লেখক :ফাইরুজ হুমাইরা কর্ন
তার সাথে প্রথম দেখা হয় কোনো এক রেলস্টেশনে
হলুদ রৌদ্দুরে ভেসে উঠা কোনো এক হেমন্তের বিকালে,
টিনের ছাওনি ঘেরা কংক্রিটের থোওয়ায় বসে ছিল।
আমিও কিছুটা বিব্রতবোধ হয়ে
নিরুপায় হয়ে তার মধ্যে বসি।
আড়চোখে না দেখার ভান করেই তাকে আমি দেখি,
তার পরনে ছিল লাল পাড়ের সাদা শাড়ি,
খোঁপায় গোঁজা রক্তজবা,
কানে ঝুমকো জোড়া,
ঠোঁট জোড়াতে একটু গাঢ় করেই লিপস্টিক দেওয়া,
আর কপালটিতেও ছোট্ট একখান টিপ,
যেনো আকাশ-ধরনী চুমো খাচ্ছে রুপের জলপ্রপাতে!
হেমন্ত বিলাচ্ছে হিমেল হওয়ার প্রণয়শয্যা।
সোনাঝরা সময়টি যেনো তরঙ্গের পূর্ণসৌরভে কাঁপানো
হেমন্তের যায়যায় একটা হলদে বিকেল!
তার উপর দৃষ্টি পরাতে সে কিছুটা বিব্রতবোধ হয়েছিল বটে,
আর কেনই বা নয়!
অপরিচিত একটা পুরুষমানুষ কোনো মেয়ের দিকে তাকালেই
সে কিছুটা বিব্রত হবে,এটাই স্বাভাবিক।
তবে বিব্রতের মধ্যেও কেমন জানি একটা ভালোলাগা এলো
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চোখাচোখি হলো,
অতঃপর ট্রেন আসলো
তবে সে খেয়াল আর আমার নেই,
আমিতো ঢেউখেলানো রুপশ্রীতে বেপরোয়া ছিলাম!
তৃষ্ণার্ত ছিলো আঁখি আরো দেখার!
স্পর্শতা ছিলো রক্তজবা খোঁপার পরে একটু ছোঁবার!
রুপের শ্রী জৌলুসে হলদে চিঠি লিখার!
আকস্মাৎ সেই অপরিচিতা বলে উঠলো
আপনি যাবেন কোথায়?
এভাবে ফ্যালফ্যালিয়ে চেয়ে শূন্য হৃদয়ে ফাগুন কেন বাড়াচ্ছেন,শুনি?
আমি,আজ্ঞে হে গৌরীপুর রেলস্টেশন!
১৭ই সেপ্টেম্বর,২০২০
গৌরীপুর(নিজগৃহ)