নিঃস্ব

0 13
Avatar for Koly
Written by
3 years ago

#গল্পঃ_নিঃস্ব

#পর্বঃ_২০

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

-- লাশটার হাতে পুলিশ রক্ত দেখতে পেলো,

না লাশটার হাতে তো কোনো কাটার চিহ্ন নেই,তবে রক্ত আসলো কোথা থেকে, সেখান থেকে রক্ত সংগ্রহ করে পাঠিয়ে দেয়া হলো আসলে এটা কার রক্ত।

পুলিশ অফিসার কাছে রক্তের রিপোর্ট আসলো,

রিপোর্টটা দেখে তো সবাই হতভম্ব হয়ে যায়

পুলিশ অফিসারটাও হতবাক হয়ে যায়।

কারন রিপোর্টে লেখা লাশের হাতে যে রক্ত ওটা আসলে অন্য কারোর না।

-- ওই রক্ত হলো রাইসার😱😱

পুলিশ সবাইকে যখন রিপোর্টা দেখালো সবাই তো অবাক এও কি সম্বব

কি করে সম্বব,

রাইসার রক্ত ঐ ছেলেটার হাতে আসলো কেমন করে।

এদিকে রাইসার আব্বু আম্মু এ খবর টা শুনে শকট খায়।

রাইসা তো তাদের সাথেই তাদের বাসায় ছিলো,আর কিভাবেই বা এসব

কেউ যেনো কিছুই বুঝতে পারতেছে না।

রাইসার রক্ত এখানে এ লাশটার হাতে আসবে কেন।

তখনই ইমরানের আব্বু আম্মু রাইসাকে সন্দেহ করতে লাগলো,

সবাই ভাবতে লাগলো এ ছেলেটার হাতে যখন রাইসার রক্ত পাওয়া গেছে।

তার মানি রাইসা কিছু একটা হয়তো করেছে, তা না হলে এই ছেলেটার হাতে রাইসার রক্ত আসবে কোথা থেকে।

এদিকে পুলিশ অফিসারটা ভাবতে লাগলো--হয়তো রাইসা এ বিষয়টার সাথে ইনভলব। তা না হলে এখানে ওর রক্ত আসবে কেন।

আর হয়তো ইমরানের সাথে ওর বান্ধবির বিষয়টা জানতে পেরে গেছিলো, সেই জন্য মনে হয়, রাইসাই হয়তো ইমরান কে মেরে ফেলেছে।

এ আমি কি ভাবছি?রাইসা তো ইমরানকে ভালোবাসে নিজের জীবনের থেকেও বেশী।

রাইসা কখনই ইমরানকে মারবে না।

তাহলে নিশ্চয় কেউ আছে যে রাইসাকে ফাসাতে চাচ্ছে

আর এদিকে রাকিব সব শুনে সেও অবাক, কি করে রাইসার রক্ত আসলো, ওই ছেলেটার হাতে।

পুলিশ অফিসারটা আবার সেই পোড়াবাড়িটার কাছে গেলো তার গাড়ি নিয়ে তার পর আসে পাশে ভালো ভাবে খুজতে লাগলো কোনো কিছু যদি খুজে পাওয়া যায়।

লাশটা যেখানে পড়ে ছিলো সেখান থেকে দশ পা দুরে একটা গ্যাস লাইট পেলো।

আর কিছুই পেলো না, সেটা ফেলে দিয়ে গিয়েও ফেললো না।

একটা পকেটে পুড়ে নিলো

অফিসে এসে ভাবতেছে, কি করা যায়, এ কেস টা তো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

এদিকে রাকিব রাইসার অবস্হা দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে, সরাসরি পুলিশ অফিসারটার কাছে চলে আসলো, আর বলতে লাগলো, আমি এ কেস টাতে আপনার সাথে থাকবো যত হেল্প লাগবে আমি করবো,লাগলে আমার জীবনটা যদিও যায় দিয়ে দেব কিন্তু আপনি ইমরানকে বের করে দিন, আর আপনি যে রক্ত ঐ ছেলেটার হাতে পেয়েছেন হয়তো রাইসাকে ফাসানোর জন্য এসব কেউ করেছে।

