Koilao hiroker git part-6

0 4
Avatar for Nipa1234
4 years ago

তরুণ রাজা জিতেন্দ্র গুপ্ত ও ভিশ্মপতির মেয়ে উপাধ্রিতি সেনের বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে।

পণ্ডিত শুভ দিনটা নির্ণয় করেছেন মাসের ঠিক মাঝামাঝি একটা তারিখে। বিয়ের আয়োজনে কোনো কমতি রাখা যাচ্ছে না; রাজার বিয়ে বলে কথা। সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী বিভাগ, তাম্রালিপ্তি বেশি একটা ধনী বিভাগ না। কিন্তু, রাজকীয় একটা বিয়ে আয়োজন করার জন্য ভিশ্মপতি দীপ্ত সেন যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি অন্যান্য বিভাগের ভিশ্মপতিদের থেকে স্বর্ণ ধার নিয়েছেন।

একদিকে সেন পরিবারের হিমসিম অবস্থা। অন্যদিকে, তরুণ রাজার ফুর্তির শেষ নেই। সে বিবাহের পুরা মাস নানান সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রযোগিতা আয়োজনের আদেশ দিয়ে দিল। সকল প্রজা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হলো। তীরনিক্ষেপ বা এজাতীয় সকল ক্রীড়া বাদ দেয়া হলো। কাশীনাথপুরের মতো ঘটনা পুনরায় ঘটতে দেয়া যাবে না।

শক্ত নিরাপত্তায় ভিশ্মপতির মহলের দৈনন্দিন কাজ এবং বিয়ের আয়োজনের ব্যাঘাত ঘটছে। রাজা প্রতিদিন নিত্যনতুন ধারণা নিয়ে আসে। আর, তা বাস্তবায়নের চাপ এসে পড়ে বুড়ো ভিশ্মপতি দীপ্ত সেনের ঘাড়ে। গায়ে হলুদের কয়েকদিন আগে রাজা জিতেন্দ্রের বুদ্ধি এলো যে বিয়ের দিন মল্লযুদ্ধের (গ্ল্যাডিয়েটোর ফাইট) আয়োজন করতে হবে। সে পশ্চিমা সাহিত্য পড়তে গিয়ে রোমের এই মনোরঞ্জনের কথা জেনেছে। এখন, সে হিন্দের প্রথম রাজা হতে চায় যে ভারতবর্ষে মল্লযুদ্ধের আবির্ভাব করাবে।

এই জিনিস নিয়ে আরেক ঝামেলা শুরু হলো। রাজার কথা অনুযায়ে মল্লযুদ্ধে রোমবাসীরা বিভিন্ন অস্ত্রে পারদর্শী মল্লযোদ্ধা ব্যাবহার করে। তারও এমনটাই চাই। কিন্তু, সেনাবাহিনী থেকে এই যোদ্ধা আনলে হবে না। সে মামুলি প্রজাদের সুযোগ দিতে চায়। ভিশ্মপতি একবার বলে দিতে চেয়েছিল যে মামুলি প্রজারা মল্লযুদ্ধ জানবে কি করে। পরে, এই স্পর্ধা করার থেকে নিজেকে থামাল। তিনি পার্শ্ববর্তী বিভাগগুলোর ভিশ্মপতিদের কাছে এই বিষয়ে সাহায্য চেয়ে একাধিক চিঠি হাতে তার দুই ছেলেকে পাঠিয়ে দিলেন। উনার বিভাগে খুঁজে একজন তলওয়ার যোদ্ধা পাওয়া গেল। এবং, সে মামুলি তলওয়ার যোদ্ধা না। তার এক আত্মীয় সেনাবাহিনীতে ছিল। এভাবে, সে তলওয়ার চালানো শিখেছে। ভিশ্মপতি রাজাকে গর্ব করে বললেন, “মহারাজ, আমার বিভাগের এই প্রজা একত্রে দুই তরবারি চালাতে সক্ষম!” এতে তরুণ রাজা বেশ খুশি হয়েছে। ঐ প্রজাকে সে মল্লযুদ্ধে দেখতে খুবই আগ্রহী। কুয়াকাটা থেকে বল্লম যোদ্ধা ও কুড়াল যোদ্ধা পাওয়া গেল। এখন, একজন চাবুক ও একজন হাতুড়ি যোদ্ধা পেলে তার আবশ্যক সংখ্যাটা পরিপূর্ণ হবে। এরপর, মল্লযুদ্ধের দিন তাদের অস্ত্রগুলো জব্দ করে, ধারহীন অস্ত্র দিতে হবে।

