হেমায়েত উদ্দিন

2 8
Avatar for Khairul28
3 years ago

উনি  মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার অপরাধে রাজাকাররা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিলো। এটা শুনে যুদ্ধের ময়দান থেকে বাড়ী এসেছিলো স্ত্রী সন্তানের খবর নিতে। এসে দেখলো তাঁর স্ত্রী সতীত্ব বাচাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্বহত্যা করেছে। বাচ্চারা একজনও বেচে নেই।

পাহাড় সমান শোককে শক্তি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন আর দেশ স্বাধীন করেই তবে বাড়ী ফিরেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধার এক দুধর্ষ গেরিলা বাহিনী গড়েছিলেন যারা বরিশাল, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর আর বাগেরহাট এলাকায় দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে যুদ্ধ করে পাকিস্তানী হানাদার আর তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের পরাভুত করেছে।

একদিন সম্মুখ যুদ্ধে একটা বুলেট লোকটার গালের একপাশ দিয়া ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বেড়িয়ে যায়। আটটা দাঁত পড়ে গেল। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো তবুও লোকটা যুদ্ধ থামায় নি, অজ্ঞান হওয়ার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদাররা পরাজিত হয়ে পালিয়েছিলো।

লোকটির নাম হেমায়েত উদ্দিন। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন। শুধু বাংলাদেশের না, সমগ্র মডার্ন মিলিটারি ইতিহাসের অন্যতম গেরিলা লিজেন্ড। ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর এই লোকটা ঘুমিয়ে গেছে।অনন্ত ঘুম। বিনম্র শ্রদ্ধা। পরপারে ভালো থাকুন।

6
$ 0.00
Avatar for Khairul28
3 years ago

Comments

খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আগে জানা ছিলোনা।আজকে আপনার পোস্টের ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিখলাম।আসলে যুদ্ধ করতে সাহস আর মনোবল ২ টাই লাগে।আর লোকটার ২ টাই ছিলো।কিন্তু যখন তিনি তার স্ত্রী আর সন্তানদের হারিয়েছিলো তখন তিনি আর ও পাথর হয়ে গিয়েছিলো তার এই প্রতিশোধ নেয়ার অদম্য ইচ্ছাই তাকে বিজয়ের পতাকা ছিনিয়ে আনতে সাহায্য করেছিলো।ধন্যবাদ।

$ 0.00
3 years ago

welcome and stay connected

$ 0.00
3 years ago