ছেলেটার বয়স যখন ৮ বছর তখন তার বাবা মাউন্ট এভারেস্টের ছবি দেখিয়ে বলেছিলো, তুমি এর চূড়ায় উঠতে পারবে?
ছেলেটা বুঝে হোক আর না বুঝেই হোক,
সেদিন বলেছিলো হ্যা, সে "পারবে"!
স্কুল জীবন শেষে বৃটিশ আর্মির এয়ার ডিভিশনে যোগ দেয় ছেলেটা। মনের ভেতর হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে বিজয়ীর চিৎকার দেয়ার ইচ্ছে তখনো দমে যায়নি। এর মধ্যেই একদিন ঘটে গেল দুর্ঘটনা।
জাম্বিয়াতে ফ্রি ফল প্যারাশুটিং করার সময় মারাত্মক আঘাত পায় সে, শিরদাঁড়ার তিনটা কশেরুকা ভেঙে যায় তার। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, এইজীবনে আর কোনোদিন সে হাঁটতে পারবেনা ।
হুইলচেয়ারে কাটিয়ে দিতে হবে বাকিটা জীবন। আর্মির চাকরি চলে যায় তার। সামনে বাকিটা জীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে কাটিয়ে দেয়ার প্রতীক্ষা।
স্রেফ অদম্য ইচ্ছাশক্তি থেকে ছেলেটা ১ বছরের ভেতর হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, হাঁটতে শুরু করে সে। এরপর দৌঁড়ানো শুরু করে।
ডাক্তারদের সব ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যে প্রমাণ করে দেয় ছেলেটি। উঠে দাঁড়ানোর শুধুমাত্র ৬ মাসের মাথায় ছেলেটা মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে ফেলে, ২৩ বছর বয়সে।
ছেলেটাকে আমরা সকলেই চিনি 'Man Vs Wild' অনুষ্ঠানের সুবাদে তার নাম "বেয়ার গ্রীলস"।
সে চোখে আঙুল ধরে দেখিয়ে দিয়েছে, জীবনে আবার ঘুরে দাঁড়াবার জন্য শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। সাথে ইস্পাত সমান কঠিন সংকল্প আর দৃঢ়তা।
অথচ আমি আপনি কি করছি?
জীবনে এক দুটো ঝড় আসছে, ব্যাস খড়কুটোর মত উড়ে যাচ্ছি সেই ঝড়ে। চাকরি পাচ্ছেন না, ব্যবসা করতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে গেছেন, গার্লফ্রেন্ড ছেড়ে দিয়েছে, বউ ডিভোর্স দিয়েছে, ব্যাস এটুকুতেই কাত হয়ে গেলেন আপনি?
আহত বাঘের মত শেষ একটা থাবা বসান নিজের লক্ষ্যে আবারো। একটা মানুষ হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ানোর মাত্র ৬ মাসের মাথায় মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছে। আর আপনি স্রেফ বুদ্ধিমানের মত ঠান্ডা মাথায় নিজের সমস্যার সমাধান করে আবারো জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না নতুন করে?
এটা কি কিছু হলো ?
You can do it --- আপনিই পারবেন,
প্রয়োজন শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছেশক্তির।
আসলে তার ইচ্ছে শক্তি ছিলো এটাই তাকে এগিয়ে নিয়েছে।তার লাইফের সফলতার কোন হিসেব নাই।তার পরও আমাদের বাংলাদেশিরা তারে নিয়ে ট্রল করে।যারা ট্রল করস বেয়ার গ্রিলস এর মতো হয়ে দেখা।