তরুণ রাজা জিতেন্দ্র ছাঁদের পাখিঘরের বারান্দায় বসে নিচের ফুলবাগান দেখছে। সে তার মা, রাজমাতা লীলাবতীকে কয়েকদিন আগে তার বিয়ের কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছে। এই চিঠি তার মায়ের কাছে পৌঁছাতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে। উনার ফিরতি চিঠি আসার আগেই তার বিয়ের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। সে জানে যে তার মা কখনো এই বিয়ে মেনে নিবেন না। তিনি সবসময় তাকে তার চাচার মুখের একটা কথা বলে শিক্ষা দিতেন যে একজন রাজার নিজের রাজ্যের প্রতি দায়িত্ব থেকেই অন্য রাজ্যের একজন রাজকুমারীকে শাদি করা উচিৎ। এভাবে, দুই রাজ্যে নিজের ক্ষমতা বিস্তার করা যায়। রাজমাতা যদি পারতেন, তাহলে সশরীরে এসে এই বিয়েকে বাঁধা দিতেন। কিন্তু, রাজধানী থেকে তাম্রালিপ্তির যাত্রাপথ পারি দিতে এক মাসের বেশি সময় লাগে। লীলাবতী যদি নদী পথেও যাত্রা করেন, পদ্মা-মেঘনা পার হয়ে এলেও মাসখানেক পথ।

জিতেন্দ্র নিজের মায়ের কথা ভাবা বাদ দিয়ে আবার নিচে তাকাল। উপাধ্রিতি আর তার পিছে পিছে দুই দাসী বাগানে ঘুরতে এসেছে। তরুণ রাজা মুচকি হাসি দিল। সে জানতো দুপুরের আহারের পর মেয়েটা এদিকে ঘুরতে আসে। তার সাথে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হওয়ার পর থেকে মেয়েটাকে আর পালকিতে আবদ্ধ করে রাখা হয় না। এই কয়েক সপ্তাহে সে উপাধ্রিতির স্নান করা আর দেখতে যায়নি। সে নিজেকে সামলিয়ে রাখছে। বাসর রাতে সে মন ভোরে তরুণীটাকে দেখবে। বিবাহের কয়েক দিন আগে যেই যুবতীর বিয়ে হবে তার সম্পূর্ণ দেহে মেহেদীর কারুকাজ করা হয়। এবং, বধূর দেহের সাতটা গোপন স্থানে তার বরের নাম লিখা হয়। বাসর রাতে বরকে তার বধূর শরীর থেকে নিজের নাম খুঁজে নিতে হয়।

জিতেন্দ্র বাসর রাত নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। সে অর্চনার সাথে যা যা করেছিল তা কি এই মেয়ের সাথে করতে পারবে? অর্চনা একটা টু শব্দও করেনি। এই মেয়ে যদি ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠে? অর্চনা অবশ্য নিচু জাতের ছিল। নিচ দেখে মুখ চেপে সহ্য করেছিল। না, সহ্য তো করতে পারেনি; আত্মহত্যা করে বসেছিল।

