শিশু নির্যাতন

2 22
Avatar for Niloy150943
3 years ago



শিশু নির্যাতন বা শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন হল বিশেষত বাবা-মা বা অন্য কোন অভিবাবক দ্বারা কোন শিশুর প্রতি শারীরিক, যৌন, বা মানসিক দুর্ব্যবহার করা বা শিশুকে অবহেলা করা। বাবা-মা বা অভিবাবক পর্যায়ের কারো কোন কার্য বা অসম্পুর্ণ কোন কার্য দ্বারা কোন শিশু সত্যিকারভাবে বা ধীরে ধীরে ক্ষতির সম্মুখীন হলে তা শিশু নির্যাতনের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত হবে। সেটা হতে পারে বাড়িতে, কোন প্রতিষ্ঠানে, স্কুলে, কোন সম্প্রদায়ে যেখানে শিশুটি অবস্থান করে।

শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন উভয় শব্দই সমানভাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও কিছু গবেষক এই দুই শব্দের পার্থক্য করেন। যেমন শিশুর প্রতি নির্দয় আচরন শব্দটি তারা শিশুর প্রতি অবহেলা, শিশু পাচার এবং শোষন এগুলো বোঝাতে ব্যবহার করেন।

বিভিন্ন বিচার ব্যবস্থায় শিশু নির্যাতনের নিজস্ব সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে যাতে করে নির্যাতিত শিশুটিকে পরিবার থেকে আলাদা করা যায় এবং নির্যাতনকারীকে আইনের আওতায় আনা যায়।

সংজ্ঞাসম্পাদনা

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শিশু নির্যাতনের সংজ্ঞায় কোন কোন বিষয়কে শিশু নির্যাতন বলা হবে তা নিয়ে ভিন্নতা দেখা যায়। এটা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শ্রেণী ও ইতিহাসেও পরিলক্ষিত হয়।[১][২] সাহিত্যে শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে পারস্পরিকভাবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।[৩]:১১ শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণ একটি সামগ্রিক সংজ্ঞা যা দিয়ে শিশুর প্রতি সকল ধরনের নির্যাতন এবং অবহেলাকে বোঝায়।[৪] প্রচলিত সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ শিশুর প্রতি দুর্ব্যবহারমুলক সংজ্ঞাকে প্রভাবিত করে।[৫] এই সমস্যাটি[৫] নিয়ে সমাজে যারা কাজ করেন যেমন শিশু নিরাপত্তা এজেন্সি, আইনি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সরকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, গবেষক ও উকিল ইত্যাদি তাদের মাঝেও শিশু নির্যাতনের সংজ্ঞা আলাদা আলাদা। যেহেতু এই সকল ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রের নিজস্ব সংজ্ঞা রয়েছে সেহেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে তা একটা বাধা হয়ে দাড়ায় যার ফলে শিশু নির্যাতন চিহ্নিত করা, মূল্যায়ন করা, অনুসরণ করা, সেবা দেয়া এবং শিশু নির্যাতন বন্ধ করা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৩]:৩[৬]

সাধারণভাবে, নির্যাতন বলতে বুঝায় স্বতস্ফুর্তভাবে ঐ সমস্ত কৃত কাজ যেখানে "অবহেলা" বলতে বুঝায় কেউ নিজেকে অন্যের কাছ থেকে সরিয়ে রাখাকে।[৪][৭] শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণের মধ্যে এই দুটো সংজ্ঞাই অর্ন্তভূক্ত যা কোন বাবা-মা বা অভিবাবক শিশুর প্রতি দেখালে শিশুর সত্যিকার ক্ষতি বা ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে।[৪] কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং প্রণেতা "নির্যাতন" সংজ্ঞায় অবহেলাকেও যুক্ত করেন, যেখানে অন্যরা তা করে না; এর পেছনে কারণ হল যে ক্ষতিটা শিশুর হচ্ছে তা হয়ত অনিচ্ছাকৃত অথবা তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি সমস্যার গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত নন। যা হয়ত সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের ফলে তৈরী হয়েছে যে শিশুকে কিভাবে বড় করতে হবে।[৮][৯] শিশু নির্যাতন এবং অবহেলার বিলম্বিত পরিণতি বিশেষত মানসিক অবহেলা এবং নির্যাতনের বৈচিত্র্যও বিবেচ্য বিষয়।[৯]

