বজ্জাত বস❤দুস্টু এপিএস বউ

Written By Ariyan Khan

Part-26

তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথির হাত ধরে ডান্স ফ্লোরে নিয়ে যায় আর ডি জে কে রোমান্টিক গান প্লে করতে বলে,,,,লাইট অফ করে দেওয়া হয়,,,,শুধু দুটো সাদা লাইট জ্বলে তাও আবির আর তিথির মাথার উপর,,,সবার দৃষ্টি শুধু ডান্স ফ্লোরে আবির তিথির উপর,,,,,

আবির তিথির হাতটা আবিরের ঘাড়ে রাখে,,,আবির তিথিত কোমড়ে হাত রাখে আর নিজের অনেকটা কাছে টেনে নেয়,,,দুইজনে যেন একে অপরের মাঝে পুরো হারিয়ে গেছে,, আবিরের চোখের মায়ায় যেন হারিয়ে গেছে,,,,,গান শুরু হয় আর আবির তিথি সে গানে ডান্স করছে

😍❤😍😍❤😍
dekha hazaaron dafa aapko
phir beqarari kaisi hai
sambhale sambhalta nahi ye dil
kuch aap mein baat aisi hai

I have seen you thousands of times,
then how’s this restlessness,
this heart doesn’t get controlled even on trying,
there is something such in you.

lekar ijazat ab aap se
saansein ye aati jaati hain
DhoonDhe se milte nahi hain hum
bas aap hi aap baaki hain

my breaths now 
come and go with your permission.
even when I search myself, I can’t find myself,
as there is just you everywhere.

pal bhar na doori sahein aap se
betaabiyaan ye kuch aur hain
hum door hoke bhi paas hain
nazdeekiyan yeh kuch aur hain

I won’t bear distance from you even for a moment,
this eagerness is something different.
We are far, and yet close,
this closeness is something different.

dekha hazaaron dafaa aapko
phir beqarari kaisi hai
sambhale sambhalta nahi ye dil
kuch pyar mein baat aisi hai

aagosh mein hain jo aapki
aisa sukoon aur paayen kahan
aankhen humein ye raas aa gayin
ab hum yahaan se jaaye kahaan

now that I am in your arms,
where shall I find such peace.
These eyes have suited me,
now where shall I go from here.

dekha hazaaron dafa aapko
phir beqarari kaisi hai
sambhale sambhalta nahi ye dil
kuch pyaar mein baat aisi hai

I have seen you thousands of times,
then how’s this restlessness,
this heart doesn’t get controlled even on trying,
there is something such in love.

phir beqarari kaisi hai
kuch pyaar mein baat aisi hai

দুইজনের ডান্সে তো সবাই পুরো মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে,,,,কারো চোখ যেন সরছে না তাদের দুইজন থেকে,,,,,, আবির আর তিথি তো একে অপরের প্রতি এতো হারিয়ে গেছে যে আশেপাশে মানুষ তাদের দেখছে তার খেয়াল ও নাই,,,,

শিহাবের হাতের জুসের গ্লাস থাকায় সে জোরে চেপে ধরায় গ্লাস ভেঙ্গে তার হাতে ঢুকে যায়,,,রাগে গজগজ করতে থাকে তিথি আর আবিরকে এতো কাছে দেখে,,, 

নিয়া তো রেগে পুরো আগুন,,,মনে হচ্ছে এখন কাঁচা গিলে খাবে তিথিকে,,,,,,

সবাই জোরে হাত তালি দেওয়ায় আবির আর তিথির হুশ ফিরে যে তারা ডান্স ফ্লোরে😂😂😂

তিথি চারপাশে চোখ বলিয়ে দেখে সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,চারপাশে চোখ ঘুরিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির তার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে,,,আবিরের চাহিনীতে এক নেশা যেন কাজ করছে,,,আর সে নেশা হলো তার তোতাপাখিকে মুগ্ধ নয়নে সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকা,,,,,,

তিথিঃ স্যার 

আবিরঃ হুম

তিথিঃ সবাই তাকিয়ে আছে,,,,প্লিজ ছাড়ুন,,আর নিচে চলুন

আবির চারপাশে তাকিয়ে দেখে হেসে দেয়,,,,,মুচকি হেসে তিথির দিকে তাকিয়ে বলে

আবিরঃ সবাই ভাবছে এতো কিউট কাফেল ডান্স করছে আর একটু যদি দেখতে পারতাম ইসস

তিথিঃ কি?😱😱😱আপনার মাথা গেছে??পাগল হয়েছেন কেউ জানে??