হঠাৎ রাকিবের মাথায় একটা বিষয় ধরা পড়লো,

সে ভাবতে লাগলো, রাইসা তো দুই বার নিজের হাত কেটেছে তার মানি তার রক্ত একবার বাসে আর একবার বাড়িতে পড়েছে

তার মানি হয়তো রাইসার রক্ত বাড়ির কেউ তার রুম থেকে সংগ্রহ করেছে।

আর একটা ব্যাপার সেটা হলো হাসপাতালে বসে তার রক্ত তো আর কেউ নেয় নি।

আর রাইসা যখন হাত কাটলো বাড়ি বসে, তখন তো আমরা সবাই হাসপাতালে চলে আসলাম।

তারমানি কাজের বুয়া এবং কাজের লোকটা তখন বাড়িতে ছিলো,

হয়তো তারা এ বিষয়ে কিছু জানে

রাকিব ভাবতে ভাবতে পুলিশ অফিসারটাকে বলল, স্যার আমি এখন একটু আসি ,

পরে আপনার কাছে আসবো আমার একটা জরুরি কাজ আছে।

এদিকে বেচারা পুলিশ অফিসারটা এখন রাকিবকে সন্দেহ করতে লাগলো, কি এমন কাজ যা আমার কাছে এসে রাকিবের মনে পড়লো।

কয়েকজন লোক রাকিবের পিছেনে লাগিয়ে দিলো কি করে কোথায় যায় জানার জন্য।

আর রাকিব তখনই থানা থেকে সোজা বাড়ি চলে আসে।

এসেই কাজের বুয়াকে জিজ্ঞাস করে, রাইসা যখন তার রুমে বসে হাত কাটছিলো, তখন রুম পরিস্কার করছিলো কে?

কাজের বুয়া বলল হ্যা আমিতো করছিলাম,কেনো কি হইছে রাকিব ভাইযান

তুমি কি রাইসার রক্ত রুম থেকে পরিস্কার করছিলা

কাজের বুয়া বলল, হ্যা,

তুমি কি রাইসার রক্ত কাউকে দিয়েছিলা

কাজের বুয়া বলল, কি বলেন আপনি, আমি রাইসা ম্যাডামের রক্ত দিয়া কি করমু, আমি তো পরিস্কার করে অাসছি

রাকিব তো কেমন জেনো চুপসে গেলো, ও ভাবছিলো হয়তো কাজের বুয়াটা কিছু জানে,

না কাজের বুয়াটাও কিছু জানে না।

আর কাজের বুয়াটাও তো এর কিছু বুঝবেও না।

যখনই কাজের বুয়ার কাছ থেকে আসতে যাবো

ওমনি আমাকে ডাক দিলো, আর বলল ভাইযান আমি যখন রাইসা ম্যাডামের রুমে গেছিলাম তখন তো আপনারা কেউ এ বাসায় ছিলের না। কারন আপনারা তো হাসপাতালে রাইসা ম্যাডামরে নিয়া ব্যাস্ত

আর আমি ছিলাস এই বিশাল ঘরে একলা

তবে আপনারা যাওয়ার কিছুক্ষন পর, রাইসার আঙ্কেল এই বাসায় আসলো,

তারপর কাউকে এ বাসায় না দেখতে পেয়ে সব রুমে খুজে দেখছিলো কেউ আছে কি না, ওমনি সে রাইসা ম্যাডামের রুমের কাছে আসলো আর আমি এদিকে রাইসা ম্যাডামের রুম পরিস্কার করার জন্য আসলাম।

আমাকে দেখে ডাক দিয়েছিলো আমি তার ডাকে সারা দিয়ে তার কাছে আসি ,

তখনই আমাকে সবার কথা জিজ্ঞাস করে যে সবাই কোথায় গেলো, আমি সব খুলে বললাম

আর তখন রাইসা ম্যাডামের রুমে রক্ত দেখে আমাকে জিজ্ঞাস করছিলো এখানে এতো রক্ত কিসের আমি বললাম রাইসা ম্যাডামের।

