ঘাসফুল

0 7
Avatar for Nipa1234
4 years ago

“আজ সকালে ঐশি তোর কথা বলছিল।” রাতের খাবার খেতে খেতে তাওহীদের পাশে বসে বললো অভি।

সামান্য একটু মাছ ভাজা মুখে দিতে গিয়ে কেশে উঠলো তাওহীদ। টেবিলের ওপাশ থেকে দ্রুত এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিলো মিষ্টি। সময় নিয়ে পানিটা শেষ করে তাওহীদ অভির দিকে ফিরলো। পানির গ্লাসটা নেওয়ার সময় যদি খেয়াল করতো তাহলে দেখতে পেত মিষ্টির গ্লাস এগিয়ে দেওয়া দেখে শুভ্র আর অভির দৃষ্টি বিনিময়। শান্ত-ভাবান্তরহীন কণ্ঠে তাওহীদ শুধালো অভিকে,

“কি বলছিল?”

“বললো তোর গিফট করা ডায়েরি খুব পছন্দ হয়েছে।” বললো অভি। ভেতরে ভেতরে যেন কিছুটা স্বস্তির ছটা পেল তাওহীদ। অন্তত আপাতত।

“কিসের গিফট?” টেবিলের অপরপ্রান্ত থেকে জিজ্ঞেস করলো শুভ্র, তাওহীদের মুখোমুখি বসেছে সে।

“তোদের অ্যানিভার্সিরির গিফট।” ইচ্ছে করেই একটু জোরে মাকে আর তানিকে শুনিয়ে বললো তাওহীদ।

তাওহীদের বলতে দেরী হয়েছে কিন্তু ওদের শুনতে দেরী হয়নি, সাথে সাথেই মা বলে উঠলেন,

“শুভ্র! তোমরা বিয়ে করে ফেলেছো? একি কথা! আমাদের জানালে পর্যন্ত না। তোমার মা পর্যন্ত কিছুই বললো না আমাকে!”

ব্যাস! ডিনারের বাকি সময়টুকু শুভ্র আর অভির কাটলো মা আর তানির একের পর এক প্রশ্নবান পেরিয়ে তাদের বিশ্বাস করাতে যে না শুভ্র আর ঐশির বিয়ে হয়নি। মাঝে মধ্যে মায়ের কঠিন জেরায় বাবাও যোগ দিলেন। শেষমেশ শুভ্র লাজ লজ্জার জলাঞ্জলি দিয়ে লাল মুখ করে জানাতে বাধ্য হলো যে বিয়ের অ্যানিভার্সিরি না,রিলেশন অ্যানিভার্সিরির কথা বলেছে তাওহীদ।

মুখ টিপে হাসলো তাওহীদ। বিকালের পর থেকে এই প্রথম কয়েক সেকেন্ডের জন্য হাসলো সে।

সারাদিন থেকে থেকে ঝুম বৃষ্টির পরও সেদিনের দিনটা তাওহীদের ভালোই যাচ্ছিল। বিগত দুইদিনের ইনসোমনিয়ার পর গত রাতে সে অঘোরে ঘুমিয়েছে। যদিও ঘুম ভাঙার পর মিষ্টির কথামতো রটানোর মতো কোন মেকি গল্প মাথায় আসেনি, তবু ঘুমিয়ে মন আর শরীরটা ঝরঝরে হয়ে গেছে। আর ঝরঝরে মন সবচেয়ে সৃষ্টিশীল মন।

সেদিন ক্লাস ছিল না, সকাল থেকে টানা ল্যাবে পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি করে কার্বোহাইড্রেটের মিক্সচার সেপারেশনের কাজ করে গেছে। একঘেয়ে, সহজ কাজ। তবু সারকথা হলো ল্যাব ভালো গেছে।

না, তখনও অভি আর শুভ্রকে বলার মতো স্ক্রিপ্ট মাথায় আসেনি।

হ্যাঁ, বাইরে তখনও বৃষ্টি বিরতিহীন ভাবে অঝোর ধারায় ঝরে গেছে।

হ্যাঁ, বৃষ্টি দেখে এর আগের বৃষ্টির দিনটার তিক্তমধুর ঘটনার, আর সেই ঘটনার সাথে জড়িত মেয়েটার কথা ভেবে ভেবে অল্পক্ষণের জন্য স্মৃতিকাতর হয়েছে।

না, দুপুর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকলেও অভি বা শুভ্র কারোই সামনে পড়েনি। রোজ দেখা হয়ও না। কারণ তাওহীদ অরগ্যানিকে মাস্টার্স করছে, অভি ইনরগ্যানিক কেমিস্ট্রি নিয়ে, আর শুভ্র লিটারেচারে। তিনজন যে একই ক্যাম্পাসে আছে এটাই তো অনেক।