আবিরঃ হ্যাঁ আমি পাগল হয়েছি তোতাপাখির জন্য পাগল😍😍😍

তিথিঃ উফফ আমি ও কার সাথে কথা বলছি😨😨😨

আবিরঃ কেন তোমার হবু বরের সাথে😂😂😂😂

তিথিঃ ওরে আল্লাহ এই কেমন বজ্জাত আমার কপালে জুটলো😢😢😢

আবিরঃ যেমন তুমি তেমন জুটছে ম্যাডাম 😂😂😂😛😜

তিথি রেগে নিচে নেমে যায়,,,আবির মুচকি হেসে নিজের মাথায় হালকা বারি দিয়ে নেমে পরে,,,তিথি নামার সাথে সাথে অনেকে তাকে ঘিরে ধরে,,,সবাই তিথির অনেক প্রশংসা করে,,,,আবির দূর থেকে সব দেখছে আর মুচকি হাসছে৷,,,,যখনই তিথির চোখ আবিরের চোখে পরে আবির চোখ টিপ দেয়😂😂😂তিথি নাক ফুলিয়ে অন্য দিকে ফিরে যায়,,,,,,

নিয়া রেগে আবিরের সামনে আসে,,,আবির জুসের গ্লাসে এক চুমুক দিয়ে বলে

আবিরঃ কিরে নিয়া কিছু কি বলবি???

নিয়াঃ এই সব এর মানে কি???😡😡

আবিরঃ কি সব এর মানে?

নিয়াঃ ন্যাকামি কেন করছো😡😡😡

আবিরঃ কথা না প্যাচিয়ে সোজা বলতে পারিস না,,,,,

নিয়াঃ আমি কথা প্যাচিয়ে বলছি😡😡

আবিরঃ আচ্ছা ঠিক আছে বলছিস না,,,এই বার বল কি

নিয়াঃ তুমি এই বেহেনজির সাথে কেন ডান্স করলে😡😡

আবিরঃ কে বেহেনজি??

নিয়াঃ কে আর ওই মেয়েটা😡(তিথির দিকে ইশারা করে)

আবির তো পুরো রেগে যায় নিয়ার ইশারা দেখে,,,,

আবিরঃ মুখ সামলিয়ে কথা বলবি নিয়া😡😡😡(চিল্লিয়ে বলে উঠে)

নিয়াঃ মানে???তুমি ওই বেহেনজির জন্য আমাকে ধমক দিচ্ছো😢😢

আবিরঃ দেখ নিয়া,,,,,আজ বলেছিস তো বলেছিস,,,,আর যেন তোর মুখে তিথির ব্যাপারে কোনো আজে বাজে কিছু না শুনি,,,,,বুজতে পেরেছিস

নিয়াঃ কে  লাগে এই মেয়ে যার জন্য তুমি আমাকে এই ভাবে বলছো???আমি তোমার জিএফ আবির

আবিরঃ এক মনিট নিয়া,,,,আমি কি তোমাকে কখনো বলেছি যে আমি তোমায় ভালোবাসি বা মিস করি???তুমি নিজেকে আমার জিএফ ভাবো এতে আমি কি করবো.???সত্যি বলতে তুমি আমার শুধু ফ্রেন্ড,,,,

নিয়াঃ আবির😢😢😢তুমি আমায় লাভ করো না😢😢

আবিরঃ একটা ফ্রেন্ড হিসেবে করি তার বেশি কিছু না,,,,,দেখো নিয়া লাভ বললে হয় না ফিলিংস থাকতে হয় যা আমার তোমার জন্য কখনো ছিলো না,,,,,,

নিয়া চোখের পানি মুছে আবিরকে জিজ্ঞেস করে 

নিয়াঃ তাহলে তোমার ফিলিংস কার জন্য শুনি???

আবিরঃ আমার তোতাপাখির জন্য,,,,যাকে আমি খুব ভালোবাসি,,,,,,

নিয়াঃ তোতাপাখি????

