-হতাশা
আসলে হতাশা ব্যাপাটা একটা ম্যাজিক এর মত। কোটিপতি থেকে শুরু করে রাস্তার সাহায্য প্রার্থী সবাই কোন কারণে হতাশ। আপনি হতাশা ব্যাপারটাকে যত বেশি প্রাধান্য দিবেন বাস্তব জীবনে ততই উইক হয়ে যাবেন।
যখন হতাশ থাকবেন তখন নিজের সাথে নিজে এক্সপেরিমেন্ট করে যান, কি করলে আপনি ভাল থাকবনে। যখন সেই ভাল লাগার কাজটি পেয়ে যাবেন তখন তা বেশি বেশি করার ট্রাই করবেন। হতাশাকে অভিশাপ দিবেন না, হতাশা আমার, আপনার, আমাদের জন্য আশীর্বাদ। কারণ হতাশা আমাদের মানুষ চেনায়।
আপনি আপনার বাস্তবিক জীবিনে হতাশ হয়ে ভুল করছেন।
কিভাবে ভুল করছেন একটু ক্লিয়ার হই।
যারা আগে বিয়ে করছে...তারা হতাশ!সংসারের ঘানি টেনে ক্যারিয়ার গড়তে পারে নাই।যারা বিয়ে করে নাই, তারা হতাশ!ক্যারিয়ার তৈরী করতে গিয়ে সংসার গড়তে গড়তে এখন আর শরীর চলেনা!
যারা প্রাইভেট জব করছে...তারা হতাশ, ছুটি নাই, চাকরীর নিরাপত্তা নাই। যারা সরকারী চাকরী করছে... তারা হতাশ, গ্রামগঞ্জে থাকতে হয়, শহরের সুবিধা পায়না, সময় কাটেনা।
যারা দেশে থাকে তারা হতাশ, যোগ্যতানুযায়ী চাকরী নাই, এত জ্যাম, মূল্যবান সময়গুলা সব রাস্তাতেই দিতে হয়। যারা বিদেশ থাকে, তারা হতাশ, সব সুবিধা আছে কিন্তু আত্মীয় স্বজন কেউ নাই।
আবুল সাহেব বেহেস্তে আছেন,উনিও হতাশ!বিড়ি আছে কিন্তু আগুন নাই!তাছাড়া যা চায় তাই পায়,এটাই এখন তার কাছে অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।কষ্ট করে অর্জন করতে চায় তিনি এখন।এছাড়াও এত আঙ্গুর খেয়ে শেষ করা যাচ্ছেনা!তার উপর পাঁচ নাম্বার হুর পরী'টা একটু বেশী কথা বলে!
আবার দোজখে থেকে রহমান সুদারু ভিশন হতাশ!কারণ তার কাছে আগুন আছে কিন্তু বিড়ি নাই।
সত্যি কথা বলতে কি,জীবন মানেই হতাশা!
তাই বলি কি হতাশ হবেন না!ল
ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর।
আগে যারা হাতাশাগ্রস্থ ছিলো তারা হতাশা থেকে উঠে এসে সফলতা চিনিয়ে নিয়েছিলো।আর এখন মানুষ জত হতাশাগ্রস্থ হচ্ছে তত ভেঙে পড়ছে।গরিব,ধনী,স্টুডেন্ট সবাই কম বেশি আক্রান্ত। অনেকেই আত্মহত্যার মতো জিনিসটি ও বেচে নেয়।সুতরাং আমাদের ধৈর্য ধারন করতে হবে।জীবনে সব আছে বেচে নেয়া আমাদের দায়িত্ব।