তারপরই রাইসার আঙ্কেল আমাকে এক গ্লাস পানি আনতে বলল,

আমি এদিকে পানি আনতে গেলাম আর সে ওখানে ছিলো এর বেশী আমি কিছু জানি না।

রাকিব কাজের বুয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে যায় আর ভাবতে থাকে হয়তো রাইসার আঙ্কেল রাইসাকে ফাসাতে চাচ্ছে।

হয়তো সেই এখান থেকে রাইসার রক্ত নিয়ে ঐ ছেলেটার হাতে দিয়েছে।

আর এসবের পিছনে নিশ্চয়ই সে? ??

আর রাইসাকে কেনো সে ফাসাতে যাবে, রাইসার আঙ্কেল সে তো সবসময় রাইসার আব্বুর সাথেই থাকে, সে তো একদম তাদের কাছের মানুষ।

তবে আমি বের করেই ছাড়বো সে যদি এসবের পিছনে থাকে।

আর এদিকে পুলিশ অফিসারটা যে গ্যাস লাইটটা পেয়েছিলো

তাড়াতাড়ি করে সেটা কার গ্যাস ছিলো, তাই ওটাতে কোনো ফিঙ্গারে চিহ্ন আছে কি না সেটা খোজ নেয়ার জন্য ফরেনসেইক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হলো।

এদিকে রাকিব রাইসার আঙ্কেলের খোজে নেমে পড়লো রাইসার কাছ থেকে তার আঙ্কেলের ঠিকানা নিয়ে সেখানে গেলো।

বাড়িতে গিয়ে শুনতে পায়, বাড়িতে নেই, কোথায় গেছে জিজ্ঞাস করলে বলে, অমুক জায়গায় গেছে।

আমি তাড়াতাড়ি করে সেই জায়গায় পৌছালাম, একটা পার্কের পাশে রাইসার আঙ্কেলের গাড়ি পার্কিং করা, আমি যেই গাড়ি থেকে বের হবো দেখি রাইসার আঙ্কেল আদির সাথে কথা বলছে।

আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, তাহলে নিশ্চয়ই এসবের পেছেনে আদি আছে।

কিন্তু রাইসার আঙ্কেল আর আদি মিলেই কি এসব করছে কেমন জেনো সবকিছু এলোমেলো লাগলো।

হয়তো আমার ভাবনাটাই ঠিক, অথবা ভুল ও হতে পারে।

রাইসার আঙ্কেল কেন রাইসাকে ফাসাতে চাইবে, আর আদিও তো রাইসাকে ভালোবাসে তবে আদিও কি রাইসাকে ফাসাতে চাইবে কিন্তু শুধু শুধু এসবের মানে বুঝলাম না।

এসবের পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারন আছে।

রাইসার আঙ্কেল আর আদি মিলে তাদের গাড়িতে উঠলো।

আমি তাদের পিছু নিতে লাগলাম

তারপর দেখি রাইসাদের বাসায় এসে গাড়িটা থামলো ,দেখলাম আঙ্কেল গাড়ি থেকে নেমে আসলো আর আদি গাড়ি নিয়ে চলে গেলো।

এদিকে আমিও গাড়ি থেকে নেমে রাইসার বাসায় গেলাম গিয়ে দেখলাম আঙ্কেল রাইসার আব্বুর সাথে কথা বলছে।

আমি আড়চোখে আঙ্কেলের দিকে চেয়ে আছি আর নজরে রাখছি কি করছে।

আবার আঙ্কেল রাইসার আব্বুর সাথে কথা বলে চলে গেলো, কি এমন কথা বলার জন্য আসলো, তাহলে কি রাইসার আব্বুও এ বিষয়টার সাথে সম্পৃক্ত।

আরে না নিজের মেয়েকে কি কেউ ফাসাতে চায়।

ভাবতে ভাবতে আঙ্কেল যখন চলে গেলো আমিও বাসা থেকে বের হয়ে সোজা থানায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলাম।

এদিকে পুলিশ অফিসারের কাছে ফিঙ্গারের রিপোর্ট আসলো

পুলিশ অফিসার রিপোর্টা দেখতেছে,,

রিপোর্টে লেখা গ্যাস লাইটের ফিঙ্গারটা রাইসার আঙ্কেলের।

আর তখনই রাকিব থানায় প্রবেশ করলো

যখনই পুলিশ অফিসারটা এ ব্যাপারটা বলল,যে গ্যাস লাইট পেয়েছিলো লাশটার পাশে ঐটার ফিঙ্গারের ছাপ রাইসার আঙ্কেলের হাতের ছাপের সাথে মিলে গেছে।

রাকিবও তার ঐ রাইসার রক্ত আঙ্কেল বাড়ি থেকে নিয়েছলো সেই কথাটা বলল পুলিশ অফিসারটাকে

দুজনেই এখন তাদের গোলক ধাধায় একটা মিল খুজে পেলো কারন

দুই দিকের ব্যাপারে একজন Involved.

তারা দুজনে ভাবতে লাগলো নিশ্চয়ই এই ইমরানের নিখোজ আর ইমরানের বন্ধুর হত্যা আর ওই কঙ্কাল পাওয়া ব্যাপারটার সাথে রাইসার আঙ্কেলের কোনো না কোনো সম্পর্ক আছে।

আর রাকিব এটাও বলল, যে আঙ্কেলের সাথে আদিকেও দেখছে, আর আঙ্কেল রাইসার বাবার সাথে কি যেনো কথা বলল, কিন্তু সেটা রাকিব শুনে নি।

পুলিশ অফিসারটাও চিন্তায় পরে গেলো এব্যাপারটায় কি রাইসার আব্বুও যুক্ত আছে কি না

,কেমন যেনো ঘোলাটে লাগছে

কিন্তু একটা হিসাব তো সরাসরি মিলে গেছে তাদের কাছে যে রাইসার রক্ত রাইসার আঙ্কেল সংগ্রহ করে ঐ লোকটার হাতে লাগিয়ে দিয়েছে যাতে সবাই রাইসাকেই সন্দেহ করে।

আর গ্যাস লাইটটাতে আঙ্কেলের হাতের ছাপ পেয়ে দু জনেই নিশ্চিত যে আঙ্কেলকে ধরতে পারলেই সব কিছু আস্তে আস্তে বের হয়ে আসবে

যেই ভাবা সেই কাজ

তারপর রাকিব আর পুলিশ অফিসারটা আর কিছু না ভেবেই রাইসার

আঙ্কেলকে ধরার জন্য তাদের বাড়িতে গেলো।

সেখানে গিয়েই কলারটা ধরল পুলিশ অফিসারটা আঙ্কেলের

তারপর নিয়ে আসতে লাগলো থানায়

তখন রাইসার আঙ্কেল বলল, একটা সামান্য পুলিশ অফিসার হয়ে, আমাকে ধরতে এসেছো, এমনকি আমার কলার ধরে টানা টানি করতেছো,

তোর এতো বড় সাহস কোথা থেকে আসলো,তুই আমাকে চিনিস।

পুলিশ অফিসারটা জোড়ছে একটা থাপ্পর দিয়ে, বলল খুন করার আগে একবারও তো ভাবলি না, এখন এতো বড় বড় কথা বলতেছ কেন।

পুলিশের মুখে খুনের কথা শুনে আঙ্কেল ঘাবড়ে যায়,

তোতলাতে তোতলাতে বলতে থাকে,,কি,,,কি,,,কি,,,,কিসের খু,,,খুন

পুলিশ অফিসারটা বলল,থানায় চল বুঝতে পারবি

আঙ্কেল রাকিবকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,বাবা রাকিব কি বলছে পুলিশ অফিসারটা,তুমি তো কিছু বলো।

রাকিব বললো,হ্যা ঠিকি তো বলছে।

তারপর আঙ্কেলকে থানায় নিয়ে আসা হলো, তারপর তাকে রক্তের ব্যাপারটা বলা হলো, কোনোভাবেই স্বীকার করছে না

তারপর কাজের বুয়াকে ডেকে আনা হলে স্বীকার করে যে,

নিয়েছিলো রক্ত আর এমনি নিয়ে ছিলো ।

আর গ্যাস লাইটে তার হাতের ছাপের রিপোর্টা দেখে তো অবাক

হয়ে যায় সে নিজেই।

পুলিশ অফিসারটা বলল, এ গ্যাস লাইটটা আমি পোড়াবাড়িরর লাশটার পাশে পেয়েছি, আর এটাতে তোর হাতের ছাপ আছে।

তুই পোড়াবাড়িতে কেনো গিয়েছিলি,আর ইমরান কোথায়,আর ইমরানের বন্ধুকে কেন মারলি।

আঙ্কেল বলতে লাগলো আমি ওই পোড়াবাড়ি চিনি না কিভাবে যাবো,

তারপর কতো গুলো চড় থাপ্পর আর লাঠির বাড়ি দিলো পুলিশ অফিসারটা তারপরও স্বীকার করছে না।

শেষ পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হলো,

এদিকে রাইসার আব্বু জানতে পেরে খুব অবাক,,

যে তার সাথে ছিলো সে এসবের পিছনে,

আর তার মেয়েকেও ফাসাতে চাইছিলো

এদিকে রিমান্ডে নেয়ার পর সব স্বীকার করে ।

এবং বলে আমি শুধু ইমরানের বন্ধুকে মেরেছি আর রাইসাকে ফাসাতে চাইছি।

কিন্তু আমি ইমরানকে মারি নি,আমি ইমরানের ব্যাপারে কিছু জানি না

তারপর পুলিশ অফিসারটা জিজ্ঞাস করলো কেনো ইমরানের বন্ধুকে মেরেছো

আঙ্কেল বলল,আমরা দেশে ত্রাস সৃস্টি করার জন্য,একটা টিম বানাই,এবং আমি মন্ত্রী তথা রাইসার বাবার ছায়ায় থেকে

দেশে রাজনৈতিক অরাজকতা সৃস্টি করার জন্য একটা প্লান করি।

ঐ পোড়াবাড়িতে বসে।

কিন্তু সেই প্লানের কথা ইমরান এবং ওর বন্ধু জেনে যায়।

আমরা ইমরানের ক্ষতি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই ইমরান নিখোজ হয়ে যায়।

তার পর ওখানে আপনারা একটা কঙ্কাল পেয়েছেন সেটা কার আমি জানি না ।

তবে ইমরানের বন্ধু আমাদের প্লানের ব্যাপারটা কিভাবে জেনো জানতে পারে হয়তো ইমরানই বলছে।

আমরা যখন জানতে পারি তখনই ওকে মেরে পোড়াবাড়ির সামনে রেখে দেই যেনো কেউ আমাদের ধরতে না পারে আর সব প্রমান আমি মিটিয়ে দেই কিন্তু ভুলে সিগারেট জালানোর পর ভুলে গ্যাস লাইটটা ফেলে রাখি পাশে।

আর এইটাই আপনাদের আমার কাছে পৌছাতে সাহায্য করেছে

কিন্তু স্যার আমি ইমরানকে মারি নি,ইমরান কোথায় আমরাও খুজছিলাম কারন সে আমাদের সব প্লান জানতো।

পুলিশ অফিসার বলল,তাহলে রাকিব তো আদির সাথে তোকে দেখছিলো, আদিও কি এর সাথে যুক্ত আছে।

আঙ্কেল বলল, না স্যার তবে ও আমাকে বার বার রাইসার কথা বলতো, আর বলছিলো যদি রাইসাকে না পায় তাহলে রাইসাকে অন্য কারো হতে দিবে না।

তাই আমিও ওর কথাটা ধরে রাইসাকেও ফাসালাম।

কিন্তু আপনারা যেনো আদিকে সন্দেহ করেন।

কিন্তু ইমরানের ব্যাপারে কিছু জানি না।ইমরান বেচে আছে নাকি মারা গেছে আমি জানি না।

তারপর আঙ্কেলের প্লানের সাথে যারা যারা জড়িত সবাইর একটা তালিকা করা হলো, এবং সেইটা উপর মহলের কাছে পাঠানো হলো আস্তে আস্তে সবাইকে ধরা হলো।আর তাদের প্লান নষ্ট করে দেয়া হলো।

কিন্তু সেটাতে রাইসার আব্বুর নাম আসলো না।

সবাই ভাবছিলো রাইসার আব্বু এসব করিয়েছে কিন্তু না সে তো এসব কিছুই জানতো না।

কিন্তু পুলিশ অফিসারটা আর রাকিব তারা চিন্তায় বিভোর হয়ে পড়লো।

ইমরান যদি বেচে থাকে তাহলে কোথায়, আর মরে গেলে কে মারলো

বা কে খুনি।

ইমরানকে যদি রাইসার আঙ্কেল মেরে না থাকে তাহলে কে মেরেছে,

আর রাইসার আঙ্কেল কি সত্তি বলছে যে ইমরানকে মারে নাই।

কিন্তু রাইসার আঙ্কেলের কাছে ইমরানকে মারার যথেষ্ট কারন ছিলো।

আর এদিকে রাইসার বান্ধবিও ইমরানকে অনেক ভালোবাসে,রাইসাকে ছেড়ে ওর কাছে আসতে বলছিলো,কিন্তু যায় নাই,

রাইসার বান্ধবির কাছেও ইমরানকে মারার যথেষ্ট কারন আছে।

আর এদিকে আদিও রাইসাকে অনেক ভালোবাসে

ও রাইসাকে পাওয়ার জন্য রাকিবের সাথে যা করলো,তাতে ইমরানকে মারার যথেষ্ট কারন ছিলো,কারন ইমরান তো আদির পথের কাটা ছিলো,ইমরানকে সরাতে পারলেই রাইসাকে আদি পেয়ে যেতো।

এদিকে রাইসার আব্বুরও ইমরানকে মারার যথেষ্ট কারন আছে,কারন সে অনেকবার রাইসার সাথে ইমরানের মেলামেশা পছন্দ করতো না।

কেমন যেনো এবটা বিশাল রহস্যের ভিতর সবাই ডুবে আছে।

এদের ভিতর কেউ নাকি অন্যকেউ।

নাকি ইমরান নিজেই নিজেকে আরাল করছে।সবকিছুই রহস্য

কে মেরেছে সেটা খুজে বের করা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে পুলিশ অফিসারটার কাছে।

শুধুই রহস্যের ভিতর ডুকে যাচ্ছে তারা।

শুধুই রহস্য

চলবে,,,,,,

1
$ 0.00
Avatar for Koly
Written by
3 years ago

Comments

নিঃস্ব দিকটা মানুষের বেদনার দিকে নির্দেশ করে। আলোচ্য গল্পটিতে ছেলেটা মারা যায় তার কারণে পুলিশ টি নিঃস্ব হয়েছে। গল্পটি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

$ 0.00
3 years ago

Your writing skill is very good. I think you are really good at Bangla language. Your story is just amazing. All of your story just touch the heart🙂

$ 0.00
3 years ago

নাইস

$ 0.00
3 years ago

আমার জিবনের সাথে মিল আছে।খুব ভাল হইছে।আরো চাই এরকম গল্প।

$ 0.00
3 years ago

প্রথমেই গল্পের লেখক কে অনেক ধন্যবাদ জানাই। কারণ যতই গল্পটার ভিতর যাচ্ছি ততই যেন এর প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছি।। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো।।

$ 0.00
3 years ago

গল্পটা অনেক সুন্দর হয়েছে প্রথমে ধন্যবাদ জানাই গল্পের লেখক কে। গল্পের যতই ভিতরে গিয়েছে ততোই মনকে আকৃষ্ট করেছে।

$ 0.00
3 years ago

নিঃসঙ্গতা সে কিভাবে মানুষকে একটা মরা মানুষকে পরিণত করে দেয় সেটা লেখক অনেক সুন্দর করে বুঝিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে গল্পটা উপস্থাপন করার জন্য। আর নতুন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

$ 0.00
3 years ago