কিছু কথা
কথা গুলো আমার না।একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমাকে এই উপদেশ গুলো দিয়েছিলেন।কথাগুলো ডাক্তার মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য।জ্ঞানীগুণী অভিজ্ঞ মানুষের কথার আমি কোনো যুক্তি খণ্ডন করার দুঃসাহস দেখাব না।আমার যেহেতু লেখালেখির অভ্যাস তাই স্যারের মুখের কথাগুলো লিখে রাখলাম আর কি।যেনো কালের করাল গ্রাসে তা হারিয়ে না যায়!
ত্রিশ বছর বয়সেও যদি একটা বিয়ে না করতে পার তাহলে তোমার যতোই উচ্চডিগ্রী থাকুক জগতের অনেক কিছু থেকে তুমি বঞ্চিত হবে।
তোমার ডিগ্রী আছে,টাকা আছে,গাড়ি-বাড়ি সব আছে কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে তুমি এতোই ব্যস্ত যে এখনো সন্তান নেয়ার সময় পাওনি।বয়স পঁয়ত্রিশ পেরুলে তখন মনে হবে তোমার এ জীবন অর্থহীন।
তোমার স্বামী,সন্তান,টাকা,পয়সা,গাড়ি,বাড়ি সব আছে,চাকুরিও করছ কিন্তু চল্লিশ বছর বয়সের মধ্যে যদি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করতে না পারো আজীবন তুমি হীনমন্নতায় ভুগবে।
কখনো এটা মনে করো না একটা বাচ্চা মানুষ করতেই তো জীবন শেষ।আরেকটা বাচ্চা নিলে আমার লাইফ,ক্যারিয়ার সব ধ্বংস হয়ে যাবে।তোমার মৃত্যুর পর তোমার বাচ্চার পৃথিবীতে আপন বলে কেউ থাকবে না।কারণ মা-বাবার অবর্তমানে পর নিজের মায়ের পেটের ভাই-বোন ছাড়া কেউ আর আপন থাকে না।
স্বামীর,বাপের,শ্বশুরের যতোই টাকা থাকুক তোমার জীবনের লক্ষ্য হবে নিজে সাবলম্বী হওয়ার।এটা তোমার জীবনে অনেক সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে।সবাই তোমার মতামতের গুরুত্ব দিবে।
জীবনে টাকা পয়সার দরকার আছে।কিন্তু টাকার প্রতি এতোটা লোভ লালসা ভালো না যে দিনরাত টাকার পেছনে ছুটতে গিয়ে পরিবার কে সময় দিতে পারছ না।এমন অনেক সফল মানুষকে দেখছি যাদের টাকার অভাব নেই কিন্তু সময়ের অভাবে শেষ পর্যন্ত পরিবার টাই ভেঙে গেছে!
স্বামী সন্তানদের নিয়ে একসাথে থাকার চেষ্টা করবে সবসময়।কারণ, দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে যখন মানুষ ঘরে ফিরে তখন পরিবারই তার একমাত্র ভরসাস্থল এবং প্রশান্তির জায়গা।
সবকিছু যদি ব্যালেন্স করে চলতে পার তবেই তুমি সফল মানুষ।যে পারে সে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সব পারে।আর যে পারে না সে সব কিছুতেই শুধু অযুহাত খোঁজে।
বৃদ্ধ বয়সে তোমার জীবনসঙ্গীই তোমার শ্রেষ্ঠ বন্ধু।তোমার সন্তান তোমার মৃত্যুশয্যায় পাশে নাও থাকতে পারে।কেউ তোমার খোঁজ রাখবে না।তাই সবার উর্দ্ধে তোমার জীবন সঙ্গীকে প্রাধান্য দিবে।
thank you for reading.