কবিতাঃ অবিচার
পড়ন্ত বিকেল অার এক রুপবতী মেয়ে
হায়েনারা পাশ মাড়িয়ে দেখে খারাপ চোখে চেয়ে
ধর্ষিত মেয়ের ক্লাম্ত নিথর দেহ পড়ে থাকে মাঠে প্রান্তরে
হায়েনারা নাগালের বাইরে,
কোন এক অচেনা বন্দরে।
গলা টিপে হত্যা করা হয় মানবতা
তদন্তে অপরাধীর মুখোস উম্মোচিত হয় লোকসম্মুখে
অর্থের লোভে উকিলরা লড়ে যায় নিঃসংকোচে
ব্যথা দেয় বিচারকের নিরবতা।
ছোট্ট শিশুগুলো অনাহারে মারা যায়
মানুষ সম্পদের মোহে অপরকে ঠকায়।
মূল্যহীন প্রেমিকের অবুঝ ভালোবাসা প্রেমিকার কাছে পরাজিত হয়ে হৃদয়ের ক্ষত বাড়ে
শোক অসুখে মরদেহ তার ভেসে উঠে খরস্রোতা নদীর পাড়ে।
শরতের সন্ধ্যায় ফ্যানের সাথে একটি ঝুলন্ত লাশ
বিবাহিত নারীর অার্তনাদ অার নির্দয় স্বামীর সুখ বিলাস
বৃদ্ধাশ্রমে দম্পতির শোকের প্রলাপ ব্যথা দেয় মনে
বিকেলবেলা পার্কের বেঞ্চিতে বসে বউয়ের সাথে খুনসুঁটি
অামি হতাশ হয়ে দেখি গিয়ে রেস্টুরেন্টে পায়ে গুটি গুটি,
স্বামী ভালবেসে যায় নির্জনে।
অামি প্রতিরাতে শুনি চাকরি না পাওয়া তরুণের অাহাজারি,
সম্পর্ক ভাঙনের হাহাকার
অামি তাকিয়ে দেখি কত ব্যভিচার অার অনাচার
ধর্ম নিয়ে মানুষ রাজনীতি করে;
মানুষের সাথে মানুষ দ্বন্দে জড়ায়;
কত নিরপরাধ প্রাণ অকালে ঝরে যায়
তবুও ধর্মান্ধদের বিবেক নাড়া দেয় না বলে আমি হতাশ।
~রাজীব আহমেদ সুজন