"ধরো তুমি ফুটবল খেলতে নামছো। বলে লাথি দেয়া শুরু করলা মাঝ ফিল্ড থেকে। তবে দুই কদম না আগাতেই, প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার এসে পড়বে তোমার সামনে। তাকে পাশ কাটাতে না কাটাতেই আরো দুইজন এসে হাজির, এদেরকেও পাশ কাটিয়ে, একটু আধটু চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের কাছে আসতেই চার-পাঁচজন ডিফেন্ডার এসে ঘিরে ধরবে। তুমি মরিয়া হয়ে চাইবে এই বাধার দেয়াল পার হতে কিন্তু পারবে না। তোমার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে গেলো লম্বা একটা শর্ট দিয়ে, অনেক অনেক দুরে বল পাঠিয়ে দিবে প্রতিপক্ষের প্লেয়াররা। 😁
.
এক মুহূর্ত আগে, যে বলটা তোমার কাছে ছিলো, যেটাকে তুমি কন্ট্রোল করতেছিলা সেটা এখন চলে গেছে, অনেক অনেক দূরে। এখন তুমি কি সেখানে ঠায় দাড়িয়ে থাকবে? আর গোল দেয়ার সম্ভাবনা নাই দেখে কি খেলা ছেড়ে উঠে যাবে? না, যাবে না। 😊
.
বরং মাঝ মাঠের দিকে ছুটে যাবে। ইনফ্যাক্ট, এখন যেখানে বল আছে, সেখানে ছুটে যাবে। অন্য কারো কাছ থেকে, সহজে বা কষ্ট করে বল অর্জন করতে পারলে নব্য উদ্যমে, আরেকবার শুরু করতে চাইবে। এইভাবে একবার-দুইবার নয়, শত শত বার চেষ্টা করে কখনো একটু বেশি আবার কখনো অনেক অনেক কম আগাতে পারবে। চেষ্টা করতে করতে, একসময় গোলপোস্ট ফাঁকা পেয়েও গোল মিস হয়ে যেতে পারে কিন্তু যেটা মিস হবে না, সেটা হচ্ছে তোমার গোল দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা। এই চেষ্টা বহাল থাকলে, গোল তুমি পাবেই আজকে না হয়, কালকে। এই বছর না হয় পরের বছর। 😂
.
জীবনটা জাস্ট একটা খেলার মাঠ, এখানে সফল হইতে চাইলে, লক্ষ্য অর্জন করতে হলে তোমার অনেক প্রতিপক্ষ আসবে। ল্যাং মারবে, ধাক্কা দিবে, পা ভেঙ্গে ফেলবে। সরকারী সংস্থা এসে হলুদ কার্ড, লাল কার্ড দেখাবে যত্ত কিচ্ছুই হোক না কেনো, তোমাকে বলের পিছনে ছুটতে হবে। তোমার টার্গেটের পিছনে লেগে থাকতে হবে। 🎓
.
দুনিয়ার সেরা ফুটবলারকে দেখে আমরা ভাবি, "ওর মধ্যে, ম্যাজিক আছে" সত্যিই কি তাই? নেক্সট টাইম খেলা দেখতে বসলে, খেয়াল করবে প্রত্যেক চেষ্টায় সে কিন্তু, ইনস্ট্যান্ট ম্যাজিক দেখাতে পারে না। অনেক অনেক শর্ট মিস করে, তার কাছ থেকেও প্রতিপক্ষ বল কেড়ে নেয়। তবে, চ্যাম্পিয়ন আর সফল লোকদের আসল ম্যাজিক হচ্ছে, চেষ্টা করার, কনস্ট্যান্ট ক্ষুধা তৈরি করার ক্ষমতা। যতবার ব্যর্থ হয়, ক্ষুধা তত বেশি হয়। আজকে বিশ্ব সেরা খেলোয়াড় হইলেও, রিলাকট্যান্ট হয় না। ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে, পরের দিন মাঠে নামে, ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে, আবারো উঠে, লক্ষের পিছনে ছুটে। 😊
.
সফল হইতে হইলে, তোমাকেও বার বার চেষ্টা করার ক্ষুধাটা ডেভেলপ করতে হবে। ক্ষুধা লাগলে নুন দিয়ে, পানি দিয়ে কিছু দিন খেয়ে যেতে পারলে আর চেষ্টা চালাতে থাকলে একদিন না একদিন মোরগ পোলাও খেতে পারবে। 😊 👍