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে সংজ্ঞায়িত করেছে "সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, যৌন নির্যাতন, অবহেলা বা ঐ ধরনের কোন কাজ অথবা বাণিজ্যিক বা অন্য কোনভাবে শোষন করা ইত্যাদি যার ফলে কোন শিশুর বাস্তবিক শারীরিক ক্ষতি, জীবনের হুমকি, বেড়ে উঠা, মর্যাদা, দায়িত্ববোধ, বিশ্বাস বা ক্ষমতা ইত্যাদির ক্ষতি হয় বা ক্ষতির কোন আশংকা থাকে তাকে শিশু নির্যাতন এবং শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণ হিসেবে গন্য করা হবে।[১০] যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে সংজ্ঞায়িত করেছে এভাবে, নির্যাতন হতে পারে তা শব্দ, কথা বা প্রত্যক্ষ কোন কর্ম যা শিশুর প্রতি হুমকি বা ক্ষতি করতে পারে। অন্যদিকে অবহেলার সংজ্ঞায় রাখা হয়েছে, কোন শিশুকে সাধারণ শারীরিক, মানসিক বা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে এবং কোন প্রকার ক্ষতি থেকে শিশুকে রক্ষা করতে না পারাকে।[৩]:১১ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার শিশু নির্যাতনকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে, কোন সাম্প্রতিক কর্ম বা বাবা-মা বা অভিবাবকের কোন অবহেলার ফলে যদি কোন শিশুর মৃত্যু হয়, কোন শারীরিক/ মানসিক ক্ষতি হয়, যৌন নির্যাতন বা শোষনের শিকার হয় অথবা কোন ভীষণ ক্ষতি হতে পারে এমন কোন কাজ করলে বা থামাতে ব্যর্থ হলে তা শিশু নির্যাতনের আওতায় গন্য হবে।[১১][১২]

প্রকারভেদসম্পাদনা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চার ধরনের শিশুর প্রতি নির্দয় আচরণকে ভাগ করেন: শারীরিক নির্যাতন; যৌন নির্যাতন; মানসিক নির্যাতন; এবং অবহেলা জনিত নির্যাতন[১৩]

শারীরিক নির্যাতনসম্পাদনা

বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন বিষয়গুলোকে শারীরিক নির্যাতন বলা হবে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।[১৪] শারীরিক নির্যাতন এককভাবে সংগঠিত হয় না বরং অন্য আচরণের সাথে যুক্ত হয়ে সংগঠিত হয়ে থাকে যেমন কতৃত্বমূলক নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে, চিন্তিত করে এমন কোন আচরণের ফলে এবং বাবা-মায়ের তরফ থেকে উষ্ণ সম্পর্কের অভাবে।

শিশুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার উপর ইচ্ছাকৃত শারীরিক জোর খাটানো হলে তার ফলে কোন শারীরিক ক্ষতি, বেচে থাকার প্রতি হুমকি দেখা দিলে, বেড়ে ওঠার বা মর্যাদা হানি হলে বা হবার সম্ভাবনা থাকলে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে শিশুকে আঘাত করা, পিটানো, লাথি মারা, ঝাকানো, কামড়ানো, গলা টিপে ধরা, দগ্ধ করা, পোড়ানো, বিষ প্রয়োগ করা এবং শ্বাসরোধ করা। শিশুর বিরুদ্ধে কৃত অত্যধিক শারীরিক নির্যাতনগুলোকে যে বস্তু দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়েছে তা দ্বারা পরিমাপ করা হয়।[১৩]

জোয়ান ডুরান্ট এবং রন এনসম লিখেছেন যে বেশির ভাগ শারীরিক নির্যাতন হল শারীরিক শাস্তি সেটা হতে পারে উদ্দেশ্যপূর্ণ, আচরণগত রীতি নীতি এবং তার প্রভাবে প্রভাবিত।[১৫] শারীরিক নির্যাতন এবং শারীরিক শাস্তির সংজ্ঞা অংশত একই হওয়ায় দুটোর মধ্যে সুক্ষ্ম বা একেবারেই কোন পাথর্ক্য করা যায় না।.[১৬] উদাহরণসরূপ, পাওলো সার্জিও পিনহিরো জাতিসংঘের সাধারণ স্টাডিতে শিশুর প্রতি নির্যাতন সম্পর্কে লিখেছেন:

