একজন আর্মির স্ত্রী হওয়া চারটে খানি কথা নয়।অন্য সব স্ত্রীরা যখন স্বামীর দেরি করে বাসায় ফেরা নিয়ে রাগ করে বসে থাকে তখন তার রাগ-অভিমানকে দূরে সরিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকতে হয়।স্পেশাল দিন গুলোতে প্রিয় মানুষটার সাথে ঘুরতে যাওয়ার বদলে তার ছবির সাথে কথা বলেই দিনটা পার করে দিতে হয়।কারন সবার ছুটি থাকলেও আর্মিদের ছুটি নেই।সংসারের সমস্ত খুঁটিনাটি একাই সামলাতে হয়।একজন আর্মি বাবা কখনও চাইবে না তার সন্তান আর্মি হোক।কারন সে জানে আর্মির পোশাকটা গায়ে জড়ানোর সাথে সাথেই ভুলে যেতে হয় ঘর সংসার।ভুলে যেতে হয় প্রিয় মানুষদের কথা।
আর্মিদের স্ত্রীদের কখনও মন খারাপ করতে নেই।ফোনের ওপাশ থেকে কান্নায় বসে যাওয়া কন্ঠটাকে চেপে রেখে বলতে হয়,আমরা সবাই ভালো আছি তুমি কোনো চিন্তা করো না।নিজের খেয়াল রেখো।আপনি যদি এসব কিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারেন তবে আপনি কখনও একজন আর্মির আদর্শ স্ত্রী হয়ে উঠতে পারবেন না।কারন তার জন্য আপনাকে গোটা জীবনটাই সেক্রিফাইস করে কাটিয়ে দিতে হবে।একজন আর্মি যদি হয় দেশের রক্ষক তবে তার স্ত্রীকে হতে হয় তার পুরো সংসারের রক্ষক।
আসলে আর্মিরা যেমন দেশের জন্য সংগ্রাম করছে তেমনি তাদের বউরা ও সব কিছু ভুলে ফ্যামিলির জন্য সংগ্রাম করছে।