আবিরঃ উফফস সরি তিথিকে

তিথির নামটা শুনে নিয়ার মাথা পুরো খারাপ হয়ে যায়,,,,আবিরের একজন ফ্রেন্ড এসে আবিরকে টেনে নিয়ে যায়,,,,নিয়া এখনো আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে,,,,হঠাৎ তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি সবার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,,,,নিয়ার রাগ যেন হাজার গুন বেরে গেছে তিথির হাসি দেখে,,,,,হনহন করে তিথির সামনে যায় তিথির হাত টা পিছন থেকে ঘুরিয়ে সবার সামনে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারে,,,,,থাপ্পড়ের আওয়াজ টা মনে হয় একটু বেশি জোরে হয়েছে যার কারণে সবাই তাকিয়ে আছে নিয়াও তিথির দিকে,,,,তিথি গালে হাত দিয়ে নিয়ার দিকে প্রশ্নবোধক ভাবে তাকিয়ে আছে,,,,তিথির ও খুব রাগ উঠছে যে এই ভাবে সবার সামনে তাকে এই ভাবে চড় মারায়,,,,তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে নিয়া তিথিকে বলে 

নিয়াঃ তোর মতো মেয়েদের আমি ভালো করে চিনতে পারি,,,তোরা টাকার জন্য সব করতে পারিস😡😡😡তোদের তো কাজেই বড় ঘরের ছেলে খুজা আর তার পিছনে লেগে যাওয়া😡😡

তিথিঃ তুমি কি বলতে চাও😡😡

নিয়াঃ এখন ন্যাকামি হচ্ছে😡😡ন্যাকামি টা তো ভালো জানিস😡😡😡এই রূপে পাগল করেছিস তাই না(তিথির মুখে হাত দিয়ে)

তিথি রেগে নিয়ার হাতটা সরিয়ে বলে

তিথিঃ পাগল হয়েছো বাসায় জানে????বাসায় গিয়ে বলো পাবনায় পাঠিয়ে ভালোভাবে চিকিৎসা করতে....

নিয়া আবার তিথিকে থাপ্পড় মারতে লাগে তখন তিথি নিয়ার হাত চেপে ধরে বলে

তিথিঃ এক বার মেরেছিস তাও আমি কিছু বলি নাই,,,,আমার ও হাত আছে বুজলি😡😡😡আর কি বললি আমি ন্যাকামি করছি???আমার তো খাই দাই আর কাজ নাই যে তোর মতো ন্যাকামি করবো😡😡😡দেখ টিয়াকি বাচ্ছি আমি তিথি আর তিথি কাউকে ভয় পায় না বুজলি😡😡😡যা বলার সরাসরি বল

নিয়াঃ অন্যের বিএফ কেড়ে নিতে লজ্জা করে না,,,,,করবে কি ভাবে হ্যান্ডসাম,,,বড় ঘরের ছেলে  তা দেখে লোভ সামলাতে পারিস নাই তাই তো তার পিছনে হাত ধুয়ে পরে আছিস😡😡😡

তিথিঃ অন্যের বিএফ মানে???

নিয়াঃ আবির😡😡😡আবির আমার বিএফ,,,আর তুই তাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাস,,,,,,তোদের মতো ছোট ঘরের মেয়েরা আর কি পারবে,,,,

তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির নিয়াকে ঘুরিয়ে কষে  একটা থাপ্পড় মারে,,,,দাঁতে দাঁত চেপে নিয়াকে বলে

আবিরঃ এক বার বলেছি কথা কানে যায় নাই😡😡😡

নিয়াঃ তুমি আমায় মারলে তাও এই মেয়ের জন্য 😢😢

আবিরঃ আর তুই যে আমার কলিজায় হাত দিয়েছিস,,,,,

নিয়া আর কিছু বলতে যাবে তার আগে আবির তিথির হাত ধরে নিজের কাছে টেনে সবাইকে বলে

আবিরঃ আমি তিথিকে ভালোবাসি,,,,আর এই সপ্তাহে আমি তিথিকে বিয়ে করছি,,,,,আর হ্যাঁ তিথিকে কেউ কিছু বলার আগে ১০০ বার ভেবে নিবে যে সে আবির রহমানের হবু বউ,,,,,,

তিথি আবিরের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,,,,নিয়ার মুখটা তখন দেখার মতো,,,,,, আবির সবার সামনে তিথিকে নিয়ে পার্টি থেকে বের হয়ে যায়,,,,সবাই তো পুরো অবাক,,,,,,নিয়া রাগে পাশে রাখা গ্লাস গুলো ছুড়ে মারে,,,,,,,,রাগে যেন তার মাথা ফেটে যাচ্ছে,,,,,,,

আবির তিথিকে টেনে নিয়ে এসে গাড়িতে বসায় আর নিজে ও বসে,,,,,,তিথি আবিরকে কিছু বলবে ভাবছে কিন্তু বলতে পারছে না,,,,,তিথি ঠিক বুজতে পারছে আবির প্রচন্ড রেগে আছে,,,,,,তিথি আবিরের মুড ঠিক করার জন্য বলে

তিথিঃ জানেন আমি না ভাবছি বিড়ালের রোস সাথে টিকটিকির আচার,,,কেঁচো চাটনি করে ওই টিয়ার বাচ্চাকে খাওয়ালে কেমন হয়,,,,

আবির হঠাৎ গাড়িটা ব্রেক করে,,,আর তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,

তিথিঃ আইডি কেমন

আবিরঃ তুমি আসলে কি???

তিথিঃ আপনি তো বলেন যে আমি এলিয়েন তাহলে এলিয়েন হবো😜😛

আবির তিথির গালে হাত দিয়ে বলে

আবিরঃ অনেক ব্যাথা করছে তাই না,,,

তিথিঃ আরে না,,

আবিরঃ আমি জানি অনেক ব্যাথা করছে,,,পুরো গাল লাল হয়ে গেছে,,,ওই মেয়েকে আমি ছাড়বো না,😡

তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,,আবির তিথির গালে হালকা স্লাইড করে দেয়,,,তিথি মুচকি হেসে 
আবিরেরর হাতে হাত রেখে বলে

তিথিঃ আপনি জানেন আপনার সাথে যাদু আছে,,,আপনি যখনই আমার গালে হাত রাখেন তখন 

আমি সব ভুলে যাই,,

আবিরঃ হাহা সো ফানি😡😡😡😡

তিথিঃ আরে এই খানে রেগে যাওয়ার কি আছে😞😞

আবিরঃ চুপ থাকো,,,আর নিজের খেয়াল রাখতে পারো না,,,,

তিথিঃ আপনি আছেন তো আমার খেয়াল রাখতে,,,

আবির তিথির গালে আলতো করে চুমু দিয়ে বলে

আবিরঃ আজকে যদি আমি আমার তোতাপাখির সাথে থাকতাম তাহলে আজকে ওই নিয়ার এতো সাহস হতো না আমার তোতাপাখির গায়ে হাত তুলার,,,

তিথির চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,,,,আবির তিথির চোখের পানি মুছে  দিয়ে বলে

আবিরঃ গালে ব্যাথা করছে ডাক্তারের কাছে যাবে???চলো এখন ডাক্তারের কাছে যাই

তিথি আবিরকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দেয়,,,,,,আবির তো অনেকটা ভয় পেয়ে যায় তিথির কান্না দেখে,,,,

আবিরঃ এই তোতাপাখি কাঁদছো কেন???কি হয়েছে আমায় বলো??তুমি কি নিয়ার কথা কষ্ট পেয়েছো,,সরি তোতাপাখি আজকে আমার ভুলের কারণে তোমাকে এতো কিছু শুনতে হয়েছে,,,,আম সরি

তিথি আবিরকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদো কাঁদো গলায় বলে

তিথিঃ আ,,,,পনি আ,,,মায় এতো ভালো,,বাসেন কেন😭😭😭

আবিরঃ তুমি এই জন্য কান্না করছো😡😡😡

তিথি চুপ করে কেঁদেই যাচ্ছে,,,আবির তিথিকে তুলে তিথির চোখের পানি খুব যত্নে মুছে দিয়ে বলে

আবিরঃ আমি আমার পাগলীকে ভালো না বেসে কা কে বাসবো  বলো,,,

তিথি নাক টেনে টেনে আবিরের দিকে তাকায়,,,আবির মুচকি হেসে তিথির চোখে চুমু দিয়ে বলে

আবিরঃ তোমায় কতো ভালোবাসি জানি না শুধু জানি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোমায় ভালোবাসতে চাই,,,তোমায় সারাটি জীবন আমার বুকে আগলে রাখতে চাই,,,থাকবে না আমার বুকের মাঝে সারাটি জীবন 

তিথি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানায়,,,,আবির মুচকি হেসে তিথিকে জড়িয়ে ধরে,,,কিকিছু ক্ষন পর তিথি আবিকে বলে

তিথিঃ আমি কি ভাবছি জানেন???

আবিরঃ কি ভাবছো তুমি??