শারীরিক শাস্তির মধ্যে অর্ন্তভুক্ত আছে শিশুকে হাত বা চাবুক, লাঠি, বেল্ট, জুতা, কাঠের চামচ ইত্যাদি দ্বারা আঘাত করা ('করাঘাত', 'থাপ্পড়', 'পাছায় চড় মারা')। কিন্তু এর মধ্যে আরো থাকতে পারে শিশুকে লাথি মারা, ঝাকানো, ছুড়ে মারা, ঘষানো, চিমটি কাটা, কামড়ানো, চুল টানা বা কানে চাপড় মারা, শিশুকে অস্বস্তিকর অবস্থানে থাকতে বাধ্য করা, পোড়ানো, ছ্যাকা দেয়া অথবা জোর পূর্বক কোন কিছু খেতে বাধ্য করা (উদাহরণসরূপ, সাবান দিয়ে শিশুর মুখ ধুতে বাধ্য করা বা ঝাল মশলা খেতে বাধ্য করা)।[১৭]

বেশিরভাগ দেশেই যেখানে শিশু নির্যাতন আইন চালু আছে সেখানে ইচ্ছাকৃত মারাত্মক আঘাত প্রদান করা বা কোন কার্য যা শিশুকে অবশ্যই মারাত্মক আঘাত বা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে এরূপ কার্যকে অবৈধ গন্য করা হয়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং কালশিরে পড়া, গায়ে আচড় কাটা, পোড়া, ভাঙ্গা হাড়, ক্ষত ছাড়াও পুন পুন বিপত্তি ঘটানো এবং দুর্ব্যবহার করার ফলে কোন শারীরিক আঘাত পেলে তা নির্যাতন হিসেবে গন্য করা হবে।[১৮] একাধিক আঘাত বা ভাঙ্গা যা সারছে বা সারার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে এমন হলে তা নির্যাতনের প্রতি নির্দেশ করে এবং সন্দেহের উদ্রেক করে।

মনোবিজ্ঞানি এলিচ মিলার, তার শিশু নির্যাতন বিষয়ক বইয়ে উল্লেখ্য করেছেন যে, চটোপাঘাত, পেটানো, থাপ্পড় দেয়া ও অবমাননা ইত্যাদি সবই হল নির্যাতনের বিভিন্ন রূপ কারণ তা শিশুর মর্যাদাতে আঘাত করে ও শারীরিক আঘাত করে যদিও অনেক সময় তার প্রভাব তাৎক্ষনিকভাবে দেখা যায় না।[১৯]

প্রায়শই, শিশু বয়সে নির্যাতন ভবিষ্যতে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে যাতে আছে পুনরায় ঐ ধরনের ঘটনার শিকার হওয়া, ব্যক্তিত্ব সমস্যা, পোষ্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস সমস্যা, সংযোগ সমস্যা, বিষাদ, মানসিক অবসাদ, আত্মহত্যার প্রবণতা, খাবার সমস্যা, বস্তু/পদার্থ দ্বারা নির্যাতন করা অথবা আগ্রাসনমুখী আচরণ করা। শিশুকালে বাড়িঘর না থাকাও শিশু নির্যাতনের একটি কারণ।[২০]

যৌন নির্যাতনসম্পাদনা

শিশু যৌন নির্যাতন হল এক প্রকারে শিশু নির্যাতন যেখানে কোন প্রাপ্তবয়স্ক বা বড় শিশুর দ্বারা কোন শিশু যৌনতামুলক আচরণের শিকার হয়।[২১] যৌন নির্যাতন বলতে বুঝায় কোন শিশুর যৌনতামুলক কাজে অংশগ্রহণ করা যার উদ্দেশ্য কোন ব্যক্তির শারীরিক সন্তুষ্টি লাভ বা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়া।[১৮][২২] এই ধরনের যৌন নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে কোন শিশুকে যৌনতামুলক কাজ করতে বলা বা চাপ দেওয়া, যৌনাঙ্গের প্রদর্শন করতে বলা বা বাধ্য করা, শিশুকে পর্নো দেখানো, কোন শিশুর সাথে সত্যিকার অর্থে যৌন সঙ্গির মত আচরণ করা, শিশুর যৌনাঙ্গ স্পর্ষ করা বা দেখা বা শিশু পর্নো তৈরী করা।[২১][২৩][২৪] শিশুদের যৌনতামুলক সেবা বিক্রয় করাকে সাধারণ কারাবরোধ নয় বরং শিশু নির্যাতন হিসেবে দেখা হয়।[২৫]

শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর যে সমস্ত ক্ষতির শিকার হয় তার মধ্যে আছে অপরাধবোধ এবং আত্ম নিন্দা, নির্যাতনের ঘটনা মনে পড়া, দুঃস্বপ্ন, অনিদ্রা, নির্যাতনে সংযুক্ত জিনিসপত্রের প্রতি ভীতি (যেমন বস্তু, গন্ধ, স্থান, হাসপাতালে গমন ইত্যাদি), আত্ম-শ্রদ্ধায় সমস্যা, যৌন অক্ষমতা, তীব্র ব্যাথা, আসক্তি, নিজেকে আঘাত করা, আত্ম হত্যার প্রবণতা, শারীরিক অসস্তির অভিযোগ, হতাশাবোধ,[২৬] পোষ্ট ট্রমাটিক ডিসঅর্ডার,[২৭] উদ্বিগ্নতা সহ,[২৮] অন্যান্য মানসিক সমস্যা যেমন বর্ডারলাইন পারসোনালিটি ডিসঅর্ডার[২৯] এবং ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার,[২৯] প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর পুনরায় উক্ত ঘটনা ঘটানো/ঘটনার শিকার হওয়ার প্রবণতা,[৩০] বুলিমিয়া নার্ভোসা,[৩১] এবং শিশুর শারীরিক আঘাতও হতে পারে অন্যান্য সমস্যারগুলোর একটি।[৩২] যে সমস্ত শিশু যৌন হেনস্তা বা নির্যাতনের শিকার হয় তারা যৌন বাহিত রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকিতে থাকে কারণ তাদের ঐ সমস্ত রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরি হয়নি এবং জোর পূর্বক যৌন মিলনের ফলে তাদের শ্লৈষিক ঝিল্লি ছেড়ার মত ক্ষতি হতে পারে।[৩৩] কম বয়সে যৌনতার শিকার হওয়াকে এইচআইভির মত রোগ ছড়ানোর ঝুকির সাথে বিবেচনা করা হয় কারণ যৌনতা সমন্ধে কম জ্ঞান, এইচআইভি'র দ্রুত বৃদ্ধি, যৌন মিলনের ঝুকিপূর্ন প্রয়োগ, কনডম ব্যবহার না করা, নিরাপদ যৌন মিলনের পন্থা না জানা, ঘন ঘন যৌন সঙ্গি বদল, অনেক বছর ধরে যৌন কর্মকান্ডে জড়িত থাকা।[৩৩]

আমেরিকায় প্রায় ১৫% থেকে ২৫% মহিলা এবং ৫% থেকে ১৫% পুরুষ শিশু অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।[৩৪][৩৫][৩৬] বেশিরভাগ যৌন নির্যাতনকারী নির্যাতনের শিকার ছেলে বা মেয়ের পূর্ব পরিচিত; প্রায় ৩০% শিশুর আত্মীয়, প্রায়শই সেটা ভাই, বোন, বাবা, মা, চাচা-চাচী, ফুফা-ফুফু, খালু-খালা অথবা চাচাতো, মামাতো, ফুফাত ভাই অথবা বোন; প্রায় ৬০% হল অন্য ভাবে পরিচিত লোকজন যেমন পারিবারিক বন্ধু, শিশু দেখাশোনাকারী, প্রতিবেশী। অপরিচিত লোক দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয় প্রায় ১০%।[৩৪] তিনভাগের একভাগেরও বেশি ঘটনায় দেখা গেছে নির্যাতনকারীও আঠারোোো বছরের নিচে।[৩৭]

১৯৯৯ সালে বিবিসি প্রতিবেদন করে আরএএইচআই ফাউন্ডেশন কতৃক কৃত একটি জরিপের ওপর। তারা ভারতে যৌন নির্যাতনের উপর জরিপটি চালায় সেখানে প্রায় ৭৬% অংশগ্রহণকারী জানায় তারা শিশু অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার ৪০% হল পারিবারিক সদস্য।[৩৮]

মানসিক নির্যাতনসম্পাদনা

মূল নিবন্ধ: মানসিক নির্যাতন

শিশুর মানসিক নির্যাতন সমন্ধে বেশ কিছু সংজ্ঞা আছে:

২০১৩ সালে, আমেরিকান মানসিক সংস্থা (এপিএ) শিশুর মানসিক নির্যাতনকে ডিএসএম-৫ হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে, বর্ণনা করা হয় এভাবে "অনিচ্চাকৃত নয় এমন মৌখিক এবং অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে শিশুর বাবা-মা বা তত্ত্বাবধানকারী যদি মানসিকভাবে শিশুকে ক্ষতিগ্রস্থা করে বা ক্ষতি হবার সম্ভাবনা তৈরী করে তবে তা মানসিক নির্যাতন"

10
$ 0.00
Avatar for Niloy150943
3 years ago

Comments

nice

$ 0.00
3 years ago