বিকেলে অফিসের ঘনিষ্ঠ কলিগ শিহাব ভাইয়ের বিয়ের ডেট ফিক্স হওয়া সেলেব্রেট করতে দলবেঁধে সবাই সুলতানস ডাইনে গেল লেট লাঞ্চে। ভরপেট মাটন কাচ্চি, জালি কাবাব আর বোরহানির সাথে আড্ডার মিশেলে বৃষ্টিমুখর বিকেলটা এককথায় দারুণ কেটেছে। দিনটা যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে যখন রেস্তোরাঁয় বসে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আড্ডা দেওয়ার ফাঁকে হঠাৎ করে ঐশিকে দেখতে পায় তাওহীদ ।

বৃষ্টি তখন থেমে এসেছিল, মনে পড়লো তাওহীদের। আর তাওহীদের সব ভুল যেন বৃষ্টি থামার পরই হয়। গোলাপি একটা লম্বা টপ আর জিনসের সাথে ঘাড়সমেত ছোট চুলগুলো বাধা, ঠোঁটে স্ট্রবেরি লিপস্টিক। একদম সাদামাটা সাজ, তবু অসাধারণ লাগছে, যেমনটা সবসময় লাগে। সাথের ছেলেটাকে চিনতে পারলো তাওহীদ, ঐশির চাচাতো ভাই। তাওহীদদের টেবিলটা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় ঐশি খেয়াল করেনি তাওহীদ কে। তাওহীদ ও না দেখার ভান করে ঠায় বসে থাকে।

সেদিনের পর ঐশির সাথে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি তাওহীদের। তাওহীদ নিজে থেকে করেনি, করেনি ঐশিও। শিহাব ভাইয়ের গল্পে আর মন বসলো না তাওহীদ। ফোন বের করে স্ক্রলিং করতে করতে কখন কনট্যাক্ট লিস্টে ঐশির নাম্বারের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে নিজেও জানে না। সে তো অন্যমনস্ক ভাবেই ফোন ঘাটছিল। আড়চোখে তাকালো কয়েক টেবিল পরে বসা ঐশির দিকে। তাওহীদের দিকে পেছন ফিরে বসেছে ঐশি, কাজিনের কি একটা কথায় হাসছে ভীষণ। আবার নিজের ফোনে মনোযোগ দিলো তাওহীদ।

এবং তারপরই এলো কয়েক মুহূর্তের দুর্বলতা পার্ট টু এর মোডিফাইড ভার্সন।

কল আইকন টার উপর দিয়ে আঙুল টা যাচ্ছে আসছে। সেদিনের সেই ঘটনার পর নিজের সাথে সাথে ঐশির ওপরও ভীষণ রাগ জমেছিল ভেতরে ভেতরে তাওহীদের। কেন ওকে থামালো না ঐশি? প্রত্যাখ্যানই করবে তো আগে কেন করলো না? প্রবল আবেগের সাথে কেন আরও কাছে টেনে নিয়েছিল ওকে? অপরাধবোধের সাথে অপমানবোধেও ঐশির সাথে আর কখনো যোগাযোগ করবেনা বলে ঠিক করেছিল।

অথচ এখন সামনে দেখার পর নিজের ভেতরের সেই সুপ্ত রাগটাকে আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না। নিজের মনের অসীম-অন্তহীন ঘরটায় ঢু মারলে হয়তো কোনো না কোনো গোপন কুঠুরিতে জমে থাকা রাগগুলোকে খুঁজে পাবে,কিন্তু তাওহীদ খুঁজলো না। ঐশির ওপর ছোট থেকেই কখনো, কোনোদিন রাগ হয়নি তাওহীদ। এটা ওর জন্মগত অভ্যাসের সাথে মিশে গেছে। রাগ না থাকলেও নিজের আত্মসম্মান আর কমাতে চায়না তাওহীদ। ফোনবুক থেকে ব্যাক করে আরেক ঝলক তাকালো ঐশির দিকে। তারপর ফোনটা পকেটস্থ করতে গিয়ে খেয়াল করলো ব্যাক করার বদলে ভুলে কল দিয়ে ফেলেছে ঐশিকে।

এবং ওপাশে বেজে উঠলো ঐশির ফোনটা। ফোন কেটে দেওয়ার বদলে ঐশি কি করে দেখার জন্য তাকিয়ে থাকলো সেদিকে। সবকিছু যেন কিছুক্ষণের জন্য স্লো মোশনে চলে গেলো। কথা বলতে বলতে চমকে হাতের ফোনের দিকে তাকালো ঐশি। তাকিয়েই থাকলো অনেক অনেকটা সময়। তারপর আঙুলের একটা আলতো ছোয়ায় কেটে দিয়ে আবার কথোপকথনে মনোযোগ দিলো, যেন কিছুই হয়নি। কত নীরব, সাধারণ, সহজ একটা কাজ। কিছু না বলে, না করেই অনেক কিছু বলা হয়ে যায়।