উপাধ্রিতি বেশি চিল্লাচিল্লি করলে ভিশ্মপতি কি কিছু করার সাহস পাবে? না! জিতেন্দ্র তো রাজা! সে যা চাইবে তা-ই হুকুম। সে যা বলবে তা-ই আইন। সে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। মেয়েটা বাগান থেকে তার দিকে তাকিয়ে ভ্রূকুটি করে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল। এতো বড় স্পর্ধা?! তার এই অহংকার রাজা দেখে নিবে। কিন্তু, তার জৈবিক বিকৃতির কথা এদিকে জানাজানি হতে দেয়া যাবে না। বিয়ের পর বৌভাতের জন্য যখন তরুণীটাকে রাজধানীতে নিয়ে যাবে, তখন সে তাকে শিক্ষা দিবে। সে উপাধ্রিতির ঘাগড়া চোলি দিয়ে ঢাকা নিখুঁত দেহের দিকে লালসা নিয়ে চেয়ে রইল।

আজকে বিয়ের দিন। গত সপ্তাহ ধরে বহু উঁচু জাতের মেহমান এসেছেন। অনেকে আজকে আসছেন। পার্শ্ববর্তী পাঁচ ভিশ্মপতি তাদের পরিবার সহ এসেছেন। যারা সময় মতো পৌঁছাতে পারবে না, তারা আগেভাগে রাজার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। নিচ জাতের প্রজারাও আমন্ত্রিত। তাদের ভোজের আয়োজন দেয়ালের বাইরে করা হয়েছে। চারিদিকে সানাই বাজছে; গানবাজনা হচ্ছে। বাগানের মাঝে এক বিশাল মঞ্চে অনেক নর্তকী নাচছে। অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য অনেক খেলার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে অজস্র থালা হাতে দাসদাসীরা নাস্তা পরিবেষণ করেই চলেছে। গত অর্ধ মাস ধরে নানান প্রতিযোগিতার সমাপ্তির পর আজকের দিনটা দিয়ে জমজমাটভাবে আনন্দ ফুর্তির একটা ইতি টানা হচ্ছে। এজন্য, রাজকীয় বিয়েটা দশগুণ বড়াইপূর্ণ।

ভিশ্মপতি দীপ্ত সেন মেয়েদের সাজঘরে কয়েকবার জোড়ে কাঁসি দিয়ে প্রবেশ করলেন। মেয়েরা নিজেদের পর্দা টেনে নিল। তিনি তার মেয়েটাকে দেখতে এসেছেন। পাত্রীকে বিয়ের সাঁজ দেয়া হচ্ছে। তার বাবু পরীটা আজ কত বড় হয়ে গেছে! তিনি আর সামলাতে পারলেন না। “মা” বলে কেঁদে দিলেন। উপাধ্রিতি ছুটে এসে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরল। দীপ্ত সেনের স্ত্রী বলতে লাগলেন,

-উপাধ্রিতি, তুই কাঁদিসনে! সুর্মা সয়লাপ হয়ে যাবে যে!

বাপ-মেয়ে উনাকে পাত্তা দিলেন না। বাচ্চাদের মতো কাঁদতে থাকলেন। মেয়েকে জড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই দীপ্ত সেন রাজার সাথে তার কথোপকথনের স্মৃতিচারণ করতে লাগলেন। মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ঘাব্রিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে, ভাষা ফিরে পেয়ে বলেছিলেন,

-তবে, মহারাজ, আমরা তো দেবতার নামে একেঅপরকে প্রতিজ্ঞা দিয়ে ফেলেছি। এখন তা ফিরিয়ে নিলে যে মহাপাপ সম্পাদিত হয়!

