রাফান মার খেয়ে কোক কোক করছে।
রাফান অবধারিতভাবে মারের কারণ জিজ্ঞাসা করলো, আমি সবকিছু মুখস্থ করেই রেখেছিলাম, গড়গড় করে বলে দিলাম, বললাম, ‘দীর্ঘদিন সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে, অনলাইন অফলাইনে এসব মারামারি দেখে, আমাদের ভেতরের পশুত্ব জন্ম নিয়েছে। ভিলেনদের মেরে ভর্তা করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু ভিলেনদের হাতে না পেয়ে তোমাকে মারলাম। এতে তোমারও দোষ কম না। তুমি বাসায় হোম সিকিউরিটি রাখোনি, কলিংবেল বাজামাত্র দরজা খুলে দিয়েছো অর্থাৎ তুমি এটেনশন চাচ্ছো, চাচ্ছো তোমাকে এসে কেউ মারুক। আমার এতে দোষ রয়েছে, তোমারও দোষ কম না। তোমার উচিত ছিল নিজেকে ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখা, তুমি সেটা রাখোনি৷ তারপরও পুরো দোষ তোমার না, দোষ আসলে আমার, তোমার এবং তামিল মুভির।’
~ মারামারির সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা