ভালবাসা মানে নীল প্রজাপতি
Part : 3
Write : Sabbir Ahmed
-ওকে আশে পাশে থাকবো না সামনা সামনি থাকবো। তুমি বাইরে গেলে আমি তোমার সাথে যাবো, তুমি ভার্সিটি তে গেলে তোমার সাথে যাবো, তুমি কোথাও ঘুরতে গেলে তোমার সাথে যাবো এমনকি তুমি বাথরুমে গেলে...(আদনান)
-বদমাইশ তোকে আমি..(রাত্রি)
-এই তোমরা ওখানে কি করছো?.. (রাত্রির বাবা)
,,
রাত্রির বাবা বুঝে উঠার আগেই রাত্রি বলে উঠলো..
-বাবা এ লোকটা ফুল চুরি করতেছিলো (রাত্রি)
-...(রাত্রির কথায় আদনান অবাক)
-এই ছেলে তোমার নামটা যেন কি?
-আদনান
-হ্যা তুমি ফুল চুরি করছিলে কেনো?
-আসলে আংকেল ফুলগুলো দেখতে দারুন লাগছিলো, মন না চাইতেই ভুলেই ফুলের দিকে হাত বাড়িয়ে ফেলেছি
-এরকম আর কখনো করবা না
-জ্বি আংকেল সরি
-..(যাক বাবা ছেলেটার বুদ্ধি আছে)
-রাত্রি তোর ভার্সিটি নেই?
-বাবা তুমি ভুলে যাও যে আজকে অফ ডে
-ওহহ মনেই নেই, এখন তো আর অফিস নেই তাই মনে থাকে না.. (রাত্রির বাবা চলে গেলো)
-আপনি, সরি আপনি না তুই, তুই চলে যা
-যাবো কেনো? আমি তো কথা দিলাম আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে
-ধুরর..(রাত্রি চলে গেলো)
,,
আদনান দাড়িয়ে থেকে আনমনে ভাবছে..
-মানুষ গুলো এমনি, আবেগে কত কিছুই বলে বসে আর বাস্তবতায় কোনো কিছুই মেনে নিতে পারে না। (আদনান ও ছাদ থেকে চলে গেলো)
,,
রাত্রি বাসা থেকে বের হচ্ছে একটা বাব্ধবীর সাথে দেখা করতে। সে বাসার বাইরে আসতেই দেখে আদনান দাড়িয়ে..
-উফফ আল্লাহ এই কাউয়া কাদের কেনন বার বার আমার সামনে পরে?(রাত্রি)
-বিড়বিড় করে আমাকে কাউয়ে কাদের বলছেন আমি সেটা বুঝেছি(আদনান)
-...(রাত্রি ভেংচি কাটলো)
-কোথায় যাচ্ছেন?
-তোকে কেন বলতে যাবো?
-হুমমম
,,
রাত্রি একটা রিক্সা ডাকলো, তারপর রিক্সায় উঠে রওনা হলো। কিছুক্ষণ রিক্সায় যাওয়ার পর রাত্রি কি মনে করে পেছনে তাকালো। তাকিয়ে দেখে তার পেছনের একটা রিক্সায় আদনান বসে আছে। রাত্রিকে দেখে আদনান দাঁত বের করে একটা হাসি দিলো।
-কাইল্লা আমার পিছু নিয়েছে! আগে রিক্সা থেকে নামি তারপর ওর অবস্থা টাইট করবো। (রাত্রি মনে মনে স্থির করলো)
,,
রাত্রি তার বান্ধবীর বাসার সামনে নামলো, সাথে সাথে আদনান ও নামলো।
-এই এই তুই এখানে কি করছিস?(রাত্রি)
-ঘুরতেছি (আদনান)
-না তুই আমার পিছু নিয়েছিস
-জানেনই আবার প্রশ্ন করতেছেন কেনো?
-তুই আমার পিছু কেনো নিবি?
-আগেই বলেছি নতুন করে বলতে পারবো না
-কুত্তার
-বাচ্চা, তাই তো? সমস্যা নেই যা ইচ্ছা বলে বকা দেন
-তোরে আমি.....(রাত্রি বাসার ভেতরে গেলো)
-আমার আত্মা টা ভালই জেদি, ভালবাসা কিচ্ছু বোঝে না। ওর কাছে যা ভালো লাগে সেটাই করে। ওকে আমি ভালবাসা শেখাবোই, তা ও যত অপমানই করুক...(আদনান বাসার নিচে দাড়িয়ে রইলো)
,,
রাত্রি এখন তার বান্ধবীর রুমে, রাত্রির রাগি মুখ দেখে তার বান্ধবী বলল
-কিরে সকাল সকাল তোর কি হইছে?(বান্ধবী)
-জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখ (রাত্রি)
-কেনো?
-তুই দেখ আগে
,,
রাত্রির বান্ধবী জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে বলল
-এই রাত্রি ছেলেটাকে চেনা চেনা লাগছে কোথায় যেন দেখছি মনে হয়
-আরে গাধী এটা তোদের কাউয়া কাদের
-কি বলিস! ও এখানে কেনো??
-আমার পিছু নিয়েছে
-দাড়া ওকে এখনই তাড়িয়ে দিচ্ছি
-কিভাবে?
-ভাইয়া বাসায় আছে ভাইয়া কে বলি
-না থাক বলিস না আবার সত্যি কথা যদি আদনান বলে দেয়
-আমি ভাইয়া কে বলব ও আমার পিছু নিয়েছে
-ওয়াওও ওকে ওকে তুই এখনই ভাইয়া কে বল
,,
রাত্রির বান্ধবী তার ভাইয়াকে গিয়ে বানিয়ে বানিয়ে অনেক কথা বলল আর বলে দিলো ছেলেটা এখনও বাসার বাইরে দাড়িয়ে আছে। ভাইয়া তো সেই রাগে গেলো।
,,
ভাইয়ার সাথে আদনান এর কি হয় সেটা দেখার জন্য রাত্রি আর তার বান্ধবী জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছে।
,,
-এই ছেলে এই এদিকে
আদনান এগিয়ে এসে বলল
-জ্বি ভাইয়া কিছু বলবেন?? (আদনান)
-তুই আমার বোন এর পিছু নিয়েছিস, তুই ওকে সবসময় ডিস্টার্ব করিস
-ভাইয়া আপনার বোন কে??
-রাইসা
-ভাইয়া আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে
-আমার কোথাও ভুল হচ্ছে না
-ভাইয়া আমার বাসায় দুইটা বাচ্চা আছে বউ আছে, আমি কেনো আপনার বোনের পেছনে ঘুরতে যাবো?
-তাহলে ও যে বলল আপনি
-এখানে একটু আগে একটা ছেলে দাড়িয়ে ছিলো
-ছেলেটা চলে গেছে?
-হ্যা
-ওহহ তাহলে আমারই ভুল হইছে সরি ভাই কিছু মনে করো না... (ভাইয়া বাসার ভেতরে চলে গেলো)
-আমাকে ভয় দেখানোর জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে!আপাদত এখান থেকে কেটে পরি..
-উফফ ভাইয়া ছেলেটাকে মারলো না কেনো? নিশ্চয় ভাইয়া কে ভুল ভাল বুঝিয়ে বোকা বানিয়েছে(রাত্রি)
-বাদ দে তো ওর কথা, কি খাবি বল
-যা রান্না করেছিস তাই
,,
রাত্রি ঘন্টাখানেক পর বাসা থেকে বের হয়। আবার বাইরে বেড়িয়ে দেখে আদনান দাড়িয়ে। রাত্রিকে দেখে আদনান এগিয়ে আসলো..
-তো এখন কেথায় যাবেন?(আদনান)
-...(রাত্রি আদনান কে কষে দুটা থাপ্পড় মারলো)
,,
থাপ্পড় খেয়ে আদনান আবার স্বাভাবিক হয়ে বলল
-আপনি কি এখন বাসায় যাবেন? নাকি আরও কোনো বন্ধুর বাসায় যাবেন?
-থাপ্পড় খেয়ে তোর হুশ হয় না? আরও কয়েকটা দিবো?
-না আপনি হাতে ব্যাথা পাবেন
-ফালতু যত্তসব
,,
রাত্রি রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলো, আদনান ও তাই করলো। থাপ্পড় টা বেশ ভালো ভাবেই লেগেছে আদনান এর গালে। আদনান একবার আয়নায় চোখ বুলিয়ে নিলো গালে দাগ দেখে মিষ্টি হসে বলল
-আজ চর মেরেছো, কাল মারবে, পরশু মারবে, পরদিন ঠিকিই ভালবাসবে
,,
,,
তারপর বিকেল বেলা..
রাত্রি আবার বাসার বাইরে বের হয়ে দেখে আদনান দাড়িয়ে। আদনান এর সাথে কোনো কথা না বলে কাকে যেন ফোন করলো। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর রাত্রির একটা ছেলে ফ্রেন্ড আসলো বাইক নিয়ে..
,,
রাত্রি বাইকে উঠলো। তারপর আদনান এর দিকে হেয়ালি ভাবে তাকিয়ে একটু ভাব নিলো আর চলে গেলো।
,,
-থ্যাংকস দোস্ত (রাত্রি)
-রাখ তোর থ্যাংকস তুই নাম এখন আমার জি এফ আমার জন্য অপেক্ষা করছে (ছেলেটা)
-যা যা তোরে আর ধরে রাখছি না
,,
রাত্রি এখন একটা বটতলায় তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। সবকিছু আগের দিনগুলোর মতো ভালভাবে চলছিলো হঠাৎ রাত্রি দেখতে পেলো আদনান তার দিকে তাকিয়ে আছে।
-আরে ও কিভাবে যানলো আমি এখানে আসবো! এখন কি হবে? (রাত্রি মনে মনে বলল)
আদনান কাছে আসছে না দূর থেকে দাড়িয়ে দেখছে। কিন্তু রাত্রির একটুও ভালো লাগছে না। রাত্রি সহ্য করতে না পেরে আদনান এর দিকে এগিয়ে যায়
-এখান থেকে যান (রাত্রি)
-বাহহ তুই থেকে হঠাৎ আপনি! (আদনান)
-দেখেন এখানে আমার সব ভার্সিটিরর ফ্রেন্ড আমি চাই না কেউ আপনার সম্পর্কে জানুক
-বুঝলাম না
-আমার সাথে আপনার ইয়ে ছিলো এটা যেন কেউ না বুঝতে পারে সেই জন্য এখান থেকে চলে যেতে হবে
-ওরা জানলে কি হবে??
-আমার মান সম্মান যাবে
-তাই? আমি কালো তাই মান সম্মান যাবে?
-হুমমম
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
।।
চলবে
ভালবাসা মানে নীল প্রজাপতি Part : 3 Write : Sabbir Ahmed
-ওকে আশে পাশে থাকবো না সামনা সামনি থাকবো। তুমি বাইরে গেলে আমি তোমার সাথে যাবো, তুমি ভার্সিটি তে গেলে তোমার সাথে যাবো, তুমি কোথাও ঘুরতে গেলে তোমার সাথে যাবো এমনকি তুমি বাথরুমে গেলে...(আদনান) -বদমাইশ তোকে আমি..(রাত্রি) -এই তোমরা ওখানে কি করছো?.. (রাত্রির বাবা) ,, রাত্রির বাবা বুঝে উঠার আগেই রাত্রি বলে উঠলো.. -বাবা এ লোকটা ফুল চুরি করতেছিলো (রাত্রি) -...(রাত্রির কথায় আদনান অবাক) -এই ছেলে তোমার নামটা যেন কি? -আদনান -হ্যা তুমি ফুল চুরি করছিলে কেনো? -আসলে আংকেল ফুলগুলো দেখতে দারুন লাগছিলো, মন না চাইতেই ভুলেই ফুলের দিকে হাত বাড়িয়ে ফেলেছি -এরকম আর কখনো করবা না -জ্বি আংকেল সরি -..(যাক বাবা ছেলেটার বুদ্ধি আছে) -রাত্রি তোর ভার্সিটি নেই? -বাবা তুমি ভুলে যাও যে আজকে অফ ডে -ওহহ মনেই নেই, এখন তো আর অফিস নেই তাই মনে থাকে না.. (রাত্রির বাবা চলে গেলো) -আপনি, সরি আপনি না তুই, তুই চলে যা -যাবো কেনো? আমি তো কথা দিলাম আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে -ধুরর..(রাত্রি চলে গেলো) ,, আদনান দাড়িয়ে থেকে আনমনে ভাবছে.. -মানুষ গুলো এমনি, আবেগে কত কিছুই বলে বসে আর বাস্তবতায় কোনো কিছুই মেনে নিতে পারে না। (আদনান ও ছাদ থেকে চলে গেলো) ,, রাত্রি বাসা থেকে বের হচ্ছে একটা বাব্ধবীর সাথে দেখা করতে। সে বাসার বাইরে আসতেই দেখে আদনান দাড়িয়ে.. -উফফ আল্লাহ এই কাউয়া কাদের কেনন বার বার আমার সামনে পরে?(রাত্রি) -বিড়বিড় করে আমাকে কাউয়ে কাদের বলছেন আমি সেটা বুঝেছি(আদনান) -...(রাত্রি ভেংচি কাটলো) -কোথায় যাচ্ছেন? -তোকে কেন বলতে যাবো? -হুমমম ,, রাত্রি একটা রিক্সা ডাকলো, তারপর রিক্সায় উঠে রওনা হলো। কিছুক্ষণ রিক্সায় যাওয়ার পর রাত্রি কি মনে করে পেছনে তাকালো। তাকিয়ে দেখে তার পেছনের একটা রিক্সায় আদনান বসে আছে। রাত্রিকে দেখে আদনান দাঁত বের করে একটা হাসি দিলো। -কাইল্লা আমার পিছু নিয়েছে! আগে রিক্সা থেকে নামি তারপর ওর অবস্থা টাইট করবো। (রাত্রি মনে মনে স্থির করলো) ,, রাত্রি তার বান্ধবীর বাসার সামনে নামলো, সাথে সাথে আদনান ও নামলো। -এই এই তুই এখানে কি করছিস?(রাত্রি) -ঘুরতেছি (আদনান) -না তুই আমার পিছু নিয়েছিস -জানেনই আবার প্রশ্ন করতেছেন কেনো? -তুই আমার পিছু কেনো নিবি? -আগেই বলেছি নতুন করে বলতে পারবো না -কুত্তার -বাচ্চা, তাই তো? সমস্যা নেই যা ইচ্ছা বলে বকা দেন -তোরে আমি.....(রাত্রি বাসার ভেতরে গেলো) -আমার আত্মা টা ভালই জেদি, ভালবাসা কিচ্ছু বোঝে না। ওর কাছে যা ভালো লাগে সেটাই করে। ওকে আমি ভালবাসা শেখাবোই, তা ও যত অপমানই করুক...(আদনান বাসার নিচে দাড়িয়ে রইলো) ,, রাত্রি এখন তার বান্ধবীর রুমে, রাত্রির রাগি মুখ দেখে তার বান্ধবী বলল -কিরে সকাল সকাল তোর কি হইছে?(বান্ধবী) -জানালা দিয়ে নিচে তাকিয়ে দেখ (রাত্রি) -কেনো? -তুই দেখ আগে ,, রাত্রির বান্ধবী জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখে বলল -এই রাত্রি ছেলেটাকে চেনা চেনা লাগছে কোথায় যেন দেখছি মনে হয় -আরে গাধী এটা তোদের কাউয়া কাদের -কি বলিস! ও এখানে কেনো?? -আমার পিছু নিয়েছে -দাড়া ওকে এখনই তাড়িয়ে দিচ্ছি -কিভাবে? -ভাইয়া বাসায় আছে ভাইয়া কে বলি -না থাক বলিস না আবার সত্যি কথা যদি আদনান বলে দেয় -আমি ভাইয়া কে বলব ও আমার পিছু নিয়েছে -ওয়াওও ওকে ওকে তুই এখনই ভাইয়া কে বল ,, রাত্রির বান্ধবী তার ভাইয়াকে গিয়ে বানিয়ে বানিয়ে অনেক কথা বলল আর বলে দিলো ছেলেটা এখনও বাসার বাইরে দাড়িয়ে আছে। ভাইয়া তো সেই রাগে গেলো। ,, ভাইয়ার সাথে আদনান এর কি হয় সেটা দেখার জন্য রাত্রি আর তার বান্ধবী জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছে। ,, -এই ছেলে এই এদিকে আদনান এগিয়ে এসে বলল -জ্বি ভাইয়া কিছু বলবেন?? (আদনান) -তুই আমার বোন এর পিছু নিয়েছিস, তুই ওকে সবসময় ডিস্টার্ব করিস -ভাইয়া আপনার বোন কে?? -রাইসা -ভাইয়া আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে -আমার কোথাও ভুল হচ্ছে না -ভাইয়া আমার বাসায় দুইটা বাচ্চা আছে বউ আছে, আমি কেনো আপনার বোনের পেছনে ঘুরতে যাবো? -তাহলে ও যে বলল আপনি -এখানে একটু আগে একটা ছেলে দাড়িয়ে ছিলো -ছেলেটা চলে গেছে? -হ্যা -ওহহ তাহলে আমারই ভুল হইছে সরি ভাই কিছু মনে করো না... (ভাইয়া বাসার ভেতরে চলে গেলো) -আমাকে ভয় দেখানোর জন্য লোক পাঠানো হচ্ছে!আপাদত এখান থেকে কেটে পরি.. -উফফ ভাইয়া ছেলেটাকে মারলো না কেনো? নিশ্চয় ভাইয়া কে ভুল ভাল বুঝিয়ে বোকা বানিয়েছে(রাত্রি) -বাদ দে তো ওর কথা, কি খাবি বল -যা রান্না করেছিস তাই ,, রাত্রি ঘন্টাখানেক পর বাসা থেকে বের হয়। আবার বাইরে বেড়িয়ে দেখে আদনান দাড়িয়ে। রাত্রিকে দেখে আদনান এগিয়ে আসলো.. -তো এখন কেথায় যাবেন?(আদনান) -...(রাত্রি আদনান কে কষে দুটা থাপ্পড় মারলো) ,, থাপ্পড় খেয়ে আদনান আবার স্বাভাবিক হয়ে বলল -আপনি কি এখন বাসায় যাবেন? নাকি আরও কোনো বন্ধুর বাসায় যাবেন? -থাপ্পড় খেয়ে তোর হুশ হয় না? আরও কয়েকটা দিবো? -না আপনি হাতে ব্যাথা পাবেন -ফালতু যত্তসব ,, রাত্রি রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলো, আদনান ও তাই করলো। থাপ্পড় টা বেশ ভালো ভাবেই লেগেছে আদনান এর গালে। আদনান একবার আয়নায় চোখ বুলিয়ে নিলো গালে দাগ দেখে মিষ্টি হসে বলল -আজ চর মেরেছো, কাল মারবে, পরশু মারবে, পরদিন ঠিকিই ভালবাসবে ,, ,, তারপর বিকেল বেলা.. রাত্রি আবার বাসার বাইরে বের হয়ে দেখে আদনান দাড়িয়ে। আদনান এর সাথে কোনো কথা না বলে কাকে যেন ফোন করলো। কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর রাত্রির একটা ছেলে ফ্রেন্ড আসলো বাইক নিয়ে.. ,, রাত্রি বাইকে উঠলো। তারপর আদনান এর দিকে হেয়ালি ভাবে তাকিয়ে একটু ভাব নিলো আর চলে গেলো। ,, -থ্যাংকস দোস্ত (রাত্রি) -রাখ তোর থ্যাংকস তুই নাম এখন আমার জি এফ আমার জন্য অপেক্ষা করছে (ছেলেটা) -যা যা তোরে আর ধরে রাখছি না ,, রাত্রি এখন একটা বটতলায় তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। সবকিছু আগের দিনগুলোর মতো ভালভাবে চলছিলো হঠাৎ রাত্রি দেখতে পেলো আদনান তার দিকে তাকিয়ে আছে। -আরে ও কিভাবে যানলো আমি এখানে আসবো! এখন কি হবে? (রাত্রি মনে মনে বলল) আদনান কাছে আসছে না দূর থেকে দাড়িয়ে দেখছে। কিন্তু রাত্রির একটুও ভালো লাগছে না। রাত্রি সহ্য করতে না পেরে আদনান এর দিকে এগিয়ে যায় -এখান থেকে যান (রাত্রি) -বাহহ তুই থেকে হঠাৎ আপনি! (আদনান) -দেখেন এখানে আমার সব ভার্সিটিরর ফ্রেন্ড আমি চাই না কেউ আপনার সম্পর্কে জানুক -বুঝলাম না -আমার সাথে আপনার ইয়ে ছিলো এটা যেন কেউ না বুঝতে পারে সেই জন্য এখান থেকে চলে যেতে হবে -ওরা জানলে কি হবে?? -আমার মান সম্মান যাবে -তাই? আমি কালো তাই মান সম্মান যাবে? -হুমমম ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। ।। চলবে