তাওহীদ নিশ্চিত, কেউ যদি “অনায়াসে কাউকে আঘাত করার সেরা দশটি উপায়” নামে একটা বই লিখতো, সেখানে র‍্যাংকিংএ এক নম্বরেই থাকতো ফোন কেটে দেওয়া।

অনায়াসে কাউকে বলে দেওয়া যায় ‘আই হেইট ইউ’, সে হয়তো কষ্ট পাবে।

অনায়াসে কাউকে বলে দেওয়া যায় ‘আমার কিছু যায় আসেনা।’, এটা শুনেও নিশ্চয়ই কষ্ট লাগবে।

অনায়াসে দরজায় আসা কোনো অভাবী মানুষের মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেওয়া যায়, তাতেও ওপাশের মানুষটা কষ্ট পায়।

কিন্তু যখন একটা ফোন ধরার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে তখন সেই ফোনটা শুধুমাত্র একটা আঙুলের ছোয়ায় কেটে দেওয়াটা হয়তো উপরের সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় কাউকে এতটা তীক্ষ্ণ যন্ত্রণা দেওয়ার।

তাওহীদ আর বসে থাকলো না। কলিগদের কাছে কি ছুতোয় বিদায় নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল সেটা এখন আর মনে নেই। অফিসে নিজের ডেস্কে ফিরে কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করলো তাওহীদ। আর একটুও অবাক না হয়ে আবিষ্কার করলো কাজে আর মন বসছে না। এহেন সময়ে যখন শুভ্র ফোন করে জানালো যে অভি আর সে ওর অফিসের দিকেই আসছে তখন আর মিথ্যা বলার জন্য তাওহীদকে ভাবতে হলো না।

“শরীরটা ভালো লাগছিল না দোস্ত, বাসায় ফিরলাম মাত্র।” সহজ, সাবলীলভাবে ঠোঁটে চলে এলো কথাগুলো।

তারপর মিথ্যা টাকে সত্যি করতেই যেন সত্যি সত্যিই মাথাব্যথা শুরু হলো। আধাঘন্টা পর সিক লিভ আর ধরা মাথা নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়লো তাওহীদ। কিছুই ভালো লাগছে না। মন আর মাথা একটা আরেকটার সাথে হেডফোনের তারের মতো প্যাঁচগোজ লাগিয়ে বসে আছে। এই প্যাঁচ খোলার কেউ নেই। সারাদিন বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার আবহাওয়া টা বেশ ঠাণ্ডা, ঝিরিঝিরি বাতাস বইছে। খোলা বাতাসে হেটে হেটে বাড়ি ফিরলো তাওহীদ। তারপর একে একে সেই সবকিছু করলো যেগুলো সাধারণত ওর মন ভালো করে দেয়।

মায়ের হাতের দুধ চা বানিয়ে দিতে বলে, তানির সাথে অযথাই চেচামেচি করে, মিষ্টির অদ্ভুত অদ্ভুত কথা শোনার জন্য এই মাথা ব্যাথা নিয়েও অংক হোমওয়ার্ক চেক করতে ডেকে পাঠিয়ে নিজের রুমে ঢুকলো। ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো। ওর রসগোল্লা, চমচম, পান্তোয়া বিষয়ক ঝড়ো আলাপ শুনে আর কিছু হোক না হোক, স্ট্রেস অনেকটাই কমে যায়। কিভাবে যেন একটু হলেও ভেতরের দুশ্চিন্তা গুলোর সাথে চিনি মিশিয়ে দেয় মেয়েটা।

তবে চিনি মেশানোর আগেই চলে আসে শুভ্র আর অভি। আজকের দিনটা আর কত খারাপ হবে…সিলিং এর দিকে তাকিয়ে ভাবলো তাওহীদ। ওদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মোটেও তৈরি ছিল না সে আজ। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বেশিরভাগ সময় মায়ের সাথেই গল্প করে কাটিয়েছে ওরা। তাওহীদের সাথে আলাদাভাবে কথা বলার সময়ই হয়নি। সেজন্য তাওহীদ কৃতজ্ঞ ছিল।

খাওয়া দাওয়া শেষে তাওহীদের রুমে ঢুকলো ওরা। রুমে ঢুকে যখন দুজনের হাসি-হাসি মুখ দুটো একইসাথে রাশভারী রূপ ধারণ করলো তখন তাওহীদ রীতিমতো ঢোক গিললো।

