হঠাৎ করেই বিড়ালপ্রেমি হয়ে উঠেছিলাম। বাড়ির বিড়ালটিকে মাছের কাটা পাতের ভাত মাংসের হাড় খাওয়ানোটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এইদিকে বিড়ালও আমার ভক্ত হয়ে উঠল। আমাকে দেখলেই লেজ নাড়াতে নাড়াতে কাছে আসে খাবারের আশায়, সবসময় কাছে কাছেই ঘুরে। কিছুদিন যাবৎ ব্যক্তিগত কিছু কারনে আমি হতাশায় ভুগি। যার প্রভাব আমার আচরণে পরে। আমি হয়ে উঠি রাগি, বদমেজাজি। যার ফলে আমার কাছের মানুষগুলোও দূরে সরে যায়। চারিদিকের পরিবেশ আমার কাছে অসহ্য হয়ে উঠে। এরমধ্যেও বিড়ালটি সেই আগের মতো আমার কাছাকাছি আসে, খাবার খুজে। এখন আমার বিড়ালটিকেও বিরক্ত লাগে, খেতে তো দেইই না উল্টো আরও লাথি মেরে বাড়ি থেকে তাড়াই। তাও বিড়ালটি সেই আগের মতোই আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করে। একদিন বিরক্ত হয়ে বিড়ালটিকে ধরে বস্তায় নিয়ে একটা মাঠে রেখে আসি। মনে মনে ভাবলাম এইবার একটু আরামে থাকা যাবে। কিন্ত বাড়ি আসার পর বিড়ালটির কথা বার বার মনে পড়ছিল। নিজেকে খুব বেশি খারাপ মনে হচ্ছিল। কোনকিছুই আর ভালো লাগছিল না। চলে গেলাম আবার সেই জায়গায়। গিয়ে আর খুজে পেলাম না তাকে, ভাবছিলাম তবে কি সে হারিয়েই গেল? এমন সময় শব্দ হলো, মিউ! বিড়াল গল্পের কমলাকান্তের মতো যেন শুনছিলাম বিড়াল এর কথা। বিড়ালটি বলছিল, আমাকে এখানে একা ফেলে চলে গেছিলে কেনো? তুমি আমাকে এতো কস্ট দাও তাও আমি কেন তোমার তোমার কাছেই যাই কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি তো চাইলেই অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম তাও দেখো তোমার কাছেই এসেছি। তার এই অন্যরকম ভালোবাসা ফিরে পেয়ে আমার অনুভুতিটা কেমন ছিল সেটা নাহয় অব্যক্তই থাক।
0
22