-দীপ্ত সেন। তুমি সিংহাসনকেও দেবতার নামে প্রতিজ্ঞা দিয়েছিলা কর প্রদান করার। তুমি সেই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করো নাই। আমি আমার বাবা নই যে তোমাদের মতো অপরাধীর অপরাধ ক্ষমার নয়নে দৃষ্টিপাত করবো। তোমার সহিত আমার এখনকার বানী একটিই। হয় তোমার কন্যাকে আমার সহিত বিবাহ দেও অথবা দিগুণ কর প্রদান করো।

তিনি বর্তমানে ফিরে এসে আরো জোড়ে কেঁদে দিলেন। কীরকম কাপুরুষ হলে তিনি তার হৃদয়ের টুকরোটাকে ওরকম এক নির্দয়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

এখন, সন্ধ্যা। রাজা ও রানী মণ্ডপের আগুনকে কেন্দ্র করে সাত পাক নিল, তাদের শুভ দৃষ্টি হলো, তারা মালা বদল করলো, ভিশ্মপতি নিজ কন্যার সম্প্রদান করলেন, সিঁদুর দান করা হলো আর রাজার উপহারক্রীত নতুন শাড়ি দিয়ে উপাধ্রিতিকে লজ্জা বস্ত্রের ঘুমটা দেয়া হলো। রাজার পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিল না বলে, ভিশ্মপতিই বর-বধূ উভয়কেই আশীর্বাদ দিলেন।

বিয়ের কার্যক্রম শেষ করতে করতে মধ্যরাত পার হয়ে গেল। রাজভোজ ও মদ্যপানের পর সবাই বিশাল বৈঠক দরদালানে গিয়ে বসলো। উঁচু উঁচু মঞ্চে সব উঁচু জাতের অতিথিদের জন্য বসার যায়গা করা হয়েছে। দরদালানে আরো মদের ব্যবস্থা রয়েছে। আজকের দিনের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে প্রত্যাশিত অংশটা এখন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে; মল্লযুদ্ধ।

মদের নেশায় কিছুটা বিচলিত রাজা জিতেন্দ্র গুপ্ত উঠে দাঁড়িয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,

-আজ, আমাদের সকলের জন্য এক শুভ দিবস। আজ, তোমরা তোমাদের রানী পেলা এবং আমি আমার অর্ধাঙ্গিনী! বৃহৎ বক্তৃতা প্রদান কর সময় অপচয় না করে, রানী উপাধ্রিতির প্রতি আমার এই উপহার! রোমবাসিদের থেকে অনুপ্রাণিত এবং তাদের থেকে উত্তম... মল্লযুদ্ধ!!!

সাথে সাথে যুদ্ধযাত্রার ধুনের মতো ঢোল বাজতে শুরু করলো এবং মল্লযোদ্ধারা দরদালানে প্রবেশ করতে লাগলো। রাজা ফিরে উপাধ্রিতিকে বলল,

-শুধু এইটিই নয়। এই দিনের সকল নৃত্য ও সঙ্গীত শুধু তোমার জন্য, আমার অপ্সরা।

-ঠিক বলেছেন। এসব একজন নারীর জন্য। সত্যিকারের পুরুষ এগুলো বসে উপভোগ করে না। এগুলোতে অংশগ্রহণ করে। এবং, একজন রাজা এগুলোতে বিজয়ী হয়।

ঢোলের শব্দে বেশি কেউ এই কড়া উত্তর শুনলো না। তরুণ রাজা রাগে কাঁপছে। ভিশ্মপতি বিপদ আঁচ করতে পেরে বলে উঠলেন,

-উপাধ্রিতি!!! এতো বড় স্পর্ধা! এক্ষণই ক্ষমা প্রার্থনা করো!

রাজা চিৎকার করে উঠলো,

-খবরদার, দীপ্ত সেন! সে এখন তোমার রানী! কোন সাহসে তুমি তাকে শাসাচ্ছো?!... এই সবাই! বন্ধ করো আওয়াজ!!!

সবাই সব কিছু বন্ধ করে হতভম্ব হয়ে রাজার মঞ্চের দিকে তাকালো।

-আমার রানী মনে করে যে তার রাজার এই মল্লযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা উচিৎ। এবং, তা-ই হবে!!!... রাজপ্রহরী কই?! আমার অস্ত্রশস্ত্র আনো! আর, স্বর্ণের বর্মটা এনো!