“সত্যি করে বলতো তাওহীদ তুই আর কতদিন পর আমাদের বলবি ঠিক করেছিলি?” একটা ভ্রু উঁচিয়ে তাওহীদের আরাম কেদারাটায় বসে জিজ্ঞেস করলো অভি।

ঐশি তাহলে সবই বলেছে। তাওহীদ উত্তর দিলো না, দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।

“আমরা জানলে কি তোকে এভাবে সাফার করতে দিতাম?” তাওহীদকে অবাক করে এবার বললো শুভ্র। আগে জানলে কি করতো শুভ্র? একবার ভাবলো এটা কি শুভ্রের কোনো ক্রূর বিদ্রুপ? উপহাস? ঠাট্টা? কিন্তু না, মুখের রেখাবিথী গুলো নির্দেশ করছে রেগে নেই শুভ্র। বরং আরাম করে তাওহীদের বিছানায় শুয়ে একটা কনুইতে ভর দিয়ে তাকিয়ে আছে শুভ্র।

শুভ্রকে রাগতে না দেখে তাওহীদের ই রাগ হলো। ওর মাঝে মাঝে মনে হতো, কিন্তু সত্যিই কি ঐশিকে ভালবাসে না শুভ্র?

“তোদের কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি না।” বললো তাওহীদ।

“কোন পার্টটা বুঝিস নাই?” অভি হাই তুললো।

“কিছুই বুঝিনি।” দুজনেরই বডি ল্যাংগুয়েজ বড় অদ্ভুত ঠেকছে ওর কাছে।

“কি সত্যি বলার কথা বলছিস?” বললো তাওহীদ।

ভিলেনের মতো দাঁত কেলালো অভি।

“কয়দিন ধরে তোর গতিবিধি ভালো ঠেকতেছিল না আমার কাছে, ফোন অফ রাখিস, অফিস করিস না ঠিকমতো, কথা কইস না ঠিক মতো.. শুভ্র তো ভাবছিল ক্যান্সার ট্যান্সার বাধাইছস বুঝি। কিন্তু আমি বুঝছিলাম কাহিনী অন্য। আজকে খালি কনফার্ম হইলাম আর কি।” বলে রহস্যময় চোখে শুভ্রের দিকে তাকালো অভি।

তাওহীদের মুখটা তখন ফ্যাকাসে, রক্তশূণ্য দেখাচ্ছে।

“কি দেখে কনফার্ম হলি?” শুকনো সরে জানতে চাইলো সে।

“কি দেখে আবার! তোর কাজিনকে দেখে! এইজন্যই তো কোনো কিছু তে মন নাই আজকাল। রাগী রাগী চেহারা করে ঘুরে বেরাস। বোটানির মেয়েটা রোজ তোর আশেপাশে বেড়ায়, তারেও তুই পাত্তা দিস না। শেষমেশ তুমিও প্রেমে পড়লা মামা!” রসিয়ে রসিয়ে বললো অভি।

কাজিন মানে? মিষ্টি কি করেছে? বোটানির কোনো মেয়েকে সে চেনেই না।

“তাও আবার মামাতো বোনের প্রেমে!” বলে হাই ফাইভ করলো শুভ্র আর অভি।

“হোয়াট?” তাওহীদ বিস্মিত হলো।

“আচ্ছা বল, মিষ্টি তোদের বাসায় আসছে কবে?” তাওহীদের প্রশ্ন উপেক্ষা করে জিজ্ঞেস করলো অভি।

“শুক্রবার।” শুভ্র উত্তর দিলো।

“তাওহীদ সারাদিন ঘরে বসে থাকে, কাজকামে মন দেয়না কবে থেকে?” আবার জিজ্ঞেস করলো অভি।

“শুক্রবার থেকে।” তোতাপাখির মতো আবার উত্তর দিলো শুভ্র।

“তাহলে তাহলে তাহলে!!” বত্রিশ পাটি দাঁত দেখিয়ে ভ্রু নাচাতে থাকলো অভি।

তাওহীদ স্রেফ হা করে তাকিয়ে থাকলো।

ওকে চুপ থাকতে দেখে শুভ্র এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে ভরসা দিলো, “আরে ভাই আমরা তো জানি তুই এসব প্রপোজ টপোজ করতে পারিস না। প্রপোজ করা একটা আর্ট। তুই টেনশন নিশ না। আমরা আছি কি করতে!” বলে আবার দাঁত কেলালো।

চলবে

1
$ 0.00
Avatar for Nipa1234
4 years ago

Comments