তিথিঃ তেলাপোকার ভর্তা,,চিলের কিমা,,,ইঁদুরের চাটনি আর বিড়ালের কাবাব খাওয়ামু

আবির এই গুলো শুনে বমি করার অবস্থা,,,,

আবিরঃ উয়াক 😨😨😨😨😨তুমি কি আসলে উয়ায়াক্কক থু

তিথিঃ আমি তো তিথি😞😞😞এখানে এতো উয়াক করার কি আছে,,,আপনি কি ওই,,,,,,,যে এই ভাবে বমি করছেন???😞😞

আবিরঃ এই,,,,,,, যে মানে???

তিথিঃ বুজবেন না???

আবিরঃ এই সব পালতু কথা পাও কই

তিথিঃ আমি তো এই সব ওই নিয়া টিয়াকে খাওয়ামু বলছি,,,আর আপনি এতো উয়াক ওয়াক শুরু করে দিচ্ছেন যে আর কিছু বলতেই পারি নাই,,,

আবিরঃ তোমার এই পালতু খাবারের কথা শুনে যে কেউ বমি করে দিবে,,বুজলে মিস তিতা

তিথিঃ যারা পাগল তারা এই খাবার গুলো খায় না হু

আবিরঃ ওরে আল্লাহ এই কোন এলিয়েন আমার কপালে জুটলো,,,,

তিথিঃ কি বললেন😡😡😡😡

আবিরঃ কই কিছু না তো,,,,চলো বাসায় যাই 

তিথি গাল ফুলিয়ে অন্য পাশে বসে আছে,,,,আবির আর কিছু না বলে ড্রাইভ করতে থাকে,,,  

এইদিকে নিয়া পুরো ঘর মাথা করে রেখেছে,,,,ঘরের সব জিনিস ভেঙ্গে শেষ করছে,,,,আয়নায় ফুলেরটপ মেরে চিৎকার করে বলে

নিয়াঃ আবির শুধু আমার,,,, আর কারো না,,,,,, ওই তিথিকে আমি ছাড়বো না,, জানে মেরে ফেলবো আমি তাকে আমার আবিরকে আমার কাছ থেকে দূরে নেওয়ার জন্য 😡😡😡নিয়া কি তা এখনো সে জানে না,,,,আমি আমার আবিরকে পাওয়ার জন্য সব করতে পারি,,,দরকার হলে কাউকে খুনও করতে পারি,,,,, 

রাগে আয়নায় বারি দেওয়ায় হাতে কাচের একটা টুকরো ঢুকে যায় আর জরজর করে রক্ত পরতে থাকে,,,,,নিয়ার বাবা-মা দূরে এসে দেখে নিয়ার হাত থেকে রক্ত পরছে আর নিয়া কেঁদে যাচ্ছে,,,মেয়ের চোখে কখনো পানি আসতে দেয় নাই,,,আজ সে মেয়ে এই ভাবে কান্না করছে আর তার হাত থেকে রক্ত পরছে তা দেখে নিয়ার বাবা প্রায় কেঁদে দেয়,,আর মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলে

নিয়ার বাবাঃ কি হয়েছে আম্মু,,,আমাকে বলো আমি সব ঠিক করে দিবো

নিয়াঃ পাপ্পা আমার আবির চাই

নিয়ার বাবাঃ আবিরকে চাই মানে???

।নিয়াঃ আমি আবিরকে বিয়ে করতে চাই,,আমি আবিরকে নিজের করতে চাই,,,আমি যদি আবিরকে না পাই তাহলে নিজেকে শেষ করে দিবো

নিয়ার মাঃ আবির কোন খেলনা না যে তুমি চাইলে আর তোমার পাপ্পা এনে দিবে...

নিয়ার বাবাঃ আমার মেয়ে আমার কাছে আজ পর্যন্ত যা চেয়েছে আমি তাকে সব এনে দিচ্ছি,,,আজও তা হবে আবিরকে আমি আমার মেয়ের জন্য এনে দিবো,,এর জন্য আমাকে যা করতে হবে আমি তাই করবো,,

নিয়াঃ(তোমার সময় শেষ বেহেনজি,,,,,আবির আমার শুধু আমার,,,,তোমাকে আমার আবিরের জীবন থেকে অনেক দূরে যেতে হবে হয় সেটা তোমার ইচ্ছায় বা তোমার ইচ্ছা ছাড়া কিন্তু যেতে তোমাকে হবেই 😈😈😈)

চলবে,,,,,,,,,