তরুণ রাজা মঞ্চের থেকে নিচে নেমে এলো। সবাই “জয়, রাজা জিতেন্দ্র!” বলতেই থাকল। মল্লযোদ্ধারা বিভ্রান্তিতে পড়ে গেল। একজন রাজাকে তো কোনোভাবে আঘাত করা যাবে না। সেপাইরা এসে তাদের অস্ত্রগুলোর ধার আবার পরীক্ষা করলো। তাদের ভালোমতো দেহতল্লাশী করা হলো।

মল্লযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাজা তার ধারালো তলওয়ার দিয়ে সবার দিকে খোঁচা মারতে লাগলো। হাতুড়ি যোদ্ধা, হাতে একটা জঘন্য পোঁচ খাওয়ার পর, বাকি যোদ্ধারা একটু দূরে সরে গেল। তারা সবাই সাবধানে তাদের অস্ত্র চালাচ্ছে। কিন্তু, বাচ্চা রাজা তার সব দিয়ে ওদেরকে আক্রমণ করছে। তাদের সাবধানতা দেখে একটা পর্যায়ে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে চেঁচিয়ে উঠলো,

-আক্রমণ কর, কু**র বাচ্চাগুলা!!

চাবুক যোদ্ধা তার চাবুক রাজার দুই পাসে নিরাপদ দূরত্বে ছুড়তে লাগলো। রাজা রাগে তার তলওয়ার ঘুরিয়ে বাতাসে থাকা চাবুকটা দুই টুকরা করে এক দৌড়ে ঐ যোদ্ধার কাছে এসে পড়লো। এলোপাতারি তার তলওয়ার দিয়ে আঘাত করতে লাগলো। চোখের পলকে যোদ্ধার ডান হাতের তিনটা আঙুল কেটে গেল। রক্তের ফিনকি দেখে রাজার উল্লাস আর আটকায় না। দর্শক সবাই “উফ” বলে উঠলো। হঠাৎ, তলওয়ার যোদ্ধা এগিয়ে এলো।

-এই!!!

রাজা জিতেন্দ্র উন্মাদের মতো হেসে তার দিকে ছুটল। যোদ্ধা তার দুই তলওয়ার ঘুরাতে ঘুরাতে এগোলো। রাজার তলওয়ারের খোঁচা সহজেই সরিয়ে দিল যোদ্ধা। এরপর, একটা তলওয়ার দিয়ে তার পেটের কাছে সজোরে আঘাত করলো। রাজার স্বর্ণের বর্ম ঝনঝনিয়ে উঠলো। সে আঘাতের শক্তিতে কাঁত হয়ে গেল। তলওয়ার যোদ্ধা পিছন থেকে এসে তাকে একটা লাথি দিল। রাজা উপর হয়ে পড়লো।

-শু*রের বাচ্চা। তোর শির আমি ধর থেকে বিচ্ছিন্ন করবো!!!

এবলে, রাজা তার তলওয়ার সজোরে যোদ্ধার দিকে উঁচিয়ে আঘাত করলো। শরীরের ভারে যোদ্ধার বাম হাতের তলওয়ার মাটিতে পড়ে গেল। সে সাথে সাথে ডান হাতের তলওয়ার দিয়ে রাজার মুখে আঘাত করলো। রাজা মাটিতে পড়তে পড়তে তার হাতের থেকে তলওয়ার ছুটে গেল। যোদ্ধা খুব দ্রুত রাজার মাটিতে পড়ে যাওয়া ধারালো তলওয়ার উঠিয়ে রাজার গলার ভীতরে সম্পূর্ণটা ঢুকিয়ে দিল; তার ঘাড় ভেদ করে অপর পাস দিয়ে তলওয়ারটা বের হয়ে এলো। যোদ্ধা সবাইকে শুনিয়ে বলল,

-এক নিচু জাতের কামার যা সাধন করতে পারে,

সকল প্রজা একত্রে কি না করতে পারে!!!

চলবে..

1
$ 0.02
$ 0.02 from @TheRandomRewarder
Avatar for Nipa1234
4 years ago

Comments